Devil love part 2

0
5504

Devil love part 2
#writer_কাব্য_মাহমুদ

?

তানিশাঃ হা হা হা(শাকচুন্নি হাসি দিয়ে??) বকের দোয়াই বিল শোকাই না(মুখ ভেংচি দিয়ে রুম এ চলে আসলাম)রুম এ এসে দরজা বন্ধ করে দিয়ে সুমির চকলেট গুলো বের করে খেতে লাগলাম,আসলে আমার চকলেট খুব প্রিয়?,,(এইযে আমার দুই গুনবতি মেয়ে নিচে এসো খাওয়া দাওয়া করে যাও) মা খাওয়ার জন্য ডাকছে? তারপর নিচে যেয়ে lunch করতে গেলাম।,,নিচে এসে,,,

সুমিঃ এত পেটুক কেন আপু এতগুলো চকলেট খেয়ে আবার খাবারও খেতে এসেছস।

তানিশাঃ কি বললি আমি পেটুক?তুই পেটুক তোর চৌদ্দ গুষ্ঠি পেটুক।

সুমিঃ কী বল্লা আমি পেটুক, আমি তোমার মতো এতো খাই না,,,,আমার এত কষ্টের টাকা দিয়ে চকলেট গুলো কিনেছিলাম,আর কোথাই থেকে একটা শাকচুন্নি এসে সব নিয়ে গেল।(ন্যাকাকান্না করে)

তানিশাঃ কী বললি??(রেগে গিয়ে)তুই শাকচুন্নি,নেংটি ইদুর, বাদর, খরগোশ,তেলাপোকা,টিকটিকি, পচা পটল,নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা, আফ্রিকান গন্ডার, লাল বাদর, মুখ পুড়া হনুমান, কালো কুমির(একদম এ বলে দিল??)

সুমিঃ আপু?তুমি কি গালি দেওয়ার বই মুখস্থ কর?(অবাক হয়ে)

তানিশাঃ তোর কী তাতে?

সুমিঃ (কোন কথা না বলে খেতে লাগল, কারণ সে বুঝতে পারছে আর পেরে উঠবে না?)

রান্নার রুম থেকে তাদের মা এসে,

মাঃ এতক্ষণ এত কী প্যাচাল পারছিলি তোরা??

তানিশাঃ কিছু না মা, আজ রাজার রাজ্য জয় হলো ♣♠

মাঃ মানে?

তানিশাঃ মানে বুঝলা না, রাজার রাজ্যে তার শত্রু আক্রমণ করেছিল কিন্ত আজ রাজা পেরে উঠল(বিজয়ের হাসি দিয়ে)

মাঃ মানে?কে রাজা আর কে শত্রু??? ??

তানিশাঃ আমি রাজা আর তোমার ছোট মেয়ে শত্রু [থেডিবাই স্মাইল দিয়ে)

সুমিঃ মাাাা (চেচিয়ে) তোমার মেয়ে কিন্ত দিন দিন খুব বজ্জাত হয়ে যাচ্ছে? ও স্যরি বজ্জাত তো ছেলেরা হয় মেয়েরা বজ্জাতি হয়?(রেগে গিয়ে)

তানিশাঃ ওই কি বললি মুখ পুড়ি আমি বজ্জাতি,দেখ এর ফল কিন্ত ভালো হবে না

সুমিঃ কী খারাপ করবি তুই?

তানিশাঃ তোর যে মেকাপ বক্স এর ভিতরে চকলেট আছে ওই গুলো নিয়ে নেব।

সুমিঃ ক্কীী(তুতলিয়ে) তুই কি করে জানলি ওখানে আমার চকলেট আছে??

তানিশাঃ ওইযে বললাম না আমার ভেতর একটা গুন আছে??কোথাই কি আছে সব আমি জানি,তাই গুনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি??।

সুমিঃ প্লিজ বোন আমার ওইটাই আমার শেষ সম্বল ওইটার কিছু করিস না

তানিশাঃ আচ্ছা যা কিছু করব না,(বলেই খাবার নিয়ে খেতে খেতে)
আচ্ছা মা বাবা কই)

মাঃ(তানিশার ও সুমির মা এতক্ষন তাদের কমেডি দেখছিল,আর কিছু বল্ল না কারণ এটা এদের প্রতিদিন এর রুটিন তানিশার এই কথাই সে বাস্তবে আসে, এতক্ষণ ঘোর এর ভিতর ছিল)তোর বাবা অফিস এ থাকে এখন জানিস না?

তানিশাঃ ওহ,(কিছু না বলেই খাওয়া দাওয়া করে রুম এ এসে একটু ঘুম দিলাম,প্রতিদিন এর অভ্যাস)
,,,, ,,,,
,,, ,,,
আচ্ছা আবির এটা দেখ কেমন

আবির: ? তোর পছন্দ কী খারাপ হতে পারে?

কাব্যঃ তুই তাও দেখ সব দিক থেকে perfect আছে কিনা?

আবিরঃ হ্যা এটা সব দিক থেকে ভালো, আর এর details গুলোও সুন্দর।

কাব্যঃ আচ্ছা তাহলে এটা নিই

আবিরঃ ওকে
(কাব্য ও আবির দুজনে ফ্রেন্ড, তারা তাদের বন্ধুর বিয়ের পার্টিতে যাবে তাই মার্কেট এ এসেছে ক্যামেরা কিনতে,তাদের ছবি তোলার জন্য তারা নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে।)
তারপর তারা সেখান থেকে ক্যামেরা কিনে বাসাই ফিরে।

কাব্যঃ মা নীলা কোথাই?

মাঃ দেখ রুপ এ আছে

কাব্যঃ আচ্ছা(নীলার রুম এ যেয়ে) এই নিলা এদিকে আই তো

নীলাঃ কেন কী হয়েছে ভাইয়া

কাব্যঃ দেখত এই ক্যামেরাটা কেমন হয়েছে?

নীলাঃ wow ??ভাইয়া কী দারুন দেখতে,,,আর এটা তো market e নিউ এসেছে

কাব্যঃ তুই কি করে জানলি

নীলাঃ আসলে আমার কলেজ এ এক বান্ধবী বলেছিল যে এরকম একটি ক্যামেরা কিনবে

কাব্যঃ ও কিন্ত কেন,আর ওর নাম কি?

নীলাঃ ওর ছবি তোলা খুব পছন্দ আর ওর নাম তো তানিশা

কাব্যঃ ও খুব সুন্দর নাম তো

নীলাঃ হ্যা যেমন সুন্দর তেমন বান্দর, একদম বদের হাড্ডি।

কাব্যঃ(মুচকি হেসে) তাই,,,,আচ্ছা এদিকে আই তো তোকে দিয়েই ছবি তোলা শুরু করি

নীলাঃ আচ্ছা(বলেই বিভিন্ন স্টাইল এ ছবি তোলা হলো)

কাব্যঃ আচ্ছা তুই কি এর আগে কোন ক্যামেরায় ছবি তুলেছিস???

নীলাঃ না,কিন্ত কেন??

কাব্যঃ না মানে যদি প্রথম ছবি তুলে থাকিস তাহলে তো আর এত স্টাইল নিতে পারতিস না,

নীলাঃ ভাইয়া তুই মনে হয় জানিসনা যে মেয়েরা সব দিক থেকে পারফেক্ট.

কাব্যঃ ও তাইতো??,আচ্ছা এখন তাহলে যাই, (বলেই রুম এ চলে আসলাম,রুমে আসার পর বাবার আগমন)

বাবাঃ কী ব্যাপার my son কী কর??

কাব্যঃ এইতো বাবা একটু বাইরে থেকে এসে একটু অফিস এর কাজ করছি (উঠে বসলাম)কিছু বলবে?

বাবাঃ হ্যা একটু দরকার ছিল(চিন্তার ছাপ নিয়ে)

কাব্যঃ কী হয়েছে বাবা কোন প্রব্লেম??

বাবাঃ না না তেমন কিছু না,,,আসলে বয়স হচ্ছে আর প্রতিটি বাবা মা তো চাই যে তার সন্তানদের নাতি নাত্নির মুখ দেখে যাক।(একটু মন খারাপ করে)

কাব্যঃ হঠাৎ এই কথা??

বাবাঃ জানিস আজ অফিস থেকে ফেরার পথে দেখলাম একজন লোক তার ছেলের সন্তানদের নিয়ে রাস্তার পাশ নিয়ে আইস্ক্রিম খেতে খেতে যাচ্ছে,,,আমাদের বুঝি এসব ইচ্ছে করে না(মাথা নিচু করে)

কাব্যঃ হ্যা ইচ্ছে করতেই পারে তো কী হয়েছে।

বাবাঃ কী হয়েছে মানে এটা বুঝো না যে তোমার বয়স কোথাই যাচ্ছে,, আর এখন যদি বিয়ে না করো তাহলে কখন করবে?,আর এখন বিয়ে না করলে আমরা নাতি-নাতনির মুখ কিভাবে দেখব,,মরার পর বিয়ে করবে নাকি(রেগে গিয়ে)

কাব্যঃ বাবা তুমি যান আমি এখন এসব এর প্রতি avid না,আর তোমাদের কী এখনও বয়স হয়েছে যে নাতি নাতনিদের মুখ দেখবে,,এখনও তো yang body fetness ache….

বাবাঃ তুই কী বুঝবিরে বাবা শরীর মজবুত দেখালেও রক্তের জোর ধীরে ধীরে কমছে।

কাব্যঃ আচ্ছা বাবা তোমার ইচ্ছা তোমারা যা ভালো বোঝ তাই করো।

বাবাঃ সত্যি (আনন্দের হাসি দিয়ে)

কাব্যঃ হ্যা সত্যি(আসলেই বাবার হাসিটাই যেন জাদু আছে দেখলেই মন ভরে যাই)

মাঃ বাপ-বেটা এত কিসের আলোচনা শুনি??(রুম এ এসে)

বাবাঃ জানো গিন্নি তোমার ছেলে বড় হয়ে গিয়েছে সে বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে,

মাঃ তাই তাহলে শেষে তোমার কথাই শুনল

কাব্যঃ মানে এসব তোমরা করেছ?

বাবাঃ না তবে চেষ্টা করেছি(বলি দুজনে হাসতে লাগল, আমি আবার কী বলব পরিবার jab happy hey to hum kiya kare?? ??

নীলাঃ(পাশের রুম থেকে হাসাহাসি শুনে এসে দেখি এরা আমাকে রেখেই হাসছে) তা এই হতভাগা মেয়েটির কথাকি সব ভুলে গেছ নাকি(অভিমান করে)

মাঃ ইসস আমার মেয়েটির ও কী বিয়ে করার শখ হয়েছে নাকি??(আহ্লাদি করে)

নীলাঃ মানে?(বিস্মিত ভাবে)

মাঃ মানে তোমার ভাইয়ার জন্য এখন মেয়ে দেখতে যেতে হবে।

নীলাঃ তাই তাহলে তো এখন একটা ভাবি পাচ্ছি

কাব্যঃ একটা মানে আরও কয়টা লাগবে নাকি??

নীলাঃ ooops (মুখে হাত দিয়ে) না না সেটা বলি নি বলছি ছেলেদের তো আবার এরকম একটা রোগ আছে একটা রেখে আরেকটা (গালে হাত দিয়ে)

বাবাঃ যাই বলো আমি কিন্ত তোমার মাকে ছাড়া কারোর দিকে তাকাই নি,এমন কী ওই পাশের বাড়ির আন্টির দিকেও না(দৌড় দেওয়ার পালা এবার)

মাঃ কী তারমানে তুমি(কোমরে হাত দিয়ে,রেগে গিয়ে)

বাবাঃ আমি কিন্ত কিছু করিনি বলেই দৌড়।
,,,,সবাই হাসিতে ভরপুর,,এভাবেই চলুক পরিবার।,,,,,,,

তানিশাঃ উফফঃ বাবা কী ঘুমটাই না দিলাম(ঘুম থেকে উঠে),আজ কার মুখ দেখে উঠেছিলাম ?কী ব্যাপার মনে পড়ছে না কেন? যাইহোক আমি চাই প্রতিদিন তার মুখ দেখেই উঠব?? তাহলে প্রতিদিন এরকম ঘুমোতে পারব।(উঠে ফ্রেস হয়ে দেখি সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, নিচে গেলাম যেয়ে দেখি সুমি+আব্বু দুজনেই মিলে গেম খেলছে,

বাবাঃ কী ব্যাপার আমার মেয়ের ঘুম তাহলে ভাঙল??

তানিশাঃ হুম

সুমিঃ আর আমি তোমার কে? যে তুমি অকে আমার মেয়ে বললে?

বাবাঃ তুমিও আমার মেয়ে।

তানিশাঃ ওই তোর কীরে তাতে?(তেজ দেখিয়ে)

সুমিঃ আমার কী মানে এটা আমার বাবা আর আমার থাকবে আর কারোর না

তানিশাঃ ইসস শখ কত আইছে বাবার ভাগ নিতে। আমি আগে এসেছি তাই আমি আগেই নিয়ে নিয়েছি বাবাকে তু ফুট ইহাছে??

সুমিঃ কোন দিন ও না,,তুই দেখতেই পাচ্ছিস আমার বাবা তাই আমি বাবার সাথে বসে খেলা করছি।

তানিশাঃ হু আইছে শাকচুন্নি, মুখপুড়ি কোথাকার(ভেংচি দিয়ে)

মাঃ আচ্ছা বাবাকে সবাই নিয়ে নিছ তাহলে মাকে কে নিবে?

তানিশাঃ কেন? আমি☺

সুমিঃ না আমি(জোরে চেচিয়ে) তুই সবাইকে নিবি তাহলে আমি কি নেব

তানিশাঃ তুই বান্দরের লেজ এর সাথে ঝুলে থাককা।

সুমিঃ বাবা তোমার মেয়ে কিন্ত বেশি করে ফেলছে

বাবাঃ আহঃ থামবি তোরা,, এই যাও তো খেতে দাও, অফিস এর কাজ আছে অনেক।

মাঃ আচ্ছা।

তানিশাঃ (তারপর খাওয়া-দাওয়া করে রুম এ এসে একটু বই দেখে ঘুমাতে যাব কিন্ত ঘুম আসছে না?) এটা কী হলো ঘুম আসছে না কেন?,না আসুক তাতে আমার কী আরো ভালো হলো মন খুলে এখন কাব্যর গল্প গুলো পরব ??আহ কাব্য তোমাকে যে কবে পাব?তোমার ইনবক্সে মনে হয় ১০০০০ এসএমএস দিয়েছি কোন রিপ্লে দাও না কেন? devil কোথাকার মনে কোন দয়া মায়া নেই/????গল্প পড়তে পড়তেই ঘুমিয়ে পড়েছি।


নীলাঃ আচ্ছা মা তোমার এই রান্না তুমি কিভাবে তৈরি করো বলতে পার, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বেস্ট রান্না,এরকম ভাবে কেউ রান্না করতে পারবে না।

মাঃ কেনো এর আবার নতুন কী এটা তো আমি প্রতিদিনই করি

নীলাঃ হ্যা তবে এটার স্বাদ কোনদিন পুরনো হবে না?

মাঃ পাগলী একটা

নীলাঃ হুম তোমাদের পাগলী ??

কাব্যঃ already madwoman হলে পাবনাই দিয়ে আসব।

নীলাঃ ভাইয়া

বাবাঃ এত কথা কিসের,নীলা একে পরে দেখা যাবে আগে মেয়ে দেখ?

কাব্যঃ তারমানে তোমরা মেয়ে পেয়ে গেলে আমাকে ভুলে যাবে?

মাঃ না না আমার বেটাকে কী আর ভুলে থাকা যাই

কাব্যঃ anyway my mothar all time my withs,,,i love you ma..

বাবাঃ আর আমরা

কাব্যঃ তোমরা তো আমাকে ভুলেই যাবে?

বাবাঃ সেটাকি আমি বলেছি?

কাব্যঃ না তবে আমার বাবা কিন্ত মুখে যাই বলে মনে কিন্ত সবদিক থেকে ভালো

বাবাঃ thank you my boy

কাব্যঃ welcome ( কাব্য dinner শেষে রুম এ এসে অফিস এর কাজ সেরে ঘুমাতে গেল আসলে অফিস এর সকল কাজ বাসাই করে)

,,,,,চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে