Dangerous_Villain_Lover part 25

0
2814

Dangerous_Villain_Lover
part 25
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

–হ্যালো কাজ হয়েছে?

–হুম বস আমাদের কাজ শেষ।

–গুড আজকের রাতটা ওইখানেই রাখ সাথে ডাক্তার আছে তো !

–হ্যা ডাক্তার নিয়েই এসেছি অবস্থা তো ভালো না ডাক্তার দের বন্ধুক দেখিয়ে ভয়ে রেখেছি যাতে কাউরে কিছু না বলে। ডাক্তার শিকার করেছে কাউকে কিছু বলবে না আর ভালো ভাবেই চিকিৎসা করবে।

— আচ্ছা কোন গন্ডগোল যেন না হয়?

— বস আসিফের লোক পিছে লেগেছিল একটুর জন্য ধরা পরিনি।

— ওই আসিফকে তো আমি খুন করে ফেলবো বাস্টার। ও যেন কোন ভাবেই ছোঁয়ার বাবার কাছে আসতে না পারে কাল আমি এসে একটা কিছু করবো সে পযর্ন্ত ছোঁয়ার বাবাকে দেখে রাখিস।

— আচ্ছা বস।

ফোন রেখে হাতে নিলো রাহুল ছোঁয়া বাবাকে কিডনাপ করেছে রাহুলের লোকেরা। সেই বিষয়ে কথা হচ্ছিলো এতোক্ষণ এখন একটা বাজে বারান্দায় থেকে রুমে আসার জন্য পিছনে ঘরতেই কেউ রাহুলের কলার চেপে ধরলো ঘটনা টা হঠাৎ ঘটায় রাহুল ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু ছোঁয়া কে দেখে অবাক হয় এখন ছোঁয়া জেগে কি ভাবে ওকে তো ঘুমের ঔষধ দিয়েছিলাম তাহলে জাগলো কি করে।

— জান তুমি জেগে গেছো?

— তুই কার সাথে কথা বলছিলি আববুকে তুই তুলে এনেছিস?

— কি বলছো ছোঁয়া এমন কিছু না আমি তো

— আমাকে মিথ্যে বলবি না আমি নিজের কানে শুনেছি। তুই আববু কে নিয়ে কথা বলছিলি সাথে ভাইয়ার নাম ও নিয়েছিস। কি করতে চাস তুই আববু কে মেরে ফেলতে আববুর কিছু হলে আমি তোকে খুন করে ফেলবো। আমার আববু কে ছেড়ে দে এমনিতেই আববুর অবস্থা ভালো নয়।

— জান আমার কথা শুনো আমি আন্কেলের কোন ক্ষতি করবো না বরং ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করবো তাই তো।

— কি বললি রক্ষা তোর মুখে এই কথা মানায় না তুই রক্ষা না খুন করতে চাইছিস। আমি তোকে ছারবো না ভেরে ফেলবো কি ক্ষতি করেছিলাম আমি তোর যার জন্য এতো কষ্ট দিচ্ছিস বল।

ছোঁয়া গলা টিপে ধরে কথা বলে চলেছে। রাহুল অনেক কষ্ট ছোঁয়া থেকে নিজেকে ছারিয়ে নিলো। ছোঁয়া একের পর এক কথা বলেই রাহুলের উপর ঢলে পরলো। ঘুম রে মাঝেই জেগে উঠেছিলো কিন্তু বেশিক্ষণ রইলো না জেগে থাকতে কারণে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে তাই সেই রিয়াকশণ রয়ে গেছে।

রাহুল ছোয়াকে রুমে এনে খাটে শুয়ে দিলো তারপর নিজেও পাশে শুয়ে পরলো।

পরদিন

ছোঁয়া ঘুমে থেকে উঠে নিজেকে কারো বুকে পায় তাকিয়ে দেখে রাহুল দেখা মাএ ওর চোখ মুখ শক্ত হয়ে আসে আর সঙ্গে সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে নিজের থেকে সরিয়ে দেয়। হঠাৎ ধাক্কা খেয়ে রাহুল চোখ খুলে তাকিয়ে অবাক হয় ছোঁয়া রাগী চেহারা দেখে।

— তোর সাহস কি করে হলো আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমানোর আর আমি ঘুমালাম কখন?

–জান তুমি খুব অভদ্র হয়ে তুই তোকানি করছো কেন সব সময়?

— কি বললি আমি অভদ্র হয়েছি? ভালো এবার আমি খুনি হবো?

— হুয়াট জান কি বলছো সকাল সকাল একে তে সুন্দর ঘুম নষ্ট করলে এখন খুনি হবে মানে কি জান?

–হুম তোকে মেরে ফেলবো বল আমার আববু কোথায় বল? আববুর কোন ক্ষতি করেসি করে থাকলে……

রাহুল ছোঁয়া মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে বলে।

— ছোঁয়া তোমার আববু এখন আমার কাছে তাই আমার কথা মতো না চললে তোমার আববুর ক্ষতি হবে আর যদি শুনো কিছু করবো না বুঝছো জান?

— উম উম উম

রাহুল বুঝতে পারলো ও ছোঁয়ার মুখ চেপে ধরেছে। সাথে সাথে মুখে থেকে হাত ছুটালো ছোঁয়া সঙ্গে সঙ্গে রাহুলের হাত মুঠো করে ধরে ফেলল……

— প্লিজ রাহুল আববুর কোন ক্ষতি করো না। আববু র কিছু হলে আমি মরে যাব?

— এই কথা বলো না জান তোমার কিছু হবে না আমি রাহুল থাকতে তোমার কিছু হবে না।

— আমার কথা না রাহুল প্লিজ আববু কে ছেড়ে দাও আমার জন্য আববু কে কষ্ট দিয় না কেন তুমি আববু কে এমন করে ফেললে। আমি তো তোমাকে কে ভালোবেসে ছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে ঠকীয়েছো কষ্ট দিয়েছে?

রাহুল কিছু বলল না ছোঁয়ার কথা শুনে যাচ্ছে। ছোঁয়া ভনে যে অভিমানের পাহার হয়েছে তা বুঝছে। কিন্তু এটা ভেবে ভালো লাগছে ছোঁয়া ওকৈ এখন ও ভালোবাসি বলেছে কিন্তু ওকে ঠক বাজ ভাবছে খুব তারাতারি তোমার কাছে থেকে আবার আগৈর ভালোবাসা আনবো জান।

বিকেলে

ছোঁয়া রুমে বসে আছে। রাহুল বলেছে কোন তেরিমেরি না করতে করলো আববুর ক্ষতি করে দেবে তাই কিছু করছে না। কোন ভাবেই আববুর কিছু কতে দেওয়া যাবেনা। রাহুল ছোঁয়ার বাবার কাছে গেছে এমন একটা জায়গায় রাখতে হবে যেখানে আসিফ পৌছাতে পারবে না।

রাতে

–জান খেয়ে নাও প্লিজ সব সময় খাওয়া নিয়ে এমন করো কেন? তোমার শরীর অসুস্থ হয়ে যাবে এমনিতেই তোমার শরীর অনেক র্দূবল।

— আমি খাব না তুই খা।

— ছোঁয়া আবার তুই তোকানি করছো?

— হ্যা করছি।

— তোমার আববু কিন্তু আমার কাছে আছে।

— তোকে আমি ছারবো না।

— ওকে ছারতে বলেছে কে সারাজীবন ধরে রাখো আমি তো তাই চাই।

— ইডিয়েট,

রাহুলের কথা শুনে ছোঁয়া খেতে লাগল কারণে ও চায় না ওর জন্য আববুর কোন কষ্ট হোক কিন্তু মনে মনে রাহুল গোষ্ঠী উদ্ধার করে দিচ্ছে। এখানে থেকে পালানো ও সম্ভব না আববু কে যে করেই হোক ওর কাছে থেকে বাচাতে হবে ভাইয়ার সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

খাওয়া শেষে রাহুল ছোঁয়া কে ছাদে নিয়ে এলো।

— এখানে কেন?

— আসো জোসনা দেখি।

— নাহ আমার ঘুম পাচ্ছে আমি ঘুভাবো আপনি দেখেন।

— আপনি একটু আগে না তুই বললা।

— হুম এখন থেকে আপনি করে বলবো।

— না তুমি করে বলো।

–ঘুমাবো আমি যাই।

–না দেখো না প্লিজ।

আমি জোর করে চলে আসলাম। ঘুমের কথা বলাতে রাহুল জোর করলো না কিন্তু মুখে কষ্ট স্পর্ট কিন্তু আমার খারাপ লাগছে না আগে হলে হয়তো খারাপ লাগতো কিন্তু এখন লাগছে না। এই মানুষ টাকে এক সময় ভালোবাসতাম ভাবতেই ঘৃণা হয়।

চলবে❤

[ ছোট বলে কেউ চিল্লাচিল্লি করবেন না ইনশাআল্লাহ নেক্সট পর্ব বড় করে দেবো ]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে