Crush যখন বর?Season_2Part_49
Writer-Afnan Lara
শিশির ওড়না হাতে নিলো,
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে ভয়ে কিছু বললো না,
শিশিরের রাগ উঠলে গাল লাল হয়ে যায়,তনু সেটা দেখে ভয়ে কাঁপতেছে,
শিশির ওড়না নিয়ে তনুর গায়ে পরিয়ে দিলো
তনুর হাত ধরে উঠালো,রুম থেকে বের করে নিজের রুমে নিয়ে গেলো,খাটে বসালো,
শিশির খাটের আরেক পাশে বসলো,
কিছুক্ষণ পর বের হলো,,মুনার কাছে গেলো,
শিশির-মুনা,তুই আবিরকে নিয়ে আবিরের কেনা বাসায় চলে যা,এটা বলেই শিশির চলে যেতে নিলো মুনা এসে সামনে দাঁড়ালো
মুনা-তুমি ভাবীকে বিশ্বাস করসো?
শিশির-ওকে অবিশ্বাস কেন করবো?
মুনা-আবিরকেও অবিশ্বাস করার কিছুই আমি দেখতেছি না,আর ভাবীকে যদি আবির জোরই করসে তো উনি চিৎকার দেয় নি কেন,তুমি আর আমি তো বাসায়ই ছিলাম,
শিশির-আমি তনুকে বিশ্বাস করি
মুনা-আমার চাইতে তোমার বউ বড় হয়ে গেলো,বের করে দিচ্ছো আমাকে??ওকে বের করতে পারো না যে এই নষ্টামি করসে??
শিশির মুনাকে চড় মারলো,
শিশির-তনুর নামে একটাও বাজে কথা বলবি না
মুনা-হ্যাঁ আমি বাজে কথা বলি,যা হয়সে নিজের চোখেই দেখসো,
আবির যে জোর করসে তার কোনো প্রমান আমি দেখতেছি না,
তুমি ও দেখছো সব তাও না দেখার ভান ধরলে সত্যিটা চাপা থাকবে না,
শিশির রাগে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো,তনু বাইরে থেকে সব শুনেছে,
চোখ মুছে নিজের জিনিস সব গুছিয়ে নিয়ে রুম থেকে বের হলো
মুনা-আর জীবনে এ বাড়িতে পা রাখবা না, নষ্টা
তনু মুনার কথাটা শুনে ওর বুক কেঁপে উঠলো,কান্না থামিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো,
রাতে শিশির বাসায় আসলো,
তনু রুমে নেই,
শিশির বুঝেছে তনু বাসায় চলে গেসে,আলমারিতে তনুর জামা কাপড় নেই,
শিশির ঘুমিয়ে গেলো,
পরেরদিন ♥
শিশির খুব সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তনুদের বাসায় গেলো,
শিশির-মা তনু কই?
মা-ও কি আমাদের এদিকে আসছে নাকি??
শিশির-মানে?
শিশির-কিন্তু আমি তো গেট খোলা পেলাম,
ছাদে নাকি,
শিশির ছাদে গিয়ে দেখলো তনু ছাদের একটা কোণে ঘুমাচ্ছে গুটিসুটি মেরে বসে,গায়ে শিশিরের দেওয়া জামাটা,পাশে জামা কাপড়ের ব্যাগ,
শিশির গিয়ে পাশে বসলো,গায়ে হাত দিয়ে দেখলো খুব জ্বর এসেছে,,
তনুর হাতের দিকে তাকালো,দাগ হাত বাঁধার,তনু যদি সত্যি রাজি থাকতো তাহলে হাত বাঁধলো কেন,আমার তনুকে চিন্তে কোনো ভুল হয়নি,যা বলার তনু আমাকে বলবে আর সেটাই হবে সত্যি
শিশির তনুকে টেনে বুকে আনলো,
তনু জেগে শিশিরকে দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো,
শিশির-ভয় পাওয়ার কিছু নেই,কাল কি হয়সে বলো আমাকে
তনু কেঁদে দিলো শিশিরকে জড়িয়ে ধরে,
তনু-কিছু করেনি,শুধু আমার মুখ আর হাত বেঁধে বসিয়ে রেখে আবির নিজের জামা খুলে খালি গায়ে বেরিয়ে গেসে,
শিশির-এমন করলো কেন?
তনু দুপুরের ঘটনাও বললো,
শিশির-তুমি বাসা থেকে চলে আসলা কেন?
তনু-মুনাকে বেরিয়ে যেতে বললেন যে,ও তো আপনার পরিবারের লোক,বরং আমি বাইরের,তাই আমিই চলে এলাম,
শিশির-থাপ্পড় খাবা এখন
শিশির-চলো বাসায় তোমার জ্বর আসছে,
তনু-না আমি যাবো না pls
শিশির-এমন করলে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো
তনু চুপ হয়ে গেলো,
শিশির হাত ধরে টেনে বাসায় নিয়ে গেলো
মুনা কিছুক্ষণ তাকিয়ে চলে গেলো,
শিশির বাসায় এসে আবিরকে মারা শুরু করলো,
মুনা এসে আটকাতে লাগলো,পারতেছে না,তারপর তনুর কাছে গেলো
মুনা-কি ভুল বুঝিয়েছো আমার ভাইকে?
তনু-শিশির থামুন
শিশির মারতে মারতে রক্ত বের করে দিসে আবিরের,
মুনা এসে শিশিরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো,
মুনা-তোর বাসা হলে এটা আমার ও বাসা,আমি যাবো না
শিশির আবিরকে বললো মেরে ফেলবো তোরে আমার বাসায় আর দেখলে,কেটে টুকরা টুকরা করবো
মুনা-আমার স্বামী আর আমি আলাদা থাকবো,তবে এই বাসায়,
মুনা আবিরকে bandage লাগিয়ে দিতে লাগলো,শিশির রুমে এসে বসলো,
তনু পানি এক গ্লাস এনে দিলো,
তনু -সরি
শিশির-তুমি সরি বলো কেন,দুধ কলা দিয়ে ঘরে কাল সাপ পুষেছি,
সাবধানে থাকিও,এখন সমস্যা হচ্ছে ও তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে,মুনাকে তো আমি বের করে দিতে পারি না ওর অমতে
শিশির ঔষধ এনে তনুকে খাইয়ে দিল
তনু-আমি একটা কথা বলি?
শিশির-কি?
তনু-আমি কদিন আমাদের বাসায় থাকি
শিশির-আমি মুনাকে বুঝাচ্ছি, তুমি মায়ের বাসায় থাকো,,তুমি এই বাসায় থাকলে তোমার risk,
আর ঐ scoundrel টার সাথে আমার বোন থাকলে তার ও ক্ষতি,
শিশির তনুকে নিয়ে তনুদের বাসায় রেখে আসলো,
শিশির -আমি অফিস যাচ্ছি,কিছু লাগলে কল দিও,আর আমাদের বাসায় যাবা না,ওখানে আবির আছে
তনু আচ্ছা বললো,
শিশির হাত ধরলো তনুর,তনু তাকালো শিশিরের দিকে,
চোখে তার অপরাধবোধ কাজ করতেছে,
শিশির তনুর চোখের ভাষা বুঝে,
শিশির-বিশ্বাস করি তোমাকে,এত ভয় কিসের
তনু-ভয় নাহ,আমার জন্য আপনার আর মুনার মধ্যে দুরত্ব বাড়তেছে
শিশির -মুনার প্রতি আমার দায়িত্ব ঠিক আছে,থাকবেও,ওর প্রতি ভালোবাসা কমবে না,ওকে ঝামেলা থেকে আমি বের করবো,
তনু নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো,
শিশির টান দিয়ে বুকে এনে জড়িয়ে ধরলো,
তনু ও ধরলো,
শিশির তনুর কপালে চুমু দিয়ে চলো গেলো,,
তনু বসে আছে আর ভাবতেছে শিশির বিশ্বাস না করলে আজ তনু কি করতো?কি হতো তার, আবির এতটা নিচ
তখনই কলিং বেল বাজলো,
তনু-কে?
কোনো সাড়া নেই,
তনু দরজা খুললো না,মা বাসায় নেই,পাশের বাসায় গেসে,বাবা তো অফিসে,
তনু দরজা খুললো না,
বিকালে শিশির বাসায় আসলো,,
তনু বসে আছে শিশিরের জন্য
শিশির-ঘুমাও নি
তনু-আসে না
শিশির-আচ্ছা খেতে দাও খুধা লাগসে
তনু খেতে দিলো,আর তাকিয়ে থাকলো শিশিরের দিকে,
শিশির তনুর কপালের দিকে তাকিয়ে আর খেলো না উঠে চলে গেলো
তনু-কি হয়সে?খাবেন না?
শিশির-শয়তানটা তোমাকে কত কষ্ট দিসে আর আমি কিছু করতে পারলাম না
তনু-কি করসে
শিশির-মাথা ফাটিয়ে দিসে তোমার,
তনু-ঠিক হয়ে যাবে,
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো
তনু-(যাক তার হাসি দেখলাম)
শিশির-এখন আপনিও হাসেন,সারাদিনে আমিও আপনার হাসি দেখিনি
তনু-??
শিশির-এই হাসি না
তনু-তাহলে?
শিশির-ঐ মুচকি মিষ্টি হাসিটা
তনু -☺☺☺☺
শিশির কোলে তুলে নিলো তনুকে
শিশির তনুর মুখ ধরলো,আজ তনুর হাসিটাতে সেই আনন্দ নেই,
শিশির তনুকে ছেড়ে দিয়ে পাশে বসলো,
তনু-কি?
শিশির-ঘটনা টা না আমি ভুলতে পারছি না তুমি পারতেছো
তনু ভ্যাভ্যা করে কেঁদে দিলো
তনু-আমাকে ঐ ছেলেটা কিছু করেনি সত্যি???আমি কিন্তু বারান্দার দিকে তাকিয়ে ছিলাম,ও কিছু করতে আসলে যেহেতু আমার কিছু করার নাই আমি লাফ দিয়ে মরে যাইতাম
শিশির-বাব্বাহ কি planning রে বাবা
তনু-হুম,
শিশির-আরে বোকা তোর যে দেহের সব কিছুর খবর আমার আছে,আর আমাকে বুঝাতে হবে না,আমার তনু শুধু আমারই থাকবে,তা আমি জানি,
তনু-তাইলে?
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে হো হো করে হাসতে লাগলো,তারপর তনুকে ধরে শুইয়ে দিলো,
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_50
সকালে♥
তনু ঘুম থেকে উঠে বসতেই দেখলো শিশির গালে হাত দিয়ে বসে মন খারাপ করে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে
তনু-কি হয়সে??
শিশির-একটা খারাপ খবর আছে
তনু-কি
শিশির-আমি ৩দিনের জন্য রাঙামাটি যাবো,
তোমাকে নিয়ে যেতে চাইসি কিন্তু ওখানে আমাদের যে থাকার জায়গাটা দিসে সব ছেলে,একটু জায়গা থাকলেও তুমি সহ থাকতে পারবা নাহ,তোমাকে এখানে রেখে যাওয়াও বিপদ,আবির কি না কি করে বসে
তনু-সমস্যা নেই আমি তো মায়ের কাছে থাকবো,
শিশির-মা তো সারাদিন তোমাকে চোখে চোখে রাখতে পারবে না
তনু-আরে আমি বাসা থেকে না বের হলেই তো হয়
শিশির-কি করবো ধুর
তনু-আরে টেনসন নিয়েন না
শিশির রেডি হতে লাগলো মন খারাপ করে,
তনু জামা কাপড় গুছিয়ে দিয়ে শিশিরকে পিছন দিয়ে ধরে জড়িয়ে ধরলো,চোখ বন্ধ করে শিশিরের গায়ের ঘ্রান নিতে লাগলো
শিশির তনুকে টেনে নিজের সামনে আনলো,
দুহাত দিয়ে তনুর মুখ ধরলো
শিশির-ভালো থেকো,সাবধানে থেকো কেমন??
তনু-আচ্ছা
শিশির মুখ ধরে চুমু দিতে লাগলো গভীরভাবে,তনু শিশিরকে আঁকড়ে ধরে রাখলো,
কিছুক্ষণ পর শিশির তনুকে ছেড়ে দিলো,
আরেক দিকে ফিরে চলে গেলো,আর তাকালো না
তনু-ফি আমানিল্লাহ♥
তনু সারাদিন বসে হেঁটে কাটিয়েছে,দিন যেন শেষই হচ্ছে নাহ
মা-শোন কাল তো তোর ফুফার মৃত্যু বার্ষিকী, আমরা সবাই যাব,তুই যাবি
তনু-বাসায় একা থাকা যাবে না,
তনু-হ্যাঁ যাবো
পরেরদিন সবাই রেডি হয়ে তনুর ফুফুর বাসায় আসলো,
তনু এক রুমে চুপটি করে বসে আছে,সকাল বেলা শিশিরের সাথে কথা বলেছে,,
প্রচুর মানুষ এসেছে,তনুর কেন জানি ভয় করতে লাগলো
মায়ের কাছে গিয়ে বসলো,
নাহ ধুর কিছু হবে না,
শিশির যে মাইর দিসে আবিরকে next আমার কোনো ক্ষতি করবে নাহ
তনুরা বাসায় আসলো
তনু শিশিরকে কল দিলো
শিশির-তুমি ঠিক আছো?
তনু-হুম,আপনার কি খবর?
শিশির-হুমম,ঘুম আসতেছে,সারাদিন অনেক কাজ ছিল,আমাকে পাহাড়েও উঠতে হয়সে
তনু-আাহারে, আচ্ছা ঘুমান, বাই,উম্মাহ
শিশির-???
পরেরদিন ♥
মা-তনু তনু,দেখ কে আসছে
তনু দেখতে গেলো,আবির!!!
মাকে শিশির আর তনু কিছুই বলনি,আর তাই মা দরজা খুলে দিসে,মা এখন রুমেও নেই,রান্না ঘরে চলে গেসে,
তনু দৌড়ে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগাতে যাবে আবির লাথি মেরে দরজা ধাক্কা দিলো
তনু নিচে পড়ে গেলো,আবির রুমে ঢুকলো,দরজা লাগিয়ে দিলো
আবির-ঐদিন কিছু করতে পারিনি কিন্তু আজ পারবো
তনু চিৎকার দিতে যাবে আবির মুখ চেপে ধরলো,,
তনু আবিরকে নিজের সব শক্তি দিয়ে ধাক্কাচ্ছে,একসময় তনুর মনে পরলো একবার cls 9e থাকতে একটা ছেলে তনুকে খুব জ্বালাতো,শিশির ঐ ছেলেকে ইচ্ছামত মেরে তনুকে একটা training সেন্টারে নিয়ে কিভাবে আত্ন রক্ষা করা যায় তার কিছু কৌশল শিখিয়েছিলো,
তনুর সেটা মনে পরলো,
তনু আবিরের পা ধরে নিজের দিকে টান মারলো,আবির টাল সামতে না পেরে নিচে পড়ে গেলো,
তনু উঠে দাঁড়ালো,তনু দরজা খুলে বের হতে যাবে আবির আরেক টান দিয়ে নিয়ে এলো,তনুকে চড় মেরে দিলো,
আবির তনুর দিকে এগতেই মুনার আওয়াজ পেলো,সাথে সাথে নিচে শুয়ে তনুকে টেনে বলতে লাগলো,প্লিস এমন করবেন না আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইতে আসছি, আর আপনি এসব কি করতেছেন?
মুনা-ভাবী!!!
মুনা তনুকে ধরে উঠালো
তনু-মুনা তুমি ভুল….
মুনা তনুকে চড় মারলো,তনুকে ধাক্কা দিলো,তনু জানালার সাথে বারি খেয়ে নিচে পড়ে গেলো,
মুনা-Next time মেরে ফেলবো শুধু?
মুনা আবিরকে নিয়ে চলে গেলো,
তনুর হাতে খুব লেগেছে,একা বসে বসে কাঁদতে লাগলো,
মা-একি তোর এ অবস্থা কেন??মুনা এমন করলো কেন?
মা ফোন নিলো শিশিরকে কল দেওয়ার জন্য,তনু হাত থেকে ফোন নিয়ে নিলো,
তনু-না,উনাকে জানাইও না,মুনা ভুল বুঝে এমন করসে,উনি আসুক
মা তনুকে ধরে উঠালো,হাত পরিষ্কার করে Bandage করে দিলো,
তনু-যাও তুমি,আমি ঠিক আছি,আর শিশিরকে কিছু বলবা না,
মা চলে গেলো,
তনু কাঁদলো বসে বসে,আজ নিজেকে একা লাগতেছে,
তনু ঘুমিয়ে গেলো,
শিশিরের কাজ শেষ আসতেছে বাসায়,,কিছু গোলাপ কিনলো তনুর জন্য,
বাসায় গেলো,মা দরজা খুললো, মায়ের মুখ গম্ভীর,
শিশির-তনুর কিছু হলো নাতো?
শিশির এক দৌড়ে তনুর কাছে গেলো,নাহ তনু তো ঘুমাচ্ছে,
শিশির জামা নিয়ে fresh হতে গেলো,
তনু আওয়াজ পেয়ে উঠে বসলো,শিশির আসছে?!!!
তনু তাড়াতাড়ি করে জামা change করে শাড়ী পরে নিলো,শাড়ীর আঁচল দিয়ে হাত ঢাকতে পারবে ঠিক করে,
শিশির বের হলো,তনু মুচকি হেসে এসে শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো,
শিশির-মিসড ইউ সো মাচ
তনু-মি টু
শিশির তনুর মুখ ধরলো,ব্রু কুঁচকে তাকালো,তারপর ছেড়ে দিলো,
শিশির-চলো খেতে দিবা
তনু পিছন পিছন গিয়ে টেবিলে খাবার দিলো,
তনু শিশিরকে খাবার দিচ্ছে,
শিশির-মা আবির কি আসছিলো??
মা তনুর দিকে তাকালো,
শিশির-কি করসে?
মা চুপ হয়ে আছে
তনু-না আসে নাই
শিশির-তোমাকে জিগায় নাই
শিশির খাওয়া শেষে তনুর হাত ধরে রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো,তনুর কাছে এসে থুঁতনি ধরে উঁচু করলো
শিশিরের চোখে পানি ছলছল করতেছে,তনুর গালে ৫টা আঙুলের দাগ বসে আছে,
শিশির তখনই দেখসিলো
শিশির তনুকে দাঁড় করিয়ে হাত থেকে আঁচল সরালো,কেটে গেসে অনেকটা, Bandage ভিজে উপর দিয়ে দেখা যাচ্ছে,,
শিশির-আমাকে বলোনি কেন?
শিশির ধমক দিলো তনুকে
তনু কিছুই বলতেছে না,শিশির যতই ধমক দিচ্ছে
শিশির তনুকে ছেড়ে মায়ের কাছে গেলো,
শিশির-মা তুমি আমাকে সত্যিটা বললো,তনু আমাকে কিছু বলতেছে না,তনুর হাতের এই অবস্থা কেন?
মা-মুনা তনুকে চড় মারসে তারপর ধাক্কা দিসে,ও জানালার সাথে লেগে ব্যাথা পাইসে
আবির আসছিলো প্রথমে,আমি জানতাম না,আমি দরজা খুলে দিয়ে রান্নার রুমে চলে গেসিলাম,
শিশিরের মাথায় যেন আগুন লেগেছে,
শিশির বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো
তনু-মা কেন বলসো?
মা-তো বলবো না?ছোট ননদ হয়ে ভাবীর গায়ে হাত তুলে,তাও বিনা অপরাধে
চলবে♥
(আমার সামনে xm,তাও ঠিকমত গল্প দেওয়ার চেষ্টা করবো,প্রেমনেশা আপাতত অফ থাকবে)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
Crush যখন বর?
Writer-Afnan Lara
#Season_2
#Part_51
শিশির বাসায় গিয়ে দেখলো মুনা আর আবির বসে বসে টিভি দেখতেছে
শিশির গিয়ে মুনাকে ঠাস করে চড় মেরে দিলো,
শিশির-তোর সাহস হয় কি করে তনুর গায়ে হাত তুলার??
মুনাকে ছেড়ে দিয়ে আবিরের নাকে ঘুষি দিলো,
মুনা-আর একবার ওর গায়ে হাত দিলে আমি নিজেকে শেষ করে দিব
শিশির মুনার দিকে তাকিয়ে আবিরকে ছেড়ে দিলো
শিশির-মা মা,মা
মা-কি শিশির?
শিশির-মুনাকে এখন এই মূহুর্তে ওর সো কলড husband কে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলো,নাহলে আমি বের হলে সারা জীবনেও এই বাসায় আমাকে আনতে পারবে না
মা চুপ হয়ে গেসে,
শিশির-ঠিক আছে,আমার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে নতুন বাড়ি করার, আমি সেখানে গিয়ে থাকবো,
শিশির বের হতে লাগলো মা আটকালো,
শিশির-ওরে বের হয়ে যেতে বলো
মা-মুনা তুই তোর শশুর বাড়ি চলে যা,কদিন পর আসিস
মুনা রেগে আবিরকে নিয়ে চলে গেলো,
যাওয়ার সময় শিশিরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো
মুনা-আমার মৃত্যুর কারন না জানি আপনার তনু হয়,তখনও বউ বউ করিয়েন,
মুনা চলে গেলো
মা-এসব কি হচ্ছে,আমার পরিবারের সাথে
শিশির-সব ঠিক হয়ে যাবে
আবির মুনাকে নিয়ে ওর কেনা বাসায় আসলো
আবির-আমার আরও plan করে কিছু একটা করে তনুর প্রতি শিশিরের বিশ্বাস ভাংতে হবে,
আবির একটা নতুন সিম কিনলো,
তনুকে কল দিলো,
শিশির গোসল করতে গেসে,
তনু-হ্যালো
আবির চুপ হয়ে আছে
৫sec হয়ে গেসে তনু এখনও হ্যালো হ্যালো করতেছে আবির একটা শব্দ ও করতেছে নাহ,১০sec পর লাইন কেটে দিলো
তনু-পাগল নাকি
শিশির বের হলো টাওয়েল পরে,
তনু-বাব্বাহ
শিশির -কি
তনু-দিনদিন আরও handsome হচ্ছেন,
শিশির-কবে কম ছিলাম নাকি
তনু-নাহ
শিশির তনুকে ধরলো,
তনু-মুনাকে ফিরিয়ে আনেন,আবির ভালো না,ওর ক্ষতি করে ফেলবে
শিশির-হুম,কিন্তু মুনা তো আবিরের সব কিছু বিশ্বাস করে
তনু-???
শিশির তনুর মুখ ধরে কিস করতে যাবে তনু চোখ বড়বড় করে বাথরুমে চলে গেলো,
শিশির পিছন পিছন গেলো,
শিশির-কি হয়সে?
তনু বমি করতেছে
শিশিরের কল আসলো,শিশির চলে গেলো,
তনু বের হলো,
শিশির-তনু rest নাও,আমার একটা important কাজ এসে গেসে,আমি অফিস যাচ্ছি,বাই,শিশির তনুর কপালে চুমু দিয়ে চলে গেলো,
তনু-খালি পেটে বমি আইসা গেসে,যাই কিছু খেয়ে নিই
তনু -একি আমাকে আমার আইডিতে যেতে দিচ্ছেনা কেন?
জিনিয়া কল দিলো তনুকে
তনু-হুম বল
জিনিয়া -আরে তোর আইডি মেবি হ্যাক হয়সে,উল্টা পাল্টা post আপ দিচ্ছে হ্যাকার
তনু-কিহ?কেমনে,এখন কি করবো
জিনিয়া-আমি post দিচ্ছি, যাতে কেউ তোকে ভুল না বুঝে
তনু-ওকে
আহারে কি হলো আমার আইডির??????
রাতে শিশির আসলো
তনু এলোমেলো হয়ে ঘুমাচ্ছে,
শিশির কাঁথা টেনে দিয়ে শুয়ে পরলো,ঘুম আসতেছে না,না জানি আবির কি করবে মুনার সাথে,
পরেরদিন সকাল ♥
শিশির উঠে fresh হয়ে নিলো,কিন্তু তনু উঠতেছে না কেন,অসুখ নাকি
শিশির-থাক ঘুমাক
শিশির রেডি হয়ে অফিসে চলে গেলো,
তনু ৯টায় উঠলো,ইস কত্ত দেরি হয়ে গেলো,ধুর,শরীরটা কেমন জানি লাগতেছে,ঘুম ছেড়ে উঠতে লেট হয়ে গেলো,
তনু উঠে fresh হয়ে খাবার খেয়ে নিলো,শিশিরদের বাসায় যায়নি,
শিশির জানে মা তনুকে অনেক কিছু বলবে,বাসায় বাবা আসছে,তাই শিশির তনুকে ওর মায়ের বাসায় রাখসে
মা-কিরে চোখ মুখের এই অবস্থা কেন?
তনু-কি জানি
তনু একটু খেয়ে উঠে গেলো,ভালো লাগতেছে না,
দুপুরে শিশির কল দিলো,তনুর খবর জিজ্ঞাসা করলো
তনু বললো সব ঠিক আছে
কিন্তু শিশির জানে তনু ঠিক নেই,যে মেয়ে সকাল সকাল উঠে সে দেরি করে উঠা মানেই অসুস্থ,
শিশির অফিস থেকে তাড়াতাড়ি আসলো,তনু বারান্দায় ঘুমাচ্ছে চেয়ারে বসে
শিশির তনুর গালে আলতো করে হাত বুলিয়ে দিলো,
তনু চোখ মেলে তাকালো,
শিশির-শরীর বেশি খারাপ লাগছে?Doctor এর কাছে যাবা?
তনু-আরে না ঠিক হয়ে যাবে
শিশির তনুর সামনে গিয়ে নিচে বসলো,পকেট থেকে একটা পায়েল নিয়ে তনুর পায়ে পরিয়ে দিলো,
শিশির-আগেরটা পুরান হয়ে গেসে,
তনু-অনেক সুন্দর হয়সে
শিশির পায়ে চুমু দিতে যাবে তনু সরিয়ে ফেললো
তনু-আরে কি করতেছেন কি!
শিশির-চুমু দিব
তনু-পায়ে না pls,
শিশির-তাহলে?
তনু-গালে
শিশির মুচকি হেসে এগিয়ে এলো
Continuesly গালে চুমু দিতেছে
তনু-পাগল হয়ে গেলেন নাকি মদ গাজা খেয়েছেন
শিশির-না, Full sense এ আছি,তুমি খুব গুলুমুলু হয়ে গেসো,কি করবো সামলাতে পারি নাহ
তনু-গাল ব্যাথা হয়ে গেসে আমার,
শিশির-আমারে দেও
তনু-ইহহহহ,গাল ভর্তি দাঁড়ি ছোট ছোট,খোঁচা লাগে খালি
শিশির-আমার যতদূর মনে আছে তুমি আমার গালে চুমু দাও নাই কখনও,তাহলে খোঁচা লাগে তুমি জানো কেমনে
তনু-?
শিশির -ও আচ্ছা,আমি ঘুমালে চুপিচুপি চুমু খাও তুমি
তনু-ইয়ে মানে,না মানে
শিশির-হাহাহাা
শিশির তনুকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেলো,
রাতে তনু আর শিশির ঘুমিয়ে আছে,শিশিরের ফোনে কল আসলো
শিশির-হ্যালো
—–ভাইয়া আমারর খুব কষ্ট হচ্ছে,আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও
শিশির-মুনা,মুনা কি হয়সে,
লাইন কাটা গেলো
শিশির তাড়াতাড়ি উঠে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলো,সবাই ঘুমাচ্ছে,শিশির মুনার চিন্তা করতে করতে দরজা লাগায় নি
তনু মরার মত ঘুমাচ্ছে,এত ঘুম কই থেকে আসে কে জানে
শিশির ২০মিনিটেই মুনাদের বাসায় আসলো,
শিশির-মুনা তুই ঠিক আছোস?
মুনা শিশিরকে দেখে খুশি হলো,শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো
মুনা-ঐ একটু পায়ে লেগেছে,
শিশির-আবির কই?
মুনা-ওমা তনু ভাবী তো বললো তুমি নাকি আবিরকে আসতে বলসো,আবির তাই গেলো,আর আমার পায়ে ব্যাথা তাই আমি যেতে পারিনি
শিশির -আমি??কখন?আর তুই আমাকে কল দেস নাই?
মুনা-কই নাতো
শিশির মাথায় হাত দিয়ে দৌড় দিলো
তনু ঘুমাচ্ছে,,জোরে একটা শব্দ হলো
তনু উঠলো,এতটাই ঘুম চোখে যে সব ঝাপসা দেখেছে,,কে যেন দাঁড়িয়ে আছে হুম শিশির হবে,তনু আবার ঘুমিয়ে পরেছে
আবির তনুর দিকে এগিয়ে গেলো,
তনুর পাশে শুয়ে তনুকে এক হাত দিয়ে ধরে রাখলো,
শিশির তাড়াতাড়ি বাড়ি এসেই আবির আর তনুকে দেখে চিৎকার দিলো,আবিরের কলার ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো,তনু জেগে গেলো,উঠে বসলো,
শিশির-cheater ঠগবাজ,
আবির ফোন বের করে শিশিরের দিকে এগিয়ে দিলো
শিশির ফোন হাতে নিলো,একি এসব কেমন cht তনুর আর আবিরের,বাবু জান??
তনু চোখ ডলতে ডলতে ঠিক হয়ে উঠে দাঁড়ালো
আবির-এটা কি মিথ্যা??
শিশির সব খুঁটে খুঁটে দেখলো না,এটা তো তনুর আইডি,আবির তনুর থেকে ফোন নিয়ে শিশিরের হাতে দিলো,
এই দেখেন সকালে আমরা কথাও বলসি,ও আমাকে এই টাইমে আসতে বলসে,
শিশির একটা থাপ্পড় দিলো আবিরকে,তারপর তনুর দিকে তাকালো,রাগ control করার উপায় খুঁজতেছে আর আবিরকে আলুর ভর্তা বানাচ্ছে,
তনু-কি হয়সে বলবেন তো
শিশির আবিরকে ধাক্কা মেরে বাসা থেকে বের করে দিয়ে তনুর কাছে আসলো
চলবে♥