আমার বুড়ো part : 15

0
2557

আমার বুড়ো part : 15

লেখিকা সুরিয়া মিম

!
আমাকে ক্ষমা করবেনা?

তোমার বাহুডোরে আমি আমার জায়গায় অন্যকাও কে মেনে নিতে পারছিনা,

তুমি তো আমার সন্তানেরর জন্ম দাত্রী মা,
ওদের মতো তুমি ও আমার ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে?
….
কি হয়েছে বুড়ো?
কেন তুমি অন্যের বাসায় উঁকিঝুঁকি মারো?
….
ওওওওও হো প্রথম বৌ বুঝি চোখে হাড়াচ্ছ?
হাড়িয়ে লাভ নেই বুড়ো,
কারন সে অন্য কাও কে নিয়ে হাড়িয়ে গেছে,
…..
প্লিজ ইশা চুপপ করো তুমি,
..
কেনো করবো চুপপ?
থাইল্যান্ড থেকে আসার পর এই একমাসে তুমি আমাকে ছু্ঁয়ে ও দেখনি,
….
কেন গো প্রথম বৌ কে কাছে না পেয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করেছ?

তাহলে তো ভালোই কারন আমি তোমার কে নিয়ে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি বুড়ো,
….
তুমি কি পেলে চুপপ করবে ইশা?
….
অনেস্টলি তোমার প্রপার্টি অর্ধেক পেলে আমি সাড়া জীবনের জন্যে চুপ করে যাবো,
….
Are you crazy?

No baby actually,
তোমাকে তো আমি তোমার প্রপার্টির জন্যে বিয়ে করেছি,
না হলে কোন মেয়ে তোমার মতো বুড়ো কে বিয়ে করে ফিজিক্যালি ইনভলব হতে চায়,
তুমিই বলো?
….
তাহলে তুমি?

হ্যা আমি তোমাকে ভালোবাসার মিথ্যে নাটক করেছিলাম,
সে যাই হোক,
তুমি এতো লালসাযুক্ত,
যে আমার শরীরের লোভে পরে নিজের সন্তানের মাকে অসম্মান করেছ,
….
মিথ্যে বলবো না আল্লাহ পাপ দিবে,
কারন,
.
ওই মহিলা চল্লিশ বছর তোমার সাথে সংসার করেছে নিজের সব টা দিয়ে,
.
তারপর ও তোমার মন পেলো না,
এখন যখন সে নিজে একটু ভালো থাকার চেষ্টা করছে,
ওমনি তুমি তার জন্যে মরিয়া হয়ে যাচ্ছ,
….
আর হবে নাই বা কেন?
তোমার দূরবলতা তোমার সন্তানের মা আমি নই,
…..
আর একটা সত্যি কথা বলি,
….
কি?
…..
বুড়ো শুধু তুমি না তোমার মতো আরো অনেক বুড়োর সাথে আমি শুয়েছি,
তাই তো তোমার সাথে শুতে খারাপ লাগেনি আমার,
….
ইশার থেকে এসব শুনে “থ” হয়ে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন খান সাহেব,
..
কিন্তু ইশা সেদিকে কর্ণ পাত না করে লকার থেকে তিন কোটি টাকা নিয়ে,
ডিভোর্স পেপারে সাইন করে সেটা বুড়োর হাতে ধরিয়ে নিজের ট্রলি ব্যাগ নিয়ে চলে যায়,
……
তারপর খান সাহেব রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন,

মাঝরাতে হঠাৎ করে রাতে আমার বুড়ো আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,

তখন ওর বুকে হাত দিয়ে দেখি,
জ্বর বেড়ে গেছে ওর তার ওপরে ঠান্ডা ও পরেছে,
শীত করছে বলে বুড়ো আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে,

তাই বুড়োর গায়ে পাতলা কম্বল টেনে দিয়ে,
মেয়ে কে দেখতে ওর রুমে চলে যাই,
সেখানে গিয়ে দেখি,
…..
মেয়ে আমার গুটিসুটি মেরে ওর কোলবালিশ টাকে খামচে ধরে চোখ বুঝে শুয়ে আছে,

ঠিক যা বুঝেছিলাম তাই,
মেয়ে আমরা ভয়ে দুচোখর পাতা এক করতে পারেনি,
….
কি হয়েছে মা?

মা তুমি??
জানো আমি?
…..
একটু ও ঘুমোতে পারিনি তাই তো?

মা আমি তোমার কাছে ঘুমবো,

তাহলে চলো বাবার কাছে চলো,
….
মা বাবা ঠিক আছে?
….
একটু জ্বর বেড়েছে মা,
….
ওওও চলো বাবার কাছে চলো আবার যদি তোমাকে খোজে?
..
হ্যা মা চলো তোমার বাবাকে জলপট্টি দিয়ে দিবো,
….
মেয়ে কে নিয়ে ওর বাবার পাশে শুইয়ে ঘুম পারিয়ে ওর বাবাকে জলপট্টি দিয়ে দেই,
.
বুড়ো টাকে জলপট্টি দিতে দিতে আমি ওর বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পরি,
….
পরেরদিন ভোরের আলোতে চোখ মেলে চেয়ে দেখি,

বুড়ো টা আমাকে কোলে নিয়ে ছাদে যাচ্ছে,
…..
আশ্চর্য কালকে জ্বরের ঘোড়ে যে আমাকে জড়িয়ে দরে ঠকঠকিয়ে কাঁপছিল,
সে এখন আমাকে কোলে নিয়ে ছাদে হওয়া খেতে যাচ্ছে?
….
How funny?
….
How funny? না বুড়ি
How romantic?
হা হা হা,
….
বুড়ো তোমার না জ্বর?
…..
ছিল এখন আর নেই,
তোমার মতো বৌ যার ঘরে আছে,
তার আবার কোনো রোগবালাই আছে নাকি হুমমম?
….
তা নয় বুঝলাম কিন্তু আমার মেয়ে কোই বুড়ো?
……
তোমার জামাই বাবাজীর সাথে প্রেম করতে গেছে,

বুড়ো তুমি ফাজলামো করো কেন?

কারন তোমার মেয়ে এখনো ঘুমচ্ছে,
….
ওহহহ তাই বুঝি তুমি সুযোগের সৎ ব্যবহার করছ বুড়ো?

ইয়েস বুড়ি,
তোমাকে না আজকে অনেক বিউটিফুল লাগছে,

ইসসস আমার বাবা কতো রোমান্টিক,

আমি তো সেদিন বুঝে গেছিলাম যেদিন মা কে প্রথম আমাদের কাছে নিয়ে এসেছিলাম,

আর তুমি প্রথম দেখা তেই মায়ের প্রেমে পরে হাবুডুবু খাচ্ছিলে বাবা,

হা হা হা,

যাই হোক এখন আর তোমাকে জ্বালাবোনা বাবা,
….
হা হা হা,
চলবে,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে