Devil love part ১
#writer_কাব্য_মাহমুদ
কাব্যঃ what ওর সাহস হয় কী করে এখান থেকে পালানোর??
(রাগে চোখ মুখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে কাব্যর) তোমাদের এখানে কী করতে রেখেছি,ans me (চেচিয়ে)ওইটুকু একটি মেয়েকে Guard দিতে পার না,তোমাদের সবাইকে আমি খুন করব(পাশে থাকা টেবিলে বাড়ি মেরে গ্লাস এর টেবিল ভেঙে ফেললো)
একজন গার্ড: sir,plz sir sorry sir.We locked at all sight but উনি যে এভাবে পালাবে এটা বুঝতে পারি নি(মাথা নিচু করে ভয়ে ভয়ে)
।
কাব্যঃ যেভাবে হোক ও কে তোমরা খুজে নিয়ে এসে দেবে আমার সামনে তাকে আমি চাই,(চিল্লিয়ে)
(পাশে থাকা সকল gourd ভয়ে চুপসে গেছে)
।
।
কাব্য সেখান থেকে সোজা রুম এ যেয়ে সব ভাংচুর করছে আর পুরো বাড়ি তার ভয়ে স্তব্ধ।
।
আর এদিকে
তানিশাঃ উফ বাবা যা বাচা বাচলাম, ওই ডেভিল তো আজ আমাকে পেলে একবারে মাথার চুল থেকে শুরু করে খাবে,আজ কেন যেদিনই পাবে,কিন্ত আমি আর ওই কচ্ছপ এর কাছে যাবই না,কিন্ত বাসাই তো যেতে হবে এত দূর কীভাবে যাব আ্য্য্য মামুনিই তোমার মেয়ের পা ব্যাথা হয়ে গিয়েছে আমার তো দৌড় দিতে দিতে খেয়ালই নেই আর আমার কাছে তো টাকাও নেই,বাসাই যাব কী করে (ন্যাকা কান্না)
।
। যা করার এখনি করতে হবে(রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে একটি রিক্সা) ওই রিক্সা যাবে?
রিক্সাওয়ালাঃ কোথাই যাবেন আপা?
।
তানিশাঃ এইতো সামনে মেহেরপুর বড় বাজার
।
রিক্সাওয়ালাঃ কীীীী এটা সামনে??? আপা এটাতো অনেক দূর প্রায় ১৮ কি.মি.।
।
তানিশাঃ আচ্ছা এটা কোন বাজার
।
রিক্সাওয়ালাঃ আপা এটাতো গাংনি বাজার,কিন্ত আপনি কি এখানে নতুন,আর আপনি বাস রেখে রিক্সাই কেন যাবেন?
।
তানিশাঃ এত প্রশ্ন করেন কেন,(রিক্সায় উঠে)চলেন তো ভাই, আমি এখানে এক ফ্রেন্ড এর কাছে এসেছিলাম,কিন্ত ও একটু ব্যাস্ত থাকাই আমাকে একা যেতে হচ্ছে,আর আমার বাস এ গেলে একটু সমস্যা করে(যেতে যেতে)
।
রিক্সাওয়ালাঃ আচ্ছা আপা আপনিই চিন্তা করবেন না আমি ঠিক জাইগাতেই আপনাকে পৌছে দেব,
।
তানিশাঃ ok চলুন।
।।
।।
আর এদিকে কাব্যর প্রায় পাগল হওয়ার অবস্থা
কাব্যঃ তোমার সাহস হয় কী করে জানু আমাকে
না বলে পালিয়ে যাওয়া,এর পরিণয় যে কী হতে পারে তা তোমাকে পেলে বুঝাবো,মনে হয় তোমার কিছু কমতি ছিলো এবার তা পূরণ করে দেব(রাগে চোখ লাল হয়ে আছে)(হাত দিয়ে bleeding হচ্ছে সেদিকে কোন খেয়াল নেই)
।
।
কিছুক্ষন পর কাব্য হাত রুমাল দিয়ে পেচিয়ে নিচে আসল।
।
কাব্য নিচে এসে দেখে সকল Gourd তানিশাকে খুজতে বের হয়ে গিয়েছে,
কাব্যও গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল,একদম ফুল স্পিড এ গাড়ি চালাচ্ছে যেন তাকে কেউ মারার জন্য তেড়ে আসছে আর সে পালাচ্ছে, কাব্য ঠিক আন্দাজ করতে পারছে যে তানিশা কোথাই যেতে পারে
।
অন্যদিকে ——-
।
।
তানিশাঃ উফ,এই রাস্তাও আমার সাথে দুশমনি করছে,পশু পাখির মতো কী এই রাস্তাও বড় হয় নাকি,,,, আমাকে তো সাবধানে থাকা লাগবে তা না হলে আবার ওই ডেভিল এর লোক এর তো অভাব নেই দেখতে পেলেই আমার কাজ শেষ করে দেবে যাকে বলে game over(বিড়বিড় করে,বলেই মুখটি ঢেকে নিল)
।
।
–আর এদিকে কাব্যতো প্রায় গাড়ি চালিয়ে পৌছে যাওয়ার মতো কারণ রিক্সা কোন দিন কি আর গাড়ির সাথে পারে?
।
।
কাব্যঃ একবার তোমাকে পাই Dear,, তোমার শাস্তির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখ(রাগে গাড়ি এদিক সেদিক করছে আর চালাচ্ছে)
তুমি আমাকে হেল করেছ তাই তোমার life তো আমি হেল করেই ছাড়ব। (কাব্য) (কাব্য কথা বলছে আর ড্রাইভ করছে)
।
।
এদিকে তানিশা,,,
তানিশাঃ উফ,আচ্ছা আংকেল আপনার রিক্সার কি আর জোর নেই??এত আস্তে চালাচ্ছেন কেন?(বিরক্তিভাব নিয়ে) (নিলা)
।
।
রিক্সাওয়ালাঃ হ্যা জোর আছে ম্যাডাম,কিন্ত রোড এর অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছেন,পাবলিক এর পারাপার আর রিক্সার ব্রেক তো বেশি না তাই জোর এ চালানোর ফলে যেকোন সময় এক্সিডেন্ট হতে পারে।
।
।
তানিশাঃ আচ্ছা আপনার যেভাবে ভালো লাগে চালান> কিন্ত একটু জোরে,
।
রিক্সাওয়ালাঃ আচ্ছা ম্যাডাম চালাচ্ছি।
।
।
এতক্ষনে মনে হয় পুরো বাংলাদেশ আমাকে খুজছে যে তানিশা কই তানিশা কই,,
আমার কাছে যদি টাকা থাকত তাহলে আমি এতক্ষন বাসাই পৌছে যেতাম কিন্ত কোন উপায় নেই (বিড়বিড় করে)
।
।
রিক্সাওয়ালাঃ ম্যাডাম এত কী বিড়বিড় করে বলছেন??
।
।
তানিশাঃ এমনিইতেই মেজাজ বিগড়ে আছে তার উপর আবার এই খরগোশটা জ্বালায়(মনে মনে) না কিছু না আচ্ছা আর কত কি.মি. আছে।
।
।
রিক্সাওয়ালাঃ এইতো আর ১০ কি.মি. মতো,,,,,আচ্ছা ম্যাডাম(রিক্সাওয়ালার কথা বন্ধ করে দিয়ে)
।
।
তানিশাঃ ধুর এতো ম্যাডাম ম্যাডাম করেন কেন আপু বলেন
।
।
রিক্সাওয়ালাঃ আচ্ছা আপুই বলছি,,,,,,আচ্ছা আপু আপনি কি এই বাজারের দিকে প্রথম আসছেন(রিক্সা চালাতে চালাতে)
।
।
তানিশাঃ হ্যা আমি এর আগে কখন ও এদিকে আসি নাই।
।
।
রিক্সাওয়ালাঃ ও তা কি কাজ এ এসেছিলেন বন্ধুদের বাসাই
।
।
তানিশাঃ এই তো আমার পরিচিত এক ফ্রেন্ড এর বাসাই বেড়াতে এসেছিলাম।
।
।
রিক্সাওয়ালাঃ ও আপনার ফ্রেন্ড যখন আসতে পারল না তাহলে আপনাকে পৌছে দেওয়ার জন্য একটি গাড়ি দিয়ে দিতে পারত
।
।
তানিশাঃ (তুই কি করে বুঝবি চান্দু আমি কোন জমের দুয়ার থেকে ফেরৎ আসছি) না আমি ইচ্ছা করেই তাদের সাথে আর হেল্প চাাাাই (বলতে না বলতেই রিক্সার সামনে একটি গাড়ি চলে আসাই রিক্সা জোরে ব্রেক করে আর তানিশা তাল সামলাতে না পেরে নিচে পরে যাই)
।
।
তানিশাঃ আাাাাম্মুনিইইইইগোো তোমার মেয়ে মরে গেল গো(পড়ে যেয়ে) কোন ভদ্রলোক এর বাচ্চা গাড়ি নিয়ে রাস্তাই এই ক্কক্করে ব্বে(সামনে তাকিয়েই শেষ,কারণ সামনে মানুষ নামে একটি জন্ত দাঁড়িয়ে আছে তানিশার মনে হয়,,,,,চোখ দিয়ে আগুন বের হচ্ছে আর তানিশার ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা।)
।
।
কাব্যঃ (তোমার আমাকে দেখেই এই অবস্থা, কিন্ত আমি এবার যা তোমার সাথে যা করব তা তুমি দেখে কী অবস্থা হবে তানিশা ইসলাম) (কাব্য মনে মনে বলছে আর গাড়িতে রেখে একটু একটু করে তানিশার দিকে এগিয়ে আসছে)
।
।
তানিশাঃ এই ডেভিল আমার দিকে এগিয়ে আসছে কেন আর আমার heartbeat এভাবে বাড়ছে কেন?,,আল্লাহ এবারের মতো বাচিয়ে দাও,(বিড়বিড় করে)
।
।
–কাব্য ধীর পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে তানিশার দিকে আর চারপাশের লোক নিজের কাজ নিয়ে ব্যাস্ত রিক্সাওয়ালা তো দাঁড়িয়ে সব দেখছে।
।
।
-তানিশাঃ উনি আমার একদম কাছে চলে এসে একটা ডেবিল এর মতো মুচকি হাসি দেই আর তারপর আমার হাত ধরতেই,,,,,
>>>জ্ঞান হারিয়ে যাই<<<<<
।
যখন জ্ঞান ফিরে তখন তাকিয়ে দেখি একটি বিছানায় শুয়ে আছি আর চারপাশে কেউ নেই।
বিছানা থেকে উঠে ফ্রেস হতে যাব আর এমন সময় দরজা খুলার আওয়াজ আসে। দেখি ওই ডেভিল আসছে ভয়ে তো আমার পরাণ পাখি শেষ,না জানি আজ এই কাজ এর জন্য কী করবেন উনি আস্তে আস্তে আমার একেবারেই কাছে চলে আসল
।
কাব্যঃ কী Dear তোমার শরীর এখন ভালো আছে তো??
।
তানিশাঃ হুম(মাথা নিচু করে)
।
কাব্যঃ আর কতক্ষণ ভালো থাকতে চাও(ডেভিল মার্কা হাসি দিয়া)
।
তানিশাঃ মানে?(আতংকিত হয়ে)
।
কাব্যঃ মানে এই যে তোমার এখন আর ভালো থাকা হবে না,এবার তোমার কাজের ফল তো তোমাকে পেতেই হবে।(রাগের দৃষ্টিতে)
।
তানিশাঃ (উনি কী বলছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,উনি আমার হাতটি ধরে সোজা বাথরুম এ নিয়ে শাওয়ার এর নিচে দাড় করিয়ে রাখল)
।
কাব্যঃ এখানেই তোমাকে আজ সারারাত থাকতে হবে।আর এটাই তোমার শাস্তি(রাগি কন্ঠে)
।
তানিশাঃ কিন্ত এখানে থাকলে তো আমার ঠান্ডা লাগবে শরীর খারাপ করবে,আর এত ঠান্ডায় আমি কী করে এখানে থাকব
।
কাব্যঃ এটাই তো তোমার শাস্তি Dear, তোমার কর্মের ফল তো তোমাকে পেতেই হবে।
।
তানিশাঃ তাই বলে এরকম শাস্তি?? (ওর কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম)
।
কাব্যঃ কেন এর থেকে বেশি লাগবে না কি,দাড়াও আরও একটু দিই
।
তানিশাঃ (বলেই শাওয়ার অন করে দিল)
।
কাব্যঃ থাকো এখানে।(কাব্য রেগে ও দুঃখে চোখ দিয়ে পানি বের হওয়া অপেক্ষা কিন্ত সেটা তানিশাকে না দেখিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে চলে গেল কারণ তানিশাকে কাব্য ভালোবাসে কিন্ত কাব্য শুধু তানিশার কাছে থেকে অবহেলাই পেয়েছে)
।
তানিশাঃ (তানিশার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে,আর ভাবছে,কতই ভালো ছিলাম সারাদিন আনন্দ মজা দুষ্টুমিতেই কেটে যেত আমার দিন কিন্ত আজ এটা কেন হলো, তানিশা কথাগুলো মনে মনে ভাবছে আর কান্না করছে,সে চাইলে শাওয়ার অফ করে দিতে পারে কিন্ত করছে না কারণ সে এভাবে বাচতে চাই না,এর থেকে মরে যাওয়া ভালো।)
,,চলুন তাহলে এদের অতীত এর কাহিনী শুনে আসি.
