Devil love part 3
#writer_কাব্য_মাহমুদ
সকালে
।
।
তানিশাঃ উফফ্ কী ঘুমটাই না দিলাম(ঘুম থেকে উঠে)
।
বাবাঃ গুড মর্নিং মামনি
।
তানিশাঃ গুড মর্নিং, বাবা আজ হঠাং তুমি তা কি মনে করে??(অবাক হয়ে
।
বাবাঃ কেন আসতে পারি না বুঝি??
।
তানিশাঃ না আমি সেটা বলি নি প্রতিদিন তো সকালে উঠেই তুমি অফিস এ দৌড় দাও,, তাই আজ আসাতে একটু অবাক হলাম।
।
বাবাঃ একটি কথা ছিল(আবদার করে)
।
তানিশাঃ তা কি কথা??
।
বাবাঃ দেখ মা আমার ও বয়স হচ্ছে কখন কী হয়ে যাবে তাই আমার যদি কিছু হয় তখন তোদের কে দেখবে বল তাই আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি
।
তানিশাঃ কী(অবাক হয়ে)
।
বাবাঃ আগে বল আমার কথা রাখবি,আর আমি জানি তুই আমার কথা ফেলতে পারবি না?
।
তানিশাঃ বল বাবা আমি তোমার সব কথা রাখব?
।
বাবাঃ তোর বিয়ে ঠিক করেছি ?
।
তানিশাঃ (তানিশার মাথাই তো বাঁশ পড়ল) এটা কোন কথা বললে বাবা আমি এখন এসব করতে পারব না,আর আমি এসব এর জন্য প্রস্তুত নয়।
।
বাবাঃ (তানিশার হাত ধরে) দেখ মা ছেলের পরিবার ভালো সবদিক থেকে,,, আর যার সাথে বিয়ে করতে চলেছিস সে আমার অফিস এর বস এর ছেলে,
।
তানিশাঃ কী(অবাক হয়ে) এটা কিভাবে সম্ভব??
।
বাবাঃ হ্যা বস এর সাথে আমার খুবমিল আমি একদিন তাকে আমাদের পরিবার এর ছবি দেখাচ্ছিলাম তারপর সে তোকে দেখেও কিছু বলেনি কিন্ত কাল রাতে হঠাৎ করে তিনি ফোন দিয়ে আমাকে বলে যে তার একটা জিনিস চাই আমি জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমার ছেলের জন্য আপনার মেয়েকে চাই,,আমি প্রথমে অবাক হয় তারপর এ তিনি বলে যে আমাদের পরিবার এর ছবি দেখে প্রথমেই তার ভালো লাগে এবং তার ছেলের জন্য মনে মনে তোকে ঠিক করে রাখে,তাই আমি তার আবদার না করতে পারলাম না,তাই আমি চাই মা তুই এবার বিয়েটা করেই ফেল আর না করিস না.
।
তানিশাঃ ওকে বাবা আমি ভেবে দেখব…
।
বাবাঃ আচ্ছ মা,, আর ছেলের নামই তো জানলে না
।
তানিশাঃ সেটা পরে জানলেই চলবে ekhon যাও(তারপর তানিশার বাবা চলে গেল) জানিনা সকালে কার মুখ দেখে উঠলাম যে এরকম নিউজ সকাল সকাল চলে আসল,,এখন আমার devil এর কী হবে(ন্যাকাকান্না) আমার বিয়ে হয়ে গেল তো ও চিরকাল কুমার হয়েই থেকে যাবে (জোরে কেদে দিল কিন্ত চোখে পানি কই??)
।
মাঃ(নিচে থেকে উপরে এসে) কী হয়েছে সকাল সকাল কান্না কেন??(অবাক হয়ে)
।
তানিশাঃ মা বাবা কই??
।
মাঃ সে তো অফিস এ বেরিয়ে গেল কিন্ত কেন?
।
তানিশাঃ আম্মুনিই গো সব শেষ (জোড়িয়ে ধরে)
।
সুমিঃ কেন কী শেষ হলো(কান্না শুনে এই রুম এ আসল)
।
মাঃ কী হয়েছে বল
।
তানিশাঃ আমার যদি বিয়ে হয়ে যাই তাহলে আমার devil কে, কে বিয়ে করবেএএএ আ্য্যাাাা (কান্না করে)
।।
মাঃ কে Devil আর কার কোথাই বলছিস তুই??
।
তানিশাঃ ওইযে ফেসবুক এর devil(ফুপিয়ে ফুপিয়ে)
।
মাঃ কী(অবাক হয়ে) ফেসবুক থেকে কি করে??
।
তানিশাঃ তোমাকে একদিন বলেছিলাম না যা ফেসবুক এ সুন্দর সুন্দর গল্প দেওয়া হয়,আর আমিও একজন এর গল্প পড়তাম পড়তে পড়তে আমি তার প্রেমে পড়ে যাই(চোখ মুছতে মুছতে)
।
সুমিঃ কী এসব ভার্চুয়াল জগৎ থেকে প্রেম হা হা হা(হাসি দিয়ে)
।
তানিশাঃ ওই বজ্জাত এর হাড্ডি, ভুত্নি,পেত্নী তুই আমাকে দেখে হাসছিস একদিন তুই ও এরকম সমস্যাই পড়বি মুখপুড়ি ডাইনোসর কোথাকার,আর আমিও সেদিন নাগিন ডান্স দেব।(রেগে গিয়ে)
।
মাঃ ওই তোরা থামবি,তানিশা বল তুই কি ওর সাথে কোনদিন কথা বলেছিস,বা তোর কাছে কোন ছবি আছে ওর????
।
তানিশাঃ না(মাথা নিচু করে)
।
মাঃ তাহলে এখন কী করে বের করবি তাকে,,আর ওর নাম কী তুই তো তখন থেকে শুধু devil বলেই চলেছিস।
।
তানিশাঃ ওর নাম নাহিল মাহমুদ কাব্য আর ও কোনদিন আমার এসএমএস এর রিপ্লাই দেই না তাই ওর নাম devil…..
।
মাঃ কীীীীীীী
।
সুমিঃ মা তুমি একটু এদিকে এসো।
।
মাঃ (সুমির কাছে এসে) বল
।
সুমিঃ মা আপু মনে হয় এখনও কিছু জানেনা ??
।
মাঃ হ্যা আমারও তাই মনে হচ্ছে ??
।
সুমিঃ তাহলে তো ভালই হলো এদের দুজন কে সারপ্রাইজ দেওয়া ভবে।
।
মাঃ হ্যা ঠিকই বলেছিস
।
তানিশাঃ এই তোমরা কী কথা বলছ??
।
মাঃ কিছুনা,,,(কাছে এসে) দেখ মা ওসব ভুলে যা আর তুই ওকে পাবি না,,তোর জন্য কী ও বসে থাকবে নাকি
।
তানিশাঃ তুমি কি আমার মা নাকি আমার শত্রু, কোথাই একটু সাহায্য করবে তা না পিশাচিনির মতো করে কথা বলছ(ন্যাকামি করে)
।
মাঃ কী(রেগে গিয়ে),,, থাক তুই তোর প্রেম নিয়ে আর হ্যা আগামিকাল তোর বাবার বন্ধুর মেয়ের বিয়ে তো সেখানে যেতে হবে,প্রস্তুতি নাও,, সুমি চল(বলেই দুজনে নিচে চলে গেল)
।
তানিশাঃ কেউ আমার কথা ভাবে না, আমি যে ডেভিল কে বিয়ে করব তার বাচ্চার মা হবো আর এরা সবাই মিলে আমাকে কোন পিশাচ এর হাতে তুলে দিচ্ছে এ্য্য্য্যাাাা (কান্না করে যাকে বলে ?)
,,,,,,
নীলাঃ ভাইয়া তোর বন্ধুর বিয়েতে একটা ভাবি নিয়ে আসিস(খেতে খেতে)
।
কাব্যঃ what the,,নীলা তুই ভালো করেই জানিস আমি এসব পছন্দ করি না
।
নীলাঃ কেন আমি তো অনেক শুনি যে মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানেই মেয়ে পেয়ে যাই,,তাই তোকেও বলছি।
।
কাব্যঃ বেশি কথা শিখেছিস না, আর তুই কি করে এসব জানলি যে বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়ে পাওয়ে যাই
।
নীলাঃ কেন তানিশার #devil_queen গল্পে।
।
কাব্যঃ তুই এসব গল্পকে বিশ্বাস করিস??
।
নীলাঃ না তবে এটা সত্যিও হতে পারে
।
কাব্যঃ Shut up এসব কথা আর জেনো না শুনি
।
বাবাঃ আচ্ছা ওসন দেখতে হবে না কাব্য তোর যদি কোন পছন্দ কেউ থাকে বলতে পারিস
।
কাব্যঃ না বাবা আমার পছন্দ কেউ নেই
।
বাবাঃ তাহলে তো মিটেই গেল।
।
মাঃ আচ্ছা বিয়ের Party তে কে কে যাচ্ছ??
।
কাব্যঃ আমি আর আবির,,,
।
মাঃ ওহ ভালো
কাব্য breakfast শেষে রুম এ গেল আর ভাবতে লাগল যে,,
কাব্যঃ (কে এই মেয়ে তার কি কোন কাজ নেই শুধু এসএমএস করতেই থাকে, এর জ্বালায় তো আমার অবসর সময় কাটানোও হবে না,)
।
তানিশাদের বাসাই।
।
মাঃ কীরে তানিশা আজ কী খাওয়া দাওয়া বন্ধ??? সেই সকাল থেকে রুম এ বসে আসিস ডাকলে কোন উত্তর দিচ্চিস না(রুম এ এসে)
।
তানিশাঃ আমি খাব না তোমরা খাও (অভিমান করে)
।
মাঃ কেন কী হয়েছে?(কাছে যেয়ে)
।
তানিশাঃ কিছু না(মুখ ঘুরিয়ে)
।
মাঃ বল কি হয়েছে???(রেগে গিয়ে)
।
তানিশাঃ মা আমি বিয়ে করব না(করুন দৃষ্টিতে)
।
মাঃ কেন?
।
তানিশাঃ কেন তোমরা জানো না?
।
মাঃ না জানিনা বল কেন?
।
তানিশাঃ থাক তোমাদের জানতে হবে না,আমি মনে হয় তোমাদের সৎ মেয়ে যার কারণে আজ তোমারা আমাকে বিয়ে দিয়ে তাড়িয়ে দিচ্ছ(ডাহা নাটক)
।
মাঃ মারে সবাইকেই যেমন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়,, তেমনি প্রত্যেক মেয়েকে পূর্ণ বয়সে বিয়ের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এটাই নিয়ম আর জগৎ এভাবেই চলে।(piyer sey)
।
তানিশাঃ হ্যা সেটা জানি কিন্ত নিজের মনের মতো কী কাউকে বিয়ে করা সম্ভব না??
।
মাঃ হ্যা সম্ভব
।
তানিশাঃ তাহলে আমি ওই লোককে বিয়ে করব না আমি devil কে বিয়ে করব।
।
মাঃ আচ্ছা করিস আগে খেয়ে নে।
।
তানিশাঃ সত্যি???(হাসি দিয়ে)
।
মাঃ হ্যা চল
।
তানিশাঃ হ্যা চল চল খুদাতে আমার পেটের নেংটু ইঁদুর গুলো মিছিল করছে
খাবার চাই খাবার চাই
তা না হলে তানিশার আজ
নিস্তার নাই,নিস্তার নাই
।
মাঃ কী বিড়বিড় করছিস এতো।
।
তানিশাঃ মা জানো তোমার মেয়ে একটা কবিতা তৈরি করেছে,,আর সেটা আমি অল্প দিনেই পাব্লিস করব(নামার সময়)
।
মাঃ খবরদার যদি তুই এই কাজ করিস তাহলে কিন্ত তোর খবর আছে
।
তানিশাঃ কেন আমার কবিতাকি ভালো না???
।
মাঃ কে বল্ল ভালো না আমার মেয়ের কবিতা সব থেকে ভালো,, কিন্ত সমস্যা হল তোমার কবিতা পড়ে আসেপাশের লোক সব তোমাকে দেখে পাগল হয়ে যাবে তাই এখন এসব করার দরকার নেই(ডাহা মিথ্যা কথা)
।
তানিশাঃ তাই আমার কবিতা এতো ভালো হয়??
।
মাঃ হ্যা
।
তানিশাঃ তাহলে আমার কবিতা কাউকে না শুনালে তোমাকে তো শুনাতে হয় (খাওয়ার টেবিলে বসে)
।
মাঃ নাহ আমার এখন এসব শুনার মন নাই
।
তানিশাঃ কেন তোমার বুঝি আমার কবিতা শুনতে ভালো লাগে না?? (অভিমান করে)
।
মাঃ তা কেন লাগবে আচ্ছা বল(না জানি আমার মেয়ে কোন বিষয় নিয়ে পেচাল পারবে)
।
তানিশাঃ শোন
একটা বাড়ি এক মেয়ে ছিল
মেয়ের বাড়িতে সবাই পিশাচ ছিল
মেয়েটিকে জোর করে সবাই বিয়ে দিল
মেয়েটি বরের বাড়ি চলে গেল
সেখানে যেয়ে সংসার করল
,,,,,কেমন হলো জানি খুব ভালো হয়েছে কারণ আমি এটা খুব ভেবে চিনতে তৈরি করেছি জানো
→→এদিকে তানিশার মা রাগে ফুসছে কারণ সে বুঝতে পারছে যে সে কাদের পিশাচ বলেছে,,আর এরকম থার্ডক্লাস কবিতা আর কইজনই বা পারে তাই প্রসংসা না করে পারে←←
।
মাঃ বাহ আমার মেয়ে তো চমৎকার কবিতা তৈরি করেছে এই কবিতা তোমার বিয়ের পর পাব্লিস করলে আমরা কোন আপত্তি করব না
।
তানিশাঃ ধন্যবাদ মা(তানিশার খাওয়া শেষ,) আচ্ছা আমি যাই
,,,
,
চলবে,,,,