Devil love রোম্যান্টিক পর্ব part 11

0
5611

Devil love রোম্যান্টিক পর্ব part 11
Writer-kabbo Mahmud

)

তানিশাঃ মানে???কী কর……………………..

–মানে হলো কাব্য তানিশার কথা বলতে না দিয়ে ভালবাসার পরসে এক করে দেই

উম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মম্মাাাা
(ইস্ কবে যে আমার তানিশা আসবে????,সেদিন ডেভিল কাব্য না, রোম্যান্টিক কাব্য হবো?)

–কাব্য তানিশাকে একদম নিজের বাহুডোরে চেপে ধরে নিজের কোলের উপর তুলে নিয়েছে তারপর মুভির স্টাইল এ কিস করছে,??
ছাড়ার কোন নাম নেই কারণ যে পরিমাণ ঝাল দেওয়া হয়েছে তা সহজে ঠিক হওয়ার নয়,,,আর তানিশার তো দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা, তার শক্তি বলতে কিছু থাকলেও কাব্যর মতো বডি-ফিটনেস এর সাথে পারা অসম্ভব।

–দীর্ঘ ২৫ মিনিট পর কাব্য তানিশাকে ছেড়ে দিয়ে কোলের উপরেই তুলে ধরে রেখেছে, তানিশা তো দম নিতে পারছে না,দুজনেই হাপাচ্ছে??

কাব্যঃ কী মিসেস তানিশা মাহমুদ ঝাল লেগেছে??

তানিশাঃ আপনি এটা কেন করলেন??আপনার কী একটুও দয়া মায়া নেই, এমন কেন করলেন(জোরে নিস্বাস নিয়ে)

কাব্যঃ কেন? জানোনা!!আমার বউ না খেয়ে থাকবে তা কি হয়,তাই এটি খেতে দিলাম,,,,খুব মিষ্টি না??(মুচকি হেসে)

তানিশাঃ ইয়ায়াক্কক্কথথুউউ ছিঃ কী বাজে,এর মতো যঘন্ন আর কিছু নেই
।।
কাব্যঃ কী বললে(দাঁতে দাঁত চেপে)

তানিশাঃ ক

–বাকিটা আর বলতে না দিয়ে কাব্য আবার তানিশাকে ভালবাসার পরশ দিতে থাকে,,তানিশাকে চেপে ধরে নিজের শরীরের সাথে একবারে এক করে নিয়েছে,,আর কাব্য তানিশার lips এ ঘাড়ে চারিদিকে এলোপাথাড়ি চুমু খেতে থাকে যেন সে একটি ঘোরের ভিতরে চলে গিয়েছে।

আর এদিকে তানিশার ছটফট করেও কোন লাভ নেই,

কাব্য কিস করতে করতে একসময় কামড় এর অনুভব করতে পারে,,হ্যা তানিশা আর কোন উপায় খুজে না পেয়ে কাব্যর ঘাড়ে কামড় বসিয়ে দেই,,,এতে কাব্যর বিন্দু পরিমাণ কিছু মনে হয় নি,,কারণ সে ওইটাকে একটি আদরই বলে

কাব্যঃ কী ব্যাপার বউ,,বিয়ে না করতেই ভালবাসার চিহ্ন একে দিলে,বাহ্ আমার বউ এর তুলনায় হয়না

তানিশাঃ মানে(অবাক হয়ে,,,,আর জোরে জোরে নিস্বাস নিচ্ছে)

কাব্যঃ মানে জানোনা,,,বাসর ঘরে বুঝিয়ে দেব,,

এতক্ষণ তানিশা কাব্যর কোলের উপরে ছিল,,,কোলে থেকে নামিয়ে.

কাব্যঃ যাও ফ্রেশ হয়ে নাও,,আমি খাবার এর Order দিচ্ছি

তানিশাতো একদৌড় এ রুমে চলে এসে,ওয়াশরুমে ঢুকেছে,,শাওয়ার অন করে এই ঠান্ডা রাতে ভিজতে শুরু করেছে


তানিশাঃ উনি পেয়েছেন কী আমাকে,আমার কী কোন চাওয়া পাওয়ার মূল্য নেই উনার কাছে,,(কান্না করছে আর বলছে) আমি একটু ঝাল দিয়েছি বলে উনি এমন করবে?ছিঃ, ছেলেরা এতো নিচ হয় আমার ভাবতেই কেমন লাগছে!!

এদিকে কাব্য খাবারের অরদের দিয়ে, রুম এ এসে দেখে তানিশা ওয়াশরুমে ঢুকেছে, প্রায় অনেক্ষন হয়ে যাওয়ার পর।

কাব্যঃ নাহ্ এই মেয়েকে নিয়ে আর পারা গেল না,এতক্ষণ লাগে ফ্রেশ হতে,, (ধৈর্যর সীমা পেরিয়ে) এই তানিশা দরজা খুলো। এতক্ষণ কী কর???

এদিকে তানিশা কাব্যর কথা শুনে ভয় পেয়ে যাই, তারপর শাওয়ার অফ করে,

তানিশাঃ এখন কী হবে?????????আমি কি পড়ব কিছুই তো নেই পরিধান করার মতো (ভয় পেয়ে)

কাব্যঃ (এদিকে কাব্য তানিশার কোন সাড়া না পেয়ে আবার রেগে যাই) তানিশা দরজা খুলো, (দরজায় ধাক্কা দিয়ে) না হলে কিন্ত আমি ভেঙে দেব

তানিশাঃ (ভয় পেয়ে) এই না না আমি খুলছি দরজা,(দরজাটি হাল্কা খুলে তানিশা একটু মুখ বের করে) এই শোনেননা আমাকে কিছু কাপড় এনে দেন(করুন দৃষ্টিতে)

কাব্যঃ(কাব্য দেখে যে তানিশার চুল ও চোখমুখ ভিজে রয়েছে,তারমানে সে গোসল করেছে তাও আবার এই ঠান্ডা ও রাতে) এই তুমি শাওয়ার নিয়েছ??(রেগে)

তানিশাঃ (বেচারি তো শেষ) না মানে,নিয়েছি

কাব্যঃ খুব ভালো করেছ এবার থাক ওইভাবে, এখানে কোন মেয়ে থাকে না যে তোমাকে কাপড় দেবে।

তানিশাঃ কীহ তাহলে আমি এখন এভাবে থাকব

কাব্যঃ হুম,তাছাড়া আমি আবার কী করব??

তানিশাঃ বলছি(মাথা নিচু করে) আপনার শার্ট-প্যান্ট দেন,,,

কাব্যঃ what??? আমি এখানে কী থাকি নাকি যে আমার জামা-কাপড় থাকবে

তানিশাঃ তা জানিনা,যান যেখান থেকে হোক আমাকে কাপড় নিয়ে এসে দেন,আর এখানে তো আবির ভাইয়া থাকে তার তা এনে দেন

কাব্যঃ (oh,আমি তো ভুলেই গেছি এখানে আমি মাঝে মাঝে আসি বলে কিছু ড্রেস রেখে গিয়েছি,মনে মনে) আচ্ছা আমি নিয়ে আসছি,,,

—কাব্য তার শার্টও প্যান্ট তানিশাকে নিয়ে এসে দিয়ে,অপেক্ষা করছে

কাব্যঃ এই আবার কী হলো???এতো late কেনো হয়??

তানিশাঃ (কোন কথা নেই)

কাব্যঃ এই খুলবে নাকি ভাঙব??

তানিশাঃ এই খুলছি দ্বারাও

—কিছুক্ষন পর তানিশা দরজা খুলার পর কাব্য দেখে তো অবাক???,,,তানিশা ওয়াশরুমে থেকে বের হয়ে কাব্যর সামনে দ্বারিয়ে বেল্ট আটকানোর চেষ্টা করছে কিন্ত পারছে না,,

কাব্যঃ (কাব্য তানিশার একদম কাছে যেয়ে) কী সমস্যা?

তানিশাঃ no ans

কাব্যঃ বলছ না কেন?

তানিশাঃ দেখতেই তো পাচ্ছেন আবার জিজ্ঞেস করেন কেন??

—কাব্য আর কোন কথা না বলে তানিশাকে পেছিন থেকে জড়িয়ে ধরে সামনে হাত দিয়ে তানিশার বেল্টে হাত দিয়ে এটে দেই,আর তানিশা তো লজ্জায় শেষ এটা কী হলো তার সাথে,।

তানিশাঃ (দূরে সরে যেয়ে) আপনার কী কোন কাজ নেই সব সময় শুধু লুচ্চামি করা???(রেগে গিয়ে)

কাব্যঃ লুচ্চামির কী দেখলে,,আর আমি তো আমার বউ এর উপর লুচ্চামি করছি অন্য কারোর সাথে তো না,

তানিশাঃ কে বলেছে আমি আপনার বউ,আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না,আপনি তো জোর করে একটি মেয়েকে তুলে নিয়ে এসে তার উপর নির্যাতন করছেন,,ওতোই যখন ভোগ করার শখ তাহলে বাজারে যান না সেখানে অনেক আছে আমাকে কেন এতো জ্বালাচ্ছেন(একদমে কথাগুলো বলে দিলা তানিশা)

কাব্যঃ (কাব্যর তো মাথাই রক্ত উঠে গেছে কী বলবে ভেবে পাচ্ছে না এই সময় কী করা উচিৎ তার মাথায় কিছু আসছে না,,জানিনা অন্য ছেলে রেগে গেলে কী হয় কিন্ত কাব্যর এই মূহুর্তে চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে কাপছে)

–তানিশা কথাগুলো বলার পর কাব্যর দিক খেয়েল করে যে পুরো vampire এর মতো হয়ে গেছে

তানিশাঃ (এ তুই কী বললি তানিশা এবার তো তুই শেষ,,ভয়ে ঢোক গিলে),

—কাব্য সেখানে আর একমুহূর্তের জন্য সেখানে না দাড়িয়ে সোজা নিচে গেল,আর তানিশা রুম এ দাড়িয়ে থাকল

–কাব্য নিচে এসে কিছু বুঝতে না পেরে হাতের কাছে যা আছে ভাংচুর করতে লেগে গেছে প্রায় অনেক্ষন ভাংচুর করে মনে হয় ভাঙার মতো আর কিছু নেই সব শেষ,,

—আর তানিশা তো ভয়ে বিছানায় চুপটি মেরে শুয়ে পড়েছে আর ঘুমের ভান করে রয়েছে,কীভাবে ঘুম আসবে যেভাবে সব ভাংচুর করছে,,,
.
কাব্যঃ আমি তোমাকে ভোগ করি না মিস তানিশা ইসলাম,,,তুমি মনে হয় আমাকে ভালোভাবে দেখ নি, এই কাব্য কী পারে আর কী করে,এতক্ষণ শুধু আমার ভালো রুপটাই দেখছ কিন্ত খারাপটা দেখ নি, আর আজ যেটা বললে এটার শাস্তি তোমাকে আমি দেব, খুব তাড়াতাড়িই দেব,,(কাব্যর হাত দিয়ে ব্লিডিং হচ্ছে,কিন্ত সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই)

–কিছুক্ষন পর দরজায় আওয়াজ হচ্চিল

–কাব্য দরজা খুলে,,,

একজন লোক-স্যার আপনার order এর পন্য

কাব্য সেটা নিয়ে সোজা রুম এ চলে এসে দেখে তানিশা ঘুমিয়ে আছে,সোজা তানিশার কাছে যেয়ে হাত ধরে তুলে ফেলে

কাব্যঃ এটা খেয়ে নাও(এখনও রেগে আছে)

তানিশাঃ আমি খাব না আমার ক্ষিধে নেই(ভয়ে তুতলিয়ে)

কাব্যঃ তুমি খাবে নাকি আমি তোমাকে খাব??(ঝাড়ি মেরে)

তানিশাঃ আমি খাব দেন দেন(খাবার হাতে থেকে নিয়ে,পেকেট থেকে বের করে এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করে,খেতে শুরু করে দিয়েছে)

কাব্য সেখানে আর না দাড়িয়ে হাতে medicine দিয়ে যারা Guard এ ছিল তাদের কাছে গেল

কাব্যঃ mister তামিম আপনার কী কোন সমস্যা হচ্ছে নাকি??

তামিমঃ no sir,এটা আমাদের কাজ এটাতে সমস্যা বলে কিছু থাকতে পারে না,

কাব্যঃ আচ্ছা এখন আর এখানে থাকার দরকার নেই,সবাই বাসার ভিতরে যেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন

তামিমঃ কী বলে sir আমাদের রুলস মোতাবেক এটি নেই

কাব্যঃ এটি তো আছে যে আমি যা বলব সেটি করতে হবে

তামিমঃ কিন্ত স্যার

কাব্যঃ কোন কিন্ত না,,, যান আপনারা এখান থেকে,,,,

তামিম তার সাথে সবাইকে নিয়ে চলে যেতেই কাব্য তাকে ডাকে

কাব্যঃ মিস্টার তামিম আপনার কাছে কী সিগারেট আছে??

তামিমঃ কেন স্যার

কাব্যঃ এতো কথা কেন,,, যা বলছি তার উত্তর দাও,থাকলে দাও(রেগে যেয়ে)

তামিমঃ নেন স্যার( ভয়ে ভয়ে ৩প্যাকে ছিল,পুরো প্যাকেট গুলোই দিয়ে দিয়েছে)
।।
তারা চলে যাওয়ার পর কাব্য ছাদে উঠে সিগারেট জ্বালিয়ে একটার পর একটা টানতে থাকে,,আর চোখ মুখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে,বের হবেই না কেন,সে তো কোনদিন এটি খাই নাই,আজ জোর করেই এই প্রথম সিগারেট টানছে,যেটা তারকাছে আজ ভালোই লাগছে।

অনেক্ষণ পর কাব্য রুমে এসে দেখে তানিশা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে,সে পাশে যেয়ে শুয়ে পড়ল।

,,,,চলবে,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে