Dangerous_Villain_Lover
Last_Part
#writer_Tanjina_Akter_Misti
চোখ খুলে খাটেই পেলাম নিজেকে উঠে বসলাম। নিজেকে পাগল পাগল লাগছে সব শেষ আববু আম্মু সবাই আমার জন্য আমার ভুলের জন্য এতো বড় শাস্তি পেল। আমি সবাইকে মেরে ফেললাম হাটুতে মুখ গুজে একাধারে কেদে চলেছি। কেন আমি ভাইয়াকে বিশ্বাস করতে গেলাম কেন আপনজনকে বিশ্বাস করা ভুল আমি সেটা টের পাচ্ছি। ভাইয়া কাকে বলছি ওই নর পশু কারো ভাই না না র্করো ছেলে ফুফি কে ও ছারে নি। এতো খারাপ মানুষ কি করে হয় না ও মানুষ ও না জানোয়ার হয়ে গেছে। রাহুল ও কি এমন ও তো মাফিক না আমার রাহুল এতো পাষাণ হতেই পারে না আমার রাহুল ওর মতো জানোয়ার না।
কি করবো আমি আমার বেচে থেকে কি হবে যার জন্য সবাই মরে গেল সে বেচে থাকা উচিত না আমি মরে যাবো মরে গেল মৃত্যু প্রতিশোধ নেব কি করে? মরার আগে আমি ওই পাষাণকে মেরে দেব কি করে মারবো। জানি না কিছু জানি না যেভাবেই হোক ওই ভাইয়া নামক শএু কে মেরে তারপর মরবো। আমাকে পারতেই হবে যার জন্য আমি এতিম হয়েছি তাকে আমার মারতেই হবে ও বেচে থাকলে আর ও অনেক নির্রহ মানুষের প্রাণ যাবে।
একবার মারবে ভাবছে তত একবার মারবে না ভাবেছে। ছোঁয়া পাগলের মতো কাদছে আবার কাদা বন্ধ করে হেসে মারতে চাইছে। মাররে তো আমি খুনি হয়ে যাবো আমি খুনি। ভেবে আবার হাসছে।
আসিফ রুমে এসে ছোঁয়া কে এভাবে বিরবির করতে দেখে একবার হাসে তো একবার কেদে উঠে। ভ্রু কুচকে তাকিয়ে এগিয়ে আসে হাতে বিয়ের ড্রেস আর গহনা এনে খাটে রেখে ছোঁয়ার মাথায় হাত দিয়ে ডাকে ” ছোঁয়া ” এই দেখ তোর পছন্দের ড্রেস এনেছি লাল রঙের লেহেঙ্গা তুই তো তাই চেয়েছিলি আগে বলতি মনে আছে। বলেই লেহেঙ্গা ছোঁয়ার দিকে মেলে ধরে দেখাতে ছোঁয়া মাথা তুলে একবার লেহেঙ্গার দিকে তাকায় তারপর সেটা হাতে নিয়ে নেয়। আসিফ তো খুশি তে বাচে না মনে হচ্ছে ছোঁয়ার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু ওর আশায় জল ঢেলে দিয়ে ছোঁয়া সেটা মেঝেতে ফেলে দেয়। যা দেখে আসিফ চিৎকার করে উঠে বকতে লাগে।
উপরোক্ত ছোঁয়া কিছু বলে না মাথা নিচু করে বসে থাকে। ও ভাবেছে কি ভাবে মারা যায় আচ্ছা চাকু থাকলে গলায় বসিয়ে দেব কিন্তু চাকু পাব কই। না এটা বাদ বন্ধুক আছে সবার কাছে এখানে আমাকি যেভাবে সেটা হাতে নিতে হবে।
— ছোঁয়া তুমি ড্রেসটা ফেলে দিলি। কি হলো কথা বল এভাবে মাথা নিচু করে আছিস কেন? তুই যার কর না কেন বিয়ে তো আজ হবেই সেটা তুই চাইলে ও আর না চাইলে ও। তাই এখন আমি মাথা গরম করছি না এমনিতেই আজ আমার বিয়ে কতো দিনে সপ্ন আমার পূরণ হচ্ছে ভাবতে পারবি না সেই ছোট থেকে আমার এই একটাই ইচ্ছে তোকে বউ করা আজে সেটা পূরণ হচ্ছে। আমি আজ অনেক খুশি তাই চিৎকার চেচামেচি করবো না ভালো ভাবেই বলছি বেশি তেরেমেরি করিছ না একটু পর দুজন এসে তোকে রেডি করাবে চুপচাপ রেডি হয়ে নিবি।
একাই কথা গুলো বলে আসিফ বেরিয়ে এলো রুম থেকে। ছোঁয়া ওইভাবেই বসে রইল নরাচরা বাদ দিয়ে।
কিছুক্ষণ পর
দুটো মেয়ে এলো রুমে এসে ছোঁয়া কাছে গিয়ে ওকে উঠে দাড় করাতে চায় সঙ্গে সঙ্গে ছোঁয়া রেগে ধাক্কা দিয়ে উঠে মেয়ে দুটো দূরে সিটকে পরে।
— ডোন্ট টাচ মি?
— ম্যাম
— একদম আমাকে ছুবে না। আমি কিছু পরবো না কোন বিয়ে করবো না। যদি আমার কাছে আস না দুজন কেই মেরে ফেলবো।
— ম্যাম কি সব বলছেন? প্লিজ আমাদের কে আমাদের কাজ করতে দিন নয়তো স্যার আমাদের ক্ষতি করে দেব প্লিজ।
— লজ্জা করে মিথ্যে বলতে।
— আমরা মিথ্যা বলছি না ম্যাম বিশ্বাস করুন। এনারা আমাদের ধরে এনেছে কাজ ঠিক মতে না করলে বলেছে আমাদের ক্ষতি করে দিবে। প্লিজ আমাদের এতো বড় ক্ষতি করবে না আপনি রাজি না আমরা জানি কিন্তু এতে আমরা আপনাকে কোন হেল্প করতে পারবো না আপনি ইচ্ছৈর বিরুদ্ধে হলেও আমাদের জন্য রেডি হন প্লিজ।
ছোঁয়া চুপ করে ওদের কথা শুনলো। ও বুঝতে পারলো আসলেই যে নিজের মাকে মারতে পারে আপন জনদের মারে তার অন্য জন্য তো কোন মায়া নেই এই মেয়েদের ও তো যা খুশি তাই করতে পারে। আর তার জন্য আমি দায়ী থাকবো না আমি এটা হতে দিতে পারি না নিজের জন্য অন্যের ক্ষতি করতে পারি না।
দুজনের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে গেলাম বিয়ে তো করবোই না ওকে আমি খুন করবো কিন্তু তার জন্য এখন বসেসথাকলে এদের ক্ষতি হবে। দুজন মিলে আমার রেডি করে দিল।
মেয়ে দুটো চলে গেছে আমাকে রেডি করিয়ে দিয়ে ভাইয়া এসে আমাকে নিতে আমি কিভাবে বন্ধুক নিবো সেই চিন্তায় আছি আমাকে দেখে নানা কথা বলল আমি চুপ করে আছি দরজায় কাছে এসে ভাইয়ার দিকে ঘুরে দাড়ালাম।
— কি হলো দাড়িয়ে পরলি কেন? যাই করিস না কেন বিয়ে হবেই তাই চল।
আমি কিছু না বলে ভাইয়াকে জরিয়ে ধরলাম আচমকা ঘটনায় ভাইয়া হতদ্বভ হয়ে গেল হয়তো ভাবে নি এটা তার ভাবনার বাইরে ছিলো।
— আর ইউ ওকে ছোঁয়া তুই আমাকে জরিয়ে ধরেছিস। তাহলে কি আমাকে মেনে নিয়েছিস?
আমি কিছু না বলে আবার ছেড়ে দিলাম। তারপর আগে আগে হাটতে লাগলাম।
— ছোঁয়া দাড়া?
–তারাতারি আসো বিয়ে করবে না?
— কিরে এতো তারাতারি পাল্টে গেলি কেমনে তুই? এদিকে কই যাচ্ছ।
— বিয়ের আগে চলো একবার ছাদে থেকে ঘুরে আসি?
— এখন না আগে বিয়ে তারপর সব।
— আমি তো বিয়ে করবোই চলো আগে একটু ছাদে থেকে আসি মনটা ফ্রেশ করে কান্না করে মুড নষ্ট হয়ে গেছে আমার।
ভাইয়া রাজি হলো দুজন ছাদে এলাম ভাইয়া তো খুলিতে গদগদ আমি সেই সুযোগটাই নিলাম ভাইয়া আগে আগে যাচ্ছে আমি পেছনে ঘুম ছাদে দরজা বন্ধ করে দিলাম। সবার সাথে পেরে উঠবো না ভাইয়াকে একা করে তারপর করতে পারবো ।
ভাইয়া এগিয়ে যাচ্ছে আমি ছাদের দরজা বন্ধ করে ভাইয়ার দিকে বন্ধুক তাক করলাম হাত কাপছে আমার কি করে খন করবো আমি পারছি না সাহস হচ্ছে না ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছি না আমাকে পারতেই হবে।
চোখ বন্ধ করে খুলি করলাম সব কি শেষ আস্তে আস্তে চোখ খুলে ভয় পেয়ে গেলাম হাতে থেকে ঠাস করে বন্ধুক পরে গেল ভাইয়া আমার সামনে আগুন চোখে তাকিয়ে আছে আমি ভয়ে পিয়ে যাচ্ছি ভাইয়া আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি গুলি করলাম এ বাচলো কমনে।
— আমাকে তুই এই আসিফ কে মারবি তাই না। আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম তোর এই ভালো বিহেভ এ তাই তো যখন জরিয়ে ধরলো তখন ই টের পেয়েছি এটাহাতাতে ধরেছিস। ভালোবাসি বলে তোকে কিছু করিনি কিন্তু না তোকে তো বাচানো যাবে না আমাকে মারবি না তোকে বিয়ে নয় আজ খুন করবো।
বলেই ভাইয়া বন্ধুক উঠিয়ে আমার দিকে তাক করলো মরতে চাইছিলাম কিন্তু এখন নজের মৃত্যু কাছে এসে গেছে ভ য় নয় রাহুল কে দেখতে ইচ্ছে করছে আর কি কখনো দেখতে পারবোনা। ছোঁয়া পেছাতে পেছাতে একেবারে দেয়াল ঘেষে গেছে। আসিফ বন্ধুক ছোঁয়ার কপালে ধরে। হঠাৎ তীব্র শব্দ আসিফ বন্ধুক ভাথা থেকে সরিয়ে পেছনে ফিরে তাকায় সাথে ছোঁয়া চোখ খুলে তাকায় আর মুখে হাসি ফুটে উঠে সামনে দরজা ভেঙে রাহুল দাড়িয়ে আছে। ছোঁয়া আসিফ কে ধাক্কা দিয়ে রাহুলের দিকে ছোট লাগায় গিয়ে রাহুল কে জরিয়ে ধরে বুকে মুখ গুজে দেয় কতো দিন পর রাহুল কে পেয়েছে। শক্ত করে ধরে আছে রাহুল ছোঁয়া কে নিজের থেকে ছারিয়ে আসিফ সাথে লাগতে আসে পেছনে থেকে রাহুলের আর লোক আসে। বাইরের সবাই কে রাহুলের লোক আধমরা করে ফেলছে এখন সবাই আসিফ কে মারতেথাকে আসিফ এতো জনের সাথে পেরে উঠছে না। রাহুল সরে ছোঁয়া পাশে আসে।
— রাহুল ওকে আমি মারতে চাই প্লিজ সবাইকে বলো ছেড়ে দিতে। ও আমাকে এতিম করে দিয়েছে আমি নিজে ওকে শাস্তি দিতে চাই।
রাহুলের হাত ধরে। রাহুল এক ধারে ছোঁয়া র দিকে তাকিয়ে আছে ছোঁয়া কথা বলেই যাচ্ছে রাহুল কিছু না শুনে ছোঁয়া কে দেখে চলেছে কতো দিন পর মায়াবতী কে দেখতে পাচ্ছে ছোঁয়া কে টেনে বুকে জরিয়ে ধরে।
–রাহুল প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি ওই জানোয়ার কে বিশ্বাস করেছিলাম তোমাকে অবিশ্বাস্য করে। যার ফল সরুপ আমি আমার মা বাবা কে হারিয়েছি ও সবাইকে আমার কাছে থেকে নিয়ে নিয়েছে আমাকে ওকে মারতে দাও।
বলেই ছোঁয়া কাদতে লাগে।রাহুল ছোঁয়া কে ছেড়ে দিয়ে হাত ধরে নিয়ে যায় সবাই কে আসিফকে ছেড়ে দিতে বলে আসিফ নিচে পরে আছে পুরো শরীর রক্তে মাখা ছোয়া দেখে শরীর কাপে উঠে রাহুল ছোঁয়া রা হাতে বন্ধুক দেয় ছোঁয়া কাপা কাপা হাথে বন্ধুক হাতে নেয় চোখ বন্ধ করে গুলি করে রাহুলের হাত খামচে ধরে পেছনে ফিরে তাকায়।
একমাস পর
ছোঁয়া অনেক ড্রিপেশণে ছিলো সবাইকে হারিয়ে কিন্তু রাহুল সামলে নিয়েছে। ছোঁয়া রুমে বসে আছে হঠাৎ দরজা খুলে ছোঁয়া মা প্রবেশ করলো রুমে ছোঁয়া তো ভূত দেখার মতো চমকৈ উঠো। ভা তো মারা গেছে এখানে কোথায় থেকে এলো পেছনে রাহুল ও আছে মুখে হাসি।
— কি রে চমকে দিলাম আমাকে ভূত ভাবছিস নাকি?
— আম্মু তুমি কিভাবে?
— আমি মারা যাই নি সেদিন রাহুল আমাকে বাচিয়ে ছিল। তোর ফুফিকে ও বাচেতে চেয়েছিল কিন্তু আল্লাহ রাখে নি।
ছোঁয়া দৌড়ে এসে মাকে জরিয়ে কাদতে লাগলো মাকে পেলে ও বাবাকে আর পাবে না সে কিন্তু ভাকে পেয়ে একটু খুশি লাগেছে এভাবে বাবা ও যদি ফিরে আসতো কিন্তু তা সম্ভব না মরে গেলে কেউ ফিরে আসে না।
রাতে ছাদে ছোঁয়া আর রাহুল দাড়িয়ে আছে। ছোঁয়া রাহুলের কাধে মাথা দিয়ে আছে। আমি সামনের জোসনা ভরা আকাশ দেখছে।
রাহুল ছোঁয়ার হাত শক্ত করে ধরে আছে।
— রাহুল তুমি আমাকে ক্ষমা করেছো তো?
— আমি তোমাকে কখনো ভুলই বুঝি নি ক্ষমা কেন করবো ?
— এতো ভালো কেন বাস আমি তো তোমার বিশ্বাস করতে পারিনি?
— ওঈসব কথা বাদ ওইখানে তোমার দোষ নেই। আসিফ তোমায় ভুল বুঝিয়ে ছিলো তাই।
— আই লাভ ইউ রাহুল।
— লাভ ইউ টু মায়াবতী।
বলেই রাহুল ছোঁয়ার কপালে চুমু খায়। ছোঁয়া রাহুলকে জরিয়ে ধরে।
সমাপ্ত
[ যারা গল্প টাকে সাপোর্ট করেছেন সবাই অনেক অনেক ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য। কেমন হয়েছে জানাবেন ]