Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস পর্বঃ১১

0
4724

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ১১
.

এখন আমি আপনাদের বলব শিমলা আর আমার পরিবারের মধ্যে কথপোকথন।
শিমলা আমার ভাইয়া,আব্বু,আম্মু কে আগে থেকেই চিনে।

শিমলা- ভাইয়া আমি শিমলা। আপনি আমায় চিনবেন না। আমি শ্রাবন এর ফ্রেন্ড।
ভাইয়া- হুম। কিন্তু তুমি আমায় চিন কিভাবে??
শিমলা- শ্রাবন আমায় বলেছিল আপনি তার ভাইয়া।
ভাইয়া- ওহ।
শিমলা- ভাইয়া শ্রাবণ কই?? ওকে দেখতেছি না যে??(না যানার ভাব করে)
ভাইয়া- কেন তুমি ওর ফ্রেন্ড আর তুমি যান না ও কই…????
শিমলা- আসলে আমি এখানে থাকতাম ৬ বছর আগে। পড়াশোনা করার জন্য আমি ঢাকা চলে যাই। তাই আর যোগাযোগ নেই ওর সাথে। ভাইয়া শ্রাবন কই??
ভাইয়া- শ্রাবন আমাদের সাথে থাকে না।
শিমলা- কেন ভাইয়া????
ভাইয়া- একটা সমস্যার কারনে আব্বু ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
শিমলা- কিন্তু কেন??? আর শ্রাবন এখন কোথায় থাকে।
ভাইয়া- একটা ভুল বোঝাবুঝির কারনে ওকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে আব্বু। আর ওর কোন খোজ আমরা কেউ জানি না। ওকে আমরা খুজতেছি কিন্তু পাইতেছি না দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।
আব্বু- মা আমি সেই পাপী যে নিজের ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি বিনা অপরাধে। (কেদে)
শিমলা- আংকেল আপনি কাদবেন না। সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কোন কারনে আপনি ওকে বের করে দিয়েছেন। (জেনেও না জানার ভান করে)
আব্বু- সে এক বিশাল ঘটনা মা।
শিমলা- ভাইয়া আপনি আমায় বলতে পারেন। আমি ওর ফ্রেন্ড হই। আর ওকে খুজে পেতে সাহায্য করতে পারি।
ভাইয়া- শুনো তাহলে আমি বলি—

আজ থেকে ৬ বছর আগে
শ্রাবন এর মামাতো বোন মিম আসে আমাদের বাড়িতে লেখাপড়া করার জন্য।
বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু হটাৎ একদিন আমার মামা + মামি আমাদের বাসায় আসে। অনেকদিন পরে। এতে আমরা সকলে অবাক হই। কিন্তু আমার ভেবেছিলাম মিম আসতে বলেছে তাই বোধহয় তারা এসেছে। কিন্তু এর অন্য একটা কারণ ছিল।
আগেই বলে রাখি মিম কিন্তু খুব যেদী মেয়ে।

শ্রাবন আর মিম উপরের পাশাপাশি রুমে থাকত।
একদিন রাতে আনুমানিক রাত ১২.৩০ বাজে। তখন আমার মিমের চিতকার শুনি। এরপর আমার সেখানে যাই। গিয়ে দেখি শ্রাবন এর রুম থেকে চিৎকার আসতেছে।
আমরা ভাব খারাপ বুজে দরজা ভেংগে ফেলি।
কিন্তু দরাজা খুলে যা দেখলাম তা দেখার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
দরজা খুলে দেখি শ্রাবন মিমের উপরে শুয়ে আছে। মিম কান্না করতেছে। আর মিমের জামা কাপর কিছু কিছু যায়গায় ছেরা। (আপনারা এগুলো আগেই জানেন। কিন্তু এটা শিমলা জানে না। আজ শিমলার ভুল ভাংগবে।)

ভাইয়া- এখন শিমলা তুমিই বল? এটা যদি কেউ দেখে তো তার কি করা উচিত।
শিমলা- ওহ। তার কারনে আংকেল ওকে তারিয়ে দিয়েছেন??
আম্মু- হ্যা মা। এই লোকটা আমার ছেলেকে তারিয়ে দিয়েছে। আমি ভাবছিলাম আমার ছেলে আবার আমার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু যদি জানতে পারতাম এই মিথ্যা অপবাদ এর জন্য আমার ছেলে আমার কাছ থেকে চিরকালের জন্য চলে যাবে?? তাহলে আমি ওকে যেতে দিতাম না।(কেদে কেদে। আমি চলে আসার পর থেকে আব্বু আম্মুর সম্পর্কে ঠিক নেই।)
মেয়েটি- আম্মু তুমি কেঁদ না। দেখবে শ্রাবন ঠিকই একদিন ফিরে আসবে..
এরপর মেয়েটি আমার আম্মুকে নিয়ে চলে গেল একটা রুমে। কারন আম্মু অনেক কান্না করতেছে। যার কারণে অসুস্থ হতে পারে।

শিমলা- ভাইয়া ওই মেয়েটি কে??? আর উনি আপনার আম্মুকে আম্মু ডাকে কেন?? শ্রাবনের তো কোন বোন ছিল না??
ভাইয়া- তা নয়। ও হচ্ছে আমার স্ত্রী।
শিমলা- ওহ ভাইয়া সরি আমি বুজতে পারি নি।
ভাইয়া- হুম ঠিক আছে।
শিমলা- কিন্তু ভাইয়া আপনারা শ্রাবনের সাথে যা করেছেন সেটা একদম ঠিক করেছেন। হুম আমি ওর বন্ধু হয়ে বলছি। কারন ও এটা একদমই ঠিক করে নাই। কিন্তু আপনার বার বার মিথ্যা অপবাদ বলছেন কেন??(কথা বের করার জন্য এটা বলতেছে।)
আব্বু- মা শ্রাবনকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াই হয়েছে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।
শিমলা- কিন্তু কেন আংকেল??
ভাইয়া- আমি বলতেছি তোমায় শুন…।

শ্রাবনকে বাড়ি থেকে বের করে দেবার কিছু দিন পরে আম্মু খুব ভেংগে পরে।
আম্মু শুধু শ্রাবনের কথা ভেবে কান্না করত। আম্মু শ্রাবনকে অনেক ভালোবাসত। আমরা অনেক বুঝানোর পরেও সে শুধু কান্না করত।
আমার আর আব্বুর খানিকটা কষ্ট হলেও আমরা মনকে শান্ত করতাম যে শ্রাবন বখাটে হয়ে গেছে। এইভাবে কেটে যায় একটা বছর। আম্মু আস্তে একটু শক্ত হলেও শ্রাবনের কথা মনে পরলেই কান্না করত। আর মিমও আমাদের সাথে থাকত।

একদিন মিমের এক্সিডেন্টে হয়। সেদিন আমরা সকলে ওর কাছে হাস্পাতালে যাই।
আমাদের দেখে মিম কিছু বলতে চায়।
যেটা শুনার পরে আমরা সকলে অবাক হই। আসলে মিমের অনেক বড় এক্সিডেন্ট হয়েছিল। তাই মিম ভয় পেয়ে যায় যে ও আর বাচবে না। তাই মিম আমাদের সবাইকে ডাকে একটা কথা বলার জন্য।

মিম- আমি অনেক বড় একটা অপরাধ করেছি যার কোন ক্ষমা হয় না।
মিমের আব্বু- কি করেছিস মা। এমন বলতেছিস কেন??
মিম- আব্বু আমি অনেক বড় অন্যায় করেছি। যার কারনে আমার এই অবস্থা।
ভাইয়া- মিম কি এমন করেছিস বল শুনি??
মিম- ভাইয়া তোমার আমায় ক্ষমা করে দিও।
আব্বু- মা বল কি করেছিস.???
মিম- ১ বছর আগে শ্রাবন আমার সাথে কোন কিছু করে নাই। আসলে আমি ওকে ভালোবাসাতাম। তাই ওকে প্রপোজ করি কিন্তু ও সেটা গ্রহণ করে নাই। ও নাকি কাকে ভালোবাসে। তাই আমি ওকে পাওয়ার জন্য ওই নাটকটা করি।(কেদে)
মিমের আব্বু- ঠাসসসসস ঠাসসসস। তোকে আমরা এই শিক্ষা দিয়েছি।
আম্মু- কেদে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
আব্বু- বাইরে গিয়ে কাদতে থাকে।
ভাইয়া- তখন আমি কি যে করব কিছুই বুজতে পারতেছিলাম না। আর মিমের অবস্থাও খারাপ। ও ওর পাপের শাস্থি পেয়ে গেছে। তাই কিছু বলি নাই। আর মামা ওকে অনেক বকা দেয়। আমি থাকার কারনে মারতে পারে নি।

এরপর থেকে আমরা শ্রাবনকে খুজতে থাকি। কিন্তু কোথাও পাই নি। কে যানে ও এখন কোথায় কি অবস্থায় আছে??

শিমলা- এই কথা গুলো শুনে নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারতেছে না। একদিকে খুশি হচ্ছে। আর এক দিকে কষ্ট বা ভয় হচ্ছে। কিভাবে শ্রাবণ এই ৬ টা বছর একা কাটাল। যে ছেলে এইভাবে টাকা উরাত সে কিভাবে এত পরিবর্তন হল। সে কি মাপ করবে আমায়।

এরপর শিমলা কিছু না বলে আমাদের বাসা থেকে বেড়িয়ে চলে যায়।
এরফলে সকলে অবাক হয়।
ভাইয়া শিমলাকে অনেক ডাকে কিন্তু শিমলা কিছু শুনে না।কাদতে কাদতে চলে যায়।

এদিকে——
আমি আর জান্নাত বেশ মজা করে দিন
কাটাচ্ছি। কারন শিমলা নামক পেইন আর আমার কাছে নেই। একা থকতে আর কষ্ট হয় না। এই ৬ বছর একাই থেকেছি। তাই কেউ দূরে থাকলেও মানিয়ে নিতে পারি।
বুকের ভিতর একটা চাপা কষ্ট হচ্ছে কিন্তু সেটার ভয় আর এখন আমি করি না।

শিমলা আমাদের বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা সেই পার্কে চলে যায়। যেখানে আমার শেষ দেখা করেছিলাম।
সেখানে গিয়ে কাদতে লাগে।
আর মনে মনে ভাবে করা ভাবে পারল সে শ্রাবনকে অবিশ্বাস করতে? কিভাবে পারল এত বছর পরেও অপমান করতে।
তাই শিমলা একটা সিদ্ধান্ত নেয়।

সিদ্ধান্তটা ছিল……
সেইদিন রাতে শিমলা তার আব্বুর কাছে গিয়ে বলে–
শিমলা- আব্বু আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিমলার আব্বু- হুম মা বল।
শিমলা- আব্বু আমি বিয়ে করতে চাই..
শিমলার আব্বু- এত ভালো খবর। তোকে কত করে বলি বিয়ে করে নে। কিন্তু তুই করতে রাজি না। তাই আমি কিছু বলি না।
শিমলা- আব্বু আমি এখন বিয়ে করতে রাজি।
শিমলার আব্বু- তা কাকে বিয়ে করবি..??
শিমলা- আব্বু শ্রাবনকে।(শিমলার আব্বু সব জানে আমার আর শিমলার ব্যাপারে)
শিমলার আব্বু- কিন্ত মা তুই তো বলেছিলি শ্রাবন তোর সাথে বেইমানি করেছে??
শিমলা- আমি কিছু জানি না। আমি কালকেই বিয়ে করব। এটাই শেষ কথা।
শিমলার আব্বু- তুই যা ভালো বুজিস।(শিমলার আব্বু জানে যে ও খুব যেদী যা বলবে তাই করবে। এজন্য বেশি কথা বলে নাই)
শিমলা- হুম। আর আমি এখন রাতের বাসে ঢাকা ফিরতে চাই।
শিমলার আব্বু- কিন্তু মা তুই এই রাতে চলে যাবই??
শিমলা- হুম।
শিমলার আব্বু- ওকে।

এই বলে শিমলা তার সব কিছু নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এদিকে আমি আর জান্নাত রাতের খাবার খেয়ে জান্নাত কে৷ নিয়ে পড়তে বসলাম।
অনেক রাত পর্যন্ত পড়ালাম। কারন কোন কাজ নেই অফিসের। সারা দিন শুধু বসে বসে কাটিয়েছি। কেমন যেন আমর বউয়ের অফিস ??
রাতে শুয়ে পরলাম।

সকালে যথা নিয়মে অফিসে চলে গেলাম।
জান্নাত আসে নাই। ও নাকি আজ স্কুলে যাবে না।
আমি অফিসে গিয়ে আমার কাজ করতে থাকি।(বসে বসে মোবাইল চালানোর কাজ??)
আপনারা ভাবছেন আমি এত কুল কি করে। আসলে এইসব ছোট বড় ব্যথা এখন আমার কোন কষ্ট হয় না। অভ্যাস হয়ে গেছে। সো.. কুল।

শিমলা ভোরে তার বাসায় পৌছে সব কিছু রেখে আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

জান্নাত আজ স্কুলে যায় নি। কারণ রাতে শিমলা ফোন করছিল। জান্নাতকে স্কুলে যেতে বারন করে। তাই জান্নাত স্কুলে যায় নি।

বাসায় এসে —–
জান্নাত- ভাবি তোমায় এমন দেখাচ্ছে কে?? আর কি হয়েছে?? রাতে ফোন দিছিলে কেন??(জান্নাত শিমলাকে ভাবি বলে ডাকে। ইস ঢং)
শিমলা- জান্নাত অনেক কিছু হয়ে গেছে। আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি।
জান্নাত- ভাবি কি হয়েছে আগে বল…
শিমলা- জান্নাত তুমি বল আমায় ভুল বুজবে না।
জান্নাত- ওকে ভাবি। তুমি বল।
শিমলা- জান্নাত তুমি শুনে অবাক হবে।
জান্নাত- কি বল??
শিমলা- তোমার ভাইয়া একা নয় এই পৃথিবীতে। তার পরিবার আছে।
জান্নাত- কি বলছ তুমি এইসব ভাবি??আর তাহলে ভাইয়া একা থাকে কেন??
শিমলা- আমি সব বলতেছি তুমি শোন।
জান্নাত- হুম বল।
শিমলা- তোমার ভাইয়ার……(সব কিছু খুলে বলে)

জান্নাত- কেদে দেয়। আমার ভাইয়ার জীবনে এত কষ্ট আর আমি কিছুই জানি না।
শিমলা- জান্নাত তুমিও কি আমায় ভুল বুজতেছ??
জান্নাত- না ভাবি। তোমার জায়গায় যে কেউ থাকলেই সে এটা করত।
শিমলা- জান্নাত আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর সেটা না করলে আমি ওকে হারিয়ে ফেলব।
জান্নাত- ভাবি কি সিদ্ধান্ত নিয়েছ??
শিমলা- তোমার সাহায্য ছারা এটা সম্ভব নয়..
জান্নাত- হুম বল কি করতে হবে আমায়??
শিমলা- জান্নাত আমি আজ শ্রাবনকে বিয়ে করতে চাই।
জান্নাত- কিন্তু ভাইয়া কি মানবে??
শিমলা- আমি জানি মানবে না। কিন্তু তুমি বললে সে অবশ্যই মানবে। কারন তোমার ভাইয়া এই পৃথিবীতে তোমায় খুব ভালোবাসে। আমার বিশ্বাস সে তোমার কথা রাখবে।
জান্নাত- ওকে ভাবি। তুমি যা বলবে আমি তাই করব।

এরপর জান্নাত আর শিমলা দুজনে একটা প্লান করে। সেটা না হয় পরে বলি।

আমি অফিসে এসে দেখি অনেক ফাকা ফাকা। আমি ভাবতেছি সবাই কই..??
কিছু স্টাফ আর পিয়ন চাচা আছে।
আমি- চাচা অফিসের সবাই কই??
চাচা- বাবা সকলে একটা ফাংশন এ গেছে।
আমি- ওহ। ঠিক আছে।

আমি একা কি করব। তাই ল্যাপটপে একটা মুভি দেখতে লাগলাম।
একটার জায়গায় দুইটা দেখা শেষ। কিন্তু সময় শেষ হচ্ছেই না।
তাই অফিসের বাইরে এসে এক কাপ চা খেলাম। বাহ মুড টা ফ্রেশ হয়ে গেল।
এরপর অফিসে ফিরে আবার সেই মোবাইল + ল্যাপটপ।
কি শান্তি বলেন তো..বসে বসে চাকরির টাকা পাব। একেই বলে বিন্দাস লাইফ।
(কিন্তু এই বিন্দাস লাইফ যে এত ভারি হবে পরে বুজতেই পারি নি। চলুন বলি তাহলে)

খুব কষ্টে অফিস টাইম শেষ করে বাসায় গেলাম। ভাবতেছি একটা বাইক কিনব। আর এভাবে চলা যায় না। হুম এই মাসের টাকা পেলে কিনুম।(কি বাইক কিনব সাজেস্ট করুন?)

বাসায় এসে কলিং বেল চাপ দিলাম।
জান্নাত দরজা খুলে দিল।
আমি- কিরে পাগলি নতুন জামা পরেছিস কেন??
জান্নাত- তুইও পরে নে।
আমি- কেন কই যাব??
জান্নাত- বিয়ে বাড়ি যাব।
আমি- কার বিয়ে?? আর তোর তো কোন রিলেটিভ নেই। তাহলে কার বিয়েতে যাব??
জান্নাত- শিমলা আপুর বিয়ে…
আমি- আগে একটা পাপ্পি দিয়ে নিলাম আপুকে। বাহ তুই কি খবর দিলি। তুই একটু দারা আমি আসতেছি।
জান্নাত- (হুহ বুজবে মজা. মনে মনে)

আপনার ভাবতেছেন আমি খুশি। কিন্তু না। আমার ভিতরে খুব কষ্ট হচ্ছে আজ। কিন্তু বলেছি না এখন সব অভ্যাস হয়ে গেছে। আর জান্নাত কে কিছু বুজতে দিলাম না। কারন ও কিছুটা জানে যে আমি জান্নাত কে পছন্দ করে। তাই ফাও ঝামেলা দিয়ে লাভ কি?

অনেক কষ্ট বুকে নিয়ে রেডি হলাম। আর মনকে বুজ দিলাম কেন আমি ওর জন্য কষ্ট পাব?? যে আমায় অবিশ্বাস করে?যে আমায় প্রতারক বলে?
এক দিক দিয়ে কষ্ট এর এক দিক দিয়ে কিছু থেকে মুক্তি পাবার আনন্দ।

রেডি হয়ে জান্নাত আর আমি একটা রিক্সা নিয়ে চলে গেলাম ম্যামের বাসায়।
বেশ বড় বাসা। কিন্তু বেশি লোকজন নেই।
ভিতরে গিয়ে দেখি অফিসের সবগুলো এখানে। আমার খুব রাগ হল। সবাই আমার দিকে কেমন করে যেন তাকাচ্ছে। আমি কিছু বুজতেছি না। আর রহিম আমায় দেখে মুচকি মুচকি হাসতেছি। কিছু বুজতেছি না। আর এদিকে শিমলা আমায় নিয়ে বাসার ভিতরে নিয়ে যাচ্ছে হাত ধরে।
আমি- কিরে কই যাস??
জান্নাত- চুপ করে আয় ভাইয়া।
আমি- ওকে চুল। মনে হয় বউ দেখতে যাচ্ছে।
জান্নাত একটা রুমে নিয়ে এল আমায়। কিন্তু একি??

রুমে ঢুকে দেখি রুমে শিমলা একা কনে সাজে বসে আছে। আমায় দেখেই দারাল।
বেশ সুন্দর লাগছে ওকে।
আমি আর তাকালাম না। মায়ায় পরে লাভ কি??
আমি- জান্নাত আমায় এখনে কেন নিয়ে এসেছিস??
শিমলা- ওকে আমি আনতে বলেছি তোমায়??
আমি- কেন??
শিমলা- আমি তোমায় বিয়ে করব..??
আমি- কিহ???আপনার মাথা ঠিক আছে??
শিমলা- হুম আছে।
আমি- আপনি থাকুন আমি যাই।
যেই বের হব সেই সময় জান্নাত আমার হাত ধরল।
আমি- জান্নাত আমায় ছার প্লিজ।
জান্নাত- না ভাইয়া তুই এই বিয়ে করবি।
আমি- জান্নাত শুধু শুধু ফালতু আবদার করিস না।
জান্নাত- না ভাইয়া তুই এই বিয়ে করবি।
আমি না। এটা সম্ভব নয়।
জান্নাত- আমি জানি তো আমার এই পৃথিবীতে কেউ নেই। আমি একা। কেউ আমার কথা রাখে না।
আমি- কে বলছে তোর কেউ নেই??আমি আছি তো।
জান্নাত- আমার নিজের ভাইয়া হলে তো তুই আমার কথা রাখতি ভাইয়া…
আমি- কি আর করার। জান্নাত এর জন্য রাজি হলাম।

এরপর শিমলা আমায় একটা ব্যাগ দিল।
যেটাতে বিয়ের জামা কাপর ছিল। আমি একটা রুমে গিয়ে পরতে লাগলাম। আর ভাবতেছি……..
এই জন্যই বাইরের সবাই আমাকে এইভাবে দেখতেছিল।
এক মন বলে বিয়ে করি.. আর এক মন বলে বিয়ে না করি।

এরপর আমাদের বিয়ে হয়ে গেল। কি আর করব কে পারে আমার আপুর সাথে। ওর জন্য বিয়ে করতে হল।
শিমলার মুখে এক বিজয়ের হাসি। কিন্তু ও জানে না ওর জন্য কি অপেক্ষা করতেছে।

এরপর শিমলাকে নিয়ে বাসায় এলাম। শিমলা ওকে নিয়ে আমার রুমে চলে গেল।
রাত ১১ টা বাজে। তাই আমি বাইরে চলে এলাম। বন্ধুদের সাথে কিছু সময় কাটালাম।
এরপর বাসায় এলাম। এইবার শিমলা দেখবে আমার আসল রুপ। আমি কি করতে পারি। আমায় জোর করে বিয়ে করা।

চলবে…..???

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে