Crush যখন বরSeason_3Part_1
Writer-Afnan Lara
শিশির- আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না,তুমি শুধু আমার আর আমি তোমার,দেখবা একদিন তুমি সুস্থ হয়ে যাবা তখন আমরা বিয়ে করবো,সেদিন যদি তোমার হাতটা না ছাড়তাম হয়ত আজ এইদিন আসতো না,তুমি কোমায় থাকতে না,আমার বউ হয়ে ঘরে থাকতে,,
মা ফোন দিলো
শিশির-হ্যালো
মা-তুই এখনও রওনা হসনি??
শিশির-মা আমার যেতে মন চাচ্ছে না
মা-না আসলে আমার মুখ দেখবি না আর
শিশির হসপিটাল থেকে বেরিয়ে গাড়ী নিয়ে নিজেই drive করতে থাকলো,,
সকালে রওনা দিয়ে রাতে বাড়ি এসে পৌঁছে গেলো শিশির,,
মা তো শিশিরকে দেখে মহা খুশি,,
শিশির তার মাকে জড়িয়ে ধরলো ,,
পরেরদিন মা জোর করে শিশিরকে নিয়ে শপিং মলে গেলো,,মীম আর তার কিছু কিনার আছে
শিশির মলের সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে,,
তনু আর তার ২টা frd মলে ঢুকতেছিলো,,তনু বকবক করতে করতে শিশিরের সাথে খেলো এক ধাক্কা
শিশির চোখ বড়বড় করে তাকালো তনুর দিকে
তনু তো হা করে তাকিয়ে থাকলো,এটা আমি কি দেখছি,এত্ত সুন্দর মানুষ হয় কেমনে,,আল্লাহ আমাকে ধরো কেউ,,তনু ঠাস করে নিচে পড়ে গেলো শিশির ধরলো না,ফোন কানে দিয়ে আরেকদিকে ফিরে চলে গেলো
মিনু-কিরে তুই ঠিক আছস তো
তনু-?আমার স্বামী আমাকে ধরলো না
মিনু-কে স্বামী তোর বিয়ে হলো কবে
তনু-এই ছেলেটা
তনু উঠে গিয়ে শিশিরের সামনে দাঁড়ালো
তনু-hi আমি তনু
শিশির ভ্রু কুঁচকে তাকালো তারপর হেঁটে চলে গেলো
তনু-এই ছেলে তোমার নাম বলে যাও এই এই
শিশির পালিয়ে গেলো ওখান থেকে,জোঁকের মত লেগে আছে,মেয়েরা এমন জোঁক হতে পারে আগে জানতাম না
মা আর মীম শিশিরকে খুঁজে বের করলো
মা-শিশির!,আমরা এই দিকে
তনু-শিশির?????নাইস নেম, Thanku শাশুড়ি আম্মা
মিনু-এই চুপচুপ
তনু শিশিরের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে এখনও,
শিশির মাকে আর মীমকে নিয়ে গাড়ী করে চলে গেলো
শিশির-আমি আজই চলে যাব,নাতাশাকে না দেখে আমি থাকতে পারি না,,আর জানো তো ওর অবস্থা critical,আমাকে দেখলে response করে
মা-আর আমি??
শিশির কিছু বললো না
মা-তুই কালকেও থাকবি,,পরেরদিন যাস,আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না,,
শিশির বাসায় এসে শার্ট খুলতে গিয়ে দেখলো একটা হিজাব পিন আটকানো,এটা কার আবার
শিশির পিনটা নিয়ে dressing table -এ রেখে দিলো,fresh হয়ে নাতাশার মাকে কল দিলো নাতাশা কেমন আছে জিজ্ঞেস করার জন্যে,উনি বললো সেই আগের মতই
শিশির দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেলো,তার একটা frder বাসায় birthday party তে invitationএ যাচ্ছে,,
নীল শার্ট,হাতা ফোল্ড করা , সাথে জিন্স,,
ভাগ্যবশত তনুও সেই party তে এসে হাজির,
তনু নীল শাড়ী পরেছে চুল ছেড়ে দিসে,ব্যস আর কিছু লাগবে না এতেই ছেলেরা জ্ঞান হারাবে,,
শিশির রুমে ঢুকতে যেতেই আবার ধাক্কা খেলো তনুর সাথে,তনু শাড়ী ঠিক করতে করতে শিশিরের দিকে তাকিয়ে আবার ও হা হয়ে গেলো
শিশির-উফ আবার এসে জুটেছে,
তনু-????????
শিশির চলে যেতে নিতেই ওর শার্টের বোতামের সাথে তনুর আঁচল আটকে গেলো,,
এটা আচমকা হয়নি,মিস তনুর কাজ এটা সিরিয়াল দেখে দেখে নিজের মাথা নিজে খেয়েছে,শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে কথা বলার টাইমেই তনু তার আঁচল শিশিরের শার্টের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে এনেছিলো যার কারনে আঁটকে গেসে
শিশির টানতেছে কিন্তু খুলতেছে না
তনু-খুলবেও না আসো আমরা বিয়ে করে ফেলি
শিশির-Are you mad??
তনু-না,I’m crazy?????
তনু নিজের চোখ থেকে কাজল নিয়ে শিশিরের কানে লাগিয়ে দিলো
শিশির-কি করলে এটা
তনু-নজর লেগে যাবে তাই লাগিয়ে দিলাম,
শিশির খুলতে পারতেছে না দেখে জোরেসোরে টান মারলো তনু গিয়ে শিশিরের বুকের সাথে ধাক্কা খেলো
দুজনের একসাথে শরীর লেগে দুজনেরই গা কেঁপে উঠলো,,
শিশির-আবির,আবির
আবির-কিরে কি হয়সে
শিশির-কেঁচি আছে?
তনু-এই খবরদার আমার শাড়ী কাটবা না,,এটা আমার প্রিয় শাড়ী
শিশির-তো এটাও আমার প্রিয় শার্ট
শিশির কেঁচি দিয়ে শাড়ীর সুতা কাটতেই খুলে গেলো
পুরো পার্টি তে তনু শিশিরের পিছন ছাড়েনি
শিশির একটা সময়ে গিফট আবিরকে দিয়ে চলে গেলো
তনু-যাহ বাবা চলে গেলো কেন
মিনু-তুই যা বিরক্ত করস না গিয়ে কি করবে
শিশির বাসায় চলে আসলো
মা-কিরে এত তাড়াতাড়ি আসলি
শিশির -নাহ কিছু না এমনি,,
শিশির নিজের রুমে চলে গেলো,,
তনু-হ্যালো রনি একটা help কর প্লিস
রনি-বল
তনু-একটা ছেলের আইডি খুঁজে দে
রনি-কিভাবে
তনু-আমি তোরে বলি সে দেখতে কেমন তুই তারপর খুঁজিস
তনু -চেহারা একদম ফর্সা,,চাপা দাঁড়ি,,ঠোঁট পিংক একদম,,আর ঠোঁটের নিচে তিল আছে,,লম্বা ৬.১ হবে
বুঝছস
রনি-???? পাগল হয়ে গেছস নাকি গাঞ্জা খেয়েছিস
তনু-দে না প্লিস
রনি-ওকে দেখি
পরেরদিন শিশির তার একটা বন্ধুর বাসায় এসেছে,,ছাদে গিয়ে কথা বলতেছে তার সাথে,,
টিপু-তুই থাক আমি কফি নিয়ে আসতেছি
শিশির দাঁড়িয়ে বাতাস অনুভব করতেছে
তনু সেই বাসায় থাকে,,ছাদে এক বালতি জামা নিয়ে এসেছে কাপড় মেলতে
তনু-মেরা নাম হ্যাঁ চিনচিনচিনচিন??????
শিশির গান শুনেই পিছনে তাকালো
তনুকে দেখে শিশিরের চোখ কপালে
তনু বুঝলো তার দিকে কেউ তাকিয়ে আছে পিছনে তাকিয়ে শিশিরকে দেখে ৪২০ভোল্টের ঝটকা খেলো
তনু-আরে আপনি,,
শিশির পালিয়ে যেতে নিলো তনু পথ আটকালো
তনু-আইডির নাম বললে যেতে দিব
শিশির-আজব,সরো এখান থেকে
তনু-আগে আইডির নাম বলো
শিশির- না
তনু ছাদের দরজা বন্ধ করে দিলো
চলবে?♥
সিজন ০১+০২ এর লিংক কমেন্টে দেওয়া হবে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_2
শিশির-ঐ দেখো
তনু আকাশের দিকে তাকাতেই শিশির এক দৌড়ে চলে গেলো
তনু-আকাশে কিছু নেই তো
তনু সামনে তাকিয়ে দেখলো শিশির নেই
তনু-ধুর?
রাতে তনু শিশিরের কথা ভাবতে ভাবতে ওর মাথায় আসলো শিশির লিখে সার্চ করলেই তো এসে যাবে,সমস্যা হচ্ছে শিশির হক না হোসেন না হাসান না আহম্মদ নাকি অন্য কিছু আমি তো জানি না
তনু সব কিছু দিয়ে সার্চ দিলো খুঁজলো আসলো না
সব শেষ শিশির চৌধুরী দিয়ে সার্চ দেওয়ায় সাথে সাথে সবার প্রথমে শিশিরের আইডি আসলো,প্রো পিক দেখেই তনু চিনে ফেললো,,সাথে সাথে রিকু দিলো
তারপর ভাবলো শিশির যদি তনুর পিক দেখে তাইলে তো accept করবে না,তনু নিজের সব পিক ডিলেট দিয়ে দিলো
শিশির frd request দেখতেছে
মীম এসে ডাক দিলো খেতে যাওয়ার জন্যে মীমের দিকে তাকিয়ে কথা বলার সময় শিশিরের হাতে লেগে তনুর frd request টা accept হয়ে গেলো
শিশির ফোন রেখে খেতে চলে গেলো
তনুর কাছে notification আসলো শিশির frd request accept করসে
তনু এক লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে নাচতে থাকলো
শিশির সকালে রেডি হয়ে এফবিতে post দিলো ঢাকায় ফিরে যাচ্ছে
তনু এক মিনিট ও দেরি না করে ষ্টেশানে গেলো,,,
শিশির ওখানে দাঁড়িয়ে আছে,,রহিম চাচা গাড়ী নিয়ে আসতেছে, মা আর মীম দাঁড়িয়ে রইলো,
তনু-ঐ তো দেখসি শিশিরকে,,
তনু এগিয়ে গেলো,মা মীম বিদায় দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো
তনু গিয়ে একেবারে শিশিরের সামনে দাঁড়ালো
শিশির-তুমি
শিশির-(মা যদি ওকে আমার সাথে দেখে অন্য কিছু ভাববে)
শিশির তনুর হাত ধরে এক পাশে নিয়ে গেলো,তনুর গা কাঁপতেছে,শিশির এই প্রথম ওর হাত ধরলো
শিশির-কি এমন করো কেন,?দুনিয়াতে কি ছেলের অভাব পড়সে??
তনু-না,আপনার number টা দিন কথা কমু,ঢাকা চলে গেলে তো হবে না
শিশির-তুমি জানো কি করে যে আমি ঢাকায় যাচ্ছি
তনু-(যদি বলি আমার সাথে এড আছে আজই unfrd করে দিবে)
তনু-শুনসি
শিশির-যাও এখান থেকে
তনু-না আগে number দাও,নইলে তোমার মা আর বোনরে বলে দিব আমি তোমার গফ
শিশির-পাগল হয়সো তুমি
শিশির আড় চোখে দেখলো মা আর মীম চলে যাচ্ছে,ওরা চলে যেতেই শিশির তনুর হাত ছেড়ে দিলো
তনু-দাও number
শিশির- মাকে পারলে খুঁজো?
তনু পিছনে তাকিয়ে শিশিরের মাকে দেখতে পেলো না,এই সুযোগে শিশির গাড়ীতে উঠে গেলো
তনু-এই number দিয়ে যাও
শিশির-রহিম গাড়ী start করো
তনু নিচ থেকে ইট নিয়ে গাড়ীতে ছুঁড়ে মারলো
শিশির গাড়ী থেকে নেমে দেখলো তনু গাড়ীর লাইট ভেঙে ফেলসে
তনু-???number দাও,নইলে তোমার মাথা ফাটাবো
শিশির -তাই নাকি
শিশির নিচ থেকে একটা ইট হাতে নিলো
শিশির-সরো নইলে আমি তোমার মাথা ফাটাবো
তনু-সাহস নাই তোমার
শিশির জোরেসোরে ইট মারলো তনুর গায়ে না পড়লেও হাতে কিছুটা লাগলো
তনু-আউচচচ,বেয়াদব ছেলে,অসভ্য
শিশির চলে গেলো
তনু গালি দিতে দিতে বাড়ি চলে এলো,,
রাতে রহিম শিশিরের মাকে কল দিলো
মা-কিরে শিশির কই
রহিম-উনি এসেই হসপিটালে চলে গেলেন
মা-মেয়েটা এমন জাদু করেছে আমার ছেলেকে,
রহিম-আজ একটা মেয়েকে দেখলাম সাহেবের সাথে কথা বলতেছে স্ট্যাশনে
মা-কে?চিনস
রহিম-না,কিন্তু মনে হলো আগে থেকেই চিনে,মেয়ের হাত ধরে দূরে গিয়ে কথাও বলেছে
মা-দেখতে কেমন ছিলো
রহিম-সে কি বলবো মা এত সুন্দর মায়াবী চেহারা,ছোট সাহেবের সাথে বেশ মানিয়েছে,,যেন রাজযোটক
মা-ইস যদি আমি একটু দেখতাম
শিশির নাতাশার পাশে বসে আছে,,নাতাশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,,,
১বছর আগের ঘটনা,,
শিশির নাতাশাকে নিয়ে ঘুরতে গেসিলো পার্কে,বড় টাওয়ারে দুজনে উঠে নামার সময় নাতাশা প্রায় ২তলার উপর থেকে নিচে পড়ে যায়,,মাথায়য় চোট পেয়ে কোমায় চলে যায় সে,,শিশির সেদিন নাতাশার হাত ধরতে না পারায় পড়ে যায় এটা ভেবে শিশির নিজেকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে ১বছর ধরে
মা-বুঝলা শিশিরের বাবা ছেলেটা আমার দিনদিন শেষ হয়ে যাচ্ছে,প্রতি রাতে দেরি করে ঘুমায়,,ওর কান্নার আওয়াজ আমি শুনতে না পেলেও রাতে মাথায় হাত বুলাতে গেলে দেখি বালিশ ভিজে একাকার,,
আর কত কষ্ট পাবে আমার ছেলেটা
বাবা-আমি চাই ও নতুন করে জীবন শুরু করুক
মা-ওর জীবনটা এখনও শুরুই হয়নি,,
বাবা-ও তো আমাদের কোনো কথায় শুনে না,
মা-আমি আর এসব সহ্য করতে পারবো না,আমার ছেলেকে ভালো মেয়ে দেখে বিয়ে দিব
বাবা-ও কখনওই রাজি হবে না
মা-হবে,ও যতটা নাতাশাকে ভালোবাসে ততটা আমাকেও ভালোবাসে,,আমি ওকে কসম দিব,,আর নাতাশাকে তো চিনো তুমি,এক number এর বেয়াদব মেয়ে,ওর character সম্পর্কে শিশির জেনেও না জানার ভান করে,আর ঐ মেয়েকে শিশিরের বউ করে এনে আমি আমার ছেলেকে বিপদে ঠেলে দিতে পারবো না
বাবা-যে মেয়েকে ঘরের বউ করে আনবে তাকে যদি শিশির ভালোবাসতে না পারে
মা-একসাথে থাকতে থাকতে ভালোবেসে ফেলবে
বাবা-জানি না আমি তুমি জানো
কিছুদিন পর♥♥♥
বাবা-শিশির তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে গেসে,হসপিটালে এনেছি তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়
শিশির এক মূহুর্ত ও দেরি না করে রওনা দিলো,
হসপিটালে মায়ের হাত ধরে বসে আছে শিশির,,
মা শিশিরের দিকে তাকিয়ে বললো
মা-বাবা একটা কথা রাখবি আমার শেষ ইচ্ছা
শিশির-এভাবে বলো না মা
মা-আমি তোর বিয়ে দেখে চলে যেতে চাই
শিশির-নাতাশা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে
মা-ঐ মেয়েকে বিয়ে করলে তুই আমার মরা মুখ দেখবি
শিশির-কি বলছো তুমি মা
মা-আমি যে মেয়ে ঠিক করে দিব তুই তাকে বিয়ে করবি
শিশির-নাতাশার আজ এই অবস্থার জন্য দায়ী আমি
মা-না,যা বলসি রাজি থাকলে বল না হলে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা আমি মরে গেলেও আমার কবর দিতে আসিস না
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_3
শিশির রুম থেকে বাইরে এসে স্তম্বের মত দাঁড়িয়ে রইলো
Doctor বললো উনাকে যাতে কোনো stress এ না রাখা হয়,,
শিশির গাড়ী চালিয়ে পার্কে গিয়ে বসে রইলো একা একা,
কিছু মেয়ে শিশিরকে দেখে তাকিয়ে দেখছে,, এতটাই সুন্দর যে একবার তাকালে আবার তাকাবেই সকলে,,
তনু-নে আমি এখানে দাঁড়াই একটা ছবি তোল
তনু চোখ মারলো আর মিনু ছবি তুলে দিলো,,তনু এখনও শিশিরকে দেখেনি
নিচে সিড়ি তনু খেয়াল না করেই পা রাখতেই সামাল দিতে না পেরে চিৎকার দিয়ে পড়ে যেতে নিয়ে একেবারে শিশিরের কোলে গিয়ে পড়লো আর শিশির ও আচমকা কিছু বুঝে উঠতে না পেরে এক হাত দিয়ে ধরে ফেললো তনুকে
দুজন দুজনকে দেখে অবাক হয়ে গেলো
তনু শিশিরের কোলে নিজেকে দেখে ওর চোখ মুখ ঘুরে সে অজ্ঞান হয়ে গেলো
আশেপাশের মেয়ে গুলো হিংসায় মরে যাচ্ছে
শিশির-উফ জ্বালাতন,
শিশির কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না
তারপর উপায় না পেয়ে তনুকে কোলে তুলে নিলো,,
রহিম চাচা এই সুযোগে ছবি তুললো অনেকগুলো,,
শিশির-কি করবো এখন এরে
শিশির গাড়ীতে তনুকে বসিয়ে একটা পানির বোতল থেকে পানির ছিঁটা দিলো
তনু চোখ খুলে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো
মিনু-কিরে ঠিক আছিস তুই
তনু-শিশিশিশিশরররর
শিশির ভ্রু কুঁচকে ওড়না তনুর গায়ে ছুঁড়ে মারলো
শিশির-আপনার বান্ধুবীকে এখান থেকে নিয়ে যান
তনু-(এটাই সুযোগ)
তনু-আমি হাঁটতে পারছি না বাসায় যাব কি করে
শিশির-তোমার পায়ে কি হয়সে আমি তো তোমাকে ধরে ফেলসিলাম পড়ে যাওয়ার সময়
তনু-সত্যি ব্যাথা করতেছে
শিশির মিনুর দিকে তাকালো
মিনু তনুকে টানতে টানতে নিয়ে গেলো
মিনু-এত acting তোরে কে শিখায়
তনু-ছাড় না,ওরে দেখতে দে,
শিশির তনুর দিকে একবার তাকিয়ে গাড়ীতে উঠে চলে গেলো,
তনু বাসায় এসে ভাবতেছে শিশিরের কথা
তনুর মা-শোন এত বান্দরামী করিস না,বিয়ের বয়স হয়সে তোর,
তনু-১৭বছর কে বিয়ের বয়স বলে??ছিঃ মা এখনই আমাকে পর করে দিচ্ছ?
মা-ঢং,কয়েকদিন পর ১৮হবে তোর
তনু-তো এখনও হয়নি তো
তনু নিজের রুমে চলে গেলো,শুরু থেকে কই হাজার মেসেজ সে শিশিরকে দিসে তার হিসেব নেই,শিশির মেসেজ সিনই করেনি,এত ভাব কেমনে হয় মানুষের,সুন্দর ছেলেরা কি এমন??
রহিম চাচা পিক গুলো শিশিরের মাকে দেখালো
মা-বাহ মাশাল্লাহ,,বেশ মানিয়েছে,,তুমি মেয়েটার বাড়ির খোঁজ খবর নাও বাকিটা আমরা দেখে নিব,
শিশিরের দিন খুব খারাপ যাচ্ছে আর যাই হোক মাকে সে সবটা দিয়ে ভালোবাসে,নাতাশার জন্য সে তার মাকে হারাতে পারবে না,কিন্তু যাকে সে বিয়ে করবে তাকে তো কখনও ভালোবাসতে পারবে না,তার জীবনটা সে এভাবে নষ্ট করবে? এসব ভাবতে ভাবতে শিশিরের ঘুম আগে যা অল্প হত এখন সেটাও হয়না,,তার উপর রাস্তায় বের হলে তনুর জ্বালায় থাকতে পারে না কোথা থেকে এসে হাজির হয়ে যায় আল্লাহ খোদা জানে
তনুর বিয়ের কথা চলতেছে তনু মন খারাপ করে বসে আছে,,শিশির ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ের কথা মাথায় আসলেই মেজাজ টা খারাপ হয়ে যায় তনুর,আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে আছে তনু,আচ্ছা আমি কি শিশিরের বউ হওয়ার যোগ্য না??দেখতে তো কিউটই আছি,লম্বাও আছি তাইলে আমাকে পছন্দ করে না কেন শিশির,,
তখনই কলিং বেল বাজলো,
তনু গিয়ে দরজা খুলতেই ১০/১২জন লোক প্যাকেটে প্যাকেটে মিষ্টি,, দই,শাড়ী,,চুড়ি, সব রেখে রেখে যাচ্ছে
মা-আরে এসব কি আপনারা কে??
কিছুক্ষন পর শিশিরের মা বাবা মীম,শিশিরের চাচা চাচি,দাদা সবাই আসতে থাকলো,,
তনু সরে গেলো সোফার রুম থেকে,,
উঁকি মেরে দেখতেছে কি হচ্ছে,,
শিশিরের মাকে তনু দেখতে পায়নি এখনও,তাই সে জানে না কিছুই
শিশিরের মা কথা বার্তা বলে নিলো
বাবা-এবার আপনাদের মতামত আশা করতেছি
নানু-তা ছেলে কই??
মা-আপনারা রাজি থাকলে ছেলেকে নিয়ে আরেকদিন আসবো
বাবা শিশিরের ছবি তনুর বাবার হাতে দিলো
ছবি দেখে সবাই তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ
তনুকে মা রেডি করে আনলো,তনু নিচের দিকে তাকিয়ে আছে তনু যে অনেক চঞ্চল তাই মা বলসে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতে একটা কথা বললে পিঠে কিল বসিয়ে দিবে তাই তনু ও আর চোখ তুলে তাকালো না
মা-মেয়ে আমাদের বেশ পছন্দ
তনুকে শিশিরের দাদি আংটি পরিয়ে চলে গেলো, তনু এখনও নিচের দিকে তাকিয়ে,ওরা চলে যাওয়ার পর নিজের রুমে এসে শাড়ী খুলে ফেলে দিলো,,
তনু-?বিয়া করমু না আমি??????
তনু দেখলো শিশির নদী দেখতে গিয়ে ছবি তুলে এফবিতে post দিসে
তনু-উনার সাথে আমার কথা বলতেই হবে
তনু ও বেরিয়ে গেলো,,
শিশির নদীর পাড়ে বসে আছে,,
পকেট থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিলো,জীবনে কখনও খায়নি,তবে আজ খাবে,এটা খেলে কষ্ট কমে যাবে
শিশির একটা ধরিয়ে মুখে দিতেই তনু সিগারেট টা নিয়ে পানিতে ফেলে দিল শিশির চোখ বড়বড় করে তাকালো তনুর দিকে,
শিশির-তুমি এখানেও
তনু শিশিরের পাশে বসতেই শিশির উঠতে গেলো তনু হাত ধরে আটকালো
তনু-কিছু কথা বলবো
তনু-আমার বিয়ের কথা চলছে,
শিশির- Congrats
তনু-নাহ,আমি আপনাকে বিয়ে করবো,আপনার আম্মুকে বলেন আমাদের বাসায় আসতে
শিশির-সম্ভব না
যাই হোক all the best,wish you a happy married life
তনু-এক লাত্তি দিয়ে নদীতে ফেলে দিব?
শিশির-তুমি কিছু বললা??
তনু- নাহ,
শিশির-বাই
শিশির চলে গেলো
তনু-শালা তোরে অভিশাপ দিচ্ছি তোর বউ তনু চৌধুরী ছাড়া আর কেউ হবে না দেখিস
শিশির গাড়ীর গ্লাস নামিয়ে তনুর দিকে তাকালো
শিশির-শকুনের দোয়ায় গরু মরে না
তনু-দেখা যাবে
বাসায়♥
শিশির-মা এটা কি খুব জরুরি,তুমি তো জানো আমি নাতাশাকে ভালোবাসি
মা-ঐ মেয়েটাকে যাকে তুই কয়েকবার হোটেলে অন্য ছেলের সাথে দেখছস
শিশির-ওকে আমি মাফ করে দিয়েছি,,ভালোবাসি ওকে আমি
মা-এমন মেয়ের হাতে আমি আমার ছেলেকে কখনও দিব না,আমি তোর জন্য মেয়ে ঠিক করেছি আর তুই তাকেই বিয়ে করবি
চলবে ♥