? Crush when cousin ?
#Part:: 5️⃣
Writer #Mohammed_Ayman_Ullah_Emon
.
.
.
.
.
“আমি সরি তোর সাথে এমন করার জন্য।”?
কথাটা বলার সাথে সাথেই সোনম আমাকে জড়িয়ে ধরে নিজের ঠোট দুটো আমার ঠোটে চেঁপে ধরে কিস করলো।??? আমার ঠোট থেকে ওর ঠোট সরিয়ে নিয়ে তারপর হাসতে হাসতে বলতে শুরু করলো: “আমিও সরি।”???
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না, তবে কি সোনম আমাকে ভালবেসে ফেললো? আর আমিও কি সোনম কে ভালবেসে ফেললাম? কিন্তু আমাদের পরিবার কি এই সম্পর্ক মেনে নিবে মনের ভিতর হাজারটা প্রশ্নের উৎপত্তি হলো। ❤️
ভাবতে ভাবতে রিক্সা বাসার সামনে চলে আসলো।
সোনম রিক্সা থেকে নেমে সোজা বাসার ভিতর চলে গেল। আমি রিক্সা বিদায় করে রুমে যেয়ে চেঞ্জ করে নিলাম। আমার কেমন জানি সোনমের সামনে যেতেই এখন ভয় লাগছে কি করতে কি করে ফেলে।
রাতে মা খাবার খেতে ডাক দিতে খেতে যেয়ে দেখি সোনম টেবিলে বসে আছে, আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। ☺️আমি কিছু না বলে খাবার খেতে বসলাম, মা খাবার দিচ্ছে প্লেটে সোনমের দিকে তাকাতেই সোনম আমাকে চোখ টিপ মেরে দিলো।? আমি মায়ের দিকে তাকালাম মা কিছু দেখেনিতো। না মা দেখেনি আমি কোন রকমে খাবার শেষ করে উঠে রুমে চলে আসলাম।
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
কিছু সময় রেষ্ট নিয়ে ছাদ এ চলে আসলাম গিটারটা হাতে নিয়ে। টুংটাং শব্দ করে গান গাইছি এমন সময় সোনম দুই মগ কফি হাতে ছাদে এসে একটা মগ আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো।? আমি কফির মগটা হাতে নিতে নিতে বললাম: “কি শুরু করলি তুই?”?
সোনম, “কই আমি আবার কি করলাম?”??
“এই দেখ তুই বুঝেও না বুঝার মত কথা বলবি না।”??
সোনম, “কি আশ্চর্য!! তুমি বলবাতো কি করেছি আমি?”??
“তুই কি করিস নি? রিক্সায় কি করলি আবার খাবার টেবিলেও চোখ টিপ মারলি আবার বলছিস কিছু করিসনি?”???
সোনম, “রিক্সায় ঐটাতো ঠান্ডা লাগছিল তাই তোমাকে জড়িয়ে ধরে ছিলাম আর খাবার টেবিলে চোখো পোকা গিয়েছিল হয়তো।”??
“দেখ আমার সাথে ইয়ার্কি করবি না। জড়িয়ে ধরেছিস নাকি অন্য কিছু তা তুই ভাল করেই জানিস।”??
সোনম, “ইয়ার্কি করছি না আমার এখনো ঠান্ডা লাগছে”…. বলেই আমাকে জড়িয়ে ধরলো।❤️❤️❤️❤️❤️
আমাকে জড়িয়ে ধরার সাথে সাথেই আমি অনুভব করলাম ওর শরীরটা ভীষণ গরম আমি ওর কপালে হাত দিতেই দেখি জ্বর এসেছে ওর।
“আমি তোর শরীরেতো অনেক জ্বর, তুই এই শরীরে বের হয়েছিস কেন?”??
সোনম, “কই এটা তেমন কিছু না, একা একা রুমে ভাল লাগছিল না তোমার গিটারের শব্দ শোনে তাই চলে আসলাম।”?
“এখন নেমে যা তাড়াতাড়ি।”?
সোনম, “না নামবো না তুমি গান শোনাও তারপর নামবো।”?
“দেখ পাগলামী করিস না, জ্বর আরও বেড়ে যাবে।”?
সোনম, “না বাড়বে না, তুমি গান শোনাও, then আমি নেমে যাবো।”?
আমি নিরুপায় হয়ে গিটারটা রেখে খালি গলায় গান ধরলাম।
?????????????
“শাওন–রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে, নয়নে বারি ঝরে।।
ভুলিও স্মৃতি মম, নিশীথ–স্বপন সম
আঁচলের গাঁথা মালা ফেলিও পথ ‘পরে।।
ঝুরিবে পূবালি বায় গহন দূর–বনে,
রহিবে চাহি’ তুমি একেলা বাতায়নে।
বিরহী কুহু–কেকা গাহিবে নীপ–শাখে
যমুনা–নদীপারে শুনিবে কে যেন ডাকে।
বিজলী দীপ–শিখা খুঁজিবে তোমায় প্রিয়া
দু’ হাতে ঢেকো আঁখি যদি গো জলে ভরে।”
?????????????
গান শেষ করে তাকিয়ে দেখি সোনম আমার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি ওকে ডাকবো কি ডাকবো না বুঝতে পারছি না। এদিকে ওর শরীর ও ভাল না। তাই ওকে না ডেকে আমি আস্তে করে ওকে কোলে তুলে নিলাম তখনো সোনম গভীর ঘুমে। আমি ছাদ থেকে নেমে সোজা ওকে ওর ঘরে নিয়ে শুয়িয়ে দিয়ে ফিরে আসার সময় সোনম বলে উঠলো: “থ্যাংকিউ!!? এতো সুন্দর একটা গান ?আর এতো রোমান্টিক ভাবে? কোলে করে? আমাকে রুমে এনে শুয়িয়ে দেবার জন্য।”?
আমি: “এই তুই এতো ফাজিল কেনরে?”?
সোনম, “কি ফাজলামো করছি আমি?”?
“তুই এভাবে আমাকে বোকা বানাতে পারলি?”?
সোনম, “বোকা বানাবো কেন? সত্যিই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, কিন্তু তুমি যখন সিঁড়ি দিয়ে নামছিলে তখন আমার ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। ভাবলাম যদি তোমাকে বলি তাহলে তুমি নামিয়ে দিবে তাই বলি নাই বুঝলে।”??
হুম বুঝলাম বলে ওর পাশে যেয়ে বসে ওর কপালে হাত দিতেই সোনম বলে উঠলো: “কি জ্বর দেখার বাহানা করে বার বার আমার কপালে আর মুখে হাত দিতে ইচ্ছে করছে তোমার?”??
মেজাজটাই গরম করে দিলো,? ভালর জন্য দেখতে গেলাম উল্টা এইসব শোনতে হয়। ?
Alaways এ মেয়েটা Negative mind এ থাকে কেন বুঝি না ???
আমি রাগে উঠে দাঁড়াতে যাবো? এমন সময় সোনম আমার হাত ধরে বললো: “বসো আমার পাশে। তুমি পাশে বসে থাকলে আমার জ্বর ভাল হয়ে যাবে। তুমি পাশে থাকলে আমার সব কিছু ভাল লাগে।”??
আমি: “চুপ করে লক্ষী মেয়ের মত ঘুমিয়ে পর, মা দেখলে খারাপ মনে করবে।”?
সোনম, “কিছু মনে করবে না তোমার মা, সে জানে তার ছেলে এতোটা খারাপ নয় যে একটা মেয়েকে কিছু করে ফেলতে পারে।”??
আমি: “আচ্ছা, এতো বিশ্বাস!” বলে সোনমকে ভয় দেখানোর জন্য যেয়ে উঠে দরজাটা লাগিয়ে দিলাম।???
সোনম, “লাফিয়ে বসে এই কি মতলব ভাল হবে না কিন্তু আমি চিৎকার করবো।”???
আমি টিশার্টটা উপরের দিকে তুলতে তুলতে বললাম “চিৎকার করে লাভ নেই, আমার মা বিশ্বাসই করবে না আমি এমন কিছু করতে পারি”?? বলে যেয়ে খাটের উপর বসতেই সোনম কাঁপতে শুরু করলো। আমি সোনমকে ধাক্কা মেরে খাটে শুয়িয়ে দিয়ে, চাঁদরটা সোনমের গায়ে টেনে দিতে দিতে বললাম: “বেশী বড় হয়ে গেছিস না? চুপ চাপ ঘুমাবি এখন,” বলে খাট থেকে নেমে রুম থেকে বের হয়ে চলে আসলাম।
বিছানায় শুয়ে আছি কিন্তু কোন ভাবেই ঘুমাতে পারছি না। এমন সময় অর্পি ফোন দিলো।??
অর্পি, “কি ঘুমিয়ে পড়েছো নাকি?”?
আমি, “না ঘুমায়নি শুয়ে আছি, কি করছো! জ্বর ভাল হয়েছে?”?
অর্পি, “হুম এখন ভাল। তোমার কথা বলো কি করলে সারা দিন? না কোন ফোন, না কোন খবর ঘটনা কি তোমার কাজিনকে পেয়ে কি আমার কথা ভুলে গেছো?”?
“আরে কি সব কথাবার্তা বলছো!! এখানে ভুলাভুলির কি আছে। তুমি আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড তুমি কেন ওর সাথে নিজের তুলনা করছো?”??
অর্পি, “আরে ধুর! তুমিও না!! আমিতো দুষ্টমি করছিলাম, আচ্ছা শোন যে কারণে ফোন দিয়েছি কাল পারলে সকালে বাসায় এসো বাবা এসেছে।”☺️?
“আচ্ছা,, যদি সম্ভব হয় আসবো” বলে ফোন রেখে দিলাম। তারপর বিছানায় শুয়ে পড়লাম কিন্তু কোন ভাবেই দুচোখের পাতা এক করতে পাড়লাম না। বার বার শুধু সোনমের কথা মনে পড়ছে। তবে কি আমি সোনমকে ভালবেসে ফেলেছি???
না না এ হতে পারে না। বাবা মা জানলে বিষয়টা মেনে নিবে না। আর তাছাড়া ফুপা ফুপিও মেনে নিবে না ব্যাপারটা। আমাকে যে করেই হোক ওকে ভুলে যেতে হবে নয়তো পরবর্তিতে বড় কোন জামেলা সৃষ্টি হবে ভাবতে ভাবতে কখন জানি ঘুমিয়ে পড়লাম।
???
সকাল সকাল মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙে গেলে চোখ মেলে তাকিয়ে বললাম “এতো সকালে ডাকছো কেন?”??
মা, “তাড়াতাড়ি উঠ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।”??
“কেন কি হয়েছে?”??
“সোনমের অনেক জ্বর আসছে, মেয়েটা জ্বরে কাঁপছে।”?
আমি: “বলো কি? আচ্ছা তুমি যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি” বলে তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুমে চলে গেলাম।
ফ্রেশ হয়ে সোনমের রুমে যেয়ে দেখি ওর সমস্ত শরীর জ্বরে পুরে যাচ্ছে মাকে বললাম ওকে রেডি করে দিতে। মা ওকে রেডি করে দিতেই রিক্সায় করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম।
ডাক্তার কিছু ঔষধ দিলো বললো না কমলে আবার নিয়ে যেতে। ডাক্তারের কাছ থেকে বের হয়ে রিক্সা নিয়ে সোনমকে বললাম: “বলছিলাম না বৃষ্টিতে ভিজিস না জ্বর আসবে শুনলি না তো আমার কথা এখন তো জ্বর আসলো আর কষ্ট আমার হচ্ছে।”??
সোনম, “হেসে দিয়ে তোমার কষ্ট হবে কেন?”??
“এই যে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে তোকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসলাম এতে কি আমার কষ্ট হয়নি।”??
সোনম, “তাইতো আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম আমি তোমার কেউনা” বলতে বলতে সোনম কেঁদে দিলো।??
এই কান্না করছিস কেন আমিতো দুষ্টমি করে বলছি, “প্লিজ কান্না করিস না।”?
সোনম: “চোখের পানি মুছতে মুছতে কান্না করবো কেন? কার জন্যই কান্না করবো আমাকে টিকেট কেটে দিও আমি ঢাকা চলে যাবো।”?
আমি, “তুই পাগল হলি নাকি এই অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাকায় যাবি। সুস্থ হয়ে নে তাছাড়া আর তিনদিন পর আমার রেজাল্ট দিবে তখন না হয় আমি তোকে ঢাকা দিয়ে আসবো।”??
সোনম, “দিয়ে আসবে মানে দিয়ে আর আসতে হবে না, ঐখানে বাবার ব্যবসা দেখবা।”??
আমি, “সে সময় হলেই দেখা যাবে তার আগে ঔষধ খেয়ে সুস্থ হয়ে নে।” কথা বলতে বলতে ফোনের রিংটোনটা বেজে উঠলো। ফোন বেড় করতেই দেখি অর্পির ফোন। আমি ফোন রিসিভ করতেই অর্পি বললো “তুমি কি আসবা না?”?
আমি, “না আজ আসতে পারবো না সোনমের জ্বর আসছে ওকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম।এখন বাসায় ফিরছি ওর জ্বর ভাল না হতে আর বের হবো না বাড়ি থেকে।” কথাটা বলা শেষ করার আগেই সোনম আমার কাঁধে মাথা রাখলো আমি অর্পিকে বললাম: “ফোন রাখছি” বলে ফোনটা কেটে দিলাম।
আমি সোনমের দিকে চেয়ে আছি একদিনের জ্বরেই মেয়েটা কাহিল হয়ে গেছে। ভাবতে ভাবতে রিক্সা বাসার সামনে চলে এসেছে, আমি রিক্সা থেকে নেমে সোনমের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম। সোনম আমার হাত ধরে নেমে আসলো। দুজনে মিলে বাসায় ঢুকে পড়লাম।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে রুমে শুয়ে আছি এমন সময় অর্পি ফোন দিল। আমার কেন জানি ওর ফোন ধরতে বিরক্ত লাগছিল। তারপরেও ধরলাম “হুম বলো।”?
অর্পি, “তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিল।”?
আমি “বলো কি কথা।”?
অর্পি, “কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।”?
আমি, “আহা কি কথা বলবা বলো এতো প্যাচানোর কি আছে।” বলতেই মা এসে আমাকে ডাক দিল “আচ্ছা তুমি রাখ আমি তোমার সাথে পরে কথা বলবো” বলে ফোন কেটে দিলাম।
আমি, “মা বলো কি বলবা।”
মা, “বলতাছি সামনেই তো তোর রেজাল্ট দিবে তোর ফুপু বলছিল তোকে উনাদের ঐখানে যেয়ে উনাদের ব্যবসাটা দেখতে।”
আমি, “মা সে সময় হলে দেখা যাবে আর আমি এইসব ব্যবসা বুঝি নাকি।” কথা বলতে বলতেই সোনম এসে ঘরে ঢুকলো।??
To be continue………………….