#Dark_Mystery( কালো রহস্য )
#Part_3
#Sabrina_Summa
মিস সিক্রেট রুমে প্রবেশ করতেই ইরফান বললো, ” ম্যাম, আপনার কথা মতো ওটাকে ধরে রেখেছি তবে মুখ খোলাতে পারি নি। ”
মিস সিক্রেট : চলো।
স্নাইপারের সামনে গিয়ে মিস সিক্রেট একটা চেয়ারে বসলো। স্নাইপারের হাত – পা, মুখ বাঁধা। ইরফানকে ইশারা করতেই মুখ খুলে দিলো।
মিস সিক্রেট ভাবলেশহীন ভাবে বললো, ” কে পাঠিয়েছে বলো? ”
লোকটা চুপ করে রইলো।
মিস সিক্রেট : আমাকে মারতে এসেছো। তাহলে এটাতো ভালো করেই জানো আমি ভালোর সাথে ভালো, খারাপের সাথে খারাপ!
শেষবার বলছি বলবে কিনা?
স্নাইপারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে।
স্নাইপার ভয় পেয়ে বললো, ” বলছি ম্যাম, বলছি। রাজিব স্যার পাঠিয়েছে। ”
মিস সিক্রেট চেয়ারে বারি দিয়ে বললো, ” আমি জানতাম। আমার সন্দেহ কখনো ভুল হয় না। ”
তারপর ইরফানকে ডাক দিলো।
ইরফান : ইয়েস ম্যাম।
মিস সিক্রেট : ওকে ভালো করে আদর যত্ন করো।
ইরফান : ওকে ম্যাম।
মিস সিক্রেট : আমি কিন্তু সত্যিই আদর যত্ন করতে বলেছি। মারতে বলিনি। এখান থেকে বের হলে রাজিবই ওকে মেরে ফেলবে। তাই রাজিবের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত এখানে থাক।
বলা শেষ করে বের হয়ে যেতে নিয়েও আবার ফিরে তাকিয়ে বললো, ” এই কৈ মাছের আত্মা নিয়ে তুমি আমাকে মারতে আসছিলে! ”
স্নাইপারকে বলতে না দিয়ে বের হতে হতে নিজেকে নিজেই বললো, ” প্রফেশনে নতুন।”
সোমবার সকাল প্রায় ১০ টার কাছাকাছি।
কেরানীগঞ্জের বড় বাড়িটার তিন তলার ড্রয়িং রুমে বসে আছে কয়েকজন।
তারা ডিল নিয়ে কথা বলছে।
হঠাৎই একটা মেয়ের আওয়াজ পেলো, ” হোয়াটস অ্যাপ গাইস? ”
সবাই অবাক হয়ে তাকালো।
একজন দাঁড়িয়ে বলে উঠলো, ” মিস সিক্রেট! ”
মিস সিক্রেট : আরে আমাকে বসতেও বলবেন না। কত কষ্ট করে ঢুকতে হলো জানেন!
সবাই তার দিকে বন্দুক তাক করে আছে।
আরেকজন রেগে বলে উঠলো, ” আপনি না বলেছিলেন বিকেলে অ্যাটাক করবে! বিশ্বাসঘাতক। ”
মিস সিক্রেট : আরে, আরে। বন্দুকগুলো নামান ভয় পাচ্ছি তো।
বলতে বলতে একটা চুটকি বাজালো।
সাথে সাথে তার উপর যারা বন্দুক তাক করেছিলো তাদের পিছনে বন্দুক তাক করলো মিস সিক্রেটের ফোর্স। মূলত মিস সিক্রেট বারান্দা দিয়ে আগে রুমে এসেছে। পরে ফোর্স দরজা দিয়ে এসেছে।
রাজিব বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললো, ” ম্যাম, দেখেছেন আমি ওদের কনফিউসড করে দিয়েছি। ”
উপস্থিত সবাই দাঁত কিড়মিড় করে তার দিকে তাকালো।
মিস সিক্রেট হেসে বললো, ” অনেক ভালো কাজ করেছেন। এরজন্য আপনাকে সম্মান দেওয়া হবে। ”
স্পেশাল ফোর্সকে উদ্দেশ্য করে বললো, ” আপনারা যান প্লিজ। ”
তারা গিয়ে সবাইকে এরেস্ট করলো। মিস সিক্রেটের সাথে এসেছে দুইজন গোয়েন্দা অফিসার ও স্পেশাল ফোর্স।
একজন গোয়েন্দা অফিসার বললো, ” আপনি জানতেন রাজিব বেঈমানী করবে। ”
মিস সিক্রেট অবাক হয়ে বললো, ” অবশ্যই।”
আরেকজন গোয়েন্দা অফিসার মুখ ফঁসকে বললো,” কিভাবে? ”
মিস সিক্রেট বিরক্ত হয়ে বললো, ” আপনি আমার সিক্রেট টিম সম্পর্কে জানেন না? ”
অফিসার : সরি ম্যাম। ভুলে গেছিলাম আপনি কতটা পাওয়ারফুল।
মিস সিক্রেট : সরি বলারো কিছু হয়নি!
মিস সিক্রেট সবার যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে আছে।
মিস সিক্রেট মনে মনে বললো, ” এরা অপরাধ কেন করে শুধু শুধু আমাকে ডিস্টার্ব করার জন্য! ”
মিস সিক্রেট গাড়িতে বসে আছে আর ইরফান গাড়ি ড্রাইভ করছে।
ইরফান : ম্যাম, কি দিলেন!
মিস সিক্রেট অবাক হয়ে বললো, ” কি দিলাম? ”
ইরফান : বিকেলে বলে সকালে অ্যাটাক করলেন।
মিস সিক্রেট : এটাকে বলে ধোঁকা।
ইরফান : ম্যাম, আপনি আগেই জানতেন ওরা সকালেই মিটিং করবে তাইনা!
মিস সিক্রেট : হুম। আমার টিম আমাকে আগেই খবর দিয়েছে।
ইরফান : আপনি তো সব খবরই রাখেন। কিন্তু আমি যখন বলি তখন আপনি না জানার ভান করেন কেন?
মিস সিক্রেট : জানি না।
ইরফান আর কিছু বললো না। কিছুক্ষণ নিরবতা বিরাজ করলো। নিরবতা ভেঙ্গে মিস সিক্রেট বললো, ” কালকে সকালে অামি কোনো কাজ করবো না। ”
ইরফান : কেন ম্যাম?
মিস সিক্রেট : শুধু কালকে না। শুক্রবার ও শনিবার ব্যতিত আমি এক দুপুর কোনো কাজই করবো না।
ইরফান : বাট ম্যাম…
মিস সিক্রেট কথার মাঝখানেই বললো, ” নো বাট নো হোয়াট। ”
ইরফান : ম্যাম আপনার তো কালকে কাজ আছে।
মিস সিক্রেট : ক্যান্সেল করে দেও।
ইরফান টেনে বললো, “ম্যাম………”
এতক্ষণ মিস সিক্রেট মজা করলেও এবার রাগী চোখে তাকালো।
কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে সেভাবেই বললো,” তুমি আমাকে ফেল করাতে চাচ্ছো? ”
ইরফান অবাক হয়ে মিস সিক্রেটের দিকে তাকায়ি , ” মানে? ”
মিস সিক্রেট : আরে, সামনে তাকাও। আমাকে এক্সিডেন্ট করে মারতে চাচ্ছো নাকি! ইরফান সামনে তাকিয়ে বললো,” ম্যাম, আপনি ফেল করবেন মানে? কিসে ফেল করবেন? ” মিস সিক্রেট : মানে কিচ্ছু না। আমি এক দুপুর কোনো কাজ করবো না দেটস সিট। ইরফান আর কিই বা বলবে! সে মিস সিক্রেটকে খুব ভালো করে চিনে। বলেছে তো বলেছেই। আর সে একজন এসিস্ট্যান্ট হয়ে জোর তো করতে পারে না। এরপর আর তাদের কথা হলো না। পাবলিক ওয়াশ রুমের সামনে মিস সিক্রেটকে নামিয়ে ইরফান গাড়ি নিয়ে চলে গেলো। #চলবে.,.