devil love(married life) part : 2

0
6298

devil love(married life) part : 2
writer-kabbo mahmud

কাব্যর ঘুম ভেঙে গেছে তাও সে তানিশাকে বুকের উপরে রেখে চোখবুঝে রয়েছে
কিছুক্ষণপর কাব্য তানিশার জেগে যাওয়া বুঝতে পারে তাও সে চুপমেরে থাকে
তানিশা চোখমেলে তাকিয়ে কাব্যর দিকে তাকাই তারপর মুচকি একটা হাসি দিয়ে কাব্যর বুকে একটা চুমু একে দিয়ে উপরে উঠে বসে আর কাব্য না জানার ভান করে রয়েছে
তারপর কাব্যর ঠোঁট এর কাছে এসে কাব্যর কপালে একটা ভালবাসার পরশ একে দেই কাব্য সব বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকে।
তানিশা আস্তে করে কাব্যর বুকে থেকে সরে যেয়ে উঠে নিচে দাঁড়িয়ে চলে যেতে যাবে তখনই কাব্য তানিশার হাত চেপে ধরে আর তানিশা ★ বেচারী তো শেষ:::::::

কাব্যঃ চুরি করে আদর করা তাইনা??

তানিশাঃ ইহহহ্ বললেই হলো চুরি কোথাই করলাম?

কাব্যঃ এইযে আমার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এভাবে একটা ছেলেকে চুমু দেওয়া হচ্ছে

তানিশাঃ আপনাকে কে চুমু দিলো? আমি তো আমার বরটাকে দিলাম

কাব্যঃ ooh আচ্ছা??? বেশ তাহলে আমিও আমার বউটাকে এখন দেব

তানিশাঃ নাহহ ছাড়ুন এখন না”””

কাব্যঃ no no dear , রাতে তো তোমার সব শেষ করে দিয়েছি এখনো একটু হয়ে যাক??(শয়তানি হাসি দিয়ে?)

তানিশাঃ বজ্জাত,লুচু তুই এই কাজ করতে পারলি??আজ থেকে তুই আমার মন পাবি কিন্ত আমার দেহ পাবিনা ছাড় আমাই (কাব্যকে ধাক্কা দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যাই)

–আর এদিকে কাব্য তানিশার এমন কথা শুনে বেচারী হাসতে হাসতে শেষ।

কিছুক্ষণ পর তানিশা চুল মুছতে মুছতে বের হয়ে আয়নার সামনে এসে বসে আর কাব্য তানিশার প্রবেশ করা বুঝতে পারে তারপর চোখমেলে তাকিয়েই ??????????

কাব্য উঠে দাঁড়িয়ে তানিশার পাশে যেয়ে তাকায় তানিশাকে ভেজা চুলে অসম্ভব সুন্দর লাগছে তারপর তানিশাকে ধরে দাড় করাই

তানিশাঃ কি হলো আবার??

কাব্য কোন কথা না বলে তানিশার কপালে একটা পরশ একে দেই আর তানিশা চোখ বুজে ফেলে। কাব্য তানিশার কোমরে স্লাইড করে হাত দিয়ে চেপে ধরে বুকের মাঝে জড়িয়ে নেই। আর তানিশাও কাব্যকে বাহুডোরে চেপে ধরে

কাব্যঃ (জড়িয়ে ধরে রেখে) এতো সকালে Happenstance মানে কী?

তানিশাঃ এটা বুঝবে না উল্লুক এর ভাল্লুক কোথাকার::(চোখ বুজে)

কাব্যঃ ও তারমানে তুমি উল্লুক আর আমি তোমার ভাল্লুক বাহ্ দারুণ

তানিশাঃ হুম।

কাব্যঃ তোমার চুলের ঘ্রাণ খুব নেশার মধ্যে টানছে আমাই

তানিশাঃ ইমা না না এখন কোন রকম দুষ্টুমি নয়(কাব্যকে ছেড়ে দিয়ে)

কাব্যঃ তোমাকে আজ খেয়েই ফেলব এতো সুন্দর কেন তুমি? এই ভুলের শাস্তি তোমাই পেতেই হবে(নেশার চোখে তাকিয়ে)

তানিশাঃ ধরতে পারলে তো???(বলেই দৌড়)

কাব্যঃ হা হা হা পাগলি বউ আর যাই হোক দৌড় দেওয়াতে প্রথম হবে।
-বিছানাই এসে বসে
কাব্যঃ আসলেই তোমাকে দেখতেই যেন কোথাই হারিয়ে যাই খুব সুন্দর তোমার ওই দুষ্টুমি আর মায়াবী সৌন্দর্য

তানিশাঃ এইযে মিস্টার ফ্রেশ হয়ে নিচে আসুন যান(দরজার পাশে এসে কথাগুলো বলে আবার চলে গেল)

কাব্যঃ hummm…আমার থেকে পালিয়ে থাকার মজা বুঝবে।

-কাব্য ফ্রেশ হতে চলে গেলো আর এদিকে তানিশা

তানিশাঃ আসসালামু আলাইকুম আব্বু কি করছেন??

কাব্যর বাবাঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম এইতো মামুনিই সংবাদ পত্র সাথে কফি? বসো এখানে::

তানিশাঃ উমম একটু পর

–রান্না রুমে যেয়ে

তানিশাঃ আমাকে রেখে এখানে আনন্দ করে রান্না করা হচ্ছে?? এটা কিন্ত অন্যাই(কোমরে হাত দিয়ে)

কাব্যর মাঃ ওলেলে আমার মেয়েটা কতো বড় আমি বুঝতেই পারিনি?

তানিশাঃ বুঝতে হবেনা আমাকে দাও আমি আজ রান্না করে খাওয়াব

কাব্যর মাঃ দেখ এ মেয়ের কান্ড নতুন বউ বাসাই এসেই কাজে হাত দেওয়া? এটা হবেনা রান্না অনেক করতে পারবে এখন যাও বাবার সাথে আড্ডা জমাও আমি আসছি

তানিশাঃ সব মানলাম কিন্ত নতুন বউ মানে??? আমি না তোমাদের মেয়ে??

কাব্যর মাঃ আহ্ (মুখে হাত দিয়ে) এতোবড় ভুল!!! আসলেই তো এটা ঠিকনা এটা তো আমার মেয়ে আচ্ছা ঠিক আছে আজ মেয়ের সাথে আড্ডা vs রান্না কেমন??

তানিশাঃ ফাটাফাটি (আনন্দে লাফিয়ে উঠে)

মা মেয়ে মিলে আড্ডা আর আনন্দ পাশাপাশি তার বাবাও কথা বলছে এভাবেই রান্না সেরে টেবিলে সাজাতে লাগল এবং কিছুক্ষণ পর সবকিছু গোছানো কমপ্লিট।

কাব্যর মাঃ কাব্যর বাবা খাবারের টেবিলে এসো

তানিশাঃ এখন থেকে আর এটা চলবে না এখন উল্টো

কাব্যর মাঃ কী?

তানিশাঃ তুমিই বুঝে দেখ পাও কিনা??

কাব্যর মাঃ (একটু ভেবে) তানিশার বাবা খাবারের টেবিলে এসো

তানিশাঃ এইত্তো এটা চলবে

★★★সবাই মিলে হাসাহাসি শুরু করল★★★

কাব্যর মাঃ অনেক হয়েছে এবার যাও কাব্যকে ডেকে এসো::::

তানিশাঃ আচ্ছা**বেটা ডেভিল এতো কি করে রুমে? ইচ্ছে করছে চুড়ি পরিয়ে দিই(বিড়বিড় করে)

–রুমের ভিতরে প্রবেশ করতেই তানিশা কিছু একটার সাথে ধাক্কা খাই
সামনে তাকিয়ে দেখে কাব্য

তানিশাঃ নিচে চলেন খেয়ে নিবেন সবাই অপেক্ষা করছে।
কাব্যঃ হুম যাবো (তানিশাকে কাছে টেনে নিয়ে) তার আগে এটার স্বাদ গ্রহণ করি**(ঠোঁটের কাছে মুখ নিয়ে)
তানিশাঃ একদম না….. না… চলবে না:::
কাব্যঃ আমি চালাবো
তানিশাঃ এখন না রাতে নিয়েন আমিই দেবো
কাব্যঃ তাই??
তানিশাঃ হুম
কাব্যঃ উম্মম্মা (ঠোটে আলতো করে চুমু দিয়ে) চলো তাহলে
–দুজনেই নিচে চলে এসে খাবারে টেবিলে বসে তানিশা খেয়াল করে নীলাওআবির বসে আছে।

তানিশাঃ মা আপনি বসেন আমি সার্ভ করে দিচ্ছি
কাব্যর মাঃ সেকি? আজকে না ‘ আজ আমি দেবো
তানিশাঃ না আমি (কোমরে হাত দিয়ে রাগি গলাই)
কাব্যর মাঃ এই মেয়ের সাথে পেরে উঠব না আচ্ছা ঠিক আছে
–তানিশা সবাইকে খাবার দিচ্ছে *দেওয়া হয়ে যাওয়ার পর সবাই একসাথে মিলে বসে পড়ে খাওয়া শুরু করে
তানিশাঃ নীলা পড়াশোনা কেমন চলছে??
নীলাঃ ভ…আ..লো,,,(এ আবার কী করবে???)
তানিশাঃ বুঝলাম না।
নীলাঃ হুম ভালো
তানিশাঃ হুম ভালো করে পড়বে
নীলাঃ শাঁকচুন্নি তোর কপালে দুঃখ আছে আমাকে উপদেশ???(মনে মনে)
কাব্যঃ তোমাকেও পড়তে হবে তানিশা।
তানিশাঃ কী??
কাব্যঃ হুম তোমারও পড়াশোনা continue করতে হবে এখনো অনেক কিছু জানা দরকার তোমার।
তানিশাঃ আমার তো বিয়ে হয়ে গেছে আবার কেন পড়ব??
কাব্যর বাবাঃ তাও মা কলেজের ধাপ টুকু পার করো!!
তানিশাঃ আচ্ছা বাবা।
আবিরঃ যাই করেন ভাবি নীলার এক ধাপ উপরে থাকবেন তা না হলে হা হা হা
তানিশাঃ হুম বুঝেছি
নীলাঃ কী??
তানিশাঃ না কিছুনা (শয়তানি হাসি দিয়ে)
–কথার মাঝে কাব্যর ফোন বেজে উঠে
কাব্যঃ ১মিনিট —হ্যালো
ওপরদিক থেকেঃ হ্যালো স্যার আপনি যেভাবেই হোক একটু অফিসে আসুন খুব বড় ধরনের ঝামিলা হয়ে গেছে আপনাকে খুব দরকার
কাব্যঃ কি সমস্যা?
??ঃ আপনি তাড়াতাড়ি আসুন
কাব্যঃ ok
কাব্যর বাবাঃ কী হয়েছে??
কাব্যঃ বাবা অফিসে একটু প্রবলেম হয়েছে আমাকে যেতে হবে তা না হলে তারা পারবে না তাই এখন আসি
আবিরঃ আমিও আসি দ্বারা
কাব্যঃ না তোকে যাওয়া লাগবে না আমিই পারব তুই বাসাই থাক
কাব্যর মাঃ দাড়াও। যাবে কিন্ত খাবার সম্পন্ন খেয়ে যাবে
কাব্যঃ(ঘুরে এসে চেয়ারে বসে) আচ্ছা।
সবাই মিলে খাওয়া শেষ হলে রুমে যাই
তানিশাঃ সাবধানে যাবেন আর তাড়াতাড়ি বাসাই ফিরবেন কেমন?
কাব্যঃ হুম আজ নয় প্রতিটাদিন আমি তোমার সাথে এভাবে থাকব তবে অফিস এখন একটু গুছিয়ে নিতে হবে তা না হলে হবেনা আর বাবাও এখন পারছেনা তাই আমিই
তানিশাঃ হুম বুঝেছি আসুন
কাব্যঃ ১মিনিট**উম্মম্মম্মমা (তানিশার কপালে ভালোবাসার পরস দিয়ে)
আসি
তানিশাঃ হুম(মুচকি হেসে)

*কাব্য গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে ড্রাইফ করতে করতে যাচ্ছে অনেকদূর যাওয়ার পর গাড়ির ট্যায়ার ব্রাস্ট করে যার ফলে সেখানে কাব্যর গাড়ি থেকে যাই।

কাব্যঃ অসহ্য এখনই এটা হওয়ার ছিলো??(গাড়িতে বারি দিয়ে)
–কাব্য গাড়ি থেকে বের হয়ে বাসার ড্রাইভারকে ফোন দেই তারপর আরও একটা গাড়ি নিয়ে আসতে বলে
ফোন কেটে দেওয়ার পরেই কেউ একজন কাব্যর মুখ রুমাল দিয়ে চেপে ধরে কাব্য ঝাটকা দিয়ে তাকে ফেলে দেই এবং তার পরপরেই কাব্য অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই

★★★চলবে★★★

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে