Contract_marriage★  part: 14

0
3702

Contract_marriage★
part: 14

writer-Jubaida Sobti
আবিরের কথা শুনে সবাই হেসে উঠে।
মা : যা এবার ঘুমাতে যা।
রাতে হঠাৎ আবিরের ফোন বেজে উঠলো। নিলা ও আবিরের ঘুম ভেংগে গেলো।
আবির : (ঘুম চোখে) হ্যালো….
তারা : হ্যালো আবির আমি তারা।
আবির লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলো।
আবির : তারা! তুমি?…. তারা….. তুমি কেমন একটা খবর ও নাওনি। কেমন আছো তুমি?
তারা : হে ভালো আছি।তুমি কেমন আছো?
আবির : (অনেক খুশিতে) এতোদিন খারাপ ছিলাম তবে এখন তোমার কন্ঠ শুনে ভালো হয়ে গেছি।
তারা : আবির তোমাকে কিছু বলার ছিলো
আবির : হে বলো!
তারা : ফোনে নয় সামনাসামনি।
আবির : ঠিকাছে কাল তাহলে দেখা হচ্ছে।
তারা : কাল নয় এখন।
আবির : এখন এতোরাতে।
তারা : কেনো আমার জন্য এইটুকুটা ও করতে পারবা না?
আবির : না না আমি তা বলেছি নাকি? এক্ষুনি আসছি আমি।
তারা :ওকে।
নিলা : (মনে মনে যখনি আবিরের সাথে খুশী হয়ে থাকতে চায়। আবিরের আমার প্রতি মায়া বাড়ে তখনি এই তারার বাচ্চা তারা কাবাব মে হাড্ডি হয়ে বসে)?
আবির : নিলা!
নিলা : বুঝেছি আপনি এখন বের হবেন আর আমার থেকে মেইন ডোর অফফ করতে হবে তাই তো?
আবির : হাউ ব্রিলিয়ান্ট নিলা তুমি। আমার সব কিছু এতো তাড়াতাড়ি বুঝে যাও তুমি।
আবির বেরিয়ে পরলো। নিলা দরজা বন্ধ করে রুমে এসে পরে। ভালো লাগছে না নিলার ঘুম ও আর আসছে না। আবির ও নেই।
প্রায় আধ ঘন্টা পরে নিলার মোবাইল বেজে উঠে।
নিলা : হ্যালো!
আবির : নিলা! এক্ষুনি ২ হাজার টাকা নিয়ে পুলিশ স্টেশনে চলে এসো।
নিলা : (অবাক হয়ে) পুলিশ স্টেশন কিন্তু কেনো আপনি কোথায়? পুলিশ স্টেশন কেনো? আপনি কোথায়?
আবির : নিলা! এতো প্রশ্ন না করে টাকা নিয়ে তাড়াতাড়ি আসো না প্লিজ।
নিলা : কিন্তু এতো রাতে গাড়ী কই পাবো?
আবির :উফফ ড্রয়ারে আছে গাড়ীর চাবি।
নিলা : কিন্তু আবির আমিতো ড্রাইভিং পারিনা।
আবির : (একটু রেগে) যেভাবে পারো ঐভাবে আসো।
নিলা তাড়াতাড়ি বের হয়। কোথাও কোনো গাড়ির আনাগোনা নেই। বাসায় কেউকে ও বলতে পারছে না।
অনেক দূর হেটে গিয়ে একটা রিকশা পায়। ভয় ও লাগছে একা একা এতো রাতে। এদিকে আবার আবিরের টেনশন।
নিলা গিয়ে আবিরকে পুলিশ স্টেশন দেখে। আবির ও নিলাকে দেখে খুশি হয়ে যায়।
নিলা : আপনি এইখানে কেনো?
আবির : আর একটু দেরিতে আসতে। আমাকে চালান দিয়ে দেওয়ার পরে আসলে ভালো হতো না।
আবির পুলিশকে টাকা দিয়ে নিলাকে নিয়ে বেরিয়ে পরে।
আবির : শালা পুলিশ ঘুষ খাওয়া ছাড়া তার পেটের ভাত হজম হয় না।
নিলা : কি চুরি করতে ধরা পরেছেন।
আবির : (রেগে গিয়ে) নিলা! তুমি কিন্তু বেশি করছো।
নিলা : নিলাও রাগ দেখিয়ে) তাহলে পুলিশ কেন ধরলো আপনাকে?
আবির : আরে আমিতো গিয়েছিলাম তারার সাথে দেখা করতে। তারাদের বাড়ীর সামনে থেকে তারার সাথে ইশারায় কথা বলতে দেখে ফেলে গার্ড পুলিশ। মনে করেছে ইপ্টিজিং করছি।
নিলা : হি-হি-হি
আবির : তোমার হাসি পাচ্ছে না?
নিলা : তো আপনার তারা আপনাকে বাচানোর জন্য আসেনি কেন?
আবির : (একটু ভেবে) আসলে তারা ও পুলিশ দেখে ভয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
নিলা : ও ও….. তো আপনি পুলিশকে বলেন নি আপনি কার ছেলে?
আবির : আরে বলেছি তো শালা বিশ্বাস করছে না। বললো বাবাকে ফোন দিতে।
কিন্তু বাবাকে কেমনি ফোন দিবো। হিটলার আরো পুলিশকে বলবে আমাকে রিমান্ডে দেওয়ার জন্য। তারপর……
নিলা : (চোখে ইশারা করে) তারপর কি?
আবির : তারপর বলেছি…..আচ্ছা আমার বউকে একটা ফোন দিতে দেন।……(একটু নরম শুরে) কি করার নিলা বাচার জন্য বলেছি আরকি।?
নিলা : ( মনে মনে হেসে) ইটস অকে।?
আবির আর নিলা বাসায় এসে পৌছায়।
আস্তে আস্তে করে দুজন রুমে ঢুকে।রুমে ঢুকার পরে।
আবির : বড় বাচা বাচলাম আজ।
নিলা : হ্যাঁ তবে এতো রাতে দেখা করতে যাওয়ার কি দরকার ছিলো….
আবির : বেশী কথা বলবানা। তুমি জানো না আমাকে কে যেতে বলেছে তারা বলেছে তারা।
নিলা : (রেগে গিয়ে) আচ্ছা?? আজ আমি না থাকলে কি করতেন? কাকে ফোন করতেন।
আবির : (একটু ভেবে) আমার খুব ঘুম পাচ্ছে ঘুমাতে দাওতো।
এই বলে আবির মুখের উপর চাদর দিয়ে শুয়ে পরে।
আবার চাদর সরিয়ে
আবির : আর তুমি ড্রাইভিং শিখোনি কেনো? সবাই কি বলবে আবিরের বউ ড্রাইভিং পারে না ছিঃ। শোনো কাল থেকে ড্রাইভিং শিখে নিবে। আমার ভাবিরা সবাই ড্রাইভিং জানে।তোমার ও জানতে হবে।
নিলা : কেনো জানতে হবে।
আবির : দরকার আছে আমার জন্য আমি প্রব্লেমে পড়লে তখন এরকম যেতে হবে তো।
নিলা খাট থেকে একটা বালিশ নিয়ে আবিরের মুখের উপর মেরে দেই।
আবির: (হেসে হেসে ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়ে)…..
পরদিন সকালে….
আজ আবিরের জন্মদিন।??
সন্ধায় আবিরের বন্ধু বান্ধবীরা সবাই এসেছে আবিরকে সারপ্রাইজ দিতে।
আবির তার বন্ধুদের নিলাকে পরিচয় করিয়ে দেই এবং বলে নিলা আবিরের কাজিন।
কিন্তু অনেক বন্ধুরা খবর পায় যে আবিরের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আবির কাউকে জানায়নি।
নিলাকে কাজিন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিলে ও কোনো ফ্রেন্ডস তা জিজ্ঞেস করেনি আবির মিথ্যা কেনো বলেছে।
আবিরের একজন বন্ধু সৌরভের নিলাকে খুব পছন্দ হয়েছে। এবং সৌরভ নিলা আর আবিরের কন্ট্রাক্ট এর বেপারে ও সব শুনেছে আবিরের বেস্ট ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে।
তাই সৌরভ অপেক্ষায় আছে কখন নিলাকে তার মনের কথা বলতে পারবে।
সৌরভ নিলার সাথে অনেক ভাব করে নিয়েছে অনেক গল্পগুজব হচ্ছে তাদের মাঝে। আবির সেটা খেয়াল করেছে নিলাও অনেক হাসিখুশিতে সৌরভের সাথে কথা বলছে। কিন্তু আবিরের তা সহ্য হচ্ছে না কেনো তা আবির নিজে ও বুঝে উঠতে পারছে না।
চলবে…….?

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে