Dangerous_Villain_Lover
part 24
#Writer_Tanjina_Akter_Misti
ছোঁয়া একাধারে কেদেই চলেছে কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। রাহুল কাছে ঘেষলেই চিৎকার করে বাড়ি মাথায় নিচ্ছে আর খুনি বলে চলেছে। এখানে আসার পর থেকেই এমন পাগলামো করে চলেছে ছোঁয়া রাহুল ওকে দেখলে বেশি পাগলামি করে তাই বাইরে কিছু ক্ষণ বসে রইল কিন্তু এভাবে আর পারা যাচ্ছে না। ছোঁয়া একেকটা চিৎকার ওর বুকে শিকের মতো বিধছে। বসেনা থেকে উঠে রুমে যাওয়া ধরলো কে জানে আবার কি করে বসে।
দরজা খুলে ভিতরে উকি দিয়ে দেখলো ছোঁয়া কেদে চলেছে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে।
রাহুল এগিয়ে গিয়ে ছোঁয়ার পাশে বসলো হাত নিয়ে ছোঁয়া দুগালে রাখলো। ছোঁয়া শান্ত দৃষ্টি তে রাহুলের দিকে তাকালো। রাহুল ছোঁয়া চোখের পানি আগুল দিয়ে মুছে দিতে যাবে হঠাৎ ছোঁয়া মুখে অগ্নি র্মূতি ধারণ করে ধাক্কা ইয়ে বসলো রাহুল কে আচমকা ঘটনায় রাহুল নিজেকে সামলাতে পারলো না নিচে পরে গেল। খাটের কোনায় লেগে মাথায় ব্যাথা ও পেল কিন্তু সেদিকে রাহুল খেতাল নেই ছোঁয়া যে ধাক্কা দিতে গিয়ে নিজে ও নিচে পরে গেছে সে আছে ছোঁয়ার চিন্তায় উঠে দৌড়ে ছোয়ার কাছেগেল।
ছোঁয়া কি হয়েছে দেখি কোথায় লেগেছে কিন্তু ছোঁয়া কথা না বলে চোখ বন্ধ করে আছে। রাহুল গালে হাত দিয়ে একমনে ডেকে চলেছে চিৎকার করে কিন্তু ছোঁয়া চোখ খুলছে না। রাহুলের চিৎকার শুনে সব র্গাডরা রুমে ছুটে আসে এমন অবস্থা দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। রাহুলকে কোন মেয়ের জন্য এমন কাদতে দেখে। সুমন এসে রাহুল কে শান্ত হতে বলে আর ডাক্তার কে কল করে আসতে বলে। রাহুল নিজেকে শান্ত করে ছোঁয়া কে কোলে করে খাটে শুইয়ে দেয়।
— জান চোখ খুল? কি হয়েছে চোখ খুলো প্লিজ তোমাকে এভাবে চুপ থাকতে দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে প্লিজ কথা বলো মারো আমাকে।
কথা বলে যাচ্ছে রাহুল ডাক্তার এলে অনেক বলে হাত ছারিয়ে সরিয়ে আনে সুমন। ডাক্তার দেখতে বসে রাহুল একটা পর একটা কথা বলে যায় এভাবে এটা করে ওটা করেন ইনজেকশন দিতে যাবে রাহুল ছুটে যায় কিছু তেই দিতে দিবে না। বলছে আমার মায়াবতী ব্যাথা পাবে।
— আপনি এমন করলে আমি কিছু করতে পারবো না। এতো যেহেতু ব্যাথা পাবে তাহলে আমাকে এনেছেন কেন সব কিছু তেই আপনার এটা না ওটা।
ডাক্তার কথাটা বলে রাহুলের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে গেল। রাগী চোখে তাকিয়ে আছে এবার ডাক্তার মিনমিন করে বলতে লাগে……
— সরি আসলে আপনি যেমন করছেন এমন করলে তো ওনার ক্ষতি হবে। আমাকে আমার কাজ করতে দিন।
— কি হয়েছে ওর ডাক্তার আমার মায়াবতির কি হয়েছে?
— ওনার শরীর প্রচণ্ড র্দূবল অনেক দিন ধরে ঠিক মতো খাবার খায় না। আর অনেক টেনশন করে যার জন্য এমন হয়েছে ওনাকে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করাতে হবে না হলে বড় কোন প্রবলেম হবে।
প্রবলেমের কথা শুনেই রাহুল ডাক্তাররের কলার চেপে ধরে। সুমন অনেক কষ্টে হাত ছাড়িয়ে সরিয়ে আনে রাহুল বকেই যাচ্ছে।
.
.
ছোঁয়া মিটিমিটি কএ চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে ওর হাত রাহুল ধরে রেখেছে। আর এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে ওর দিকে ছোঁয়া তাকাতেই রাহুলের মুখ জলমল করে উঠে রাহুল ছোঁয়া মাথা টেনে বুকের মাঝে চেপে ধরে।
— জান এতো নড়াচড়া করো না প্লিজ। আমার খুব এই বুকে জ্বলছে খুব একটু শান্ত হয়ে থাক পা প্লিজ?
— ছার বলছি আমি কোন খুনির বুকে থাকতে চাইনা। তোর জন্য আমি আববু কে হারাতে বসেছি।
–জান তুমি আমাকে ভুল বুঝছো আমি কিছু করি নি?
— আমি নিজের চোখে সব দেখিছি।
— তোমার দেখায় ভুল ছিলো জান।
— আমি কোন ভুল দেখিনি। ছার তুই ছার।
ছোঁয়া ছুটাছুটি করতে আছে কিন্তু রাহুল শক্ত করে ধরে রইল।
রাতে
রাহুল ছোঁয়া খাবার রুমে নিয়ে এলো। ছোঁয়া কে খেতে দিচ্ছে খাবে না।
— রাহুল আমাকে যেতে দে বলছি তোকে আমি কখনো ক্ষমা করবো না এভাবে জোর করে আটকে রেখে তুই কি প্রমাণ করতে চাইছিস। ভালোবাসি এই মিথ্যে ভালোবাসা কেন দেখাচ্ছিস?
— আমি কোন মিথ্যে ভালোবাসা দেখাচ্ছি না জান তুমি সেটা ভালো জানো।
— নাহ আমি কিছু জানি না। একজন মাফিয়া গুন্ডার কিছু আমি জানি না। যাকে আমি ভালোবাসতাম সে তুই না তুই তো একটা খুনি পাষাণ তোর জন্য আববু এতো কষ্ট পাচ্ছে। আম্মু আমাকে এতো কথা শুনালো কষ্ট পেয়ে চলে গেল মেয়ে বলে অশিকার করলো ভালোবাসলে আমার এতো ক্ষি করতি না তুই। এখন এসেছিস খাওয়াতে
রাহু নিরব ভাবে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার মনে যে পাহার সুমান অভিমাণ জমেছে রাহুল বুঝতে পারলো। এখানে ঘৃণা পায়নি এখনো ভালোবাসে ছোঁয়া আমাকে ভাবতে আনন্দে মনটা নেচে উঠলো। ছোঁয়া কথা বলে যাচ্ছে রাহুল ফট করে মুখে ঢুকিয়ে দিলো।
চলবে ❤
[ ভুল – ক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]