Dark Mystery পর্ব-১২+১৩+১৪

0
10

#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_12
#Sabrina_Summa

আজ আকাশটা ভালোই মেঘলা। সময় প্রায় ২ টার কাছাকাছি । তবে রোদের ছিটেফোঁটাও নেই।
সুপ্তি আর সুশমিতা ক্লাস থেকে বের হলো। দেখলো একটা মেয়েদের ঝটলা।
সুপ্তির বুঝতে দেরি হলো ভিড়ের কারণ। তবে সুশমিতা বুঝতে না পেরে বললো, ” চলতো দেখি কি হচ্ছে। ”
সুপ্তি এককোনায় দাঁড়িয়ে বললো, ” দরকার নেই। এখানে দাঁড়িয়ে থাক একটু পরেই বুঝবি। ”
প্রায় ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পরও যখন সুশমিতা কিছু বুঝতে পারলো না তখন আবারও বললো, ” কিছুই তো বুঝতেছি না। ”
সুপ্তিরও আর ভালো লাগছে না দাঁড়িয়ে থাকতে। তাই তারা ভিড়ের দিকে এগিয়ে গেলো।
এতে ভিড় জমিয়েছে যার জন্য সেই কাঙ্খিত ব্যক্তিটি দেখতে পেলো সুপ্তিকে।
ভিড় থেকে কোনোমতে বের হয়ে সুপ্তির হাত ধরে টেনে নিয়ে নিজের গাড়ির কাছে গেল ।
সুপ্তি হাতটা ঝাপটা মেরে সরিয়ে দিয়ে বললো, ” যখন তখন হাত ধরেন কেন ? প্লে….”
মাহির : চুপ। একদম প্লে বয় বলবে না।
সুপ্তি : ক্যারেক্টার লেস।
মাহির বিরক্ত হলো। সাথে সাথে রেগেও গেল। কিন্তু রাগটা খাটালো না।
সুপ্তি সুশমিতাকে বিদায় দিয়ে দিলো।
মাহির : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
সুপ্তি : পুরো ঢাকা ঘুরবো। চলুন।
মাহির : গাড়িতে উঠো।
সুপ্তি : না। গাড়িতে নই হেঁটে হেঁটে। আর হ্যাঁ আপনার বডিগার্ড এসিস্ট্যান্টকে এখানেই রেখে যাবেন।
মাহির চিন্তিত হয়ে বললো, ” কিন্তু আমার সেইফটির বিষয়টাও তো দেখতে হবে।”
সুপ্তি : আমাকে বিশ্বাস করেন না?
মাহির : তা না। বাট…
সুপ্তি : আরে চলুন তো। আপনাকে কেউ চিনবেই না।
সুপ্তি নাছোড়বান্দা হওয়ায় অনেক কষ্টে তার এসিস্ট্যান্টকে বুঝিয়ে বের হলো তারা।
সুপ্তি দোকান থেকে একটা মাস্ক আরেকটা ক্যাপ নিয়ে এলো। সুপ্তি মাহিরকে পড়তে বললে মাহির বললো, ” তুমি পড়বে না? ”
সুপ্তি : আমি আপনার মতো এত ফেইমাস নই। তবে আপনার জন্য আমার ক্লাস আমাকে চিনে ফেলেছে। ( বিরক্ত হয়ে )
মাহির : জাস্ট ওয়েট । তোমার পিছেও সাংবাদিকরা ঘুরবে। দেখো৷
সুপ্তি : আমার পছন্দ না মিডিয়া।
কিছুক্ষণ হাঁটার পর ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে তারা রাস্তায় এসে পৌঁছেছে।
মাহির : সুপ্তি, দেখো মেয়েটা সুন্দর না?
” তোর কাছে তো দুনিয়ার সব মেয়েই সুন্দর ” (সুপ্তি মনে মনে)
সুপ্তি : কেন বলুন তো?
বলতে গিয়ে খেয়াল করলো মেয়ে দুইটাও মাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে।
” এই বেডা মাস্ক পইড়া আছে তাও মাইয়াগুলা ড্যাব ড্যাব কইরা তাকাই আছে ৷ মানলাম সুন্দর। তাই বইলা মাস্ক পড়া থাকলেও তাকাইতে হবো ৷ নিশ্চিত সানগ্লাসের জন্য। তোর সানগ্লাস আমি খুলাইতাছি দাঁড়া! এই বেডারে সানগ্লাস পড়লে এত সুন্দর লাগে ক্যান? ” ( সুপ্তি মনে মনে নিজের সাথে রীতিমতো ঝগড়া করছে )
মাহির সুপ্তিকে জেলাস করানোর জন্য বললো,” আমার সাথে ভালো যাবে না? ”
সুপ্তি : ও আচ্ছা। আমি ডেকে আনছি দাঁড়ান।
বলেই হাঁটা লাগাতে নিলো। আর মাহির হাত ধরে আটকে দিলো।
সুপ্তি বিরক্ত নিয়ে বললো, ” আরে মিয়া সমস্যাটা কি! কথায় কথায় হাত ধরেন।”
মাহির : মেয়েটার চুলও কিন্তু সুন্দর। তবে তোমার বাটারফ্লাই হেয়ারটা বেশি সুন্দর।
সুপ্তির দিকে তাকিয়ে । সুপ্তিও রাগী চোখে তাকালো।
মাহির : প্রশংসা করলেও দোষ! আচ্ছা দেখো না মেয়েগুলো তাকিয়ে আছে। আমাকে কি এতই হ্যান্ডসাম লাগছে?
সুপ্তি : আপনার কি মনে হয়। ওরা আপনার রুপের জন্য তাকিয়ে আছে ! না। ওরা আপনাকে একটা চোর ভাবছে। যে কিনা মাস্ক আর সানগ্লাস পরে নিজের চেহারা ঢাকছে।
মাহির : কিহ!
সুপ্তি : কি না জ্বি।
মাহির : তাহলে আমি কি করবো?
সুপ্তি : সানগ্লাসটা খুলে পকেটে রাখুন।
মাহিরও তাই করলো। সুপ্তি দেখলো মেয়েগুলো আরো ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছে। মাহিরও খেয়াল করলো।
সুপ্তির রাগ হচ্ছে মাহিরের উপরে। আর মাহিরের মনে হচ্ছে তারা তাকে চিনে ফেলেছে।
তাই সুপ্তি আর মাহির দুইজনেই সেখান থেকে চলে এলো।
সারাদিন তারা অনেক ঘুরাঘুরি করলো।
সুপ্তি ইচ্ছে করেই মাহিরকে বস্তুিতে নিয়ে গিয়েছিল। কারণ মাহির যেন দরিদ্রদের কষ্টটা বুঝতে পারে।
মাহফুজ চৌধুরী দান খয়রাত করে এটা সত্য তবে মাহির তা পছন্দ করে না। তাই তাকে এখানে আনা। যদি কোনো উন্নতি হয়।
সুপ্তি খেয়াল করলো কিছু হলেও মাহির বুঝতে পারছে। কয়েক বছরের ধারণা তো আর একদিনে চলে যাবে না!

#চলবে.,.

#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_13
#Sabrina_Summa

ধীরে ধীরে কেটে গেছে কয়েকটি মাস। সময়ের নীরব ধারায় সুপ্তি আর মাহিরের সম্পর্ক এখন এক গভীর, শান্ত বন্ধুত্বের রূপ নিয়েছে—যেখানে আবেগ আছে, অথচ দাবি নেই।।
আড্ডার মাঝে কাটে তাদের দিন। সুপ্তি এখন নিয়মিত ভার্সিটিতে আসে। আর মাহিরও সুপ্তিকে দেখার জন্য কোনো না কোনো বাহানাতে আসে।

আজ মাহির সুপ্তিকে একটা অফিশিয়াল অনুষ্ঠানে নিয়ে এসেছে। সুপ্তি আসতে চাই নি তবে মাহিরের জোরাজোরিতে আসতে বাধ্য হয়েছে। এখানে অবশ্য তার প্রবেশের অনুমতি ছিল না কিন্তু মাহিরের সাথে আসায় প্রবেশ করতে পেরেছে। মাহফুজ চৌধুরী ও মিস সিক্রেটকে আমন্ত্রণ করা হলেও তারা আসে নি।
সুপ্তি পিছনে বসে আছে । সকলের বক্তৃতা শুনছে মনোযোগ সহকারে। মাহির বক্তৃতার জন্য স্টেজে উঠলে সুপ্তি ছবি তোলার চেষ্টা করলো। কিন্তু পিছে বসায় ব্যর্থ হলো।
অনুষ্ঠান শেষ হতেই সবাই গেল মিটিং রুমে। সুপ্তিও গেল মাহিরের পিছে পিছে ।
সুপ্তি থাকায় কেউ মিটিং শুরু করছে না । বিষয়টা মাহির খুব ভালোই বুঝছে। তবে সে নাছোড়বান্দার মতো বললো, ” আমার ফ্রেন্ড ও। ও বের হয়ে যাওয়াই মানে আমি বের হওয়া। যদি বেশি সমস্যা হয় আমরা দুইজনেই বের হয়ে যাচ্ছি পরে দেখবো মিটিং কিভাবে হয়! ”
এরপর আর কারোই কিছু বলার থাকলো না।
” মিস সিক্রেটের জন্য ভালোই হলো। পরবর্তী কাজে লাগবে ৷ ” ( সুপ্তি মনে মনে )
সুপ্তি এমনভাবে ফোন চালাচ্ছে যে মনে হচ্ছে সে কিছুই খেয়াল করছে না । তবে সবার প্রতিই নজর রাখছে সে।
মিটিং শেষ হতেই সকলে বেড়িয়ে গেল। কয়েকজন যেতে যেতে বললো, ” তাশরিফ তুমি যাবে না?”
মাহির : আপনারা যান আমি একটু পর আসছি।
সকলে যেতেই মাহির সুপ্তির কাছে আসলো। চেয়ারটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো, ” তখন ছবি তুলছিলে না! এখন তুলো। ”
সুপ্তি : এখন কেন তুলবো?
মাহির : কেন তখন সুন্দর লাগছিল এখন লাগছে না?
সুপ্তি : আপনাকে কে বললো আমি সুন্দরের জন্যই তুলছিলাম!
” সুন্দরের জন্যই তো তুলছিলাম। ফর্মাল গ্রেটআপে খুবই হ্যান্ডসাম লাগছিল তখন। এখনও লাগছে। “( সুপ্তি মনে মনে )
মাহির : মেয়েদের সাথে মিশতে মিশতে তাদের এক্সপ্রেসন দেখেই বুঝতে পারি। স্প্রেশালি তোমাকে।
সুপ্তি : ওকে, দাঁড়ান তুলছি।
মাহির একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ালো। সুপ্তি চেয়ারে বসে ক্যামেরা ধরে বললো, ” একটু কাছে আসুন। ”
এটাই যেন মাহির শুনতে চাচ্ছিল । একটু একটু করে এগিয়ে আসছে ।
সুপ্তি বিরক্ত নিয়ে তাকালো। মাহির এগিয়ে এসে সুপ্তির চেয়ার ধরে সুপ্তির সামনে ঝুঁকলো ৷ সুপ্তি পিছিয়ে যেতেই মাহির আরেকটু ঝুঁকে বললো, ” এখন ঠিক আছে? ”
সুপ্তির হাতের চাপে এভাবেই কিছু ছবি উঠে গেল।
সুপ্তি : না আরেকটু কাছে আসলে ভালো হতো। সরুন এখান থেকে।
মাহির সরে যেতেই সুপ্তি চেয়ার নিয়ে পড়ে গেলো। সুপ্তি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো। সে বুঝতেই পারে নি মাহিরের ধরাতে চেয়ারটা ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিল। মাহির হাত এগিয়ে দিল।
সুপ্তি ধরতেই যাবে তার আগে মাহির বললো,” আরে ফোনটা চাচ্ছি। ”
আরেকটা ঝটকা খেল সুপ্তি।
সুপ্তি না দেওয়ায় মাহিরই ফোনটা নিয়ে বললো, ” কতদিন যাবত ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে রেখেছি এফবিতে। কিন্তু তুমি এক্সসেপ্টই করছো না। ”
সুপ্তি দাঁড়িয়ে বললো, ” আমাকে এফবি, ইনস্টা, ইমো এগুলোতে পাওয়া যায় না। ”
মাহির : এখন থেকে পাওয়া যাবে।
ফোনে কিছু একটা করার পর ফোনটা দিয়ে বললো, ” চলো তোমাকে ড্রপ করে আসি। ”
সুপ্তি : আপনার বিরক্ত লাগে না এ কথা বলতে! গত কয়েকমাস ধরে বলে আসছেন।
মাহির : কি করবো তুমি রাজিই হও না।
সুপ্তি : হবোও না।
মাহির : এত প্রাইভেট কি রাখো বলো তো?
সুপ্তি : কিছুই না। শুধু কেউ যাক তা পছন্দ করি না।
মাহির হতাশার হাসি দিলো।
” না “শব্দটা শুনতে কারোরই ভালো লাগে না। ভাগ্যিস তার ধৈর্যটা আছে।।
কথা শেষ করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে গেল দুজন।।।

#চলবে.,.

#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_14
#Sabrina_Summa

সকাল প্রায় পুনে সাতটা।
জানালার পর্দার ফাঁক দিয়ে উকি দিচ্ছিল সকালের হালকা রোদ যা চোখে পড়ছিল সুপ্তির, কিন্তু চোখের পাতায় যেন সেঁটে ছিল ঘুমের ভার। ঠিক তখনই ফোনটা কাঁপতে কাঁপতে বেজে উঠল — বিরক্তিকর অথচ পরিচিত শব্দে।

“সুশমিতা”
স্ক্রিনে নামটা দেখে এক মুহূর্ত থমকে গেল। কপালের উপর পড়ে থাকা চুল সরিয়ে আলতোভাবে ফোনটা কানে ধরল সে।

“হ্যালো…” – আধো ঘুমে ঢুলে পড়া কণ্ঠ, যেন শব্দ নয়, নিঃশ্বাস বের হলো।
সুশমিতা বিরক্ত ঢেলে বললো, ” আরে রাখ তোর হ্যালো। এফবিতে ঢুক। তাশরিফ তোকে মেনশন দিছে।”
কল কেটে দিলো সুশমিতা। সুপ্তি বিরক্ত হলো তবুও এফবি লগ ইন করলো। কিন্তু তার মনেই পড়ছে না, তাশরিফটা কে? আর তাকে মেনশন দিছে তাতেই বা কি সমস্যা হয়েছে?
এফবিতে ঢুকেই দেখলো ৯৯৯+ নোটিফিকেশন। এটা তার জন্য অবাক করার কিছু নই। কারণ সে এফবিতে ঢুকে না।
নোটিফিকেশন লিস্টে প্রথমেই তাশরিফের মেনশন করাটা পেয়ে গেল।
সেটাতে ক্লিক করতেই দেখলো, @Rishita Khanom I LOVE YOU…
এতক্ষণে বুঝতে পারলো সুশমিতা কেন এত উত্তেজিত ছিল।
সুশমিতা সুপ্তির আইডিটা দেখাশোনা করে। খুব শখ করে আইডির পাসওয়ার্ড নিয়ে ছিল সে। কিন্তু যেদিন এফবিতে ঢুকলো হাজারটা মেসেজ, নোটিফিকেশন দেখে সেদিনই তার শখ মরে গেছে। মাঝে মাঝে লগ ইন করে। আজও তাই করেছিল। তাই তো মাহিরের মেনশন চোখে পড়েছে।
সুপ্তি তাশরিফের মেনশনে কমেন্ট করলো,” আরে মিয়া মজা পাইছেন! ”
কয়েক সেকেন্ডের মাঝে রিপ্লাই আসলো, ” হ্যাঁ।”
সুপ্তি লিখলো,” ধূর এসব পাগল ছাগল কোথা থেকে যে আসে! ”
সাথে সাথেই মাহির কল করলো।
মাহির : আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্তি : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আচ্ছা, সূর্য কি আজ পশ্চিম দিকে উঠেছে!
মাহির : কেন? তবে এটা আমারও মনে হচ্ছে।
সুপ্তি : না মানে আপনি সালাম দিচ্ছেন! কিন্তু আপনার কেন মনে হচ্ছে ?
মাহির : তুমি এত সকালে উঠেছো তাই।
সুপ্তি : আমাকে সুশমিতা উঠিয়েছে ।
মাহির : ও৷ আচ্ছা এটা বললো আমি কি পাগল নাকি ছাগল?
সুপ্তি : কেন?
মাহির : তুমিই তো বললে।
সুপ্তি : কখন!
মনে পড়ায় বললো, ” ও আচ্ছ। আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম আপনার ডাকনাম তাশরিফ। ”
মাহির : কিহ! এটাও ভুলার জিনিস!
সুপ্তি : আচ্ছা আপনি এটা কেন করলেন? মানুষ কি মনে করবে!
মাহির : এখানে লেখায় আছে। @ দেওয়ার পর যার নাম আসবে তাকে মেনশন করে I LOVE YOU বলতে হবে। No cheating ও লেখা আছে।
সুপ্তি : এমন বাচ্চামি আপনার মানায় না। ডিলিট করুন।
মাহির : আগে বলো সত্যিই এটা বললে কি করতে?
সুপ্তি : আমার উত্তর শুনতে চাচ্ছেন?
মাহির : হুম।
সুপ্তি কিছুক্ষণ নিরব থেকে বললো, ” আপনি তো বলেন নি তাহলে উত্তর কেন দিবো! ”
মাহির : ধরো আমি বলছি।
সুপ্তি : আমি জীবনে “ধরো” এবং “যদি” এই দুইটা শব্দকে বিশ্বাস করি না।
মাহির : তাহলে আমি ডিলিটও করবো না।
সুপ্তি : মাহির… ( টেনে )
মাহির : এভাবে বলো না হার্টে গিয়ে লাগে তো!
বলেই ধপাস করে বেডে পড়ে গেলো।
সুপ্তি : আমার সাথে ফ্লাটিং করে লাভ হবে না।
মাহির : কি করবো বলো। অন্য মেয়েদের সাথে ফ্লাটিং করতেও তো আর ভালো লাগে না। তাি তোমার সাথেই করছি।
” যাইহোক তোমাকে ভালো বানানোর কাজে এক ধাপ এগিয়েছি তার মানে! “( সুপ্তি মনে মনে )
মাহির : কি হলো চুপ কেন! আমার কথা শুনে পটে গেলে নাকি?
সুপ্তি : ডিলিট করুন।
মাহির : ওকে, করছি।
সুপ্তি : গুড নাইট।
বলেই কল কেটে দিলো।
মাহির বলে উঠলো, ” সাড়ে সাতটায় গুড নাইট হয় কবে থেকে! এ মেয়ে পাগল হয়ে গেল নাকি! ”

আজও তারা আড্ডা দিলো। তারা যে শুধু আড্ডা দেয় তা নয়। মাহির সুপ্তিকে পড়াশোনাতেও হেল্প করে। মাহিরও তো সামাজিক বিজ্ঞান নিয়েই পড়েছে ।।

#চলবে.,.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে