#Dark_Mystery ( কালো রহস্য )
#Part_9
#Sabrina_Summa
মাহির মিস সিক্রেটকে কল করছে। সময় প্রায় ১০ টার কাছাকাছি। তিনবারের বেলায় রিসিভ করলো মিস সিক্রেট।
মিস সিক্রেট : প্রবলেমটা কি?
মাহির আতঙ্কিত কন্ঠে বললো, ” প্লিজ হেল্প মি। আমাকে কিডনাপ করা হয়েছে। প্লিজ কাম হেয়ার কুইকলি। ”
মিস সিক্রেট : মিথ্যেটাও ভালো করে বলতে পারো না। তোমাকে কিডনাপ করা হলে কিডনাপার তোমাকে ফোন দিয়ে রেখে দিবে না?
মাহির : আ’ম সিরিয়াস। প্লিজ হেল্প মি।
মিস সিক্রেট : ওকে, জায়গার নাম বলো।
মাহির জায়গার নাম বলতেই মিস সিক্রেট “ওয়েট ফর মি ” বলে কল কেটে দিলো। কল কাটতেই মাহির চেয়ারের উপর পা তুলে একটা শয়তানি হাসি দিলো৷ কিছুক্ষণের মাঝেই মিস সিক্রেট চলে এলো। ভিতরে প্রবেশ করতেই মিস সিক্রেট বিরক্তিতে ভ্রু কুচকালো৷ বিড়বিড় করে বললো, ” বরিং পরিবেশ। এই ঝাপসা আলো আর ভালোই লাগে না।”
মাহিরকে চোখে পড়তেই বললো, ” তাহলে তোমার বডিগার্ড তোমাকে কিডনাপ করেছে! ”
মাহির হেসে বললো, ” আরে না। এইটা তো একটা ফাঁদ ছিল তোমাকে আনার। ”
মিস সিক্রেট বিরক্ত হয়ে বললো, ” তা তো আমি জানতামই। দেখো নি ইরফানকে নিয়ে আসি নি। এখন বলো এত আদর যত্ন করে ডাকার কারণ কি? ”
মাহির : তুমি বাবাকে বলেছো আমি একটা মেয়েকে বাসায় নিয়ে গেছি?
মিস সিক্রেট : হ্যাঁ, ভুল কি বলেছি!
মিস সিক্রেট মাহফুজ চৌধুরীকে এ কথা জানাতো না। তবে তার খুব খারাপ লেগেছে ইরফানের কাছে এটা জেনে যে অজ্ঞান হওয়ার সময় মাহির এত কাছে থাকার পরও তাকে পরার সময় ধরেনি। সে কি ইচ্ছা করে পড়েছিল! তার জায়গায় যদি সুপ্তি থাকতো তাহলে কি মাহির সুপ্তি কে ধরতো না! মূলকথা, সুপ্ত একটা রাগ থেকেই তার এ কাজ করা ।
মাহির এতক্ষণ নিজের রাগকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু শেষে আর না পেরে মিস সিক্রেটের পায়ে শুট করলো।
সাথে সাথে মিস সিক্রেট বসে পড়লো। রাগে নিজের গান দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মাঝে ৬ টা শুট করলো মাহির ও তার বডিগার্ডের পায়ে। তবে তা একটুর জন্য লাগলো না।
মাহির তিরস্কার করে বললো, ” গুলি খেয়ে শুট করা ভুলে গেলে নাকি?”
মিস সিক্রেট তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো, ” ভাগ্য ভালো তোমাদের। রাগ হলেও মারা ইচ্ছেটা নেই। না হয় মিস সিক্রেটের নিশানা কখনো মিস হয় না। ”
এরই মাঝে বাহিরে এ্যাম্বুলেন্সের শব্দ পাওয়া গেল। তাই সকলেই বাহিরে চলে গেলো।
মাহির গাড়িতে উঠতে উঠতে একটা নার্সকে বললো, ” ওকে হসপিটালে নিয়ে যাও। পেমেন্ট করা আছে। ”
মিস সিক্রেট প্রথমে যেতে না চাইলেও পরে চলে গেল। অপারেশন করে গুলি বের করা হলো। ভাগ্য ভালো গুলি হাড়ে লাগে নি। এখন রক্ত দেওয়া হচ্ছে
বাহিরে ইরফানসহ অনেক বডিগার্ড পাহাড়া দিচ্ছে। এ্যাম্বুলেন্সে উঠার সময়ই ইনফর্ম করে দিয়েছিল ইরফানকে৷ অনেকদিন পর মাহির কল করলো সুপ্তিকে। প্রথম কলেই রিসিভ করলো সুপ্তি। এতে অবশ্য কিছুটা অবাক হলো মাহির।
তবুও স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই বললো, ” সেই রাতের পর তো আমার সাথে কথা বা দেখা করছো না। কেমন আছো তুমি? ”
সুপ্তি চিৎকার করে বললো, ” জুতা মেরে গরু দান করছেন! ”
মাহির অবাক হয়ে বললো, ” মানে! আমি কি করলাম। ”
সুপ্তি : কিছু না।
বিরক্তি নিয়ে কল কেটে দিলো।
কারো পায়ের আওয়াজ শুনে মাস্ক আর হুডির টুপিটা পড়লো। শ্বাস নেওয়াতে কষ্ট হওয়ায় খুলেছিল ৷
মাহফুজ চৌধুরী কেবিনে প্রবেশ করে বললো, ” কেমন আছো তুমি? ”
মিস সিক্রেট কেবিন বেডে হেলান দিয়ে বললো, ” আপনার ছেলে ভালো থাকতে দিলো কোথায়! ” মাহফুজ চৌধুরী : ভর্তি তো আমার ছেলেই করিয়েছে।
মিস সিক্রেট : গুলিটাও তো আপনার ছেলেই করেছে। মাহফুজ চৌধুরী অবাক হলেন। তিনি এ বিষয়ে কিছু জানতো না।
কাঁপা কাঁপা গলায় বললো, ” আমার ছেলেকে আমি শাস্তি দিবো। প্লিজ তুমি কিছু করো না। ”
মিস সিক্রেট সোজা হয়ে বসে বললো, ” এখনো তাই বলবেন! ”
মাহফুজ চৌধুরী ভয়ার্ত স্বরে বললো, ” তাছাড়া কি বলবো! মারতে বলবো? নিজের ছেলেকে মারার পারমিশন দিবো? ”
মিস সিক্রেট তিরস্কার করে বললো, ” আপনার জন্যই আপনার ছেলে এখনো বেঁচে আছে। না হয় মিস সিক্রেটের দিকে গুলি চালানোর শাস্তি বুঝে যেতো। ”
তারপর সিরিয়াস হয়ে বললো, ” টেনশন করবেন না। আমি আপনার ছেলেকে মারবো না। ”
মাহফুজ চৌধুরী : আমি জানি মিস সিক্রেট নিজের কথার নড়চড় করে না। আজ যাচ্ছি। ভালো থেকো। তাশরিফকে বাসায় গিয়ে আমি দেখছি। ( রেগে )
মিস সিক্রেট : ওকে, যান।
মাহফুজ চৌধুরী ও তার বডিগার্ড চলে যেতেই একজন ডক্টর দরজায় দাঁড়িয়ে বললো, ” ম্যা আই কাম ইন ম্যাম। ”
#চলবে.,.