Bestfriend part : 4

0
3350

#Bestfriend
part : 4
writer : Mohona

.

মেরিন ছোট ১টা বাচ্চার দিকে আনমনে তাকিয়ে আছে। নীড় গিয়ে বসলো । মেরিনের খেয়ালই নেই ।
নীড় : hi…
মেরিন : …
নীড় : hello…
মেরিন : …
নীড় : কালা নাকি!!! ?।
মেরিন নিজের কাজেই ব্যাস্ত । এবার নীড় একটু জোরেই
বলল : excuse me…
মেরিন চমকে গেলো। আর হাত থেকে গোলাপটা পরে গেলো।
মেরিন : ?। how dare you? আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে ঝারি মারার? আপনার জন্য এতো সুন্দর গোলাপটা পরে গেলো। এখানে বসেছেন কোন সাহসে? who are you?
মেরিনের চিল্লানোতে management এর ১জন এলো।
# : ম্যাম … anything wrong ?
মেরিন : এই লোকটা আমার টেবিলে এসে বসে আমাকে ধমক দিয়েছে। ?।
# : স্যার আপনি…
নীড় : wait … ওনার কোথাও ভুল হচ্ছে । আসলে মেয়ে দেখতে এসেছি। ইনি black dress পরেছে তাই ভাবলাম ইনিই তিনি।
মেরিন : ও তার মানে আপনিই সেই অনন্ত জলিল। অসম্ভবকে সম্ভব করা যার কাজ। কিন্তু আপনি তো অনন্ত “জলিল” নয়।
নীড় : ?।
# : ম্যাম কি করবো ?
মেরিন : get lost… please … ?..
লোকটা চলে গেলো।

.

নীড় : এখন কি বসতে পারি ?
মেরিন : বসুন…
নীড় বসলো।
নীড় : তুমি আমাকে অনন্ত জলিল বানিয়ে দিলে কেন?
মেরিন : তো আপনাকে হিরো আলম বা আমির খান বললে বুঝি খুশি হতেন …
নীড় : হিরো আলম – আমির খান… ২জনের কি compare?
মেরিন : ২জনই ফকিন্নি মার্কা … ডানাকাটা ডাইনোসরের মতো।
নীড় : হাহাহাহাহা।
মেরিন : আপনাকে কোনো jokes শুনিয়েছি যে দাত ৪০টা বের করে হাসছেন…?
নীড় : you r too much cute…
মেরিন : ?।
নীড় : তোমার voice টা কোথাও শুনেছি বলে মনে হচ্ছে … কিন্তু কোথায় সেটা মনে করতে পারছিনা …
মেরিন : flirt করছেন?
নীড় : আমি কখনো flirt করিনা। এসেছিলাম তোমাকে reject করতে। but এটা আর সম্ভব না। দেখ আচ…
মেরিন : wait… আপনি আমাকে reject করলেন কি select করলেন সেটাতে আমারও কিছুনা আমার বাবারও কিছুনা আমার ২৫গুষ্ঠিরও কিছুনা। মেরিন বন্যা খান অন্যের সিদ্ধান্তে চলে। so মিস্টার আমি, মেরিন বন্যা খান আপনাকে reject করলাম।
নীড় : মেরিন বন্যা খান…!?!?
মেরিন : এমন ভাব ধরছেন যেন এই নাম কখনো শুনেন নি… দেখুন মিস্টার অনন্ত হতে পারেন আপনি বাবার বন্ধুর ছেলে , হতে পারেন আপনি সুন্দর । but আমি আপনাকে বিয়ে করবোনা… এটা কোনো কথা না কবিতা? যে এখনই বিয়ে করবো… huh… আমি আমার dream পূরন করতে চাই। আর বিয়ে হলেই তো আপনি বাধা দিবেন। so … আমি বিয়ে করবোনা। you are rejected …
এবার নীড় কিছুটা বুঝতে পারলো।
নীড় মনে মনে : may be কিছু উল্টা পাল্টা হয়ে গিয়েছে। আমি বোধহয় ভুল করে ঠিক জায়গায় এসেছি। এটা আচল না । সেদিনের সেই বাঘিনী কন্যা , চকোলেট পাগলি মেরিন বন্যা খান। মিস মেরিন বন্যা খান তোমার মতো ১জনকেই তো আমার চাই… ?।
মেরিন : কি ভাবছেন? আপনার সাথে আর আজিরা ( আজাইরা ) প্যাচাল পারার সময় আমার নেই । নিচে চলুন।
নীড় : যাবো । অবশ্যই যাবো। তার আগে বলোতো তোমার মা-বাবা কোথায় মানে কোন টেবিলে আছেন?
মেরিন : আপনার মা-বাবাও তো একই টেবিলে। তাইনা?
নীড় : আমি তো আর ওদের সাথে দেখা করিনি। তাই ask করলাম। বলোনা…
মেরিন : গেলেই তো দেখতে পাবেন। তাইনা?
নীড় : বলোনা প্লিজ।
মেরিন বলল।
নীড় : তুমি ২মিনিট বসো।। আমি just ১টা important call করে আসছি…
মেরিন : না আমি এখনই যাবো ।
নীড় : প্লিজ…
মেরিন : ok… but only two minutes…
নীড় : thank u…

নীড় উঠে গেলো ।

নীড় : হ্যালো বাবা…
নিহাল : হামম।
নীড় : listen to me carefully …

কথা বলে নীড় মেরিনের ওখানে গেলো ।
নীড় : lets go…
মেরিন : ?।
মেরিন উঠে দারাতেই নীড় মেরিনের হাত ধরলো। নীড় হাত ধরাতে মেরিনের কেমন ১টা feel হলো। আর রেগেও গেলো।
মেরিন : একি আপনি আমার হাত ধরলেন কেন? আপনার সাহস তো খুবই কম (বেশি) … যে আপনি আমার হাত ধরেন। ছারুন।
নীড় : ন্যাহ… lets go…
মেরিন : ছারুন হাত। ?। i will kill you…
মেরিন হাজার চেষ্টা করেও হাত ছারাতে পারলোনা । আর নীড় মেরিনের হাত ধরে হাটতে লাগলো।

.

অন্যদিকে…
অনন্ত-আচল …
১মে মেরিনের চিল্লানোতে ২জনের focus নীড়-মেরিনের দিকেই ছিলো । এরপর যখন হালকা পাতলা কথা শুরু হলো তখন আচল অনন্তকে ১টা পর্যায়ে থামিয়ে ৪-৫ গ্লাস পানি খেলো ।
অনন্ত : তুমি ঠিক আছো?
আচল : হামম ঠিক আছি । আসলে আমার ১টা কথা বলার ছিলো…
অনন্ত : বলো।
অাচল : না মানে আপনি কিভাবে react করবেন…
অনন্ত : no worry বলো।
আচল : দেখুন আমি সরাসরিই আপনাকে ১টা কথা বলতে চাই। পরে আপনি অন্য কারো থেকে শুনতে পেয়ে ভুল বোঝেন তার থেকে ভালো আমিই বলে দেই।
অনন্ত : বলো…
আচল : আমি ১জনকে ভালোবাসতাম। সে আমাকে ঠকিয়েছে । তাই তাকে ছেরে দিয়েছি । এরপর আমার মা-বাবা আমাকে move on করতে বলল। আর তাই আজকে আপনার সামনে বসে আছি…
অনন্ত মুচকি হাসলো।
অনন্ত : প্রথমেই তোমাকে দেখে আমার ভালো লেগেছিলো। আর এখন?
আচল : এখন খুব খারাপ লাগছে।তাইতো? যে কারোরই লাগবে।
অনন্ত : না। এখন আরো বেশি ভালো লাগছে।
আচল : মানে?
অনন্ত : খুব সহজ। i like you & your honesty… যদি তুমি আমার সাথে move on করতে চাও তবে আমিও তোমাকে নিজের করতে চাই।
আচল লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো ।
অনন্ত : চলো তবে নিচে সবার কাছে যাওয়া যাক।
আচল : হামম । চলুন।
ওরাও নিচে গেলো।

.

1st floorএ…
কবির : আরে মিস্টার চৌধুরী আপনি এখানে?
নিহাল : আরে মিস্টার খান আপনি এখানে? nice to meet you…
কবির : same here…
( business এর কারনে নিহাল-কবির ২জন জনকে চিনেমাত্র ।)

নিহাল-নীলিমার সাথে আচলের মা-বাবাও আছে।
নিহাল-কবির অন্যদের পরিচয় করালো।
কবির : what a coincidence… আপনিও আপনার ছেলেকে মেয়ে দেখাতে। আর আমিও আমার মেয়েকে ছেলে দেখাতে।
নিহাল : আমার ভয়ানক ছেলেকে এখানে আনা ছিলো ৩য় বিশ্বযুদ্ধ।
আরহান : কবির … সামনে তাকাও…
সবাই তাকালো । দেখলো নীড় মেরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে আসছে। আর মেরিন হাত ছারানোর চেষ্টা করছে। নীড়কে কিল ঘুষি দিয়ে যাচ্ছে ।
কবির : what the hell is this… এই ছেলের সাহস কি করে হয় আমার মেয়ের হাত ধরে… ?।
কবির তেরে যেতে নিলে নিহাল আটকে দিলো।
নিহাল : ভাইরে ভাই… যাবেননা যাবেননা… আমার ছেলে অনেক ভয়ংকর…
কবির : আপনার ছেলে?
নিহাল : হ্যা…
কবির : আপনার ছেলের এতো সাহস…
নীলিমা : আমার ছেলে ১টা মেয়ের হাত ধরেছে… ?… হায় । মেয়েটাও তো ১টা পরীর বাচ্চা …
নীড় ওদের সামনে আসতেই মেরিনের হাত ছেরে দিলো । আর হাত ছারা পেতেই মেরিন থাপ্পর মারতে নিলো নীড়কে। কিন্তু নীড় ধরে ফেলল ।
নীড় : জান… নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের গায়ে কেউ কখনো হাত তোলেনা। ?।
কবির : আমার মেয়ের হাত ছারো।
নীড় ছেরে দিলো ।
নীড় : ক্ষমা করবেন uncle … দেখতে এসেছিলাম আচল নামের ১টা মেয়েকে। but the মেরিন বন্যা খানের টেবিলে চলে গেলাম। may be love at first sight… হয়ে গেলো। ওকে জানতে চাই… ভালোবাসতে চাই… বিয়ে করতে চাই… তবে হ্যা জোর করে না। মেরিনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই হবেনা । আপনাকে কথা দিচ্ছি মেরিন স্বাধিনতা কখনো কেরে নিবোনা। প্লিজ uncle … প্লিজ give me permission …
কবির হা করে সব শুনছে।
নীলিমা : দিয়ে দিন ভাই। নিজের ়ছেলে বলে বলছিনা। আমার ছেলে অন্য কোনো মেয়ের জন্য এমন কথা বলিনি । আর আচলকেও আমার ভালো লেগেছিলো । কিন্তু মেরিন তো হায় কি সুন্দর। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছিনা যে আমার ছেলে… ???..
নিহাল : হ্যা ভাই… আমারও বিশ্বাস হচ্ছেনা । বাসায় থাকলে তো নাচতে শুরু করতাম। ?।
কবির মনে মনে : এরা তো আমার family এর থেকেও উন্মাদ।
আরহান : তাহলে অনন্ত কোথায় ?
আচলের বাবা ফারুক : আমার মেয়েটাই বা কোথায়?
মিরা : ওই তো ভাইয়া…
সবাই তাকালো । দেখলো আচল আর অনন্ত আসছে ।
অনন্ত : বাবা i like মেরিন …
নীড় : bro… thats আচল this মেরিন …
অনন্ত : what & who are you…
মিরা : ভাইয়া কনে বদল হয়ে গেছে… ?…
নীড় : anyway uncle বলুননা …. আমি promise করছি আর কখনো ওর অনুমতি ছারা ওর হাত ধরবোনা …
নিহাল : ভাই আপনার পায়ে পরি। দিয়ে দিন। ?।
কবির বাধ্য হয়ে হ্যা বলল। নীড় দে লাফ । তখন ১জন ওয়েটার চকোলেট দিয়ে তৈরি করা bouquet নিয়ে এলো।

.

নীড় সেই bouquet টা হাতে নিয়ে মেরিনের সামনে দারালো ।
নীড় : আমি আর ৫টা নেকু ছেলের মতো ফুলের তোরা নিয়ে হাটু গেরে তোমাকে propose আমি করবোনা । আমি জানি তোমার চকোলেট প্রিয় । তোমাকে আরো জানতে চাই …. আরো ভালোবাসতে চাই… ১টাবার সুযোগ দিবে… please …
মেরিন জবাব দিবে কি এতোকিছু দেখে ওর মাথা ভনভন করে ঘুরতে শুরু করলো । অজ্ঞান হয়ে গেলো …
কবির : মামনি…
তবে কবির যাওয়ার আগেই নীড় ধরে ফেলল…

.

রাতে …
মেরিনের জ্ঞান ফিরলো । দেখলো ওর নাক বরাবর বসে মোহনা মনের সুখে চকোলেট আইসক্রিম খাচ্ছে ।
মেরিন : তুই ?
মোহনা : তো কে হবে? নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন!!! ?।
মেরিন : shut up…
মোহনা : দেখতে বুঝি ভীষন সুন্দর…
মেরিন : তুই চুপ থাকবি ?
মোহনা : কেন চুপ থাকবো কেন জা…ন। নীড়ের জান।
মেরিন দে দানা দান মোহনার পিঠে কয়েকদফা কিল বসিয়ে দিলো।
মোহনা : আমার পিঠটাকে তোর কি মনে হয়?
মেরিন : তুই বাসায় যা তো যা …
মোহনা : যেতে পারবোনারে । তোর আর আমার তো কেবল রক্তের সম্পর্কনা । রক্তের গ্রুপেরও সম্পর্ক । তোর লিভার – রক্ত সবই তো আছে আমার শরীরে।
মেরিন : always কি এই কথা বলাটা জরুরী ?
মোহনা : হামম।
মেরিন : বের হ।
মোহনা : নানানানা…
মেরিন : হারামী। কালকে কয়টা ক্লাসরে?
মোহনা : ৪টা। যাবি ?
মেরিন : হামম। যাবোনা কেন?
মোহনা : কালকে তোর ওই কুতুবমিনারের ক্লাস আছে ।
মেরিন : এ্যা…
মোহনা : হ্যা। হাহাহাহাহা ।
মেরিন : তবুও যাবো । কতোদিন আর লুকিয়ে থাকবো।

.

পরদিন…
ক্লাসে…
সাগর এলো । মেরিন সব রকমের দোয়া-দরূদ পড়তে লাগলো।
সাগর মেরিনের দিকে তাকিয়ে
বলল : এইযে মিস অজ্ঞান … stand up…
মেরিন এদিক সেদিক তাকালো ।
সাগর : আপনাকেই বলছি ।
মেরিন দারালো ।
সাগর : নাম কি আপনার ?
মেরিন : মমমেরিন বন্যা খান।
সাগর : এখন শরীর ভালো আছে?
মেরিন : হামম।
সাগর : SAN theorem টা বলেন দেখি…
মেরিন : আমি তো আপনার ক্লাস করিনি স্যার…
সাগর : এটা লাস্ট ইয়ারের theorem …
মেরিন : ও হ্যা।
সাগর : বলুন।
মেরিন : স্যার খাতায় লিখে দেই।
সাগর : না। মুখে বলুন ।
মোহনা : স্যার ও মুখে পড়া বলতে পারেনা। ভয় পায় ।
সাগর : shut up…
মেরিন : স্যার ওকে বকছেন কেন ? ওর কি দোষ?
সাগর : বান্ধবী হ্যা বান্ধবী … #Bestfriend …
২জন : of course …
সাগর : এখন বলুন মিস অজ্ঞান ।
মেরিন বলছে ১ লাইন আর পানি খাচ্ছে। বলছে আর পানি খাচ্ছে । সাগরের ভীষন হাসি পাচ্ছে । অবশেষে বলা শেষ হলো ।

.

ছুটিরপর…
মেরিন : এই মিষ্টু কি করছিস?
মোহনা : চুপ থাকতো।
মেরিন : এটা কার গাড়ি ? কার গাড়ির হাওয়া বের করছিস?
মোহনা : কুতুবমিনার
সাগর স্যারের গাড়ি…
মেরিন : কি? পাগল নাকি?
মোহনা : হামম। পাগল। এখন চুপ থাক।
মেরিন : স্যার জানলে কিন্তু শেষ।
মোহনা : কিচ্ছু জানবেনা… তোর সাথে এমন করলো।
মেরিন : তোর মরার শখ হয়েছে ।
মোহনা : কিচ্ছু জানবেনা …
সাগর : আমি জেনেই গেলাম…
মোহনা : তোর বোঝায় কিরে শালি…
বলেই মোহনা পিছে ঘুরলো । দেখলো সাগর দারিয়ে ।
মোহনা : স্যার…
সাগর : কালকে ২জন আমার রুমে দেখা করবেন … now go…
২জন চলে গেলো।

.

মেরিন tension এ ভীষন স্পিডে ড্রাইভ করছে ।
মোহনা : এই কিরে আস্তে চালা মরবি নাকি?
মেরিন : কালকে স্যারের হাতে মরার থেকে আজকে car accident এ মরে যাওয়াই ভালো ।
মোহনা: ভয় পাচ্ছিস কেন ? আমি আছিনা…
মেরিন : তুই আছিস বলেই তো ভয়…

তখন ১টা গাড়ি ওদেরকে overtake করে গিয়ে ওদের গাড়ি থেকে কিছুটা সামনে নিজের গাড়িটা আড়াআড়িভাবে দার করালো। মেরিন ব্রেক মারলো । মেরিন-মোহনা আগুনে বেগুনে হয়ে গাড়ি থেকে নামলো। ওই গাড়িওয়ালাও নামলো। আর সেই গাড়িওয়ালা হলো the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন….

.

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে