Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস ❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ০৭
আজ শুক্রবার। সকালবেলা আরাম করে ঘুমাচ্ছিলাম। কিন্তু জান্নাত এসে
জান্নাত- ভাইয়া উঠ??
আমি……..
জান্নাত- ভাইয়া তুই উঠবি না আমি পানি দিব??
আমি- হুমমমমম(ঘুম চোখে)
জান্নাত- কিছু না বলে আমার জামা ধরে টান দেওয়া শুরু করল।
আমি- ধুর কোন রাস্তা না পেয়ে উঠতেই হল।( রাক্ষসী মনে মনে)
জান্নাত- নে এইবার ফ্রেশ হয়ে আয়। আমি খাবার নিয়ে বসে আছি।
আমি- কেন??? আজ কে কি??
জান্নাত- কিহ???? তুই জানিস না আজকে কি???(রেগে)
আমি- ওহ মনে পরছে আজ তো শুক্রবার।
জান্নাত- হুম। আমার লক্ষি ভাইয়া।
আমি- হুহ।।।।
জান্নাত এর নতুন নিয়ম। নতুন না, অনেক আগেই তৈরি হয়েছে। প্রতি শুক্রবার তাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে হবে।
আমি কি আর তার উপরে কিছু বলতে পারি বলেন। যে গুন্ডি মেয়ে।
এইসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হয়ে খেতে
গেলাম। খাবার সময় তেমন কোন কথা হয় নি। তাই আর লিখলাম না।
আমি আর জান্নাত একটা রিক্সা নিয়ে পুরো শহর ঘুরলাম। জান্নাতকে নিয়ে বের হলে সহজে বাসায় আসতে চায় না। কারন সপ্তাহে একদিন ঘুরতে বের হয়তো তাই।
রাতে বাসায় এসে জান্নাত বই পরতে বসল।
আর আমি আমার রুমে বসে ফোন চালাচ্ছিলাম। তখন রাত প্রায় ১২ টা বেজে ৩ মিনিট।
এমন সময় আমার মোবাইলে একটা
মেইল এল।
আমি ভাবলাম কোন ফ্রেন্ড হয়ত
মেইল করেছে।
তাই কিছু না ভেবে মেইলটা চেক করলাম।
আমি মেইলটা দেখে অবাক।
আমার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
হুম এটা আমার চাকরির মেইল।
আমার চাকরি টা কনফার্ম হয়েছে।
এতে তো আমার খুশী হবার কথা,, কিন্তু
আমার মনের মাঝে ছোট একটা রাগ/ভয় কাজ করছে।
প্রথম কারন- যে আমায় বিশ্বাস করে নাই। আমি এখন তার অফিসেই চাকরি করব।
দ্বিতীয় কারণ- শিমলা মনে হয় প্রতিশোধ নেবার জন্য আমায় চাকরি দিছে।
এইসব আর কিছু না ভেবে জান্নাত এর রুমে গেলাম।
গিয়ে দেখি আপু বই পড়ে।
আমি- আপু একটা দুঃখের খবর ছিল।
জান্নাত- হুম বল
আমি- আপু আমার চাকরিটা হয়ে গেছে?
জান্নাত- তুই কি সিরিয়াস???
আমি- মোবাইলটা এগিয়ে দিলাম..
জান্নাত কিছু না বলে গলা জরিয়ে ধরে বলে
জান্নাত- কংগ্রেস ভাইয়া
আমি- ধুর
জান্নাত- ভাইয়া তুই খুশী না??
আমি- না
জান্নাত- কেন??
আমি- সারাদিন বাইরে থাকতে হবে??তোকে দেখতে পারব না..
জান্নাত- ভাইয়া তুই এখনো আমায় নিয়ে ভাবছিস???
আমি- তো কার জন্য ভাববো?? তুই হলি
আমার কিউট আপু।
জান্নাত- হয়েছে। আর শোন? আমি অত কিছু শুনতে চাই না? তুই কাল থেকে অফিসে যাচ্ছিস এটা ফাইনাল।
আমি- তোর সাথে কি আর আমি পারব??
জান্নাত- হুহ (ভাব নিয়ে)
আমি- আপু তুই এখন ঘুমা।
জান্নাত- হুম। তুইও
এরপর জান্নাত এর রুমে থেকে বের হয়ে,
আমার রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।
শুয়ে পরে ভাবতে লাগলাম–
শিমলা আমায় চাকরি দিলো।
তাও আবার ৬ বছর পরে দেখা।
আমার মনে হয় ওর বেবি ও হয়ে গেছে।
যেহেতু অনেক আগে বাপ্পি বলছিলো ওর বিয়ের কথা।
এরপর আমি সকল ফ্রেন্ডদের আমার চাকরির খবির জানিয়ে দিলাম।
হারামি গুলো সকলে শুধু ট্রিট চায়।
আমি কি আর পারি ওদের সাথে। তাই আমি ঠিক করলাম কিছুদিন পরে ট্রিট দিবো।
এরপর কাল সকালে কি পরে অফিসে যাব,?? সেটা আলাদা গুছিয়ে রাখলাম।
এরপর সেই পূরনো কিছু কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে জান্নাত এর ডাকে ঘুম ভেঙে গেল।
আপু রান্না করে রাখছে। তাই ফ্রেশ হয়ে
৯ টার দিকে আমি আর জান্নাত বের হলাম আমার অফিস + আপুর স্কুল এর উদ্দেশ্যে।
রাস্তায়—-
আমি- আপু স্কুলে গিয়ে ভালোভাবে চলবি??
জান্নাত- হুহ। আর আমার ভাইকে আজ তো পুরা হিরোর মতো লাগছে। দেখিস কারো নজর যেন না পরে। (আমার মাথা নিচু করে, কি সব ফু দিলো)
আমি- হাহাহাহা
জান্নাত- হিহিহি।
এরপর জান্নাতকে ওর স্কুলে রেখে আমি আবার রওনা দিলাম। আসলে আমার বাসা থেকে অফিস অনেক দূরে।
তাই একটু তারাতাড়ি বের হলাম।
কিছুক্ষণ পরে পৌছে গেলাম অফিসে।
অনেক বড় অফিস। আমি অফিসের সামনে এসে দেখি কালকের ছোট ভাই
রহিম।
রহিম- কি ভাই চাকরিটা হয়ে গেল??
আমি- হুম ভাই। তোমারো??
রহিম- হুম ভাই। ভিতরে চলেন…
আমি- হুম চলো….
আমরা ভিতরে গেলাম। গিয়ে অফিসটা ঘুরে দেখতেছিলাম।
তখন পিয়ন চাচা এসে বলল
পিয়ন চাচা- স্যার আপনাদের ম্যাডাম ওই রুমে যেতে বলছে…
আমি- চাচা আপনি আমার বাবার মতো। আপনি আমায় স্যার না ডাকলে খুশী হব।
রহিম- হ্যা চাচা। ভাই একদম ঠিক বলছে।
পিয়ন চাচা- ঠিক আছে বাবা। তোমাদের মতো যদি সবাই হতো।(চোখে জল নিয়ে)
আমরা একটা হাসি দিয়ে চলে এলাম। যে রুমে আমাদের যেতে বলা হয়েছে।
ভিতরে ঢুকে দেখি —
দুইজন মেয়ে আর একজন ছেলে বসে আছে।
মেয়ে দুইজন আমার থেকে ছোট হবে। আর ছেলেটা বোধহয় আমার বয়সী।
আমি- হাই এভরিওয়ান…
সবাই- হায়।
এরপির আমরা পরিচয় পর্বটা সেরে ফেললাম।
(মেয়ে দুটির নাম- রুহি আর সিথি। ছেলেটির নাম রুবেল)
এরপর আমরা কিছু কথা বলতেছিলাম।
তখন রুমে সেই চিরচেনা মেয়েটি প্রবেশ করল।
আমরা সবাই দাঁড়িয়ে গেলাম।
সকলকে বসতে বলা হল।
আমিও বসে গেলাম।
এরপর ম্যাডাম (শিমলা) বলল—
ম্যাডাম – আপনাদের পাচ জনকে আমি সিলেক্ট করেছি।
সবাই- ধন্যবাদ ম্যাম।
ম্যাডাম- আপনারা সকলে মন দিয়ে কাজ করবেন। আর আমি কিন্তু কাজে ফাকি একদমই পিছন্দ করি না।
সবাই- জ্বী ম্যাডাম।
ম্যাডাম- আর আমার একজন পিয়ে লাগবে। তো কে হতে চান??
সবাই- আমার কথা বলল।(সকলের ভিতরে বড় তো তাই বোধহয়)
আমি- না। রুবেল ভাই ভালো আমার চেয়ে??
ম্যাডাম- আপনার যদি কোন প্রবলেম থাকে তো আপনি বলতে পারেন??আর দরকার হলে চাকরি ছেরে দিন।
আমি- না না ম্যাম। আমার কোন প্রব্লেম নাই।
ম্যাডাম- ওকে তাহকে ওই কথাই রইল।
সবাই- হুম ম্যাডাম
ম্যাডাম – আমি পিয়ন চাচাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তিনি আপনাদের ডেস্ক দেখিয়ে দিবে??
সবাই- ওকে ম্যাডাম।
এই বলে ম্যাডাম চলে গেল। আমরা সবাই হাপ ছেরে বাচলাম
রহিম- ম্যাডাম কি রাগি??
রুবেল- হুম ভাই
আমি- ভাই তোমরা আমায় দেখিয়ে দিলে কেন??
রুবেল- ভাই এই বাঘিনীর সামনে কে যাবে??
সবাই- হাহাহাহা
আমি- চুপ চুপ। আস্তে
এরপর আরো কিছু সময় হাসাহাসি করে আমরা পিয়ন চাচার সাথে নিজেদের ডেস্কে চলে গেলাম।
সবার ডেস্ক এক জায়গায়। কিন্তু আমরটা আলাদা। কিছুটা দূরে। ম্যাডামের রুমের পাশে। কারন আই তার পিয়ে লাগি। (নোয়াখালী ?)
আমি গিয়ে আমার ডেস্কে বসে পরলাম।
প্রথম দিন তেমন কোন কাজ নেই। তাই একটু পরিচয় হয়ে নিলাম সকলের সাথে।
অফিস থেকে বিকাল ৪ টার সময় আমরা সকলে বের হয়ে গেলাম।
প্রথম দিন ভালোই কাটল।
আমি ভাবলাম শিমলা মনে হয় আমাকে
দয়া করে চাকরি দিছে। আমার জন্য ভালোই হলো।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটা ঘুম দিলাম।
রাতে জান্নাত এর ডাকে ঘুম ভাংল।
আমরা দুইজনে রাতে ডিনার করে নিলাম।
জান্নাত- ভাইয়া প্রথম দিন কেমন কাটল??
আমি- খুব ভালো
জান্নাত- আর ভাইয়া কি পোস্টে তুই চাকরি করবি??
আমি- ম্যাডামের পিয়ে।(এই সম্পর্কে ধারনা নেই৷ তাই বেশি লিখলাম না)
জান্নাত- ভাইয়া দেখিস ম্যাডাম আবার তোর উপরে ক্রাশ না খায়
আমি- জান্নাত তুই কিন্তু বেশি পাকনামি করছিস??
জান্নাত- বুঝি বুঝি সব বুঝি।
আমি- দিলাম দৌরানি। কিন্তু ওকে আর কে পায়।
আমি এসে রুমে শুয়ে পরলাম।
আর কিছু সময় ফেসবুকিং করলাম।
আরে আপনাদের তো বলাই হল না। আমার বেতন ৩৬ হাজার টাকা করে।
বেশ খুশী কিন্তু আমি। আর শিমলার উপরে আমার রাগ নেই। আছে অভিমান। কারন যেখানে আমার পরিবারই বিশ্বাস করে নি। সেখানে আর শিমলার তো কোন প্রশ্নই আসে না। এরপর ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে যথা নিয়মে চলে গেলাম অফিসে।
কিন্তু অফিসে গিয়ে শিমলা আমার সব ধারণা পাল্টে দিলো…..
সকালে জান্নাত এর ডাকে ঘুম ভাংল।
ফ্রেশ হয়ে এসে এক কাপ কফি খেতে খেতে ছাদে চলে গেলাম।
সকাল ৭ টা বেজে ৯ মিনিট। আজ সকালটা কেন জানি খুব ভালো
লাগতেছে। কারনটা বোধহয় শিমলা।
কারন কাল বহু বছর পরে তাকে দেখলাম।
তাকে হয়তো জীবনেও পাব না।
কিন্তু সারাজীবন তাকে দেখেই কাটিয়ে
দিতে পারব।
এইসব ভাবতেছিলাম ঠিক তখনই
জান্নাত- কি ভাইয়া আজ কাল দেখি সব সময় ঘোরের মাঝে থাকিস?? কাহিনিটা কি ভাইয়া??
আমি- ধুর তুই যে কি বলিস না??
জান্নাত- হয়েছে আর লজ্জা পেতে হবে না। ঘরির দিকে তাকা?
আমি- হ্যা তো অনেক বেজে গেছে।
জান্নাত- টেবিলে খাবার রেখেছি। খেয়ে নি আয়।
আমি- হুম মহারানী চলেন।
এরপর আমরা দুজনে খেয়ে রেডি হলাম।
সকাল ৯ টায় রওনা দিলাম আমি আর জান্নাত।
জান্নাকে ওর স্কুলে রেখে আমিও চলে
গেলাম অফিসে।
৫ মিনিট আগে চলে এসেছি অফিসে।
আমি আমার ডেস্কে চলে গেলাম।
কিছু সময় পরে সবাই চলে এলো
অফিসে।
ম্যাডাম যখন আসল তখন আমরা সকলে
দারিয়ে গেলাম।
আর যখন সে চলে গেল আমরা সকলে
বসে গেলাম।
কিছু সময় পরে ডাক পরল আমার
ম্যাডামের কক্ষে।
আমিও ভদ্র ছেলের মতো চলে গেলাম।
আমি- ম্যাডাম আসব??
ম্যাডাম- হুম।
আমি- ম্যাডাম কিছু বলবেন??
ম্যাডাম- হুম বলব বলেইতো ডেকে পাঠিয়েছি।(কিছুটা রেগে)
আমি- জ্বী বলেন??
ম্যাডাম কিছু না বলে একগাদা
ফাইল ধরিয়ে দিল।
আমি-…….
ম্যাডাম- এইগুলো কালকের মধ্যে রেডি
করে নিয়ে আসবেন…
আমি- কিন্তু ম্যাডাম এতো গুলো ফাইল
একদিনে কিভাবে সম্ভব।
ম্যাডাম- আমি এসব কিছু বুজি না।
আপনাকে আমি টাকা দিয়ে রেখেছি। সো আমি যা বলব তাই করতে হবে।
আমি- কিন্তু…
ম্যাডাম- আমি আর কিছু শুনতে চাই না। যদি করতে না পারেন তাহলে চাকরিটা ছেরে দিন।
আমি-…….
ম্যাডাম- আমি জানি তো আপনার মতো ছোটলোক কিছুতেই এত বড় চাকরি ছারতে পারবে না।
আমি…..(ছোটলোক কথাটা শুনে খুব কষ্ট পেলাম। আসলেই তো আমি ছোটলোক।)
ম্যাডাম- এখন দাঁড়িয়ে আমার মুখ না দেখে গিয়ে কাজ করুন।
আমি- আর অপমানিত না হয়ে চলে এলাম।
বাইরে——-
রহিম- কি ভাই মন খারাপ??
আমি- না।
রহিম- তো সকালবেলাই মুখ কালো কেন??
আমি- তেমন কিছু না।
রহিম- ওকে ভাই।
আমি- হুম
এরপর নিজের ডেস্কে এসে বসে কাজ করতে শুরু করলাম।কাজ করার ফাকে
আপনাদের কিছু কথা বলি–
(আপনারা হয়তো ভাবছেন আমি কেন এত অপমান কেন মুখ বুজে সহ্য করলাম?? আসলে আমি আমার আগের যবটা ছেরে দিয়েছি। আর টিউশন গুলোও ছেড়ে দিয়েছি। আর এখন কোন
চাকরি পাওয়া ঢাকা শহরে অসম্ভব প্রায়। তাই জান্নাত এর জন্য আমি চাকরিটা ছাড়তে পারতেছি না। কারন কোন চাকরি না করলে রাস্তায় বসতে হবে তাই এই চাকরিটা ছাড়া যাবে না।)
এই সব ভাবতেছিলাম আর কাজ করতেছিলাম। কিন্তু কখন যে লাঞ্চ টাইম
হয়ে গেছে টের পাই নাই।
রুবেল- কি ভাই লাঞ্চ করবেন না??
আমি- হুম
রুবেল- তো আসুন এক সাথে করে আসি।
আমি- হুম কিন্তু এখন কত বাজে??
রুবেল- ভাই ঘরি দেখেন
আমি- ঘরি দেখে অবাক। কখন ২ টা বেজে গেল কে জানে??
আর কিছু না বলে আমরা লাঞ্চ করতে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি সকলে আছে। আমরা সকলে কিছু কথা বলতে বলতে দুপুরের খাবার খেয়ে যে যার কাজে চলে গেলাম।
কাজ করতে লাগলাম। কাজ করতে করতে বিকাল ৪ টা বেজে গেল। মানে অফিস টাইম শেষ। ম্যাডামের দেওয়া
কাজ এখনো অনেক বাকি আছে। তাই আমি ভাবলাম বাসায় গিয়ে করব।
তাই ফাইল গুলো নিয়ে অফিস থেকে বের
হব ঠিক তখনই —
পিয়ন চাচা- বাবা তোমায় ম্যাডাম তার রুমে ডেকেছে।
আমি- ওকে চাচা আমি যাচ্ছি। আপনি যান।
পিয়ন চাচা- হুম বাবা।
আমি আর কিছু না ভেবে ম্যাডামের রুমে
গেলাম।
আমি- ম্যাম আসব??
ম্যাডাম- হুম।
আমি- জ্বী বলুন??
ম্যাডাম- এই ফাইলটা নিয়ে ১০ মিনিট এর মধ্যে কমপ্লিট করে দিন।
আমি- কিন্তু ম্যাম অফিস টাইম তো শেষ।
ম্যাডাম- তুই এত বেশী বুজিস কেন?? মনে রাখবি তুই আমার পিএ। (ধমক দিয়ে)
আমি- কিন্তু ম্যাম আপনি আমার সাথে এভাবে কেন কথা বলছেন??
ম্যাডাম- তোর কাছ থেকে আমার ব্যাবহার শিখতে হবে নাকি?? লুইচ্চা কোথাকার
আমি- ম্যাডাম আপনি কিন্তু আমায় অপমান করছেন….
আর কিছু বলার আগে ঠাসসসসসস ঠাসসসস।
হুম আমাকেই দুইটা চর মারছে।
ম্যাডাম- বের হয়ে যা আমার সামনে থেকে।
আমি- আর কিছু না বলে চলে এলাম।
চোখের পাশে দুই ফোটা জল দেখতে পেলাম। কেন জানি খুব খারাপ লাগতেছে আমার। কিন্তু এইসব ভাবলে চলবে না।
তাই আমি কাজে মন দিলাম। কাজ করতে ৩০ মিনিট লেগে গেল। অফিসে আমি, ম্যাডাম, পিয়ন চাচা ছারা আর কেউ নেই।
আমি ফাইল নিয়ে ভয়ে ভয়ে ম্যাডাম এর রুমে গেলাম
আমি- ম্যাডাম আসব??
ম্যাডাম- হুম
আমি- এই যে ম্যাডাম ফাইল
ম্যাডাম- কিছুক্ষণ ফাইল চেক করে কোন ভুল পেলেন না। কিন্তু,,৷ আপনাকে বলছি ১০ মিনিট এর মধ্যে করতে আর আপনি??
আমি- ম্যাডাম আসলে অনেক বড় ফাইল তাই..
ম্যাডাম- আপনি আমায় শেখাচ্ছেন??
আমি- আমি তা বলি নাই ম্যাম।
ম্যাডাম- দুর হন আমার চোখের সামনে থেকে। যত সব ছোটলোক
আমি- কিছু না বলে বের হয়ে এলাম।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৪ টা বেজে ৪০ মিনিট । তাই আর দেরি না করে বাইরে বের হয়ে হাটা শুরু করলাম। কারন আজ অনেক কষ্ট পেয়েছি। আর আমি খুব কষ্ট পেলে হেটে বেরাই। এতে আমার খানিকটা কষ্ট কমে। তাই জান্নাত কে ফোন করে বলে দিলাম বাসায় আসতে রাত হবে। রাস্তা দিয়ে হাটতেছি আর ভাবতেছি শিমলার বলা কথা গুলো।
আর ওকে কোন দিনও মাপ করব না।
ওর জন্য যেইটুকু মায়া ছিলো সেগুলো
সব আজ শেষ হয়ে গেলো ওর ব্যাবহারে।
বাসায় আসতে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে গেল।
এসে জান্নাত এর সাথে কিছু কথা বলে
ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম।
কারন অনেক কাজ বাকি আছে।
তাই তারাতাড়ি খেয়ে কাজ করতে বসলাম।
কজ করতে করতে একটা ফাইলে
আটকে গেলাম। কি করব বুজতে পারতেছি না। অনেকক্ষণ ভেবে এক
বন্ধুকে ভিডিও করলাম।
ও এই ব্যাপারে ভালো বুজে। কারন ও
চাকরি করে প্রায় ১ বছরের বেশী।
বন্ধু- দোস্ত তোকে এই ফাইল কে দিল??
আমি- আমার অফিসের ম্যাম
বন্ধু- তুই তো বলছিল তোর নতুন চাকরি
হয়েছে??
আমি- হুম। কিন্তু কেন??
বন্ধু- কারন এই ফাইলগুলো তো অফিসের নতুন কোন স্টাফ করতে পারবে না।
আমি- বোধহয় ভুলে চলে এসেছে।(মিথ্যা কথা)
এর পর আরো কিছু কথা বলে রেখে দিলাম। আমি বুজতে পারলাম ম্যাডাম ইচ্ছে করে আমায় এই ফাইল দিছে।
যেন আমি কাজটা করতে না পারি। আর
সে আমায় অপমান করার সুজোগ পায়।
কাজ করতে করতে রাত ২ টা বেজে গেছে।
জান্নাত এর রুমে গিয়ে দেখি ও ঘুমিয়ে গেছে।
তাই আমিও কিছু না ভেবে শুতে গেলাম।
কিছুতেই ঘুম আসতেছে না। কারন
শিমলার বলা প্রতিটি কথা আমায় কুরে
কুরে শেষ করে দিচ্ছে।
কিভাবে পারল আমায় এত বাজে কথা
বলতে?? কিভাবে পারল আমায় এত অপমান করতে???
না আর কিছু ভাবতে পারতেছি না।
কিছুতেই ঘুম আসতেছে না।
খুব মাথা বেথা করতেছে। কারন সারা দিন
অনেক কাজ করছি তাই।
একটা ম্যাথ্যা ব্যাথার ওষুধ খেয়ে
ঘুমিয়ে পরলাম।
সকালে………..
চলবে….?????