Devil love part-12
Writer-kabbo Mahmud
সকালে,,,
।
—সকালে কাব্যর চোখ খুলতেই সে অবাক হয়ে যাই,কাব্য দেখে যে
তানিশা কাব্যর একেবারে শরীরের সাথে লেপ্টে রয়েছে,কাব্যর বুকের সাথে কাচুমাচু হয়ে একদম ঘুমন্ত পরীর মতো শুয়ে আছে,,আর তার উপরে আবার শার্ট-প্যান্ট পড়ে,যেটা না দেখে তার প্রশংসা করা যায় না,,
নিমিষেই কাব্যর রাগ দূর হয়ে গেল তানিশার ঘুমন্ত মুখটি দেখে,,,
–কাব্য তানিশাকে আরও কাছে টেনে জড়িয়ে নেই, তানিশার নড়ে উঠায় ঘুম ভেঙে যাই,ঘুম থেকে তানিশা কাব্যকে এমন করতে দেখে একদম লাফ দিয়ে উঠে পড়ে,আর এতে কাব্য ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাই
।
তানিশাঃ আমি যা বলেছিলাম সেটা দেখছি এখন ঠিকই হলো(নিজেকে ঠিক করে)
।
কাব্যঃ মানে??(অবাক হয়ে)
।
তানিশাঃ মানে বুঝেননা নাকি বুঝতে চাইছেন না। আপনি আমাকে ঘুমের মধ্যে পেয়ে,ছিঃ
।
কাব্যঃ কী বলতে চাইছো তুমি??(রেগে গিয়ে)
।
তানিশাঃ এর পরেও জানতে চাইছেন কি বলতে চাইছি, আমার সাথে এটি কেন করলেন?
।
কাব্যঃ just shutup tanisha আমি তোমার মুখ থেকে আর কোন কথা শুনতে চাই না(কাব্য বিছানায় থেকে উঠে সোজা ওয়াশরুমে চলে গেল)
।
—আর এদিকে তানিশা উঠে দাঁড়িয়ে আছে আর ভাবছে
।
তানিশাঃ (যেভাবেই হোক আমাকে এখান থেকে পালাতে হবে,, আর এখানে থাকা যাবে না,,এই devil নিশ্চয়ই আমাকে মেরে ফেলবে?)
.
–কাব্য ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে তানিশাকে কিছু না বলেই বাইরে চলে গেল।
।
কাব্যঃ mr,tamim আমি বাইরে যাচ্ছি কাজ আছে আপনি ভালো করে চারপাশ খেয়াল রাখবেন,,আর ওই মেয়েটির জন্য কিছু পোশাক এর order দিয়ে দিয়েছি, বাসাই দিতে আসলে তাকে দিয়ে আসবেন ok(গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল)
।
তামিমঃok sir,
।
—কাব্য গাড়ি নিয়ে সোজা তানিশাদের বাসাই চলে গেল।বাসাই পৌছে,টুংটুংটুং
।
আসমাঃ এই সুমি দেখত এখন আবার কে এলো (রান্নাররুম থেকে)
।
সুমিঃ হুম দেখছি,(দরজা খুলেই) দুলাভাই আপনি??
।
কাব্যঃ হুম আমি,কেন আসতে দেবে না নাকি???
।
সুমিঃ কী বলেন,আসুন আসুন
।
–কাব্য ভিতরে প্রবেশ করে
.
কাব্যঃ আসসালামু আলাইকুম মা,ভালো আছেন??(তানিশার মাকে সালাম দিয়ে)
।
আসমাঃ(সালাম এর উত্তর নিয়ে) হুম বাবা ভালো,তুমি ভালো আছো,,আর দাঁড়িয়ে আছো কেন?বস।
।
কাব্যঃ ভালো আর থাকছি কোথাই আপনার মেয়ের জ্বালায়(বসে)
।
—তানিশার মা রান্না কমপ্লিট করে এসে বসল
।
আসমাঃ ও হ্যা, ও তো কিসব বল্ল,,,আমি কিছু মনে করি নি,আচ্ছা ও কেন ওই কথাগুলো বল্ল??
।
কাব্যঃ শুনলে হাসবেন না তো??
।
আসমাঃ আগে বলো,,হাসির কথা হলে তো হাসতে হবেই তাই না(মুচকি হেসে)
।
কাব্যঃ হুম,,জানেন আপনার মেয়ে কাল রান্না করেছে(মুচকি হেসে)
।
সুমিঃ কিহ্(ওর মার পাশে দাঁড়িয়ে)
।
আসমাঃ এটা কী করে করলে তুমি(অবাক হয়ে)
।
কাব্যঃ মানে???ও কী রান্না করেনি কোনদিন??(অবাক হয়ে)
।
আসমাঃ রান্না দূরে থাক,রান্না ঘরের কোথাই কী থাকে সেটাই জানেনা….
।
কাব্যঃ (তাহলে কালকে কী ও ইচ্ছা করে করেনি সেটা,মনে মনে)
।
আসমাঃ আচ্ছা রান্নাটি কেমন হয়েছিল???
।
কাব্যঃ হুম,,আমার তো বেশ ভালো লেগেছিল,মনে হয় মোবাইল থেকে বের করে শিখেছে!
।
সুমিঃ হুম,সেটাই হবে হইত,তা না হলে ও তো রান্নার রেসিপি জানেনা কেমন করে করা হয়,
।
কাব্যঃ হুম,,,আচ্ছা মা বাবা কোথাই??
।
তৌহিদঃ এই যে(সিড়ি দিয়ে নেমে) আসলে আজ ঘুমটা খুব বেশি হয়ে গিয়েছে আর কী( একটু হেসে) তা কী ব্যাপার সব কিছু ভালো আছে তো???(সামনের সোফায় বসে)
।
কাব্যঃ হুম বাবা সব কিছু ভালো আছে কিন্ত একটি কথা বলা দরকার তোমাদের।
।
তৌহিদঃ হুম বল””
।
কাব্যঃ আমি আমার আর তানিশার বিয়ে আগামী পরশু সেরে ফেলতে চাই।
।
—-কাব্যর এরকম কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যাই
।
আসমাঃ এতো তাড়াতাড়ি কেন বাবা?
।
তৌহিদঃ আসলেই তো নিজেদের মধ্যে আগে সব কিছু বুঝে নাও তারপর দিন দেখে বিয়ে দেওয়া হবে
.
কাব্যঃ না বাবা, আমি আপনার মেয়েকে খুব তাড়াতাড়ি পেতে চাই,ও যখন তখন কী করতে কী করে ফেলবে সেটা বলা যাই না, কারণ সে বয়স এর দিক দিয়ে বড় হলেও এখনও চঞ্চলতা ভাব কাটেনি, তাই তাকে আমি আর একদিন পরেই বিয়ে করব, আপনারা সকল ব্যাবস্থা করা শুরু করে দিন,ভালো অনুষ্ঠান করেই এই বিয়ে করা হবে,,
।
তৌহিদঃ আচ্ছা তুমি যা বলবে সেটাই হবে, কিন্ত তোমার বাবা মা তাদের বলেছ??
।
কাব্যঃ তাদের একটু জানিয়ে দিলেই তারা রাজি হয়ে যাবে, কারণ আপনার মেয়েকে তারা খুব ভালবাসে তাই তারা যেকোন সময় আপনার মেয়েকে ঘরে তুলে নিতে চাই।
।
তৌহিদঃ বাহ্ শুনে খুব ভালো লাগল,,আচ্ছা আমি সকল ব্যাবস্থা করে ফেলব তুমি চিন্তা কর না,
আচ্ছা গিন্নি আমার ছেলেটিকে কী শুধু কথাই বলাবে?? breakfast রেডি কর;
।
আসমাঃ হুম,শুধু তোমার ছেলে ?আমার ও ছেলে
।
কাব্যঃ হুম, আমি তোমাদের দুজনেরই ছেলে
।
—সবাই মিলে হেসেহেসে খাবার টেবিলে বসল
।
কাব্যঃ(এটা আমি কী করলাম!!আমি এখানে খেতে বসেছি আর আমার বউ ওইখানে না খেয়ে আছে,মনে মনে)
।
তৌহিদঃ কী হলো বাবা উঠলে কেন??
।
কাব্যঃ আমি একটু আসছি”(কাব্য একটু সরে যেয়ে,,তানিশার জন্য রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার এর order দেই,তারপর আবার চলে আসল)
।
কাব্যঃ একটু কাজ ছিল আর কী?(চেয়ারে বসে)
।
সুমিঃ আচ্ছা ভাইয়া আপু আপনাকে কেমন জ্বালিয়েছে??
।
কাব্যঃ কই তেমন কিছু তো বলে নি(জ্বালিয়েছে মানে তোমার বোন তো আমাকে হেল করে দিয়েছে,মনে মনে)
।
আসমাঃ আসলে নতুন জাইগাতে ও ওরকমই করে,একটু শান্ত স্বভাবের হয়ে থাকে আর যখনই পরিচিত হয়ে যাবে তখন তাদের জান তেজপাতা করে দেবে
।
তৌহিদঃ হুম,আমার মেয়েটি ওরকমই, তোমরা কিছু মনে করবে না
।
কাব্যঃ কী যে বলেন বাবা,আমরা আপনার মেয়ের দুষ্টুমি গুলো পছন্দ করি বলেই তো তাকে বউ হিসেবে নিয়ে যাচ্ছি,,তাই সেটা নিয়ে আমরা বিরক্ত হবো কেন?
।
তৌহিদঃ আল্লাহর কাছে অনেক অনেক ধন্যবাদ যে আল্লাহ আমাকে এমন একটা জামাই ও পরিবার দিয়েছে
।
আসমাঃ হুম হয়েছে এবার শুরু কর
।
—সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করার পর, একসাথে মিলে অনেক আনন্দ ও কথা বার্তা বলে,,তানিশার ছোটবেলা কেমন ছিল তাদের পরিবার ও কাব্যর সম্পর্কে অনেক কথাই তারা জানাজানি ও হাসাহাসি করলো, আনন্দের মাঝেই দুপুর হয়ে গেল
।
কাব্যঃ বাবা এবার আমকে আসতে হবে
।
তৌহিদঃ সে কি এখন, আচ্ছা দুপুরের dinner করে যাও না
।
কাব্যঃ না বাবা আপনার মেয়ে বাসাই একা আছে তাকে রেখে আর থাকতে পারছি না
।
আসমাঃ ও তাই তো, আচ্ছা এতক্ষন মেয়েটি কী করছে,কাব্য তুমি তাড়াতাড়ি যাও ও তো কারোর সাথে কথা না বলে থাকতেই পারে না।
।
সুমিঃ হুম,যেয়ে দেখবে মোবাইলে গেম খেলছে?
।
কাব্যঃ হুম, তাছাড়া আর কী, আচ্ছা আমি আসি
।
তৌহিদঃ হুম বাবা আসো,,,আর হ্যা ওর থেকে একটু বুঝে শুনে থাকবে একদম বুড়ি কখন কেমন দুষ্টুমি করবে বোঝা অসম্ভব।
।
কাব্যঃ হুম(একটু হেসেই সেখান থেকে বিদাই নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল)
।
—-কাব্য বাসার ভিতরে ঢুকে দেখে সকল Guard চারিপাশে ঘোরাফেরা করছে,সেদিকে কোন খেয়াল না করে, সে গাড়ি পার্ক করে, সোজা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে
।
কাব্যঃ কী হলো আপনারা এভাবে রুমে ছুটে বেড়াচ্ছেন কেন???(একজন Guard কে বল্ল
।
লোকটিঃ চুপ……
.
কাব্যঃ কথা বলছেন না কেন???(রেগে গিয়ে) mr tamim,mr tamim (জোরে চেচিয়ে)
।
তামিমঃ yes sir (সিড়ি দিয়ে দ্রুত নেমে)
।
কাব্যঃ কী হয়েছে এভাবে সবাই ছুটোছুটি করছে কেন?
।
তামিমঃ (মাথা নিচু করে কোন কথা নেই)
।
কাব্যঃ কী হলো কথা বলছেন না কেন?
।
তামিমঃ sorry sir(ভয় পেয়ে)
।
কাব্যঃ sorry কেন???(অবাক হয়ে)
।
তামিমঃ sir আমরা পারি নি
।
কাব্যঃ কী পারেননি ভালো করে বলেন(জোরে চেচিয়ে)
।
তামিমঃ sir আমরা চারপাশে ভালো ভাবে খেয়াল রেখেছি কিন্ত মেডাম যে কীভাবে পালিয়ে গেল আমারা বুঝতে পারি নি।
।
কাব্যঃ what ওর সাহস হয় কী করে এখান থেকে পালানোর??
(রাগে চোখ মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে কাব্যর) তোমাদের এখানে কী করতে রেখেছি,ans me (চেচিয়ে)ওইটুকু একটি মেয়েকে Guard দিতে পার না,তোমাদের সবাইকে আমি খুন করব(পাশে থাকা টেবিলে বাড়ি মেরে গ্লাস এর টেবিল ভেঙে ফেললো)
একজন গার্ড: sir,plz sir sorry sir.We locked at all sight but উনি যে এভাবে পালাবে এটা বুঝতে পারি নি(মাথা নিচু করে ভয়ে ভয়ে)
।
কাব্যঃ যেভাবে হোক ও কে তোমরা খুজে নিয়ে এসে দেবে আমার সামনে তাকে আমি চাই,(চিল্লিয়ে)
(পাশে থাকা সকল gourd ভয়ে চুপসে গেছে)
।
।
কাব্য সেখান থেকে সোজা রুম এ যেয়ে সব ভাংচুর করছে আর পুরো বাড়ি তার ভয়ে স্তব্ধ।
।
—তারপর কী হয়েছে সেটা তো জানেনই,চলুন তাহলে আবার ফিরে আসি,যেখানে কাব্য তানিশাকে ওয়াশরুমে শাওয়ার অন করে দরজা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে।
।
—তানিশাকে ওয়াশরুমে দীর্ঘ ১ঘন্টা বন্ধ করে দেওয়ার পর
।
কাব্যঃ (নাহ আর পারছি না,, এভাবে নিজে কষ্ট পাচ্ছি আবার তানিশাকেও দিচ্ছি,মনে মনে)
।
–কাব্য সকল মান অভিমান কমিয়ে ওয়াশরুমের দরজা খুলে,দেখে একদম বড় ধরনের শক্ খাই
কাব্য দরজা খুলে দেখে তানিশা অজ্ঞান হওয়া অবস্থাই পড়ে রয়েছে
।
কাব্যঃ (তানিশা….জোরে চেচিয়ে)
।
–কাব্য দ্রুত তানিশার কাছে যেয়ে শাওয়ার অফ করে দিয়ে কোলে তুলে নেই,তারপর বিছানায় নিয়ে এসে শুয়ে দেই
।
কাব্যঃ এই তানিশা,তানিশা জান পাখি কী হলো তোমার?? (গালে হাত দিয়ে) না এভাবে আর রাখা ঠিক হবে না,সব চেঞ্চ করে দিতে হবে কিন্ত?? ভাবার সময় নেই আর ১দিন পর তো বউ হবে…
।
—কাব্য রুম আটকে দিয়ে, রুম এর লাইট বন্ধ করে দেই তারপর নিজে নিজে তার কাপড় খুলে ??,শরীর ভালো ভাবে মুছে দিয়ে,,তারপর order করা কিছু পছন্দের জামা কাপড় তানিশাকে পরিয়ে দেই,, এবং দ্রুত তার পরিচিত doctor কে ফোন করে আসতে বলে।,,,কিছুক্ষণ পর doctor এসে check up করে।
।
doctor: এটা কেমন করে হলো mr kabbo ইনি এমন ঠান্ডায় কীভাবে শাওয়ার এর নিচে ছিল.??
।
কাব্যঃ আসলে সব কিছুর জন্য আমিই দায়ী doctor আমার জন্যই এটি হলো,কেন যে রাগ ধরে রাখতে পারলাম না(কান্না করে)
।
doctor: ওহ আচ্ছা,,,,ভয়ের কোন কারণ নেই কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরবে,,আমি ওষুধ দিয়ে দিচ্ছি আর ঠান্ডা জ্বর তো হবে, ওনার সঠিকভাবে যত্ন নিবেন,যেনো কোনকিছুর কমতি না থাকে,,আর নরম জাতীয় খাবার খাওয়াবেন,
।
কাব্যঃ আচ্ছা doctor thank you….
.
doctor: হুম,আর আরেকটি কথা, ওনার শরীর অনেক ঠান্ডা তাই গরম থাকাটা দরকার,,আসা করি আপনি বুঝতে পারছেন আমি কী বলতে চাইছি,,আর আপনি তো ওর husband,
।
কাব্যঃ হুম অবশ্যই।
।
doctor: আচ্ছা আমি তাহলে আসি,আর ওষুধগুলো ঠিক টাইমমত খেলেই কমে যাবে
।
কাব্যঃ ok doctor,, (কাব্য, doctor কে বিদায় দেই,তারপর কিছু খাবার এর order দিয়ে তানিশার কাছে দ্রুত চলে আসে)
।
কাব্যঃ sorry dear আমার খুব বড় ভুল হয়ে গেছে,আমি বুঝতে পারিনি যে এটা হবে,প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও(তানিশার হাত ধরে কান্না করে)
।
–কাব্য দেখে তানিশার শরীর একটু নড়ে উঠেছে,,এবং একটু একটু করে চোখ মেলে তাকাই,,কাব্যও বিজয়ের একটা হাসি দেই
।
কাব্যঃ এখন কেমন লাগছে dear(ব্যাস্ত হয়ে)
।
–তানিশা চোখমেলে তাকিয়ে কিছু বলবে সেই শক্তিও পাচ্ছে না,,,কাব্য দ্রুত তাকে একটু উপরে তুলে বসে দেই,
।
কাব্যঃ কেমন feel করছ
।
তানিশাঃ (একটু মাথা নেড়ে হ্যা সমন্ধন করে)
।
কাব্যঃ আচ্ছা একটু wait করো কিছুক্ষণপর খাবার আসবে খেয়ে ওষুধ খেয়ে নেবে,তারপর দেখবে ভালো হয়ে গেছ
।
—তানিশা কোন কথা বলে না,,কিন্ত কাব্য পাগল এর মতো হয়ে গেছে,,,,,কিছুক্ষণ পর খাবার দিয়ে যাওয়ার পর কাব্য সব কিছু রেডি করিয়ে তানিশাকে খেতে বলে
।
কাব্যঃ একটু মুখে দাও dear, না খেলে তো আরও শরীর খারাপ করবে(কাব্য তানিশার মুখের কাছে খাবার ধরলে সে খেতে চাই না)
।
তানিশাঃ খাব না(জোরে ঝাড়ি দিয়ে) আপনি পেয়েছেন কী আমাকে যখন ইচ্ছে আদর দেখাবেন আবার রাগ করবেন শাস্তি দেবেন,,আমি কী পুতুল আমার কোন স্বাধীনতা নেই(জোর করেই কথা গুলি বল্ল)
।
কাব্যঃ এসব কী বলছ তুমি
।
তানিশাঃ আমি বলতে চাইছি, আমি আর এসব এর ভিতরে থাকতে চাই না,আমি আপনাকে বিয়ে করব না,আপনি জোর করে আমাকে এভাবে আটকে রেখেছেন।
আর আপনি আমাকে বিয়ে করে কোনদিনও সুখী হতে পারবেন না(কথা বলে হাঁপিয়ে গেছে)
।
কাব্যঃ (কাব্য এতক্ষণ তানিশার কথাগুলো মন দিয়ে শুনছি,) (আসলেই তো আমি জোর করে কেন কিছু পেতে চাইছি,আর ওর ও তো একটা লাইফ আছে আমি কেন সেটা নষ্ট করব,আমার তো কোন অধিকার নেই কারোর জীবন নিয়ে খেলা খেলার,মনে মনে) তুমি আমার থেকে মুক্তি চাও তাইতো???
।
তানিশাঃ হ্যা(সরাসরি বলে দিল)
।
কাব্যঃ বেশ তোমাকে আমি তোমার পরিবারে দিয়ে আসব, কিন্ত তোমাকে সুস্থভাবে নিয়ে এসেছি সুস্থ করেই দিয়ে আসব,,রাজি??
।
তানিশাঃ হুম
।
কাব্যঃ আচ্ছা,,এবার খেয়ে নাও লক্ষী মেয়ের মতো(সামনে খাবার ধরে,
।
—তানিশা আর কোন কথা না বলে খেতে লাগল,অল্প কিছু মুখে নেওয়ার পর,
।
কাব্যঃ আর একটু নাও ডিয়ার
।
তানিশাঃ (মুখ সরিয়ে নিয়ে আর খেতে চাইল না)
।কাব্যঃ আচ্ছা আর খেতে হবে না, এবার medicine গুলো খেয়ে নাও
।
—কাব্য তানিশাকে medicine গুলো দিয়ে,,শুয়িয়ে দিল,তারপর কাব্যও তানিশার পাশে তানিশাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে পড়ল
।
তানিশাঃ আপনি আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন কেন??
।
চলবে,,,,,