Dangerous_Villain_Lover part 27

0
3043

Dangerous_Villain_Lover
part 27
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

আববুকে দেখে এসে কিছুটা ভালো লাগছে। কত দিন পর আববু কে দেখলাম। বারান্দায় বসে আছি বিকেল এখন চারটার মতো বাজে ভাইয়ার কথা গুলো ভাবাচ্ছে ভাইয়া বলেছে আববু কোথায় সেটা দেখে জানাতে এখন আমি তো কোথায় জানি না কিন্তু আমি সিউর আববু এই বাড়িতেই কোথা ও আছে কারণে কালকে রাহুল আমাকে কোন গাড়ি করে কোথায় ও নিয়ে যায় নি। তাই আমি নিশ্চিত এখানে আছে কিন্তু কোথায় খুজে দেখতে হবে। রাহুল কোথায় গেছে জানি না ও কোথায় গেলে ও দশ পনেরো মিনিটের মধ্যে আবার ফিরে আসে এখন কিছু করা যাবে না।

বিকেল ভর ওখানেই বসে ভাবতে আছি এর মাঝে রাহুল আসে।কোন দিকে না গিয়ে ভালোই হয়ে ছে রাহুলের কাছে ধরা খেতাম। উঠে রুমে চলে এলাম রাহুল নেই মনে হয় বাথরুমে গেছে আমি খাটের কোনায় বসতে গিয়ে আবার ফোনটা চোখে পরলো। ধরতে গিয়ে ও থেমে গেলাম সেদিন যে ভয় টা পেয়েছিলাম আজ আর ধরুম না। আগে আববু কে খুজে নেই তারপর। ভাইয়াকে জানিয়ে দেব।

রাহুল ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে চুল নারতে লাগলো আমি একবার তাকিয়ে চোখ সরিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। ডয়িং রুমে এসে বসলাম আমি একাই আছি এমন একা কারো ভালো লাগে অসহ্য লাগে জাস্ট বাইরে তো বের হতেই ভালত লাগে না একদিন বাগানে যেতে ছিলাম ভ য়ে আবার ঘুরে চলে এসেছী সবাই কেমন কালো পোশাক পরে হাতে বন্ধুক নিয়ে দাড়িয়ে আছে মনে হয় রোবক কেউ কারোদিকে তাকায় না।
বসে বসে ভাবছি হঠাৎ জোরে চিৎকার শুনে চমকে উঠে দাড়ালাম….
রাহুলের কণ্ঠ পাচ্ছি আমার নাম করে ডাকছে। রুমে না পেয়ে এমন করছে সব সময় তার সামনে থাকতে হবে আমাকে অসহ্য কিন্তু মুখ বুজে সহ্য করতে হচ্ছে।

পরদিন আমি খাটের কোনে বসে রাহুলকে দেখছি আর রাহুল রেডি হচ্ছে সবকিছুই নিয়ে। রেডি হয়ে আমার কাছ এসে একটা কথায় বলল….

– জান সাবধানে থেকো বাসার বাইরে একেবারে যাবে না বুঝছো। আর আমার আজকে আসতে একটু সময় লাগবে নিজের খেয়াল রাখবে ওকে।

আমি মাথা দুলিয়ে হুম জানালা রাহুল মুচকি হেসে আমার কপালে চুমু খেয়ে বেরিয়ে গেল। আমি তো এই সুযোগের জন্য ই ছিলাম দেরি হবে তাহলে আববু কে খুজতে থাকি হুম তাই করতে থাকলাম কিন্তু আমাদের রুমের পূর্বের একটা রুম আছে যেটায় তালা দেওয়া আমি সেটায় গেলাম কিন্তু তালা দেওয়া রুমে ঢুকবো কেমনে উপায় না পেয়ে ব্যথ হয়ে রুমে আসলাম নয়টা বাজে রাহুল বেরিয়েছে এক ঘন্টা হলো।

হঠাৎ চোখ গেল ড্রেসিং টেবিলের উপর রাহুলের ফোন দেখেই খুশিতে নেচে উঠলাম ভাইয়া ফোন দিয়ে বলি।
আর কিছু না ভেবে চরম ভুল করে বসলাম যা আমার জীবন সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সমোক্ষিণ হযে হলো। নিজেই এর জন্য দায়ি আর কেউ না সেইদিন ভাইয়াকে যদি না ফোন করতাম এখন আমি এখানে থাকতাম না।

সেদিন ভাইয়াকে ফোন দিয়ে বলি রাহুল বাড়িতে নেই আসতে লেট হবে। এটা জানার পর এক ঘন্টা বাদে ভাইয়া এসে উপস্থিত হয় বাড়িতে আমি খুশি মনে থাকি ভাইয়া আসবে বলে কিন্তু ভাইয়াকে দেখে অবাকের চরম সীমায় পৌঁছে যায় ভাইয়া গুন্ডা দের মতো ড্রেস আপ করে এসেছে হাতে বন্ধুক সাথে আরো কতো গুলো গুন্ডা বাড়ির র্গাড দের সাথে মারামারি করতে লাগে আমি বারান্দায় দাড়িয়ে দেখে ভয়ে শিউরে উঠি।

এখন বুঝেছি রাহুল আমাকে ঠিকই বলেছিলো ভাইয়া ও একজন মাফিয়া যেটা আমাদের সবার কাছে থেকে ভাইয়া লুকিয়েছে। আমি ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে আছি ভাইয়া একে একে অনেক গুলো মেরে ফেলছে আর বলছে
” রাহুল কে মিথ্যে কথা বলে দূরে পাঠিয়েছি সেখানে আমার সাথে যুদ্ধ করবে বলে বেচারা বসে আছে কিন্তু ও জানে ও না এখানে আমি এসে ওর সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যাবো। ”

এটা আমার ভাইয়া ভাবতেই আমি ভ য়ে মরে যাচ্ছি কি হিংস্র লাগছে। রাহুল এতো মারামারি করে কিন্তু কখনো ওকে এতো হিংস্র লাগে না একটা। আমি কতো বড় ভুল করলাম এখন রাহুল কে খবর কি করে দেব। রাহুল বলেছিল ও না ভাইয়া মেরেছে আমি বিশ্বাস করি নি এখন আমি সিউর ভাইয়া ই আববু ক্ষতি করেছে রাহুল না। কিন্তু দেরি তে বুঝলাম রক্তে বন্যা বয়ে যাচ্ছে রক্ত দেখে আমার মাথা ঘুরতে থাকে। তারপর আর কিছু মনে নেই চোখ খুলে নিজেকে একটা বিছানায় পায় কিন্তু এটা কোথায় অচনা জায়গা।

হঠাৎ দরজা খুলে ভাইয়া প্রবেশ করে তাকে দেখে ভ য় পেয়ে যায়।

– ততুমমি এখা নে

– ছোঁয়া তুই আমাকে ভ য় পাচ্ছিস কেন তুই তো চেয়েছিলি ওখানে থেকে আসতে আমি তো তোর ইচ্ছে পূরণ করলাম।

– না আমি আসতে চাই না আমাকে আবার রেখে আস আমি তোমার কাছে থাকবো না এটা কোথায় নিয়ে এসেছো আমাকে।

– এটা তো আমার বাসা নতুন কিনেছি দেখতো তোর পছন্দ হয় কিনা না হলে বল চেন্জ করে ফেলবো।

– আমি কিছু দেখবো না আমাকে বাড়িতে দিয়ে আস তুমি একটা মিথ্যে বাদী মাফিয়া আববু কে তুমি কষ্ট দিয়েছো আর বলেছো রাহুল।

– ছোঁয়া তুই সব জেনে গেলি কি করে?

– আমাকে রাহুল আগেই বলেছিল কিন্তু আমি বিশ্বাস করে ছিলাম না। আজকে তোমার ওঈ রুপ না দেখলে হয়তো বুঝতে ই পারতামনা।

– ভালোই হয়েছে জেনে গেছিস সবাই তো জেনে গেল তোর বাবা আই মিন আমার মামু ও জেনে গেছিল তাই তো আধমরা করেছি ভেবছিলাম মেরে দেব হঠাৎ তোকে আসতে দেখে রাহুল দিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে গেলাম যাতে সব দোষ রাহুলের হয় আর তুই রাহুল কে ভুল বুঝিস তাই তো হলো বল। আবার আম্মু জেনে গেছে তাকে আর তোর মাকে ও কাল মেরে দিয়েছি। এখন তোর বাবাকৈ ও মেরে দিয়ে এলাম এখন তুই ও জেনেছিস তোকে কি করা য় বলতো। মেরে দেবো না না এটা তো আমি করবো না কারণে আমি তো তোকে ভালোবাসি কি করে মারি বল তোকে বাচীয়ে ই রাখবো।
আর রইল রাহুল ওক মারতে পারলেই আমার সব শএু শেষ।

সব শুনে আমি পাথর হয়ে আছি আববু আম্মু ফুফি সবাই কে মেরে দিছে কী সব বলছে আবার রাহুলকেও। আমার মাথা ঘুরছে

– তুমি সবাইকে মেরে দিছো?

– হুম রে

– আববু তো রাহুলের কাছে ছিলো।

– ছিলো হসপিটালে মারতে গেছিলাম কিন্তু রাহুলের লোক এসে নিয়ে বাচিয়ে দিলো তার কি করবো বল বুঝছিলাম না হঠাৎ তুই ফুন দিলি আর বললি আমি তোকে বললাম আর তুই তাঈ করলি আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না কোথায় আছে তুই বলে সহজ করে দিলি। কিন্তু সমস্যা হলো তোর মা আর আর মা জেনে গেল সব আর আমাকে শাস্তি দিতে চাইলো কি করো বলো আমি মারতে চাইনি কিন্তু আমি কি করে নিজেকে শাস্তি দেয় ওদের বাচিয়ে রেখে তাই তত মেরে দিলাম।
আর মামুসকে কষ্ট করে ন য় সে তো গিড়ির ঝাকিতেই শেষ তুই তো ওজ্ঞান তখন তিন এভাবে ই ছিলি।

আমি আর কিছু ভাবতে পারলাম না চোখ বন্ধ হয়ে এলো গরিএ।য়ে খাটে পরে গেলাম।

চলবে❤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে