Crush যখন বরSeason_3Part_4
Writer-Afnan Lara
শিশির চলে গেলো নিজের রুমে,,
তনু রুমে এসে কেঁদে দিলো,,
মা দরজায় নক করতেই চোখ মুছে গিয়ে দরজা খুললো
মা-নে ছেলের ছবি দেখ,যেন এক রাজকুমার,,আমার তো খুব পছন্দ হয়েছে,,
তনু ছবিটা নিয়ে রেখে দিয়ে শুয়ে পরলো,দেখলো না
পরেরদিন তনু খোঁজ নিলো শিশির কোথায়,জানতে পারলো হায়দার এর সামনে,,
তনু হনহনিয়ে গিয়ে শিশিরের সামনে দাঁড়ালো
শিশির-কি??
তনু-আমি আপনাকে ভালোবাসি
শিশির-প্রমান??
তনু-কি করতে হবে বলুন?
শিশির-নিজের জীবন দিতে পারবে.?
তনু ১টা মিনিট ও দেরি না করে শিশিরের পাশের ছেলেটার দিকে তাকালো সে আপেল খাচ্ছে ছুরি দিয়ে কেটে কেটে
তনু তার হাত থেকে ছুরি নিয়ে হাতে এক টান দিয়ে দিলো,,
তনু-আআআমমমিমি তোমাকে ভালোবাসি
তনু শিশিরের গায়ে ঢলে পড়ে গেলো,
শিশির ধরে ফেললো তনুকে,মূহুর্তেই এসব কি হয়ে গেলো,সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে
শিশির নিজেই জানতো না তনু এই কান্ড করে ফেলবে,
শিশির আর কিছু না ভেবে তনুকে কোলে তুলে হসপিটালে নিয়ে গেলো,পাশেই ছিলো হসপিটালটা
শিশির মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে
তনুর মা বাবা এসে শিশিরকে দেখে অবাক হলো,কারন তারা তো শিশিরকে চিনে,,
তনুর জ্ঞান ফেরার পর শিশির তনুর মা বাবার দিকে তাকালো তারা চলে গেলো রুম থেকে,,শিশির তনুর হাত ধরলো
শিশির-দেখো আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেসে, আমার আর কদিন পরই বিয়ে,তুমি শুধু শুধু নিজেকে কষ্ট দিও না,তুমি আমার চাইতেও ভালো ছেলে পাবে,,
শিশির উঠে চলে গেলো
তনু বাসায় এসে খুব কাঁদলো,হয়ত ওর কপালে শিশিরের নাম নেই,,শিশিরের জন্য তার জন্ম হয়নি
শিশিরের পরিবার আবার আসলো,এবার আসার সময় শিশিরকে সাথে করে নিয়ে এলো,
তনুকে হালকা নীল রঙের শাড়ী পরানো হলো,,
তনু কে নিয়ে শিশিরের সাথে বসানো হলো,দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে না
তনু সামনে থাকা আয়নায় তাকিয়ে দেখলো ওর পাশে শিশির বসে আছে,
তনু-কল্পনায় দেখতে দেখতে এখন অভ্যাস হয়ে গেসে,পাশের মানুষটাকেও এখন শিশির মনে হয়
শিশির তার পাশে বসা মেয়েটির হাতের দিকে আড়চোখে তাকালো হাতে ব্যান্ডেজ দেখে বুকটা কেঁপে উঠলো শিশিরের,ভয়ে ভয়ে শিশির মেয়েটির মুখের দিকে তাকাতেই উঠে দাঁড়িয়ে গেলো,
তনু এবার তাকালো,একি এটা তো সত্যি সত্যি শিশির, তনু ও উঠে দাঁড়িয়ে গেলো
শিশির-তনু
তনু-???????
শিশির মায়ের দিকে তাকালো,,
তনুর মা-ওরা মনে হয় আগ থেকেই একে অপর কে চিনে
মা শিশিরের হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিলো,
তনুর হাত পা কাঁপতেছে এত বড় ঝটকা লাগলো,এত বড় খুশির খবর,মাথা ঘুরে উঠলো,,তারপর তনুর মা তনুকেও বসিয়ে দিলো,,
মা-আচ্ছা ওদের একান্তে কথা বলতে দেওয়া উচিত
শিশির আর তনু তনুর রুমে আসলো,
শিশির ঠাস করে দরজা দিলো,
তনু কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো
শিশির তনুর দিকে এগিয়ে গেলো
শিশির-তুমি জানতে সবটা তাই না
তনু-সত্যি আমিও আজ জানলাম
শিশির তনুর হাত চেপে ধরে রাগে ওকে নিয়ে দেওয়ালের সাথে ঠেকে ধরলো
তনু-আহ লাগতেছে আমার হাতে
শিশির তনুর কাটা হাতের জায়গায় ধরে আছে
তনুর চোখ থেকে পানি পড়তে দেখে ছেড়ে দিলো
শিশির গিয়ে খাটে বসলো মাথায় হাত দিয়ে
তনু চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে গেলো
মা-শিশির কই তনু?
তনু-উনি আসতেছে
শিশির-মা আমার একটা কল আসছে office থেকে আমি আসতেছি,
শিশির বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো,,
মা-আচ্ছা মেয়ে আমাদের পছন্দ এবার আপনাদের মত বলুন
তনুর বাবা-ছেলেও মাশাল্লাহ,,আমাদের বেশ লেগেছে
শিশিরের বাবা-আলহামদুলিল্লাহ
শিশিরের মা-আপনারা সবাই কাল আমাদের বাসায় যাবেন,দাওয়াত দিলাম
তনুর মা-আচ্ছা,,
শিশিরের মা তনুর হাত ধরে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলো,
তনু রুমে এসে শাড়ী খুলতে খুলতে নিজের হাতের দিকে তাকালো,,
তারপর বিয়ের কথা মাথায় আসতেই খুশিতে লাফাতে লাগলো,আল্লাহ তুমি আমার মনের আশা পূরন করেছো,,, ??????
তনুকে শিশিরের বোন শিশিরের number দিয়ে গেলো,তনু ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে,ভয় করতেছে খুব,,কল দিব??না থাক পরে ঝাড়ি দিবে আমাকে
তনু ঘুমিয়ে পড়লো,
শিশিরের চোখে ঘুম নেই,,উঠে মার কাছে গেলো
শিশির-মা
মা-কিরে বল
শিশির-তুমি আমার জন্যে আর কোনো মেয়ে পেলে না
মা-কেন রে তোর পছন্দ হয়নি??
শিশির-না,মেয়েটা একটা পাগল,জানো কাল আমার জন্যে হাত কেটে গোটা একদিন হসপিটালে ছিলো
মা-সেকি,তাই তো বলি হাতে রক্ত কেন
শিশির-রক্ত???রক্ত তো শুকিয়ে যাওয়ার কথা
মা-না রে আমি তাজা রক্ত দেখেছি ওর হাতে বারবার লুকাচ্ছিলো,আমি জানতাম ও না আমার ছেলেটাকে এতটা ভালোবাসে
শিশিরের মনে পড়লো ও তো তনুর হাত চেপে ধরেছিলো তাই হয়ত ক্ষত জায়গা থেকে রক্ত বেরিয়েছে,রাগে মাথা ঠিক থাকে না একদম
শিশির-মেয়েটা বেশি পাগল,তুমি জানো আমি নাতাশাকে ছাড়া অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারবো না,পরে ওকে যদি ভালো না বাসি আবার নিজের ক্ষতি করবে
তার চেয়ে ভালো ঠাণ্ডা দেখে মেয়ে খুঁজো
মা-এই মেয়েকেই আমার পছন্দ,,আমার ছেলেকে পাগলের মত ভালোবাসবে এটাই তো আমি চাই
শিশির-যা খুশি করো
শিশির উঠে চলে গেলো
পরেরদিন সকাল বেলা তনুর পরিবার আসলো শিশিরদের বাসায়,,তনু শিশিরকে দেখেই ওর বুক কাঁপতে থাকলো,ভালো লাগছে ভয় ও লাগছে,কারন কাল শিশিরের যে রুপ দেখলো সে বাপরে বাপ
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_5
মা-শিশির তনুকে তোর রুম দেখিয়ে নিয়ে আয়
শিশির মুখ গোমড়া করে তনুকে নিয়ে গেলো
তনু-বাহ সুন্দর তো,,
শিশির চুপ করে বসে আছে সোফায়
তনু হেঁটে হেঁটে দেখতেছে,এই প্রথম শিশির তনুর দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো,,চুল মাঝারি,,গায়ের রং দুধে আলতা,,তনুর সাথে চোখা চোাখি হতেই শিশিরের চোখ গেলো তনুর ঠোঁটের দিকে,,গোলাপ ফুলকেও হার মানাবে,,দেখে মনে হয় লিপ্সটিক লাগায়নি,,
তনু-সত্যি আমি জানতাম না বিয়ের কথা
শিশির উঠে চলে গেলো,,
তনু পিছন পিছন গেলো,,
সবাই গল্প করতেছে বসে বসে,,শিশির মায়ের সাথে বসতে গেলো মা ঠেলে তনুর পাশে বসিয়ে দিলো,,
তনুর মা-তাহলে দিন ঠিক করে ফেলি আমরা,শুভ কাজে দেরি করতে নেই,,
মা-আসলে কাবিনে তো ১৮বছর হতে হবে,,তনুর কয়েকদিন পর ১৮হবে,,তাই বলসি একটু ওয়েট করলে,আমরা আগে গায়ে হলুদ, মেহেন্দির অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে পারি
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে ওর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখলো
শিশির-(এই বাচ্চা মেয়ে এত পাগল কেউ দেখে বলবে না)
কথা বার্তা শেষে সবাই চলে গেলো,,
শিশির নিজের রুমে এসে দেখলো খাটের মাঝখানে একটা চিঠি,,
বড় করে লেখা ‘সরি’
শিশির ফেলে দিলো কাগজটা,,
তনু বাসায় এসে ভাবতে থাকলো কিভাবে কি করবে আনন্দে আত্নহারা হয়ে যাচ্ছে তনু,,?????
পরেরদিন ♥♥
মা-শিশির তনুকে নিয়ে ঘুরে আয় যা,
শিশির-পারবো না
মা-কি বললি??
মা শিশিরকে তনুর number দিয়ে চলে গেলো
শিশির-হ্যালো
তনু-কে?
শিশির-আমি
তনু-?
শিশির-রেডি হয়ে নাও,আমি আসতেছি,ব্যস লাইন কেটে দিলো
তনু একটা কালো রঙের লং থ্রি পিস পরে নিয়ে বের হলো,শিশির গাড়ী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,
তনু গাড়ীর দরজা টানতে টানতে নিচে বসে গেলো,আসলে আগে কখনও গাড়ীর দরজা খুলেনি তনু
শিশির নেমে এসে দরজা খুলে দিলো
তনু গিয়ে বসলো,
শিশির বসে তনুর দিকে তাকালো
তনু-কি?
শিশির -বেল্টাও কি আমি লাগিয়ে দিতে হবে
তনু নিজ থেকে চেষ্টা করলো পারলো না
শিশির ঠাস ঠুস করে লাগিয়ে দিলো বেল্ট
তনু -আমরা কোথায় যাচ্ছি?
শিশির চুপ হয়ে আছে কিছুই বলছে না
নদী দেখতে এসেছে শিশির আর তনু,,তনু গিয়ে নদীর পাড়ে বসে নদী দেখতে থাকলো,,
শিশির দূরে গিয়ে বসলো,তনু রাগে ফেটে যাচ্ছে,কে বলবে, কে বলবে যে আমরা হবু husband wife,,
তনু উঠে শিশিরের পাশে বসলো,শিশির উঠে একটু দূরে গিয়ে বসলো
তনু আবার উঠে গিয়ে পাশে বসলো,এভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলতে চলতে ঠাস করে পড়ে গেলো,
তনু না,,
শিশির???
তনু হাসতে হাসতে শেষ,বেশ হয়েছে,আরও উঠে যাও
শিশির উঠে জামা ঝাড়তে ঝাড়তে গিয়ে গাড়ীতে বসলো
তনু ঝালমুড়ি আলার দিকে তাকিয়ে আছে,,
ইচ্ছামত ঝালমুড়ি খেয়ে শিশিরের কাছে গেলো
তনু-এই যে আমাকে ১০০টাকা দিন
শিশির-কেন?
তনু-ঝালমুড়ি খেয়েছি আমার কাছে টাকা নেই
শিশির-পারবো না দিতে
তনু-দেন না
শিশির দিলো না গাড়ীর গ্লাস উঠিয়ে দিলো
তনু-এখন কি করবো,
তনু সাথে করে কোনো টাকাও আনেনি,,ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে গেলো তনুর একটা আইডিয়া
তনু-ইয়েস পেয়েছি
তনু আবার শিশিরের কাছে গেলো
তনু-এই যে আপনি যদি আমাকে টাকা না দেন আমি হাতের আংটিটা দিয়ে দিব লোকটাকে,আপনার মা যদি জিজ্ঞেস করে আংটি কই আমি পুরা ঘটনা বলে দিব
শিশির-?????
শিশির গিয়ে ঝালমুড়ি আলাকে টাকা দিয়ে দিলো
তনু-হুহ,আমার সাথে টেক্কা দিতে আসে,
তনু বাইরে দাঁড়িয়ে আছে, অনেক কষ্টে গাড়ীর দরজা খুলেছে,শিশির দূরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতেছে
তনু-একা গাড়ীতে বসমু না,ভয় লাগে আমার
তনু-ধুর,কি এমন কথা বলতেছে ফোনে
তনু ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো,তনুর ওড়নার অর্ধেকটা গাড়ীর ভিতরে রয়ে গেলো তনুর খবর নেই,,
শিশির ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ীতে উঠলো,,গ্লাস সব উঠানো,,শিশির ভাবসে তনু গাড়ীতে,,গাড়ী start দিতেই তনু পিছনে তাকালো,
তনু-এই আমি তো বাইরে
শিশির ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ী নিয়ে চলে গেলো, সাথে তনুর ওড়নাটাও নিয়ে গেলো,
তনু চিৎকার দিচ্ছে,শিশির দেখেওনি,,নাতাশার মায়ের সাথে কথা বলতেছে,নাতাশার কি কি ঔষুধ লাগবে সেটা নিয়ে,,সন্ধ্যা হয়ে গেসে,,
শিশির ১০মিনিট কথা বলার পর,,সাইডে তাকালো,তনুকে দেখতে না পেয়ে গাড়ী থামিয়ে দিলো,একি তনু কই,এখানেই তো ছিলো,সিটে তনুর ওড়না পড়ে আছে,
শিশির-Oh shit!!
শিশির গাড়ী ঘুরিয়ে আবার নদীর দিকে গেলো
তনু একটা গাছের নিচে বসে কাঁদতেছে,,ছেলে বাদে একটা মেয়েও নেই এলাকাটায়,,পুরা গম্ভীর একটা পরিবেশ, বখাটে কয়েকটা ছেলে সেই কখন থেকে তাকিয়ে আছে,,
গায়ে ওড়নাও নেই তনু চারিদিক দেখতেছে,উনি কি ইচ্ছে করেই চলে গেলেন,আমার উপর রাগ এভাবে দেখালেন,একটা মেয়েকে একা রেখে চলে গেলেন,তার দিকে একটু তাকিয়েও দেখলেন না,
২টা ছেলে এসে তনুর পাশে দাঁড়ালো,কথা বলতে যাবে শিশির এক টান দিয়ে তনুকে উঠিয়ে নিয়ে গেলো হাত ধরে,,
তনু কিছুটা অবাক হয়েই তাকিয়ে আছে,গাড়ীর সামনে এনে শিশির তনুকে ওড়না পরিয়ে দিলো,শিশিরের চোখেমুখে অপরাধবোধ কাজ করতেছে,,
তনু শিশিরের মুখ থেকে চোখ সরাচ্ছে না
শিশির চুপচাপ গাড়ী চালাচ্ছে,,অনেকক্ষন গাড়ী চালানোর পর
শিশির-সরি
তনু-কেন?
শিশির-তখন আমি ঠিক বুঝতে পারিনি তুমি যে গাড়ীতে নেই,
তনু-its ok,,
শিশির যে হাত ধরে নিয়ে এসেছে তনু সেই খুশিতে মরে যায় যায়,,সরি বলসে এখন তো মনে হয় জ্ঞান হারাবে
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_6
শিশির তনুকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেলো,তাকালো না একবার ও
তনু বাসায় ঢুকতে যাবে ওর কিছু বান্ধুবী এসে ধরলো ওকে
রিনা-কিরে কি কি করলো
পিউ-কিস করসে?
তনু-আরে না পাগল,,যা তোরা এখান থেকে
তনু বাসায় চলে গেলো
শিশির বাসায় এসে নাতাশার মাকে কল দিলো,,নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হয় শিশিরের,নাতাশার মাকে কি বলবো যে আমি বিয়ে করতেছি,আমার নাতাশার যদি কোনো ক্ষতি হয়,
শিশির বাথরুমে গিয়ে ঝর্না ছেড়ে বসে থাকলো,,ফোন বাজতেছে মেসেঞ্জারে কে যেন ভিডিও কল দিসে,,আইডির নাম শিশিরের স্পর্শ,এটা কে আবার,নিশ্চয় ফেক আইডি দাঁড়া দেখাচ্ছি,,
শিশির কল রিসিভ করলো,,তনু ভাবতেও পারেনি শিশির রিসিভ করবে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো শিশির বসে তাকিয়ে আছে ওর গায়ে কিছু নেই,দুজন দুজনকে দেখে চিৎকার দিয়ে লাইন কেটে দিলো,
তনু-???
শিশির-আজ ওর খবর আছে,,
শিশির বাথরুম থেকে বের হয়ে শার্ট পড়ে রওনা দিলো,
তনু-ইস এখন আমি কি করবো,শিশির তো মেরেই দিবে আমাকে??
শিশির তনুদের বাসার সামনে এসে হর্ন বাজাতে থাকলো
তনু গেট খুলে বিড়ালের মত তাকিয়ে আছে
শিশির-গাড়ীতে উঠো
তনু-না
শিশির গাড়ী থেকে বেরিয়ে তনুর হাত ধরে টেনে গাড়ীতে উঠিয়ে দিলো,,তারপর একটু দূর নিবিড় এলাকায় গিয়ে রোডে গাড়ী থামালো
তনু-আসলে আমি জানতাম না আপনি বাথরুমে
শিশির-চুপ,কমন সেন্স নেই তোমার???
তনু-?
শিশির-আর আমার সাথে এড আছে তোমার আমি নিজেই জানি না
তনু-unfrd করে দিসেন তাই না
শিশির-না
তনু-সত্যি???
শিশির-ব্লক দিসি
তনু-????আমি বাসায় যাব
শিশির-এতদূর আনসি তোমাকে বাসায় দিয়ে আসার জন্য
তনু-তো কি করবেন তাহলে?romance? ??
শিশির-একটা চড় মেরে পিরিতের নেশা উঠিয়ে দিব,বাচ্চা মেয়ে তোমাকে কে শিখাইসে এসব,জানো তুমি আমি তোমার থেকে কত বড়
তনু-হুম,,আমি ৫.৫” আর আপনি ৬.১
শিশির-আরে ধুর আমি বয়সের কথা বলতেছি
তনু-আমি কি জানি,দেখতে তে বিয়াতি পোলা লাগে
শিশির-কিহ,,শুনো আমার বয়স হচ্ছে ২৫
তনু-বুইড়া বেডা???????
শিশির -ওহ তাই নাকি তাহলে বিয়ে cancel করে দিই??
তনু-না না,আমি বুইড়া বেডারেই বিয়া করমু??
শিশির বাইরে বেরিয়ে গেলো
তনু-এই আমিও যাব,দরজা খুলতে পারি না আমি এই এই
শিশির আইসক্রিম একটা নিয়ে এসে বসলো গাড়ীতে
তনু-?কত্ত ভালোবাসে আমাকে
তনু হাত বাড়ালো,
শিশির তনুর হাতে ৪০টাকা ধরিয়ে দিলো,নাও যাও কিনে খাও,এটা আমার জন্য এনেছি
শিশির বসে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে আর তনু হা করে তাকিয়ে আছে,,
তনু-(তনু এটাই সুযোগ কিস করে দে)
তনু তাকানো দেখে শিশিরের কিছুটা guilty feel হচ্ছিলো,তাও ভাবলো এমন সাহস তনু করবে না,
তনু হুট করে শিশির মুখের সামনে গিয়ে যেই না কিস করতে যাবে শিশির মাঝখানে আইসক্রিম এনে দিলো
তনু-ধুর
শিশির টিসু নিয়ে দিলো তনুকে
শিশির-সাহস তো কম না তোমার, এসব ভুলে যাও এখন থেকে বলে দিচ্ছি আমি এসব করতে দিব না
তনু-ওকে তাইলে বিয়ের পর আপনি করিয়েন
শিশির মুখ মুছে নিলো,,শয়তান মেয়ে কোথাকার
শিশির-আজ আমি তোমাকে একটা কথা বলবো,
তনু-বলেন
শিশির-আমি একজন কে ভালোবাসি,তার নাম নাতাশা,,সে ১বছর আগে কোমায় চলে গেসিলো,শুধু মাত্র আমার কারনে,আমি ওকে অনেক ভালোবাসি,বিয়ের পর তুমি আমার থেকে অবহেলা ছাড়া কিছুই পাবে না
তনু-মিথ্যাকথা বলে বিয়ে ভাঙতে চান আপনি, আমি আপনার কথায় গলছি না
শিশির ফোন বের করে নাতাশার ছবি দেখালো,
তনু ভালো করে থেকে হাসতে থাকলো
শিশির-হাসির কিছু দেখালাম আমি??
তনু-আরে একে তো আমি চিনি
শিশির-কিভাবে?
তনু-এটা আমার খালাতো ভাইয়ের সাথে প্রেম করসে,ভাইয়াকে ছেড়ে দিসে পরে
শিশির-মিথ্যা কথা
তনু এবার নিজের ফোন বের করে ৫মিনিট ধরে খুঁজে একটা ছবি দেখালো,নাতাশা তনুর খালাতো ভাইয়ের গলা জড়িয়ে ধরে আছে,
শিশির কিছুক্ষন তাকিয়ে দেখে বাইরের দিকে চোখ ফিরিয়ে নিলো
তনু-মিথ্যা বলে ধরা খেলেন??????আমার শিশির খুব ভালো আমি জানি
শিশির-না,আমি সত্যি নাতাশাকে ভালোবাসি,
তনু-মুড়ি খাও,তাও আমি তোমারেই বিয়ে করবো,
শিশির তনুকে বাসায় দিয়ে চলে আসলো,
তনু বাসায় এসে ভাবতে থাকলো শিশিরের আইডিতে আবার কেমনে ঢুকা যায়,,একটা ফেক আইডি খুললো,,রিকু দিলো কিন্তু শিশির accept করলো না,
তনু মুখ গোমড়া করে বসে আছে,,মা এসে বললো কাল সবাই একসাথে shopping এ যাবে,
পরেরদিন shopping এ এসে তনু খেয়াল করলো শিশির আসেনি
মা-শিশিরের একটা কাজ পড়ে গেসে তাই কাল রাতেই ঢাকায় চলে গেসে,engagement এর দিন চলে আসবে,,
তনুর মন খুব খারাপ হয়ে গেলো,,
শিশির আসলে নাতাশাকে দেখতে এসেছে ঢাকায়
তনু শিশিরকে কল দিলো শিশির ধরলো না,
দিন যেন যাচ্ছেই না তনুর,শিশির এমন কেন করলে,আর যাই হোক আমি তো উনার হবু বউ,একবার বললে কি হত যে উনি ঢাকায় যাচ্ছেন?
engagement এর দিন সব রেডি করা হলো,,,আংটি তনু আর শিশিরের মা পছন্দ করে কিনেছে,,তনুকে বেগুনি রঙের শাড়ী পরানো হলো,,চুলে খোঁপা করে দেওয়া হলো,,হালকা সাজ তবে দেখতে বেশ লাগছে,,
সেই কখন থেকে তনু সোফায় বসে আছে শিশির এখনও আসতেছে না,,
তনুর খুব কান্না পাচ্ছে,কিন্তু সবার সামনে তো কান্না করা যায় না
২ঘন্টা দেরি করে শিশির বাসায় আসলো,এসেই দেখলো মেহমানে বাসা ভর্তি, সবার আগে শিশিরের চোখ পড়লো তনুর দিকে,,তনুর চোখ দেখে মনে হয় এখনই কেঁদে দিবে,
মা-অনেক হয়সে,,চুপচাপ আংটি পরাবি তুই
শিশির হাত থেকে ব্যাগ রেখে তনুর কাছে গেলো,ওর হাত ধরে আংটি পরিয়ে দিলো,তনুর মুখে একটু হাসিও নেই,,শিশির একটি বারও তনুর মুখের দিকে তাকালো না,,তনু আংটি পরিয়ে দেওয়ার পর শিশির ৫মিনিট দাঁড়িয়ে রুমে চলে গেলো
শিশিরের মা-আসলে সোজা ঢাকা থেকে আসছে তো tired হয়ে গেসে,
তনু হনহনিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেলো,
শিশিরের মা বুঝলো তনু কেন চলে গেসে
বাসা থেকে বের হতেই তনুর মনে কি যেন আসলো আবার ফেরত চলে আসলো
তনুর মা-কিরে কি হয়সে
তনু কাউকে কিছু না বলেই শিশিরের রুমের দিকে চলে গেলো
চলবে♥