আগে তানিশার পরিচয় দিয়ে দিই,,নীলা এবার ইন্টার ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে,আর তার পরিবার এ তার বাবা একটা অফিস এ চাকরি করে তার মা একজন গৃহিনী, তানিশার বোন আছে একটি ছোট এদের নিয়েই একটি happy family
সুমিঃ মাাাা(জোরে চেচিয়ে)
সুমির মাঃ কি হয়েছে?(তেজ গলাই)
সুমিঃ তোমার মেয়ে আমার সব চকলেট খেয়ে নিয়েছে(কান্নাস্বরে)
।
সুমির মাঃ এর আবার নতুন কী প্রতিদিনই তো করে।
।
সুমিঃ তাই বলে তুমি কিছু বলবে না,এভাবে চলতে থাকলে তো তোমার মেয়ে আস্তে আস্তে চুন্নি হয়ে যাবে।
।
পাশের রুম এ থেকে তানিশা এসে
।
তানিশাঃ ওই তুই কী বললি আমি চুন্নি আর তুই কি তুই ও তো আমার অনেক চকলেট খেয়েছিস তাই এখন আমিও তোরতা খাব
।
সুমিঃ তখন তো আমি ছোট ছিলাম কী করতে কী করেছি কিছু মনে নেই,আর আমি তো ছোট থাকতে এসব করেছি তখন তো আমার সেরকম বুদ্ধিও ছিলো না কিন্ত তুই তো বড় তোর বুদ্ধি থাকার পরেও এরকম করছিস কেন?
।
তানিশাঃ ওই আমাকে জ্ঞান দিতে আসবি না,,আর হ্যা শোন বেশি চকলেট খেলে দাতে সমস্যা হতে পারে আর দাত যদি পড়ে যাই তাহলে তো তুই বুড়ি হয়ে যাবি তাই আমি তোকে কম কম করে খেতে দিই বুঝেছিস,,,তাহলে দেখ আমি তোর কত বড় উপকার করছি আর তুই আমাকেই আবার কথা শুনাচ্ছিস।
।
তানিশার মাঃ ওই তোরা চুপ করবি, আর সুমি তুই চকলেট নিয়ে এসে লুকিয়ে রাখতে পারিস না?
।
সুমিঃ একটি জাইগাও বাদ দিই নি মা,সকল জাইগাতে লুকিয়ে রেখেছি কিন্ত তোমার মেয়ের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাখা অসম্ভব।
।
তানিশাঃ যাক আমার ভেতর তাহলে একটি গুন তো আছে
।
তানিশার মাঃ তোদের বিষয় তোরা দেখ আমি এর ভিতর নেই,আর হ্যা প্রস্তুতি নাও,তোমার বাবার ফ্রেন্ড এর মেয়ের বিয়ে তাই আমরা সেখানে দুইদিন পর যাচ্ছি(বলেই চলে গেল,
।
সুমিঃ আচ্ছা যাব।আর আপু তুই শোন আমার চকলেট যদি আর নিস তাহলে কিন্ত তোকে আমি বদ দোয়া দেব।
।
তানিশাঃ ওই ওই কী বদ দোয়া দিবি রে, আগেও কী তুই আমার বোন, নিজের বোন হয়ে আরেক বোনকে বদ দোয়া করিস।আর হ্যা তোর চকলেট খেয়েছি বেশ করেছি আরো খাব।
।
সুমিঃ তাহলে শোন তোর কপালে আস্ত একটা ডেভিল বর জুটবে(বলেই চলে গেল)
।
তানিশাঃ হা হা হা(শাকচুন্নি হাসি দিয়ে বকের দোয়াই বিল শোকাই না(মুখ ভেংচি দিয়ে)
,,,,
,,,আর হ্যা এই যে বললাম সুমির মা,তানিশার মা,, এরা দুই বোন একই মা
,,,চলবে,,