Angry_Husband
Season_2_Part_20
Written by Avantika Anha
আমি- ওয়াও ভুতের মুভি।
আরাভ- হুমমম।
.
ভুতের মুভি শুরু হলো। অন্যান্য দিন আমার ভুতের মুভি ভয় লাগলেও আজ কেন জানি ভয় লাগছে না। লাগলেও কম। আবার হঠাৎ হঠাৎ অনেক ভয় লাগছে। আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি? এতো ক্যারেক্টার চেঞ্জ হচ্ছে কেনো? এসবই ভাবছিলাম।
আরাভ- আনহা দেখি সাহসী হয়ে গেছো।
আমি- কেনো? আমি তো সাহসীই।
আরাভ- না অন্যান্য দিন এতক্ষণে হয় জড়িয়ে ধরো, নাহয় মুখ লুকাও, ভুতের মুভি দেখে নিজে কমিডি করো। আজ কমে গেছে কেনো?
.
হঠাৎ করে আবার ভয় লাগলো অনেক বেশি। এবার আরাভকে অনেক জোড়ে জড়িয়ে ধরলাম।
আরাভ- না ঠিকই ভয় পাওয়া আনহাই আছো তুমি।
আমি- ইইইইই মোটেই ভয় পাই না।
আরাভ- তাই নাকি?
আমি- হুম।
আরাভ- তাহলে তো দেখি কাছে যেতে হবে তোমার।
.
এই বলে আরাভ আমার আরো কাছে আসতে লাগলো। আমার লজ্জা লাগতে লাগলো। তাই আমি বললাম, “টাইম প্লিজ”
আরাভ- কেনো?
আমি- কাজ আছে।
আরাভ- তোমাকে আমি চিনি নিশ্চয়ই পালানোর প্লান করছো।
আমি- নাহ আরে ওভেনে পপকর্ণ রাখছি। নিয়ে আসছি।
.
আমি তাড়াতাড়ি পালাতে লাগলাম কিন্তু আরাভ হাতটা ধরে ওর দিকে টান দিলো। ওর হাত আমার কোমড়ে।
আমি- কি হলো ছাড়ুন নিয়েই আসছি।
আরাভ- তোমাকে ভরসা নাই।
আমি- ইয়ে মানে আমি না আপনার বউ।
আরাভ- তাই তো বউকে একটু আদর করবো।
.
আমি ওকে কামড় দিয়ে পালাইলাম। গিয়ে কফি বানিয়ে নিলাম। আমি ঠিক করলাম এখনি ঘরে যাবো না। কিন্তু কিছু ভাবার আগে আরাভ কিচেনে চলে আসলো।
আমি- আপনি এখানে কেনো?
আরাভ- আজ আপনাকে ছাড়বো না ম্যাডাম।
আমি- ইয়ে কফিটা বানায় নেই।
আরাভ- ওকে আমার সামনে বানাও।
আমি- আচ্ছা।
.
আরাভকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে আমার ভয় লাগতে লাগলো। কারণ ওর শয়তানি হাসি আমার ভয় বাড়িয়ে তুলছিলো। তাই ভয়ের বশে কিচেনে রাখা এলকহলিক পাউডার জাতীয় কিছু আমি কফিতে দিয়ে ফেললাম। যদিও আরাভ ওটা বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করলো না। এমনকি আমিও করি নি।
কফি হতেই,,
আমি- খাবেন ?
আরাভ- খাও তুমি জ্বলদি শেষ করো।
.
এদিকে আরাভ একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে আমি তাড়াতাড়ি কফিটা খেয়ে ফেললাম।
আরাভ- কফি ডান?
আমি- না আমি আরো খাবো।
আরাভ- আমারটাও খাও।
আমি- আচ্ছা।
আরাভের কাপের কফিও খেয়ে ফেললাম।……
আরাভ-ম্যাডাম এতক্ষণ অনেক দেখলাম আপনার ঢং। এবার কই যাবেন?
.
আরাভ কাছাকাছি এসে আমাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেলো।
আমাকে নামিয়ে দিলো, এবার আমার হাতদুইটা পিছনের দিকে নিয়ে ধরে ফেললো,,
.
আরাভ আমার দিকে আগাতে লাগলো। হঠাৎ করে কিস করে বসলো কিছু বুঝার আগে।ই আমার ঠোঁটজোড়া কাঁপতে লাগলো। কি হলো হঠাৎ?
আরাভ- কি ম্যাডাম লজ্জা পাচ্ছেন কেনো এতো?
আমি- আপনি একটা রেপিস্ট।
.
আরাভ হকচকিয়ে আমাকে ছেড়ে দিলো।
আরাভ- কিইইই?
আমি- জ্বী অবশ্যই। আমার ঠোঁট আপনার কি ক্ষতি করছে? খালি রেপ করেন আমার ঠোঁটের।
আরাভ- আনহা তুমি জানো তুমি কি বলছো?
আমি- সত্যি তাই।
আরাভ- এই তোমার মাথা ঠিক আছে?
আমি- আছে আছে।
আরাভ- মনে হয় না।
আমি- আপনি পঁচা। অনেক পঁচা। খালি আমার ঠোঁটে কিস করেন। ভালো করে হাগও করেন না। খালি কিস।
আরাভ- আনহা তুমি কি কিছু খেয়েছো?
আমি- হুমমম কফি। টেস্টি ছিলো। আপনি না ভালো না। মিমির আমার চেয়ে পরে বিয়ে হলো কিন্তু ও আমার আগে প্রেগনেন্ট।
আরাভ- আমিও তো বেবি নিতে চাচ্ছি তুমিই তো লজ্জা পাও।
আমি- তাই বলে কি নিবো না নাকি? আপনি বাচ্চা দেন আমাকে।
আরাভ- এই পাগলি তুমি কি কি বলছো নিজেও জানো না।
আমি- জানি জানি কিসার বয়। খালি কিস এখানে কিস ওখানে কিস। আপনি কিস কিস করেন কেনো?
আরাভ- থামো। আজ আমার লজ্জা লাগছে তোমার সামনে।
আমি- হ্যা লজ্জা খালি লজ্জাও দেন। কিন্তু আমার না ভালো লাগে আপনি পাশে থাকলে।
আরাভ- তাই ? আর কি? (মজা নিতে)
আমি- আপনাকে বলবো না আমি। আমি মিমিকে বলবো।
আরাভ- আমাকেই বলো।
আমি- আপনার না..
আরাভ- কি?
আমি- আপনার প্রিয় ব্লেজারটা আমি না পুড়িয়ে ফেলছি এটা আমি আপনাকে বলবো না।
আরাভ- কিইইইই?
আমি- হিহি বলবো না।
আরাভ- শয়তান।
আমি- আপনি রোজ আমাকে কিস করেন আজ আমি করবো আপনাকে আমি আপনার ঠোঁটকে ধর্ষণ করবো।
.
এই বলে আমি আরাভের কাধে হাত রাখলাম। ওর পায়ের উপর ভর দিয়ে উচু হয়ে ওকে কিস করলাম। আরাভ কিছু বললো না।
আমি- হিহি আমিও করে দিছি।
আরাভ- হুমম করছো। তুমি নিশ্চয়ই এলকোহল জাতীয় কিছু খাইছো। এখানেই দাড়াও আমি আসছি।
.
আরাভ কিচেনে গিয়েই বুঝে গেলো আমি কি খাইছি। আরাভ ভাবলো ভালোই মজা নেওয়া যাবে। আরাভ রুমে ফিরে দেখে আমি বমি করে ফেলছি।
আরাভ- কি করলা এসব?
আমি- আমি ঘুমাবো।
আগে আমাকে তারপর আরাভ বাকী সব পরিষ্কার করে নিলো। এসে দেখে আমি ঘুমিয়ে পড়েছি।
আরাভ হাসতে লাগলো আর বলতে লাগলো, মেয়েটা পুরাই পাগলি। হকচকিয়ে কফিতে যে কি দিয়ে ফেলছে নিজেও জানে না।
.
সকাল বেলা,,,
মাথাটা ধরে গেলো।
আমি- কাল রাতে কিছু কি হইছে?
আরাভ- হুমমম অনেক কিছু।
আমি- কি????
আরাভ- হুমমম।
আমি- ওমা গো কি হলো?
আরাভ- অনেক কিছু। এতো বলা যায় নাকি?
আমি- এ্যা। আচ্ছা অনেক কিছু হোক কিন্তু আমার মনে পড়ে না কেনো?
আরাভ- গাধী কফিতে এলকোহল পাউডার দিয়ে ফেলছিলা।
আমি- কিইইইইই।
আরাভ- হুমমমম।
আমি- সত্যি?
আরাভ- জ্বী।
.
.
পরেরদিন আমি মিমিদের বাড়িতে গেলাম। যদিও আরাভ রেখে গেলো। জান্নাতের জন্য আমাকে একা কম ছাড়ে সে।
মিমি- আমাকে তো ভুলেই গেছিস।
আমি- না গো বাবু।
মিমি- বাহ আজকাল গ্লো করে কেনো তোর ফেশ।
আমি- আহা তাই নাকি?
মিমি- হুম।
.
হঠাৎ করে মাথা কিছুটা ধরে গেলো।
মিমি- কি রে ঠিক আছিস?
আমি- জানি না রে কয়েকদিন ধরে কেমন যেন লাগছে মেবি মরে যাবো হিহি।
মিমি- মজা বন্ধ কর সিরিয়াসলি বল।
আমি মিমিকে সব বললাম।
মিমি- দোস্ত।
আমি- বল।
মিমি- টেস্ট কর। মনে হয় গুড নিউজ।
আমি- কিইইইই।
মিমি- আমারো এমন হইছিলো।
আমি- কিট আছে?
মিমি- কিট লাগবে না। আমাদের পাশের বাড়িতে এক মহিলা ডাক্তার আছে চল যাই।
আমি- ওকে।
.
সেদিন জানলাম সত্যিই আমি প্রেগনেন্ট। অসম্ভব খুশি হলাম। তাড়াতাড়ি আরাভকে ফোন দিলাম। আর বললাম আমাকে তাড়াতাড়ি নিতে আসতে। ওকে কিছু বললাম না। কারণ এই জিনিসটা ওকে সিক্রেট ভাবে বলবো।
সেদিন কিছু বললাম না। কারণ আমি অপেক্ষা করছি আরাভের জন্মদিনের। যা আর ৫ দিন পরেই। ওইদিনই বলবো বলে ফিক্স করলাম। আমি ভেবেছিলাম সুখের দিন কিন্তু জানতাম না শেষে জান্নাত শেষ চাল চালবে। যা আমাকে আর আরাভকে আলাদা করবে।
.
চলবে……