? Crush when cousin ?
#Part :6️⃣
Writer #Mohammed_Ayman_Ullah_Emon
.
.
.
.
.
.
আমি, “আহা কি কথা বলবা বলো এতো প্যাচানোর কি আছে।” বলতেই মা এসে আমাকে ডাক দিল “আচ্ছা তুই রাখ আমি তোর সাথে পরে কথা বলবো” বলে ফোন কেটে দিলাম।
আমি, “মা বলো কি বলবা।”?
মা, “বলতাছি সামনেই তো তোর রেজাল্ট দিবে তোর ফুপু বলছিল তোকে উনাদের ঐখানে যেয়ে উনাদের ব্যবসাটা দেখতে।”?
আমি, “মা সে সময় হলে দেখা যাবে আর আমি এইসব ব্যবসা বুঝি নাকি।” কথা বলতে বলতেই সোনম এসে ঘরে ঢুকলো।?
মা বলে উঠলো “কিরে মা!! তুই এই অসুস্থ শরীর নিয়ে আসলি কেন?””??
সোনম, “ভাল লাগছিল না মামী,, একা একা শুয়ে থাকতে। তোমরা কি নিয়ে কথা বলছিলে?”?
মা, “তেমন কিছু না,, ইমনকে বলছিলাম যে রেজাল্টের পর তোদের ব্যবসাটা দেখার জন্য।”??
সোনম, “জোড় করো না মামী,, উনার মনে চাইলে করবে না চাইলে নেই, আর তাছাড়া উনার বন্ধুর বাবা উনার জন্য জব ঠিক করে রেখেছেন উনারও হয়তো ইচ্ছে ঐটা করার।”
আমি, “এই তুই সব কিছু বেশী বুঝবি না। বললেই জব হয়ে যায় নাকি। দেখ মা আমি চাই আমার নিজের পরিচয়ে বড় হতে।”
মা, “তোর যা খুশি মন চায় কর আমার কি আমি আছি আর কয়দিন”, বলতে বলতে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
“এই,, তোকে এই শরীর নিয়ে এখানে কে আসতে বলেছে?”?
সোনম, “কেউ না! চলে যাচ্ছি, বললেইতো পার আমাকে তোমার সহ্য হয় না। প্রথম দিনই বলে দিতে আমি চলে যেতাম আম্মুর সাথে।”?
“দেখ সোনম সব সময় পাকনামো কথা বলবি না। আমার ভাল লাগে না।”??
সোনম, “সে আমি জানি আমার কথা তোমার ভাল লাগবে না আমিতো আর অর্পি না।”?? কথাটা বলার সাথে সাথেই আমার মাথাটা কেন জানি গরম হয়ে গেল,?? আমি সোনমকে থাপ্পর দিতে যেয়েও থেমে গেলাম।☹️?
সোনম কান্না করে দিয়ে?? “থামলে কেন?? মারতে থাপ্পর মার!!”???
“সোনম! তুই এখন এখান থেকে চলে যা।”?
সোনম চোখের পানি মুছতে মুছতে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। মেয়েটা কেন বুঝে না আমি ওকে ভালবেসে ফেলছি, কিন্তু এটা ঠিক না। ওর পরিবার আর আমার পরিবার বিষয়টা কখনোই মেনে নিবে না।
আচ্ছা আমি এতো কিছু ভাবছি, যদি দুই পরিবার মেনে নেয় তাহলে কি হবে? আমার এভাবে বার বার সোনমকে কষ্ট দেয়া ঠিক হচ্ছে না। ওকে কষ্ট দিতে যেয়ে বার বার নিজেই কষ্ট পাচ্ছি।
আমি এতো কিছু ভাবছি কিন্তু সোনম কি আমাকে ভালবাসে নাকি শুধুই মোহের জন্য এমন করছে?
আমাকে এটা বুঝতে হবে। আমার সাথে ও আগেতো এমন আচরণ করতো না।
ভাবতে ভাবতে ছাদে এ উঠতেই আবারও অর্পির ফোন।??
আমি “হুম বলো,”?
অর্পি, “কি করছো?”?
“এইতো ছাদে আসলাম।”?
অর্পি, “এই দুপুর বেলা ছাদে কেন?”?
“এমনি আসলাম, আচ্ছা কি যেন বলতে চেয়েছিলে বলো?”?
অপি, “না মানে বাবা বলেছিল যে তুমি কি জব করবে সত্যি সত্যি তাহলে বাবা সব ব্যবস্থা করবে।”?
“দেখ আগে রেজাল্ট বের হোক তারপর বুঝে তোমাকে জানাবো।”?
অর্পি: “আচ্ছা ঠিক আছে, আরও কিছু কথাছিল সামনা সামনি দেখাতে বলবো।”?
“আচ্ছা ঠিক আছে,, বইলো,, এখন রাখছি,,” বলে ফোন রেখে নিচে নেমে আসলাম।
রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে খাবার টেবিলে গেলাম যেয়ে দেখি সোনম খেতে আসেনি, মাকে বললাম “সোনম কই?? আসলো না এখনো।”??
মা, “ওর মনে হয় শরীর ভাল লাগছে না তুই ওকে ডেকে নিয়ে আয়।”
আমি ওর রুমে ঢুকে বললাম: “কিরে খাবি না?!”?
সোনম, “না খুদা নেই,”?
“খুদা নেই কেন?”?
সোনম, “ভাল লাগছে না তাই খুদা নেই।”?
“চল খেলে ভাল লাগবে।”?
“না খাবো না তোমরা খেয়ে নাও।”?
“চল বলছি!! খেয়ে ঔষধ খাবি।”?
সোনম: “আমি ঔষধ খাবো না।”?
“আরে ঔষধ না খেলেতো ভাল হবি না, আর ভাল না হলে ঢাকাও যেতে পারবি না।”??
সোনম, “যেতে হবে না আমার ঢাকা, মারা গেলে এখানেই কবর দিয়ে দিও।”?
“এই একদম চুপ!! উল্টা পাল্টা কথা ছাড়া মুখ দিয়ে আর কোন কথা বের হয় না তোর?”?
“উল্টা পাল্টা বলছি না, কেন আমি মারা গেলে কি তোমাদের বাড়ির পাশে একটু জায়গা হবে না আমাকে মাটি দেবার? অনেক খালি জায়গায়তো।পরে আছে সেখানে না হয় মাটি চাপা দিয়ে রেখ।”?
আমি রেগে? “তোকে আমাদের জায়গায় মাটি দিতে হবে কেন? তোর বাবা মা যেখানে মনচায় সেখানে মাটি দিবে না হয় জলে ভাসিয়ে দিবে তা আমার দেখার বিষয় না যতদিন এখানে আছিস ততদিন ভাল ভাবে খাওয়া দাওয়া করবি এটাই হলো কথা।”?
সোনম, “আমি খাই বা না খাই তাতে তোমার কোন সমস্যা নেই, তুমি তোমার মত করে খেয়ে নাও তাহলেই হয়। আর তোমাদের জায়গায় মাটি দিতে বলছি যেন মরার পরেও তোমাকে জ্বালাতে পারি।”?
“কেন আমাকে জ্বালানোর এত সখ কেন তোর?”?
“তাও তোমাকে বলার ইচ্ছে আমার নেই।”?
আমি ওর সাথে আর কথা না বাড়িয়ে সোজা ওর হাত ধরে টেনে বিছানা থেকে নামালাম, “যা এখন ফ্রেশ হয় আয় আমি বসলাম।”? সোনম দাঁড়িয়েই রইলো, আমি রাগে “তুই কি যাবি নাকি আমি জোড় করে ধরে নিয়ে যাবো।”?
সোনম আর কোন কথা না বলে সোজা ওয়াশ রুমে চলে গেল। কিছু সময়ের ভিতর ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আসতেই আমি বললাম “চল এবার
খাবার খাবি” বলে ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে চলছি।
সোনম, “ছেড়ে দাও মামী দেখবে।”?
“তোর মামী দেখলে সমস্যা কি?”?
সোনম, “কোন সমস্যা নাই ছাড় আমি ব্যথা পাচ্ছি।”?
আমি সোনমের হাত ছেড়ে দিলাম সোনম আমার সাথে হেঁটে হেঁটে খাবার টেবিলে আসলো।
মা, “কিরে মা শরীর কেমন এখন?”?
সোনম “ভাল মামী, জ্বর মনে হয় কিছুটা কমেছে।”
মা দুজনকে প্লেটে ভাত দিতে দিতে বললেন ঘরে বন্দী হয়ে থাকলে আরও বেশী খারাপ লাগবে তার চেয়ে বরং বাহির থেকে ঘুরে আছিস যদি শরীর ভাল লাগে দুজন মিলে।
সোনম, তোমার ছেলের এতো সময় কই আমাকে নিয়ে ঘুরবে। তার ঘুরার জন্য অনেকেই আছে।
আমি কিছু না বলে খাবার খেয়ে উঠে রুমে চলে আসলাম।
বিছানায় শুয়ে আছি কিন্তু আমারও কেন জানি কোন কিছুই ভাল লাগছে না। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না সোনমকে নিয়ে দুটানায় পরে গেছি। না পারছি দূরে ঠেলে দিতে না পারছি বুকে টেনে নিতে।
মা ঠিকই বলেছে ঘরে বসে থাকার চেয়ে বাহির থেকে ঘুরে আসাই ভাল কিন্তু সোনম কি যাবে আমার সাথে ওরতো জ্বর দেখি যেয়ে কমলো কিনা কমলে নিয়ে বের হবো। ভাবতে ভাবতে সোনমের রুমে চলে গেলাম।
সোনম শুয়ে আছে, “কিরে তোর জ্বর কমেছে?”
সোনম, “হুম কিছুটা।”
আমি, “ওহ চল ঘুরে আসি বাহিরে থেকে।”
সোনম, “না যাবো না তোমার সাথে।”
“কেন যাবি না?”
সোনম, “তখন কি বলেছিলে মনে নাই, তোমার কথা শুনি নাই বলে আমার জ্বর এসেছে এখন সব কষ্ট তোমাকে করতে হচ্ছে।”
“আরে আমিতো দুষ্টমি করে বলেছি। এখন রেডি হয়ে নে, দুজন মিলে পুরো শহর ঘুরবো রিক্সায় করে।”
সোনম, “আমার কোন ইচ্ছে নেই তুমি একাই যেয়ে ঘুরে বেড়াও।”
“বেশি কথা না বলে চুপচাপ রেডি হয়ে নে।”
সোনম, “পারবো না শরীরে শক্তি নাই উঠার।”
আমি “ধরে উঠাবো?”
সোনম, “খবরদার তুমি আমাকে স্পর্শ করবে না।”
“কেন করবো না? আর করলেই বা তুই কি করতে পারবি?”
সোনম, “অনেক কিছুই করতে পারবো তোমাকে মানা করছি ব্যস তুমি স্পর্শ করবে না।”
আচ্ছা দেখি তুই কি করতে পারিস বলে ওর হাতটা ধরতেই ও আমার হাতে মুখটা লাগিয়ে বললো “দিবো কামড়?”
“এই না না তোর দাতে অনেক বিষ, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।”
সোনম বিছানা থেকে নেমে একটা সাদা রং এ জামা বের করলো। তারপর ওয়াশ রুমে যেয়ে পরে বের হলো অপূর্ব সুন্দর লাগছিল সোনমে।
সোনম, “আমাকে কেমন লাগছে?”
হুম দারুণ কিন্তু কিছু একটার কমতি মনে হচ্ছে।
সোনম, “কি?”
আমি আয়নার সামনে থেকে টিপের পাতাটা নিয়ে ওর কপালে একটা টিপ পড়িয়ে দিয়ে “এবার ঠিক আছে।”?
সোনম, “তোমার খালি উসিলা আমাকে ছুঁয়ে দেবার।”
“তোকে ছুঁয়ে দিতে আমার উসিলা দরকার?”
সোনম, “হুম দরকারইতো।”
তারপর দুজন বের হয়ে রিক্সা নিলাম আমি ইচ্ছে করে এক কোনায় বসলাম।
সোনম, “কি ব্যাপার এতো কর্ণারে বসসো কেন?”
আমি: “তোর গায়ে স্পর্শ লাগবে তাই।”
সোনম, “ঢং এর কথা বইলো নাতো এদিকে আসো” বলে হাত ধরে টান দিয়ে ওর কাছে নিয়ে গেল। দুজনে মিলে রিক্সায় করে ঘুরতে ঘুরতে একটা কফিশপ এ যেয়ে বসলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।
কফির মগে চুমুক দিতে দিতে সোনম বললো “তোমাকে একটা কথা বলবো।”
আমি, “কি কথা বল।”
“না মানে আমাকে তোমার কেমন লাগে?”
আমি বুঝতে পাড়লাম সোনম কি বলতে চাচ্ছে তবুও না বুঝার মত করে বললাম: “হুম ভাল। তুইতো দেখতে অনেক সুন্দরি কেন কি হয়েছে হঠাৎ আজ তোর?”
সোনম, “আহা আমি সুন্দরি তা জানি। আমি অন্য কিছু জানতে চাই।”
“অন্য কিছু মানে তুই সোজা করে বল কি বলতে চাস?”
সোনম, “তুমি কি বুঝনা আমি কি বলতে চাই?”
“আরে কি সব শুরু করলি সোজা করে বল।”
সোনম, কফির মগটা জোড়ে করে টেবিলের উপর রেখে উঠে দাঁড়ালো।
“উঠলি কেন?”
সোনম, “ভাল লাগছে না চলো বাসায় যাই।”
সব বুঝেও আমাকে নিরব থাকতে হলো। আমার যা বুঝার দরকার ছিল যা জানার দরকার ছিল তা আমার জানা হয়ে গেছে। দুজনে মিলে বাসায় চলে আসলাম রিক্সায় সোনম আর একটা কথাও বলেনি।
দুই দিন কেটে গেল সোনম এর মাঝে মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে আজ আমার রেজাল্ট দিবে। আমি সকাল থেকেই রেডি হয়ে আছি। অর্পি একটু পর পর ফোন দিচ্ছে।
আমি মাকে বলে বের হলাম বাসা থেকে অর্পিকে সাথে নিয়ে ভার্সিটিতে পৌছে গেলাম। রেজাল্ট বের
হলো দুজনেই খুব ভাল ভাবে পাশ করেছি।
আমি অর্পিকে বললাম “তোমাকে আমার কিছু কথা বলার আছে”
অর্পিও বলে উঠলো “আমারও তোমাকে কিছু কথা বলার আছে।” বলে একে অপরের দিকে চেয়ে আছি।
To be continue………..