Contract_marriage★  part : 13

0
3829

Contract_marriage★
part : 13

writer-Jubaida Sobti
নিলা : হুম।
আবির : হুম কি?
নিলা : কিছুনা।
আবির : কিছুনা মানে কিছুতো একটা বলো।
নিলা : হ্যাঁ বলছি তাহলে কান খুলে শুনেন।
আজ ৩ দিন চলে গেলো ৬ মাসের থেকে। আপনি তো ৫ লক্ষ টাকার এক টাকা ও ইনকাম করেননি।
আবির : (রেগে গিয়ে) i can’t blv this..নিলা তোমাকে আমি কি মনে করতাম।
তোমার মায়াবী চেহেরা দেখে তোমার মায়াবী চোখের জল দেখে…..তুমি যাতে ভেংগে না পরো….তোমার মামা-মামী যাতে কষ্ট না পায় তাই আমি তোমাকে বিয়ে করে তোমাকে সাহায্য করেছি। একবার ও ভাবিনি আমার তারা যখন জানতে পারবে তখন সে আমাকে কি মনে করবে।
নিলা : বিয়ে করে আমাকে সাহায্য করেছেন? বিয়েটা কি আপনার জন্য পুতুল খেলা? আমি বউ সাজলাম আর আপনি জামাই সাজলেন।
আবির : নিলা আমার কি মনে হচ্ছে জানো….তুমি আমাকে নিজের হাজবেন্ড মনে করছো… কারন ঐ দিন এই বিয়ের প্লান মাথায় তোমার এসেছিলো….
নিলা : (চুপ করে থাকলো চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে)
আবির : তোমার এইসব ড্রামা চোখের জল গুলো একটু বন্ধ করবে।
নিলা : (চোখ মুছে) এখন কি ভেবেছেন আমার ৫ লক্ষ টাকা কিভাবে দিবেন।
আবির : তোমার ৫ লক্ষ টাকা আমি তোমাকে ৬ মাসের আগেই দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যাতে ৬ মাস আগেই আমি তোমাকে আমার লাইফ থেকে বের করতে পারি।
এই বলে আবির রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো।
রাতে আবির বাসায় আসে কিন্তু নিলার সাথে কোনো কথা বলে না। অন্যদিন অনেক দুষ্টুমি করতো।
নিলা : ( মনে মনে ভাবছে হয়তো টাকার কথা গুলো বলাতে। কিন্তু কি করার আবিরকে তার জীবন সুন্দর করানোর জন্য এটাই একটা রাস্তা নিলার।)
সকাল হলো টুকটাক আওয়াজে নিলার ঘুম ভেংগে গেলো।
চোখ খুলে দেখে আবির নিলার আগে ঘুম থেকে উঠেছে তাও আবার সকাল সকাল এতো হ্যান্ডসাম হয়ে কই যাচ্ছে।
নিলা: কই যাচ্ছেন আপনি?
আবির : (মুখ ভংগি করে) অফিস যাচ্ছি তোমার ঐ ৫ লক্ষ টাকা তোমার কাছে ছুরে মারতে।
নিলা : (খুশি চেপে রেখে) দেখিয়েন আবার বাবার টাকা চুরি করিয়েন না।?
আবির : এই এই…. কি বলতে চাও তুমি হে…. আমাকে দেখে কি তোমার চোর মনে হয়।?
নিলা : মনে হবে না কেনো…. আপনি কি কোনো দিকে কম।?
আবির : (নিলার দিকে এগিয়ে আসে…..)
নিলা : (উঠে দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।)?
আবিরকে অফিসে যেতে দেখে আবিরের পরিবাররা খুব খুশি হয়। আবিরের বাবাতো যেনো সপ্ন দেখছে।?
আবিরের বাবা ও নিজেকে ধন্য মনে করছে আবিরের জন্য নিলার মতো একটি বউ পেয়ে।
নিলা ও খুব খুশি আবির এখন অফিস যায়। কেউ আর বলে না আবির বেকার বাবার কামাই খায়।
এভাবে কয়েক সপ্তাহ কেটে যায়।একদিন রাতে সবাই খাবারদাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়।আবির আর নিলা ও তার রুমে যায়।
আবির : নিলা!
নিলা: কিছু বলবেন।?
আবির : না আসলে তোমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ছিলো….?
নিলা : কিন্তু কেনো??
আবির : তুমি যদি আমার কাছ থেকে টাকা না চেতে তাহলে আজ হয়তো আমি বেকার থাকতাম। ধন্যবাদ তাই।?
নিলা : ও…..
আবির : কেউ ধন্যবাদ দিলে তার জবাব দিতে হয় জানো না।?
নিলা : আপনি কথায় কথায় ঝগড়া করেন কেন হে?..!?
আবির : আর তুমি! (আঙুল দিয়ে দেখিয়ে) এতোটুকু হাইটের একটা মেয়ে কথায়… কথায় আমাকে ধমক দাও কেন??
নিলা : হাইট ছোট হলে মানুষটাকে লুজার মনে করবেন না।
আমাদের পাশের বাড়ীর একটা আন্টি আছে ওনার হাইট আমার চেয়েও অনেক ছোট কিন্তু আংকেলটা আপনার চেয়ে ও আরো লম্বা। আর আংকেল আন্টিটার সব কথা শুনে।?
আবির : হা হা হা( নিলার কথা শুনে আর না হেসে পারলো না।)
নিলা : আপনার আমাকে জোকার মনে হয়। হাসছেন কেন।?
আবির : (হাহাহা) তুমি জোকারের থেকে কম নাকি।??
নিলা আবিরের কথা শুনে আবিরকে দৌড়াতে শুরু করলো।
আবির হেসে হেসে দৌড়ে দৌড়ে নিলাকে আরো গরম করে দিচ্ছে।
আবির : হায় হায়!!! আল্লাহ শেষ পর্যন্ত আমার কপালে এই জোকার বউটা মিলিয়ে দিলো……??
নিলা দাঁড়িয়ে গেলো আবিরের কথা শুনে।
আবির : কি হলো,,, শক্তি শেষ। আর দৌড়াতে পারছো না?
নিলা : ৬ মাসের বউ।?
আবির ও হাসি বন্ধ করে দেয় নিলার কথা শুনে।
আবির : আচ্ছা আমাদের যখন ৬ মাস একসাথে থাকতে হবে তবে আমরা তো ফ্রেন্ডস হয়ে থাকতে পারি।? ৬ মাস পর তো
দুজন দুদিকে।
নিলা : (মনে মনে…. আবিরের কাছে কথা গুলো বলা কতো সহজ।)
আবির : ঐ নিলা!! কোথায় হারিয়ে গেলে… কি ভাবছো??
নিলা : না কিছুনা!!! হে শিয়র…. ফ্রেন্ডস ওকে।
আবির : ওকে এখন থেকে আর ঝগড়া নয় যে কটা দিন একসাথে আছি। বন্ধু হয়ে থাকবো।
নিলা : তবে আমার একটা কন্ডিশন আছে।
আবির : কি কন্ডিশন আবার।
নিলা: আমাকে বন্ধু বানিয়ে আমার টাকা না দেওয়ার প্লান করলে চলবে না কিন্তু।??
আবির : হে….রে বাবা তোমার টাকা তোমাকে দিয়েই ছাড়বো।
নিলা: (হাসি দিয়ে) গুড বয়।?
আবির : চলো ছাদে যায়।
নিলা : এতো রাতে আপনি কি পাগল।?
আবির : আরে আমি আছিতো ভয় কিসের। এখনিতো আমাকে বন্ধু বললে আর এখনি বন্ধুর কথা রাখছো না।??
নিলা: কিন্তু আমার ভুত অনেক ভয় করে।অন্ধকারে ভুত থাকতে পারে।?
আবির : (হেসে হেসে) আরে পাগলী একটা চলোতো।?
নিলা : আপনি কি এভাবে রাতে ছাদে উঠেন।?
আবির : হ্যাঁ উঠি মাঝে মাঝে বন্ধুদের নিয়ে ও আড্ডা দিতে উঠি স্মোক করতে উঠি।?
নিলা : আবির আপনি স্মোক করেন 
আবির : ইয়ে…মানে…টেনশনে থাকলে আরকি।?
নিলা : ছিঃ……….!…. ছিঃ…!
আবির : ঐ ছিঃ বলার কি আছে হ্যাঁ ? দাঁড়াও আমি একটা নিয়ে আসি তুমি সহ খেয়ে দেখো কি মজা।?
নিলা : ছিঃ…. কি বাজে আপনি। আপনার কি মনে হচ্ছে আমি স্মোক করবো।?
আবির : (হঠাৎ আবিরের মাথায় একটা বুদ্ধি এলো নিলা বলেছিলো তার ভুতকে অনেক ভয় লাগে তাই আবির পেছন থেকে হাত বাড়িয়ে নিলার চুল গুলো আলতো করে টান দেয়)?
নিলা অমনি চিৎকার দিয়ে উঠে। আর আবির হাসতে হাসতে মাটিতে বসে পড়ে।???
নিলা : (রেগে গিয়ে) আবির! ?
আবির : (হাহাহা) আল্লাহরে তুমি এতো ভয় পাও ডারপোক কোথাকার।??
নিলা : (আবিরকে নিলা দৌড়াতে শুরু করলো।)
আবির : আরে! কি করছো…. পড়ে যাবো তো।নিলা প্লিজ আস্তে পড়ে যাবা….
নিলা: (দাঁড়িয়ে গেলো) বাই চলে যাচ্ছি আমি। (এই বলে নিলা চলে যাচ্ছে)
আবির : নিলা! সরি সরি। আরে আমিতো দুষ্টুমি করলাম।
নিলা আর আবির দুজনে শিরি দিয়ে নামার সময়।
দেখে আবিরের বাবা মা দুজন শিরি দিয়ে উঠছে।
আবির : মা তুমি কোথায় যাচ্ছো??
মা : আবির ছাদে কে ছিলো? তোরা??
আবির : হ্যাঁ মা! আমি আর নিলা।?
বাবা : আরে আমরা তো দৌড়ানোর আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে গিয়াছিলাম। কোনো চোর এসেছে মনে করে।?
আবির : আরে না বাবা! আমরা ছিলাম।?
মা : আবির তুই কি পাগল। নিলাকে ছাদে নিয়ে গেলি কেনো এতো রাতে??
আবির : কেনো কি হয়েছে।??
মা : আরে ওর যদি কোনো খারাপ বাতাস লাগতো। এই সময়টাতো একদম ঠিক ছিলো না।
আবির : বাহ! মা…. একবার ও এটা বললে না যে তোর ও যদি খারাপ বাতাস লাগতো।?
মা : আরে! পাগল নিলা এখনো নতুন বউ। তার জন্য বলছি। নতুন বউদের ক্ষেত্রে এসব আরো বেশি হয়।☺
আবির : তাহলে তো আমি নতুন জামাই?
চলবে—☺

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে