Dangerous_Villian_Lover
part 4
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
রাহুল ছোয়া কোলে করেই হসপিটালে ঢুকে। সবাই তো হা করে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিকে। কারণ সবাই রাহুলকে চেনে সে যে কতো বড় মাফিয়া সবাই জানে। সবাই রাহুল কে ভয় পায় প্রচুর সাথে এটাও জানে রাহুল কোন মেয়ের সাথে সম্পর্কে নেই। আজ হঠাৎ একটা মেয়ে কোলে করে হসপিটালে আসায় সবাই অবাক হয়ে দেখছে।
ডাক্তার নার্চকে ডাক্তাছে রাহুল পাগলের মতো করছে ডাক্তার তারাতারি তার কেবিনে থেকে বেরিয়ে এলো চিৎকার শুনে। বাইরে এসে রাহুলকে দেখে সে ভয়ে আতকে গেল। সে ভয়ে ভ য়ে দাঁড়িয়ে আছে সামনে আসতে পারছে না হঠাৎ রাহুলের পাশের দুজন গিয়ে ডাক্তারের কাছে এলো।
রাহুল ছোঁয়াকে কেবিনে নিয়ে শুয়ে দিলো। আর রাহুল লোক দুজন ডাক্তার কে টেনে নিয়ে এলো রাহুলের সামনে। রাহুল ডাক্তারকে দেখেই শার্টের কলার ধরে বলতে লাগল……….
— এই তুই আসতে এতো লেট করলি কেন তোর জন্য যদি আমার মায়াবতীর কিছু হয় তাহলে তোকে জানে মেরে ফেলবো।
— বস ছারুন আগে ম্যডামকে দেখতে তো দিন?
রাহুল ছেড়ে দিয়ে আবার ছোঁয়ার পাশে গিয়ে ওর হাত ধরে রইল। ডাক্তার ছোঁয়া কে দেখতে গিয়ে বলল… আপনি যদি একটু সরে বসতেন তাহলে দেখতে সুবিধা হতো।
— কি বললি তুই আমি সরে বসবো?
ডাক্তার ভয়ে আর কিছু না বলে ওইভাবেই দেখতে লাগল…
— তারাতারি বল কি হয়েছে ও চোখ খুলছে না কেন আগে তো অজ্ঞান হলে পানি দিলেই জ্ঞান ফিরতো আজ খুললো না কেন?
— স্যার ওনার তেমন কিছু হয়নি।
— কিছু হয়নি তাহলে চোখ খুলছে না কেন তুই আমাকে মিথ্যে বলছিস না তো..!
— না ওনার শরীর দূবর্ল তাই দেরি হচ্ছে দশ মিনিটের মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে।
— ঠিক বলছিস তো।
— জি
রাহুল কথাটা শুনে যেন শান্ত হলো। ডাক্তার কে হাতের ইশারায় চলে যেতে বলল। ডাক্তার যেন বাচলো এক ছুটে পালিয়ে গেল আর কিছু ক্ষণ থাকলে ভ য়েই মরে যেতে কি ভয়ংকর। কি ডেস্পারেট কে এই মেয়ে।
.
.
এদিকে
জেসি কে দুইজন লোক ঘিরে রেখেছে। একটু নরতে দিচ্ছে না। দুজনের হাতে বন্দুক ভয়ে জেসির গলা বারবার শুকিয়ে আসছে কিন্তু কিছু বলতে ও পারছে না। বললেই বুঝি গুলি করে দেবো ভয়ে ভয়ে আছে আবার ছোঁয়া জন্য ও চিন্তা হচ্ছে কে এই ছেলে এ তো মাফিয়া সে হঠাৎ ছোঁয়া কে নিয়ে এমন করছে কেন ছোঁয়ার কোন ক্ষতি করবে না তো। কী করে বাচাবো ছোঁয়া কে এরা তো আমাকে নরতেই দিচ্ছে না।
ব্যথ চোখে তাকালো খাচর লোকগুলোর দিকে।
.
.
রাহুল চিন্তা মুক্ত হয়ে তার মায়াবতীর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কখন চোখ খুলবে তার মায়াবতী হাত দুটো নিজের হাতের মাঝে ধরে রেখেছে আর একটু পর পর চুমু দিচ্ছে। হঠাৎ দেখলো ছোঁয়ার হাত নরে উঠলো…
রাহুলের খুশি দেখে কে মুখ ডাকতে হবে তার আগে একবার মায়াবতীকে না ছুতে পারলেই নয়। তাই মাথা উচু করে ছোঁয়ার মুখের কাছে নিয়ে নিলো তারপর ছোঁয়া কপালে গালে চুমু একে দিলো।সরে আসতে যাবে ঠোঁটে চোখ পরলো না পারবে না রাহুল ঠোটে চুমু খেতে লাগল…..
ছোঁয়া আস্তে আস্তে চোখ খুলে নিজকে একটা রুমে পায় ধোম বন্ধ হয়ে আসছে তাকিয়ে দেখে একটা অপরিচিত লোক ওকে চুমু দিচ্ছে এটা দেখে ছোঁয়া তো ৪৪০ ভোল্টেজের শক খায় আর সঙ্গে সঙ্গে লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। তারপর নিজের হাত দিয়ে ঠোট মুছতে থাকে।
রাহুল ছোঁয়া ঠোঁটে চুমু দিচ্ছিলো খেয়াল ই নেই এখন এমন কিছু করতে চায় নি কিন্তু ওর মায়াবতী সামনে থাকলে নিজেকে কন্টোল করতে পারে না। হঠাৎ ধাক্কায় জ্ঞান ফিরল তাকিয়ে দেখে ছোঁয়া আগুন চোখে তাকিয়ে ঠোট মুছছে এটি দেখে রাহুল রেগে যায়।
— এসব কি আর কে আপনি আমাকে এভাবে টাচ করেছেন আপনার সাহস য়ো কম না।
— আমি কে?
— হ্যা কে আপনি বলুন?
— আমি তোমার ভিলেন লাভার!
— হুয়াট
ছোঁয়া তো অবাক হয়ে শুনছে ভিলেন লাভার এটা কোথায় যেন ওহ হ্যা ওই ম্যাসেছের মধ্যে তো এটাই লেখা ছিলো তাহলে কি এই লোকটাই আমাকে ম্যাসেজ করেছে। এসব কথা মিলাচ্ছিল ছোঁয়া আবার কেউ ঠোটে টাচ করলো দেখে ওই লোকটা। ছোঁয়া রেগে ধাক্কাচ্ছে কিন্তু সরাতে পারছে না এতো জোরে ধরে রেখেছে। কিল ঘুসি দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু এক চুল পরিমাণ নরাতে পারছে না ছোঁয়া এবার কেদেই দিলো এমন কিছু হওয়ায় চোখ দিয়ে পানি পরছে।
হঠাৎ চোখের পানি পরায় রাহুল সরে আসলো ছোঁয়ার থেকে।
— জান তুমি কাদছো কেন কি হয়েছে?
ছোঁয়ার হাত ধরে চোখ মুছে দিয়ে।
— ডোন্ট টাচ মি; আপনি আমাকে ছুবেন না ছি ছি ছি আমার ঠোঁটটা খেয়ে ফেললেন এভাবে কেউ ধরে।
বলেই ঠোট মুছতে যাবে। রাহুল হাত ধরে ফেলল….. একদম এই কাজটা করো না তাহলে আবার কিস করবো।
— মানে….!
— তুমি ঠোট মুছলে আবার আমার ছুয়া দিয়ে দেবো তাই এটা করা থেকে বিরত থাকো।
ছোঁয়া কান্না বাদ দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে এ কোন সাইকোর পাল্লায় পরলাম রে বাবা। ছোঁয়া জেসর কথা জিগ্গেস করলে রাহুল ওর লোকদের জেসিকে নিয়ে আসতে বলল।
জেসি এসেই ছোঁয়া কে দেখেই দৌড়ে এসে জরিয়ে ধরে বলতে লাগল……
— ছোঁয়া তুই ঠিক আছিস। এই মাফিয়া তোর কোন ক্ষতি করে নি তো।
— করে নি আবার এই লোকটা আমার এই
বলেই চুপ করে গেল। ঠোঁটে কথা বলবে কি করে এদিকে রাহুল তো হা করে তাকিয়ে ছিলো ছোঁয়ার দিকৃ এইবুঝি বলে দেয় কিন্তু না মাথায় বুদ্ধি আছে বললো না।
রাহুল ছোঁয়া দের বাড়ি পৌঁছে দিতে চাইলে ছোঁয়া যাবি না বলে। তাই রাহুল আবার আগের মতো কোলে নিয়ে হাটতে লাগল…..
ছোঁয়া নামার জন্য ছটপট করছে কিন্তু নামতে দিচ্ছে না জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে নিলো।
চলবে……