Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস পর্ব-০৩

0
4840

Ex গার্লফ্রেন্ড যখন অফিসের বস❤
লেখকঃ শ্রাবন
পর্বঃ ০৩
.

আমি বসে আছি বাসের সিটে। ঠিক তখনই একটা মেয়ে এসে আমার
পাশের সিটে বসল।
আমি তার দিকে একবার তাকিয়ে আবার
সামনে তাকালাম।
(মেয়েটি দেখতে ফর্সা। চোখে কাজল।ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। কানে এক জোরা দুল। চোখে চশমা। হাতে চুরি। আর কিছু ছিল কিনা জানি না। ভালো করে দেখি নাই। অন্যকোন সময় আমার
পাশে কোন মেয়ে
বসলে তাকে জালিয়ে পুরিয়ে
শেষ করে দিতাম। কিন্তু এখন
আমায় বদলাতে হবে যে করেই
হোক না কেন।) এই সব ভাবতেছিলাম
ঠিক তখনই মেয়েটি
নিরবতা ভেঙে বলল
মেয়ে- এক্সকিউজ মি,,,,, একটা কথা বলব যদি কিছু
মনে না করেন??
আমি- হুম বলুন।
মেয়ে- আমি কি আপনারা সিটে বসতে পারি??
আমি- ( কিছুই ভাল লাগতেছে না। তাই ছেরেই দি কোন সমস্যা নেই) ওকে।
মেয়ে- ধন্যবাদ।
আমি-……….
চুপ করে বসে আছি সিটে হেলান দিয়ে। চোখ বুজে।
এরই মধ্যে মেয়েটি বলল
মেয়ে- আপনারা নাম কি??
আমি- শ্রাবণ রায়।
মেয়ে- আমার নাম রিয়া। আপনি কি ঢাকা যাবেন??
আমি- হুম। (বাচাল মেয়ে। কথা শুনে বুজতে পারতেছি)
মেয়ে- আমিও।
আমি-…………..
রিয়া- এই যে মিস্টার আপনারা পাশে এত সুন্দর একটা মেয়ে বসে আছে। আমি সেধে কথা বলছি আর আপনি
কিছুই বলছেন না।
বাপ্যার কি??
আমি- প্রয়োজন মনে করি না।
রিয়া- ওহ,,,,আপনি কি রাগ হয়েছেন???
আমি- কন???
রিয়া- না আমি আপনারা সিটে বসেছি তাই।
আমি- আসলে তা নয়। আমার মন ভালো নেই তাই।
রিয়া- ওকে। বুজছি।
আমি আর কিছু না বলে বাসের সিটে ঘুমিয়ে গেলাম।
৪ ঘন্টা পর ঘুম ভাঙল। দেখি যে বাস
দারিয়ে আছে। বোধহয় টিফিন টাইম।
আমিও রিয়ার সাথে গিয়ে কিছু
খেয়ে আসলাম।
আসলে মেয়েটি খুবই মিসুক।
এই একটু সময়েই অনেক আপন হয়ে
গেছে। খেতে খেতে আর একটু পরিচয়
দিয়ে দেই।
রিয়া আমার এক বছরের জুনিয়র।
সবে মাত্র ইন্টার প্রথম বর্ষ। অর আব্বু একজন ব্যবসায়ী। মোট কথা মধ্যবিত্ত
পরিবার। খাওয়া শেষ। বিল হয়েছে
৮০ টাকা। দিয়ে আবার গারিতে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ পর বাস ছেড়ে দিল।
কিছুক্ষণ এর আলাপে দুজনেই
খুব ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম।
তাই রিয়ার নাম্বারটা নিলাম। এইভাবে কথা বলতে বলতে চলে এলাম
গন্তব্য স্থানে। রিয়াকে বিদায় দিয়ে
বের হয়ে দেখি বন্ধু বাপ্পি বসে রয়েছে
বেঞ্চে।
আমাকে দেখেই
বাপ্পি- দোস্ত কেমন আছিস?? আসতে কোন সমস্যা হয়নি তো??
আমি- দোস্ত ভালো নেই। আর আসতে কোন সমস্যা হয় নি।
বাপ্পি- তুই এতদিন ভালো ছিলি না।
এইবার ভালো থাকবি। আর চল কিছু খেয়ে আসি। বিকাল হয়ে গেছে।
আমরা একটা ছোট হোটেল ঢুকে খেলাম।
এরপর বাপ্পি বলল
বাপ্পি- তোকে যখন একবার পেয়েছি।
তোকে আর ছারতেছি না।
আমি- তা না হয় ঠিক আছে। কিন্তু আমিতো বেকার। বাসা ভাড়া দিব কিভাবে???
বাপ্পি- হুম এটা তুই ঠিক বলেছিস। তুই চিন্তা করিস না। আমি একটা ব্যাবস্থা করতেছি।
আমি- ওকে দোস্ত। তুই তো জানিস এই শহরে আমার কেউ নেই। তুই আমার সব।
বাপ্পি- হুম এখন বাসায় চল। বাসায় গিয়ে কথা বলি
আমি-হুম চল। এরপর একটা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।
বাপ্পি ওর রুমে আমায় নিয়ে গেল। বাপ্পি ৪ তালায় একটা বাসা ভাড়া করে থাকে।
রুমটা বেশি বড় না। কষ্ট করে তিনজন থাকা যাবে। তাই আমার আর বাপ্পির থাকতে বেশী কষ্ট হবে না।
রুমে কোন খাট নেই। আসলে ব্যাচেলর মানুষ তো খাটের দরকার হয় না।
আর আছে একটা পরার টেবিল। রুমটা মোট তিন ভাগ করা। অর্ধেকটা বেডরুম+পরার টেবিল এবং বাকি সাইড ছোট্ট একটা বাত্রুম + রান্না ঘর। এককথায় ব্যাচেলারদের জন্য পারফেক্ট। বাসা ভাড়া ৬ হাজার টাকা। এরপর ফ্রেশ হয়ে এসে বাপ্পি রান্না করতে গেল।(রাত হয়ে গেছে)
আর আমি কিছু সময় রেস্ট নিয়ে। ওর
কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
মানে সব কিছু জানতে লাগলাম।
আমি- তুই কোন কলেজে পড়স???
বাপ্পি- ***** কলেজে
আমি- কোথায় চাকরি করতেছিস এখন??
বাপ্পি- **** দোকানে। ( দোকানে সপকিপার হিসাবে চাকরি করে। বিভিন্ন পন্য বিক্রির কাজ।)
আমি- কখন করিস এইসব???
বাপ্পি- বিকাল ৪ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত।
আমি- বেতন কত দেয়???
বাপ্পি- ৮ হাজার টাকা।
আমি- হুম। ভালো মোটামুটি চলে। তুই কি বলিস??
বাপ্পি- হুম। এইসব কিছু কথা বলতে বলতে রান্না করা শেষ।
এরপর আমরা খাবার খেয়ে দুজনে বসে গল্প করতে লাগলাম।
এক পর্যায়ে ও জিজ্ঞেস করল যে আমার বাড়িতে কি হয়েছে???
আমি……
বাপ্পি- আরে বল। আমায় বলবি না??
আমি- শোন তাহলে (সব খুলে বললাম)
বাপ্পি শুনে অনেক শান্তনা দিল। কিন্তু আমি কিছুতেই ভুলতে পারতেছি না। এর পর আমরা শুতে গেলাম। নিচে দুইটা বিছনা লাছিয়ে আমরা শুয়ে পরলাম।
সুয়ে সুয়ে আমি বলতে লাগলাম—
আমি- দোস্ত তুই একবার ভাব তো আমি
কোথায় ছালাম আর এখন
কোথায় আছি??
দোস্ত- সব সময় সময় এক যায় না। দেখা যাচ্ছে এটাই তোর ভাগ্যে ছিল।
আমি- হুম দোস্ত সবই ভাগ্যের খেল।
বাপ্পি-হুম।
আমি- তুই তোর ওখানে আমায় একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দে।
বাপ্পি- দোস্ত ওত সহজ না। তারপরও আমি আমার সব দিয়ে চেষ্টা করব।
আমি- হুম
বাপ্পি- আরেকটা কথা??
আমি- কি????
আপ্পি- দোস্ত এটা তোর কাছে আমরা অনুরোধ।
আমি- হুম বল।
বাপ্পি- প্লিজ তুই আগের মত থাকিস না।
এখান অন্তত ভালো হয়ে যা। না হলে
আমাগো দুইজনেরই ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবে কিন্তু।
আমি- হুম চেষ্টা করুম।
বাপ্পি- আর আসল কথা হচ্ছে??
আমি- কি??
বাপ্পি- যেহেতু আমরা একসাথে থাকব এখন থেকে।
আমি-হুম
বাপ্পি- তাই সপ্তাহে আমি ৪ দিন আর ৩ দিন তুই রান্না করবি।
আমি- হারামি এই ইমশোনল মুডে তোর এই সব চিন্তা ভাবনা আসে কিভাবে??
বাপ্পি- হাহাহাহা
আমি- আর ঘর ভাড়ার ৩ হাজার আমার আর ৩ হাজার তোর ওকে??
বাপ্পি- ওকে।
আমি- আর শোন কাল তোর কলেজে ভর্তি করিয়ে দিবি কিন্তু??
বাপ্পি- ওকে।
আমি- হুম
বাপ্পি- ভাই শোন এখন থেকে নতুন কোরে শুরু কর।
আমি- হুম। আর কোথাও মন দিব না। নতুন করে শুরু করব সব।
বাপ্পি- হুম।
এইরকম অনেক কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি মনে নাই।
সকালে ঘুম ভাঙল যখন তখন আমি তো অবাক। কারন………
সকালে ঘুম থেকে উঠে তো অবাক।
কারন ঘুম থেকে উঠে আমি
দেখি যে আমার দুই হারামি বন্ধু নিলয় আর রহিম।
নিলয়ঃ কিরে দোস্ত কেমন আছিস??
আমিঃ ভালো নারে বন্ধু
রহিমঃ হুম সবইতো শুনলাম। বল
কি আর করবি? সবই ভাগ্যের লিখন।
আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলের ভিতর নিলয়,রহিম আর বাপ্পি থাকে ঢাকাতে। আর এখন আমি যোগ হলাম। নিলয়ের পরিবারের অবস্থা ভালো। রহিমেরও ভালো অবস্থা । আর বাপ্পির পরিবার বলতে ওর মা আর একটা ছোট বোন। ওর মা একজন স্কুল টিচার। মোট কথা সবাই ভালো আছে। শুধু আমি, থাক এইসব বাদ দেই।
আরও কিছু সময় আড্ডা দিয়ে ওরা চলে গেল। বাপ্পি রান্না করে আমায় বলল–
বাপ্পি- দোস্ত তুই আজ বাসায় থাক। কারন আমি গিয়ে প্রিন্সিপাল এর সাথে কথা বলি আগে। এরপর তোকে নিয়ে যাব।
আমি- ওকে
বাপ্পি ওর কলেজে চলে গেল। এরপর
আমি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম।
ভাবতে লাগলাম মার্কেটে গিয়ে কিছু জিনিস কেনা লাগবে।
কারন আমি বাসা থেকে কিছু নিয়ে
আসি নাই।
আমি বাসায় কিছু কাজ করে
বেরিয়ে পরলাম মার্কেটের উদ্দেশে।
বেশি দূরে নয় তাই হেটে হেটে যেতে
লাগলাম।
কিছু সময় পরে পৌছে গেলাম। প্রথমে ফ্লেক্সিলড এর দোকানে গিয়ে বিকাশ থেকে ৫ হাজার টাকা তুললাম।
আর আমার কাছে আছে আর ৩ হাজার এর মতো। তাই এই টাকা নিয়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে জামা, প্যান্ট, জুতা কিনলাম। এরপর গেলাম বইয়ের দোকানে।
সেখান থেকে কিছু বই খাতা কিনলাম।
আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু জিনিস কিনে একটা রিক্সা নিয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।
আর আমার হাতে ৩ হাজার টাকা+ বিকাশে ১০ হাজার টাকা আছে। তাই আমায় বুঝে শুনে টাকা খরচ করতে হবে।
এরপর বাসায় গিয়ে সব কিছু
ঠিকঠাক করতে করতে দুপুর দেরটা বেজে গেল। এরই মধ্যে বাপ্পি ফিরে এল।
তারপর আমরা ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম।
বাপ্পি আমায় বলল—-
বাপ্পি- দোস্ত কলেজে ভর্তি ফি ২ হাজার টাকা।
আমি- অহ।
বাপ্পি- আজ বিকালে তোকে নিয়ে ম্যানেজারের কাছে যাব।
আমি- ওকে।
বিকাল ৩ টার সময় আমরা রোওনা দিয়ে
উক্ত দোকানে পৌছালাম।
বাপ্পি- ওই হচ্ছে ম্যানেজার। চল ওনার কাছে যাই।
আমি- হুম
বাপ্পি- আসসালামু আলাইকুম স্যার।
ম্যানেজার- ওয়ালাইকুম আসসালাম।
বাপ্পি- স্যার আপনারা একটা হেল্প দরকার??
ম্যানেজার- হুম বল কিভাবে হেল্প করতে পারি?
বাপ্পি- স্যার এই(আমাকে দেখিয়ে) হচ্ছে আমার বন্ধু শ্রাবন।
ম্যানেজার- হুম এরপর।
বাপ্পি- স্যার ও ঢাকায় নতুন এসেছে। ওর একটা চাকরির দরকার??
ম্যানেজার- হুম বুজলাম। আমাদের এখানে চারজন লোক দরকার। তবে
বাপ্পি- প্লিজ স্যার।
ম্যানেজার- হুম ওকে। আজ থেকে বাপ্পির সাথে তোমার কাজ।
আমি- স্যার অপনার কথা আমি কোন দিন ভুলতে পারব না।
ম্যানেজার- সেসব পরে দিও। আগে ভালোভাবে কাজ কর বাপ্পির মতো।
শুধু মাত্র ওর কথায় তোমায় চাকরি দিলাম।
আমি- জ্বী স্যার।
ম্যানেজার- ওকে তোমরা কাজ কর। আমি যাই।
বাপ্পি- হুম স্যার।
এরপর বাপ্পি আমায় সব কাজ বুঝিয়ে দিলো। আসলে কাজগুলো করতে তেমন কষ্ট হয় না। বাট প্রথম দিনতো তাই একটু কষ্ট হল। এইসব বলতে বলতে আমরা রাস্তায় বের হলাম।
ফোন করে নিলয় আর রহিমকে ব্রিজের উপরে আসতে বললাম। যেহেতু নতুন চাকরি পেয়েছি তাই ট্রিট দিতে হবে।
আমি- দোস্ত আমারতো এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে আমি কাজ পেয়ে গেছি??
বাপ্পি- হ্যারে দোস্ত ম্যানেজার খুবই ভালো লোক। তাই তোর চাকরিটা হল।
আমি- হ্যা ঠিক বলেছিস।
এরপর আমরা ট্রিটের সব কিছু কিনে নিয়ে ব্রিজের উপরে গিয়ে দেখি দুই হারামি উপস্থিত।
রহিম- কিরে মামা আসতে না আসতেই কাজ পেয়ে গেলি??
আমি- হুম ভাই
নিলয়- হুম দেখিস আমাদের ভুলে যাস না??
আমি- ভাই কে আপনি??( এই বলেই সব খাবার আমরা তিনজনে মিলে খাওয়া শুরু করলাম)
নিলয়- দোস্ত এটা কিন্তু ঠিক না।
আমি- তাহলে তুই ওইটা কি বললি??
নিলয়- সরি দোস্ত আমি তো মজা করছিলাম।
আমি- ওকে মনে থাকে জানি।
নিলয়- ওকে
আরো কিছু সময় থেকে আমরা বাসায় চলে এলাম। বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে সুয়ে পরলাম। কারন রাতে খেয়ে এসেছি। ঘরিতে তাকিয়ে দেখি যে রাত ১২ টা বেজে গেছে। আসলে আড্ডা দিতে গেলে সময় খালি খালি চলে যায়।
এরপর দীর্ঘ ৪ দিন পর ফেসবুকে ঢুকলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভাইয়া আমায় একটাও মেসেজ দেয় নি। তারপর
আমি ফেসবুক থেকে আমার পরিবারের সবাইকে ব্লক করে দিলাম।
ফ্যামিলি গ্রুপ থেকে লিভ নিলাম শুধু মাত্র একটা মেসেজ দিয়ে—( ভালো থেক সবাই। আর হয়তো দেখা হবে না)
এরপর কিছু সময় চ্যাট করলাম রাজু আর ছাদেক এর সাথে।
আমি- দোস্ত কেমন আছিস??
রাজু- দোস্ত তোকে ছারা কেমনে ভালো থাকি??
আমি- কি করব বল?? যেখানে বাড়ির লোকি অবিশ্বাস করে সেখানে থেকে কি লাভ???
রাজু- হুম ঠিক বলেছিস। আর তুই কোথায় আছিস?
আমি- বাপ্পির কাছে।
রাজু- ওহ অই হারামির কাছে??
আমি- হ্যা। আর তুই সব হারামি গুলোকে বলে দিস ভালো আছি আমি।
রাজু- ওকে ভাই।
আমি- বাড়ির কেউ কি আমার খোজ নিতে এসছিল নাকি??
রাজু- নাহ
আমি- ওকে দোস্ত বায়।
রাজু- ওকে ভালো থাকিস।
বলেই অফ লাইনে চলে গেলাম। এরপর আমি আর বাপ্পি কিছু সময় কথা বলে ঘুমিয়ে পরলাম।
কারন কাল সকালে তারাতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি……..

চলবে..????

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে