#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_10
#Sabrina_Summa
মাহফুজ চৌধুরী ও তার বডিগার্ড চলে যেতেই একজন ডক্টর দরজায় দাঁড়িয়ে বললো, ” ম্যা আই কাম ইন ম্যাম। ”
মিস সিক্রেট ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বললো, ” এসো। ”
ডক্টর ভিতরে এসে বললো, ” ম্যাম, আমি খুবই খুশি হয়েছি আপনার ট্রিটমেন্ট করতে পেরে। বাট ম্যাম, আপনার এ অবস্থা কেন? ”
মিস সিক্রেট : গুলি লেগেছে দেখতেই তো পাচ্ছো।
ডক্টর : ম্যাম, চিনেও না চিনার ভান করবেন?
মিস সিক্রেট : নাম্বার ১১। তোমার উচিৎ নই আমার অর কারো সামনে আসা ওয়িদআউট মাস্ক এ্যান্ট হুডি। ( রেগে )
ডক্টর : আমি জানতাম আপনি চিনেছেন ইনফ্যাক্ট আমাদের সকলের ইনফরমেশন আছে আপনার কাছে। তবে মাস্ক খুললে প্রবলেমটা কোথায়?
মিস সিক্রেট : এত টাস্ট করো না আমায়।
ডক্টর : কেন ম্যাম, ধোঁকা দিবেন?
মিস সিক্রেট চোখ রাঙ্গিয়ে তাকাতেই নাম্বার ১১ একটু নড়েচড়ে দাঁড়ালো।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে রেগে বললো, ” ম্যাম, একবার শুধু পারমিশন দেন। যে আপনাকে শুট করেছে তাকে মাটিতে পুতে ফেলা পর্যন্ত দায়িত্ব আমার। ”
মিস সিক্রেট তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, ” আমাকে তো চিনো! আমি মারতে চাইলে ও বাঁচতে পারতো না।
তবে ওকে আমি মারতে পারবো না। ( শেষেরটুকু শান্তভাবে)
“কেননা ও মাহফুজ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে। যে আমাকে হেল্প করেছিল আমার আপুর খুনিকে মারতে। তার বিনিময়ে শুধু চেয়েছিল নিজের পরিবারের সেইফটি। কীভাবে মারি বলো তো! ”
“ম্যাম, কেন মারতে পারবেন না? ” নাম্বার ১১ এর প্রশ্নে হুশ ফিরলো মিস সিক্রেটের ৷
নিজেকে সামলে বললো, ” এমনিই কিছু পার্সোনাল ইস্যু আছে। ”
নাম্বার ১১ আর জানতে চাইলো না। কেউ যখন পার্সোনাল শব্দটা ব্যবহার করে তখন প্রশ্ন করাও অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাই নাম্বার ১১ চুপ থাকাটাই বেস্ট মনে করলো।
নিরবতা ভেঙে মিস সিক্রেটই বললো, ” আমি খুব প্রাউড ফিল করছি যে আমার টিমে একজন ডক্টরও আছে। ”
ডক্টর : থ্যাংক ইউ, ম্যাম।
মিস সিক্রেট : আচ্ছা আমি রিলিস কবে পাবো?
ডক্টর : ১ সপ্তাহের আগে তো না। আর যদি ৩/৪ দিনের মাঝে পেয়েও যান তবুও ঠিক করে হাঁটতে পারবেন না। প্রচুর পেইন করবে।
মিস সিক্রেট : ওকে। এখন তুমি যাও৷ আমি রেস্ট নিবো।
ডক্টর : ওকে, ম্যাম।
ডক্টর চলে যেতেই মিস সিক্রেট অরপে সুপ্তি মাস্ক ও হুডি খুলে বিড়বিড় করে বললো, ” ১ সপ্তাহ কেন! ২/৩ দিনও আমার এখানে থাকা অনেক ট্রাফ। এর জন্য দায়ী শুধু তুমি মাহির চৌধুরী অরপে তাশরিফ। এর মাশুল তোমাকে দিতেই হবে। ভেবেছিলাম বন্ধুত্ব করে তোমাকে ঠিক করবো। তবে এখন আমি তোমাকে নিয়ে খেলবো।
ওয়েট ফর মি.,.!”
নিজের সাথে কথা বলতে বলতে কখন ঘুমিয়ে গেছে সে নিজেও জানে না। তার ঘুম ভাঙলো সুশমিতার কলে। সুপ্তি কল রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে বলে উঠলো, ” দোস্ত রাগ আছিস?”
সুপ্তি : কেন রে?
সুশমিতা : সেদিন গিয়ে দেখলাম তুই নেই। ভাবলাম আমার লেট হচ্ছে দেখে তুই রাগ করে চলে গেছিস।
সুপ্তি : না। আমাকে আরেকজন পিক করেছিল।
সুশমিতা : ভালোই তো। তোকে পিক করা মানুষের অভাব নেই!
সুপ্তি : পরে কাহিনি বলবো নি। আগে বল রবিবারে ক্যাম্পাসে এলি না কেন?
সুশমিতা : আরে আগে তুই বল। তুই আজ এলি না কেন?
সুপ্তি : অসুস্থ।
সুশমিতা : আমারো সেইম ক্যাস ছিল। তোর কি হয়ছে?
সুপ্তি : এই একটু ঠান্ডা জ্বর।
সুশমিতা : এড্রেস বল। আমি আসছি।
সুপ্তি : আমি বাসায় নেই।
সুশমিতা : তাহলে কোথায়, হসপিটালে?
সুপ্তি : আরে না। আত্মীয় বাড়ি। আচ্ছা দোস্ত রাখি এখন ৷
বলেই কল কেটে দিলো। না হয় সুশমিতা আরো হাজারটা প্রশ্ন করতো।
১ সপ্তাহও হয় নি তাদের পরিচয় হয়েছে । তবে দুইজন খুবই ক্লোজ হয়ে গেছে। মনে হয় দুই বোন।
সুপ্তি নিজের মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো, ” হসপিটাল আমার আত্মীয় বাড়ি হলো কীভাবে! হোয়াট ইভার, আমার টিমের সদস্য থাকে এখানে। সরি আমার না মিস সিক্রেটের । সো আত্মীয় বাড়ি তো হলোই ।।
( গল্পটি ভালো লাগলে “ক্ষুদে লেখিকা.,.” পেইজটি ফলো করবেন প্লিজ। )
মাঝে তিনটে দিন কেটে গেলো। এই তিন দিনে মাহফুজ চৌধুরী দুইবার দেখা করতে এসেছিল। মিস সিক্রেটের টিমের সদস্যরাও এসেছিল। সবথেকে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো মাহিরও এসেছিল। তবে সেটা নিজ ইচ্ছায় নয় বাধ্য হয়ে।।
মিস সিক্রেট ও সুপ্তি উভয়কেই কল করে জ্বালিয়ে মারছে সকলে। প্রথম দিন মিস সিক্রেটের মনে হয়েছিল সে এসব থেকে অবসর নিয়েছে। কিন্তু পরের দুইদিন ফোনের উপর ফোন করায় অতিষ্ঠ সে।
মিস সিক্রেটের হসপিটালের ভর্তির খবর মিডিয়া পর্যন্ত যায় নি। মূলত মিস সিক্রেট যেতে দেই নি। শুধু শুধু একটা এক্সটা ঝামেলা। আর তাছাড়াও এতে মাহির ফেঁসে যেতো। যা আপাতত সে চাই না।।
#চলবে.,.