চুক্তির বউ ৭ম পর্ব
লেখা:তামান্না
শ্রাবণ দরজা খুলে রুমে ডুকেই চারিদিকে তাকিয়ে মেঘকে চিৎকার করে ডাকতে থাকে।মেঘ তাড়াতাড়ি শ্রাবণের গলার আওয়াজ পেয়ে রুমে আসে।শ্রাবণ মেঘকে উদ্দেশ্য করে বলা শুরু করে……
শ্রাবণঃএসব কি মেঘ?
রুমের ভেতরটা দেখিয়ে।মেঘ পুরো রুমটা সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে।চারিদিকে মোমবাতির নিবু নিবু আলো রুমটার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে।শুধু মোমবাতি না সামনে ছোট টেবিলে একটা ছোট কেক।আর তাতে লেখা “Happy Birthday Dear Shrabon Mahmud”
এগুলো দেখে শ্রাবণের মাথায় রক্ত চেপে যায়।
মেঘ ভয়ে ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।
মেঘঃআসলে একটুপর তো আপনার জন্মদিন তাই।
শ্রাবণঃকে বলেছে এসব করতে আমি বলেছি তোমাকে।আমি বলেছি আমার জন্মদিন আমাকে উইশ করো।আমি বলেছি আমার জন্ম দিনে পার্টি করো।আমি বলেছি আমার জন্মদিনে আমাকে সারপ্রাইজ দাও।(ধমক দিয়ে)
মেঘ কিছু না বলে চুপ করে আছে।ভয়ে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
শ্রাবণ মেঘকে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে।এমন ভাবে হাতদুটো চেপে ধরেছে মেঘ ব্যথায় চিৎকার দেয়।মেঘ কষ্ট পাচ্ছে দেখে হাত ছেড়ে দেয়।আবার বলা শুরু করে।
শ্রাবণঃকেনো এসব করেছো একবার আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতে?
মেঘঃসরি আমি বুঝতে পারিনি আপনি ওইভাবে রিয়েক্ট করবেন।একটু শান্ত্ব হয়ে আমার কথা শুনুন।
শ্রাবণঃকি শুনবো আমি?আমার কিছু শুনার ইচ্ছে নেই।আমাকে একা থাকতে দাও।
মেঘঃদুর একা থাকবেন বলেকি আমি এতো কিছু করলাম।তখন কি বললেন আপনি আর এখন কি করছেন?
শ্রাবণঃতখন ভাবনায় ছিলো না তুমি আমার জন্মদিন নিয়ে এইভাবে কিছু করবে।
মেঘঃহুম তাই নাকি।আচ্ছা বাদ দিন আসুন কেক কাটবেন।
মেঘ শ্রাবণের হাত ধরে টানতে টানতে কেকের সামনে নিয়ে দাড় করায়।
শ্রাবণঃকেনো এমন করছো মেঘ এই দিনটা আমি ভুলে যেতে চাই কেনো বুঝো না।
মেঘ আলতো করে শ্রাবণের গালে একহাত রাখে অন্যহাতে শ্রাবণ এর আরেকহাত ধরে আছে।
মেঘঃআপনি তো কোনো অন্যায় করেননি তাহলে আপনি কেনো কষ্ট পাবেন।আর আমি যখন জেনেই গেছি বাবার মৃত্যুর পিছনে কেউ জড়িত তখন তাকে খুঁজে বের করা আমার দায়িত্ব আর আজ থেকে আপনার মুখে হাসি ফুটানোর দায়িত্ব ও আমার।
শ্রাবণঃএক মাসের জন্য।
মেঘঃহোক না এক মাস তাতে কি?এই একমাস কেই আমি কাজে লাগাবো।
শ্রাবণঃকি করবে এই এক মাসে?যা আমি তিন বছরেও করতে পারিনি।
মেঘঃউফফফ সেটা আমি দেখবো আসেন তো আগে কেক কাটবেন।আমি মাকে কথা দিয়েছি আমার কথা আমাকে রাখতে দিন প্লিজ।
মেঘের কথায় শ্রাবণ আর কিছু না বলে ছুরি হাতে নিয়ে কেক কাটে।আর মেঘ হাততালি দিয়ে শ্রাবণ কে উইশ করতে থাকে।
অন্যদিকে শ্রাবণের মা দরজার পাশ থেকে সব দেখে মুখে একটা তৃপ্তির হাসি দিয়ে নিজের রুমে চলে যান।
তারপর মেঘ আর শ্রাবণ অনেক গল্প করে।
সেদিনের পর থেকে শ্রাবণ অনেকটা বদলে গেছে।আগের মত হাসি আনন্দ নিয়ে মেতে থাকে।কিন্তু একটাই চিন্তা আর মাত্র কয়েকটা দিন পর মেঘ চলে যাবে।শ্রাবণ কি ব্যর্থ মেঘকে তার ভালোবাসা বুঝাতে।হয়তো ব্যর্থ হয়তো না।
তাহলে কি পারলো না শ্রাবণ মেঘকে আটকাতে।
অন্যদিকে মেঘ একটা একটা করে ক্লু খুঁজে বের করছে।কে মারার প্লেন করতে পারে শ্রাবণ কে।কে ওর এতো বড় ক্ষতি করতে চায়।
ধীরে ধীরে মেঘ সব রহস্য জানতে পারে।
মেঘ যখন জানলো এর পিছনে কার হাত তখন তো বিশ্বাসই হচ্ছিলো না যে মেঘ এর সামনে এমন কিছু আসবে যা মেঘকে আবারো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে।
আজ মেঘ আর শ্রাবণের বিয়ের একবছর পূর্ণ হবে।একদিকে শ্রাবণ ভাবছে মেঘকে কিভাবে ডিভোর্সের কথা বলবে।অন্যদিকে মেঘ চাইছে আজ এমন কিছু হোক যেন শ্রাবণ মেঘকে কোনোভাবেই না ছাড়ে।
সকাল বেলা মেঘ কাউকে কিছু না বলেই বাসা থেকে বের হয়ে যায়।সারাদিন পার হয়ে যাচ্ছে মেঘের বাসায় ফেরার নাম নেই।শ্রাবণ মেঘের নাম্বারে কল করে ব্যর্থ হয়।কারণ মেঘের নাম্বার বরাবরই বন্ধ দেখাচ্ছে।
শ্রাবণ পাগলের মতো হয়ে যাচ্ছে।শেষমেশ মেঘ কি চলে যাবে শ্রাবণ কে ছেড়ে এইভেবে।
শ্রাবণ আর ওর মা ভাবতে ভাবতে পুলিশে রিপোর্ট করবেন ভাবেন এর মাঝেই শ্রাবণের নাম্বারে একটা কল আসে।
……. মেঘকে বাঁচাতে চাইলে তাড়াতাড়ি এই ঠিকানায় চলে আসো।
শ্রাবণঃহ্যালো কে বলছেন?
কল কেটে গেলো।শ্রাবণ একটু আগে আসা নাম্বারে ডায়াল করে কিন্তু ততক্ষণে নাম্বারটা বন্ধ হয়ে গেছে।
শ্রাবণের মাঃকি হয়েছে শ্রাবণ তোকে এমন দেখাচ্ছে কেনো?
শ্রাবণঃমামনি হাতে সময় নেই আমাকে এক্ষুণি যেতে হবে নয়তো মেঘকে ওরা মেরে ফেলবে।
শ্রাবণ তাড়াতাড়ি গাড়ি নিয়ে ঠিকানা অনুযায়ী যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।আর পিয়ালিকে কল করে বাসায় গিয়ে মাকে সামলাতে বলে।
শ্রাবণ বিশাল একটা মাঠের কাছে গাড়ি থামায়।তারপর চারিদিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করে এটা সেই ঠিকানা কিনা।
হ্যা এটা তো সেই জায়গা কিন্তু মেঘ কোথায়?
শ্রাবণ চারিদিকে খুঁজাখুঁজি করতেই একজন ওর পিছন থেকে এসে চোখ বেধে জুড় করে একটা গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।একজন ওর মাথায় রিভলভার ধরে রাখছে আরেকজন শক্ত করে চেপে ধরেছে।আর বার বার শ্রাবণ কে নড়াচড়া করতে নিষেধ করছে।
কিছুসময় পর একটা নির্জন জায়গায় গাড়ি থামায়।তারপর শ্রাবণ এর মাথায় রিভলভার টেকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলে।যদি ও শ্রাবণ এর চোখ বাধা তারপরেও ওকে জুড় করে নিয়ে যাচ্ছে।
একটা সময় একটা ঘরে নিয়ে শ্রাবণ এর হাতপা বেধে ফেলে।তারপর চোখের বাধন খুলে।শ্রাবণ চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে মেঘকেও একইভাবে বেধে রাখা হয়েছে।শ্রাবণ মেঘকে দেখে ওদেরকে বার বার বলে মেঘকে ছেড়ে দিতে।শ্রাবণ হাত পা এর বাধর খুলার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়।
শ্রাবণঃমেঘকে এখানে কেনো বেধে রেখেছেন।কারা আপনারা কেনো এমন করছেন।কি চাই আপনাদের?
……………..
শ্রাবণঃমেঘ তুমি চিন্তা করো না ওরা তোমার ক্ষতি করতে পারবে না।
মেঘঃওরা আমার ক্ষতি করবে না।ওরা আপনার ক্ষতি করতে চায়।কেনো ওদের ফাঁদে পা দিলেন আপনি?
শ্রাবণঃআমার ক্ষতি কে করবে?
মেঘঃতিনবছর আগে যে মানুষ টা আপনাকে মেরে ফেলার জন্য গাড়ি ব্রেইকফেইল করিয়ে রাখেন তারই রক্ত।
শ্রাবণঃমানে কি বলছো তুমি কে সে যে আমাকে মেরে ফেলতে চায়?
একটা আওয়াজ আসে অমনি শ্রাবণ চুপ হয়ে যায়।ভালো করে বুঝার জন্য দুজনেই চুপ করে থাকে।এরপর আওয়াজটা আরো স্পষ্ট হয়।
মি. শ্রাবণ মাহমুদ…….
কে তোমাকে মারতে চায় জানেন না?
ওহ জানবে কিভাবে তুমি তো কখনো তাকে দেখোনি? বা দেখলেও বুঝে উঠতে পারোনি।
তুমি কি বোকা শ্রাবণ যে তোমাকে মারার জন্য এতো এতো কষ্ট করলো আজ তার কাজটাই তুমি সহজ করে দিলে।
একটু একটু করে একজন মানুষ শ্রাবণের সামনে এসে দাঁড়ায়।মুখে কালো মুখোশ পড়া।
শ্রাবণঃকে আপনি?
আমি কে সেটা দেখার এতোই কৌতূহল।
শ্রাবণঃআমি আপনার কি এমন ক্ষতি করলাম যার জন্য আমাকে মেরে ফেলতে চাইছেন আবার মেঘকে এইভাবে শাস্তি দিচ্ছেন।
আচ্ছা জানার খুব ইচ্ছা না আমি কেনো এমন করলাম।
মেঘঃআমি সেটা ভালো করেই জানি আর তুই যা ভাবছিস কোনো দিনও সফল হবে না।না পারবি ওনার কোনো ক্ষতি করতে না পারবি আমার কোনো ক্ষতি করতে।শুধু শুধু এতো কষ্ট করে কেনোই নিজের পাপের বুঝা বাড়াচ্ছিস।
মেঘ মেঘ থামো এইভাবে বলো না কলিজায় গিয়ে লাগে।অনেক কষ্ট হয়।
মেঘঃছি তোর আবার কষ্ট বুঝিস তুই কষ্ট কি কষ্ট কাকে বলে।
আরে বাবা এতো ছটছো কেনো?দাড়াও আগে তোমার স্বামীর সাথে কাজ সেরে নেই।তুমি তো আবার ওর #চুক্তির_বউ।
শ্রাবণঃকে আপনি বলুন?
ওয়েট এ সেকেন্ড…….
লোকটা নিজের মুখ থেকে মুখোশ টা খুলে নিচে ফেলে দিলো।তারপর মাথাটা নিচু থেকে ধীরে ধীরে উপরে তুলতে লাগলো।
দেখো তো শ্রাবণ আমাকে চিনতে পারো কি না।
শ্রাবণঃশাণ তুমি।
শাণঃহুম আমি।শাণ……… তোমার এক এবং একমাত্র শত্রু।
শ্রাবণঃকি বলছো শাণ।আমরা তো খুব ভালো বন্ধু।
মেঘঃবন্ধু!একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে… ও বন্ধুত্বের মানে জানে।ওর কাছে তো ইম্পরট্যান্ট টাকা পয়সা ব্যাংক ব্যালেন্স।আর আপনার সম্পত্তি।
শ্রাবণঃমানে এটা তুমি কি বলছো মেঘ?
শাণঃহ্যা শ্রাবণ তোমার বউ।দূর বাবা ও তো এগ্রিমেন্টের বউ।যাই হোক ও ঠিক বলছে।আমি তোমার সম্পত্তি চাই।
শ্রাবণঃশাণ তোমাকে আমি এর আগেও অনেক টাকা দিয়েছি সেটা কি ভুলে গেছো।
শাণঃনা না শ্রাবণ।তোমার এতো বড় উপকারের কথা আমি ভুলবো কিভাবে?তুমি টাকা না দিলে আমি এতোদিনে মেঘকে ওপারে পাঠিয়ে দিতাম।
শ্রাবণঃতাহলে কেনো আমাকে আর মেঘকে এভাবে বেধে রেখেছো।এটা তো হওয়ার কথা ছিলো না।
শাণঃরাইট এটা হওয়ার কথা ছিলো না।কেনো এলো এটাই জানতে চাও তাই না।
শ্রাবণঃহ্যা কি করণে এমন অমানুষের মতো কাজ করলে তুমি।
শাণঃতাহলে শোণ আজ থেকে পাঁচ বছর আগের কাহিনি।তোমার বাবা আশরাফ মাহমুদের কোম্পানিতে ম্যানেজারের দায়িত্বে কাজ করতেন আমার বাবা ইমতেহাজ আহমেদ।
শ্রাবণঃতুমি ম্যানেজার আংকেল এর ছেলে।
মেঘঃশাণের বাবা আপনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন সেদিন।কিন্তু আল্লাহ আপনাকে বাঁচিয়ে আপনার বদলে বাবাকে কেঁড়ে নিলেন।সেদিন ওদের প্লেন টা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় আর যার জন্য শাণ প্লেন করে আপনাকে ওই চুক্তির কথা বলে।
শ্রাবণঃতুমি কিভাবে জানলে এসব?
মেঘঃশাণ নিজেই এসব বলেছে কিন্তু শাণ এটা জানেনা যে ও কতো বড় ভুল করলো।
শাণঃশাণ কোনো কাজের প্রমান রাখে না।সেদিন যেমন কোনো প্রমান আমার বাবা রাখেনি আজ আমি রাখবো না।তবে বাবা একটা ভুল করে ফেলেছে।বাবার সব প্লেনের কথা তোমার মা বাবা দুজনেই জেনে যান।এই একটা জায়গায় বাবা ভুল করলেও আর সব ঠিক।আজ বাবা ফেলে রাখা কাজটা আমি কমপ্লিট করবো।
মেঘঃতুমি শত চেষ্টা করেও কিছু করতে পারবে না।মা আমাকে সব জানিয়েছেন আর আমি তো তোমাদের চুক্তির কথা জেনেই গেলাম।তাহলে এখন নতুন করে কি প্লেন করবে তুমি।
শাণঃজেনে গেছো ভালোই হয়েছে এবার তোমার মতামত টা জানিয়ে দাও।তাহলেই সব ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে।তাই না শ্রাবণ…….
শ্রাবণ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না।শাণ এইভাবে তার সাথে প্রতারণা করবে শ্রাবণের কল্পনায় ও ছিলো না।কিন্তু এখন তো সব মেঘের হাতে।আজ মেঘের একটা সিদ্ধান্ত সব বদলে দিতে পারে।
অন্যদিকে পিয়ালি বাসায় শ্রাবণের মাকে শান্ত্বনা দিচ্ছে।শ্রাবণের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।তাহলে কি এইবার শ্রাবণ ও হারিয়ে যাবে।
শাণঃকাম-অন মেঘ স্পিক আপ।
মেঘঃশাণ প্লিজ ওনাকে ছেড়ে দাও।
শাণঃআরে আরে এতো দরদ জাগছে কেনো?এই বিয়েটাই তো মিথ্যে।
শ্রাবণ মেঘের দিকে অবাক চোখ তাকিয়ে আছে।সত্যি কি এই সম্পর্কটা মিথ্যে বলে প্রমাণ হয়ে যাবে।আমার ভালোবাসার কি কোনো মুল্য ছিলোনা।মেঘ চুপ করে আছে কেনো?কেনো কিছু বলছে না।
শাণঃমেঘ তোমার মতামত টা আমি ভালো করেই জানে।এই চুক্তির কথা অনুযায়ী এই বছরে তোমার মনে শ্রাবণের প্রতি কোনো অনুভূতি জাগেনি।তুমি এখনো শাণ আই মিন আমাকেই ভালোবাসো।আর এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আজ একবছর শেষ তাই আজ তোমাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে আর তুমি আমাকে বিয়ে করবে।
মেঘঃনিজেকে খুব চালাক মনে করো তাই না শাণ।তোমার সব ভাবনাই সত্যি হয়ে যাবে।তুমি যা বলবে তাই হবে।
শাণঃএগ্রিমেন্টে তো এটাই ছিলো
একটা চুক্তির মাধ্যমে শ্রাবণ মাহমুদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলো কাশফিয়া হাসান মেঘ।এই বছরে যদি মেঘের মনে শ্রাবণ কে নিয়ে কোনো অনুভতি না জন্মায় তাহলে মেঘ সারা জীবনের জন্য শ্রাবণের থেকে আলাদা হয়ে যাবে।আর এই চুক্তির কথা মতো শ্রাবণের সাথে মেঘের ডিভোর্সের পর শাণের সাথে মেঘ আবারো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে।
নিচে একটা সিগনেচার করা তোমার নিজের তাই না মেঘ।এবার তাড়াতাড়ি বলো তোমার মনে শ্রাবণ কে নিয়ে কোনো অনুভতি ভালোবাসা মায়া মমতা কিচ্ছু নেই আছে শুধু ঘৃণা।
মেঘ একবার শ্রাবণের দিকে তাকায়।শ্রাবণ চোখ দুটো বন্ধ করে নিচের দিকে দিয়ে রেখেছে।
শাণঃমেঘ আর চুপ করে থেকে দেরী করো না।প্লিজ এইবার তুমি বলে দাও যে তুমি আমাকে ভালোবাসো।যদি তুমি আমাকে ভালোবাসো বলো তাহলেই কিন্তু আমি শ্রাবণ কে মুক্তি দিবো।
মেঘঃ…………
শাণঃমেঘ দেরী করো না এখনো অনেক কাজ বাকী প্লিজ মেঘ তাড়াতাড়ি বলো।
মেঘঃআমি……..
শ্রাবণের চোখ এখনো বন্ধ…..
শাণঃতুমি বলো মেঘ প্লিজ বলো।
মেঘঃআমি…..
এরমাঝেই ধুম করে একটা শব্দ হয়।শাণ কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশ এসে শাণের মাথায় রিভলভার ধরে।শ্রাবণ সামনে তাকিয়ে অবাক এ কাকে দেখছে শ্রাবণ।এটা কিভাবে সম্ভব।
ইউ আর আন্ডার এরেস্ট মি.শাণ আহমেদ।
মেঘ পুলিশের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো।
চলবে………..