?ভোর? পর্বঃ ০২।
লেখিকাঃ আয়sHa?
|
|
সকালে আলোর ঘুম ভেঙ্গে চোখ খুলে দেখে ভোর ওর পাশে বসে তাঁকিয়ে মিটিমিটি হাসছে। আলো চোখ খোলার সাথে সাথে ভোর আলোর বাহু ধরে উঠিয়ে….
|
ভোরঃঃ Good morning…
|
আলোঃঃ——–
|
ভোরঃঃ নাও কফি খাও। দেখো আমি প্রথম কফি বানালাম তাও তোমার জন্য। নাও খাও।
|
কফির মগটা আলোর সামনে এগিয়ে দিয়ে। আলো কফির মগটা না ধরে শাড়ীটা ভালোভাবে পেঁচিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়। ভোর চুপ করে বসে থাকে।
|
আলো ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে রেডি হচ্ছে….
|
ভোরঃঃ কোথাও যাবে?
|
আলোঃঃ হুমমম….
|
ভোরঃঃ কেথায়?
|
আলোঃঃ আমার বাড়ি….
|
ভোরঃঃ এটাই তো তোমার বাড়ি…
|
আলোঃঃ না। কোনো অমানুষ.. মিথ্যাবাদীর বাড়ি আমি থাকব না।
|
বলেই আলো বেরিয়ে যাচ্ছিলো। ভোর এক প্রকার দৌড়ে এসেই আলোকে ধরে দরজা লক করে দিয়ে আলোকে নিজের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে।
|
ভোরঃঃ গতকাল রাতেই তো বলেছি তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারবে না। তবুও এত সাহস দেখাচ্ছো কেন?
|
আলোঃঃ ছাড়ুন আমাকে বলছি… ((নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা))
|
ভোরঃঃ কোনো ছাড়াছাড়ি হবে না। এখন নিচে যাবো তুমি আর আমি তারপর নাস্তা করব।
|
আলোঃঃ জোর করে সব হয় না মিস্টার ভোর।
|
ভোরঃঃ আমি তোমাকে জোর করেই নিজের করে ছাড়বো।
|
আলোঃঃ জোর করে পাওয়ার মাঝে ভালোবাসা থাকে না।
|
ভোরঃঃ ভালো তুমিও বাসবে একদিন আমার ভালোবাসার কাছে হার মেনে বুঝলে সুইটহার্ট? ((আলোর গালে হাত দিয়ে))
|
আলোঃঃ ভালোবেসে ছিলাম তবে রিহামকে আর রিহামকেই ভালোবাসবো। আপনার মতো মিথ্যাবাদীকে তো কখনই না।
|
ভোরঃঃ ওকে দেখা যাবে এখন চলো নাস্তা খাবো।
|
বলেই আলোকে ভোর কোলে তুলে নিলো। তারপর নিচে নিয়ে এসে নাস্তার টেবিলের উপর বসালো।
|
আলোঃঃ আপনি আমাকে টেবিলের উপর বসিয়েছেন?
|
ভোরঃঃ তুমি টেবিলের উপর বসেই খাবে আর আমি চেয়ারে।
|
আলোঃঃ এভাবে বসে খাওয়া যায়? ((রাগী কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ যায়। দেখো….
|
বলেই ভোর নিজের হাতে আলোর মুখে খাবার পুরে দিলো। আলো রাগে গজগজ করছে আর খাচ্ছে। মনে মনে বলছে…. মিস্টার ভোর আমি আজ হোক বা কাল এ বাড়ি থেকে ঠিক চলে যাবো। জোর করে সব পেলেও মন পাবেন না। আমি রিহামকে ঠিক খুঁজে বের করবো। আমার ভালোবাসাকে আমার করে নিবো ঠিক।
|
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
ভোরঃঃ ঐ কি ভাবছ??
|
আলোঃঃ এত লোক কেন আপনার বাসায়? আর এতো বড় বাড়িতে আপনি একা থাকেন?
|
ভোরঃঃ এরা সবাই আমার গার্ড আর সার্ভেন্ট। আর এখন থেকে তুমি আর আমি থাকবো এ বাড়িতে।
|
আলোঃঃ ওহ… আমি আর খাবো না। আমার পেট ভরে গেছে।
|
ভোরঃঃ ওকে চলো তোমাকে রুমে নিয়ে যাই।
|
আলোঃঃ নিয়ে যাই মানে? আমি যেতে পারব না?
|
ভোরঃঃ আচ্ছা চলো তোমাকে একটা জিনিস দেখাই তোমার ভালো লাগবে।
|
আলোঃঃ আমি কিছু দেখবো না।
|
ভোরঃঃ আহ চলই না ভালো লাগবে।
|
বলেই আবার আলোকে কোলে তুলে নিলো। নিয়ে ছাদে নামালো। আলো ছাদে পা রেখে সাথে সাথে চিৎকার দিয়ে ভোরের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে ভোর জড়িয়ে ধরে……
|
আলোঃঃ আমাকে কোলে নিন। আমাকে মাছগুলো খেয়ে ফেলবে প্লীজ… ((ভয়ার্ত কন্ঠে))
|
ভোরঃঃ আরে বোকা এগুলা টাইলসে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে বানানো মাছ। সত্যি মাছ না। দেখতে সত্যি লাগে। দেখো আমি মাছের মুখের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
|
আলো চোখ টিপটিপ করে খুলে ঘাড় ঘুড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি। তারপর একটু লজ্জা পেয়ে সাথে সাথে ভোরকে ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ালো…..
|
ভোরঃঃ ছাড়লে কেন? ভালোই তো লাগছে…
|
আলোঃঃ ধুরররর…
|
ভোরঃঃ আচ্ছা সামনে দেখো….
|
আলো পিছনে ফিরে দেখে….
|
আলোঃঃ wow…. এত সুন্দর খোলা জায়গা আর বাগান। আমি নিচে যাবো।
|
ভোরঃঃ এখন না। বিকালে। এদিকে আসো…
|
আলো ভোরের পিছন পিছন ছাদের চিলে কোঠার ঘরটাতে গেলো। গিয়ে পুরো *থ*….
|
আলোঃঃ আমার ছবি? ((ভোরের দিকে তাঁকিয়ে))
|
ভোরঃঃ হুম তোমার ছবি…
|
আলোঃঃ আমার ছবি রুম জুড়ে কেন? আর আমাকে শ্যাম বর্ণ করছেন কেন? আমি শ্যাম বর্ণ?((রাগী লুকে))
|
ভোরঃঃ না কালোই ছিলো কিন্তু আমার ঠোঁটের ছোঁয়া পেতে শ্যাম বর্ণ হয়ে গেছে। এখন থেকে তোমাকে শ্যাম বর্ণ বানাবো।
|
বলেই ভোর আলোকে টেনে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো….
|
আলোঃঃ ছাড়ুন। আমাকে স্পর্শ করবেন না।
|
ভোরঃঃ তখন যে আমাকে জড়িয়ে ধরলা?
|
আলোঃঃ ইচ্ছা করে ধরিনি। আর ঐ টাইলসগুলো চেঞ্জ করবেন। ছাড়ুন….
|
ভোরঃঃ ওকে করবো কিন্তু নড়াচড়া করো না।
|
আলোঃঃ ছাড়ুন বলছি। আপনাকে আমার অসহ্য লাগে বুঝেন না?
|
ভোরঃঃ বুঝলেও কিছু করার নাই।
|
আলোঃঃ ঘৃণিত মানুষ আপনি আমার চোখে। আমি কোনো রিয়াক্ট করছি না বলে ভাববেন না আমি দুর্বল।
|
ভোরঃঃ তোমার কথা আঘাত তো বার বার বুকে এসে বিধছে এর থেকে কি আরও রিয়াক্টের প্রয়োজন আছে?
|
আলোঃঃ এতই যখন বিধছে তবে কেন আমাকে যেতে দিচ্ছেন না?
|
ভোরঃঃ যেতে তো কোনদিন দিবো না। সে তুমি যতই বাজে কথা বলো? আমি না হয় সেগুলো ভালোবাসা হিসেবে হজম করব!
|
আলোঃঃ একটা মিথ্যুক… অমানুষের মুখে এসব মানায় না।
|
ভোরঃঃ আমার ভালোবাসায় তোমাকে জয় করতে চাই এমন কথা বলো না যেন সত্যি সত্যি তোমার কাছে অমানুষ হয়ে যাই।
|
আলোঃঃ হাহাহা… গতকাল রাতে সেটার বাকি কি রেখেছেন? আপনি তো একজন ধর্ষক। আর আমি ধর্ষণ হয়েছি।
|
বলেই আলো কেঁদে দিলো। ভোর আস্তে আলোকে ছেড়ে দিয়ে রুমটা থেকে বের হয়ে নিচে চলে গেলো। আলো ওখানেই ধুপ করে বসে কান্না করতে লাগলো।
|
কিছুক্ষণ পর ভোর বিদ্যুৎ গতিতে এসে আচমকাই আলোকে টেনে কোলে তুলে নিচে রুমে নিয়ে গেলো। রুমে নিয়ে আলোকে বেডে বসিয়ে দিয়ে ভোর সোফাতে বসে সিগারেট ধরালো।
|
একটু পর আলো কাশি দিয়ে উঠলো। কাশিটা আস্তে আস্তে বেড়ে গেলো। ভোর তাড়াতাড়ি সিগারেটের আগুন নিভিয়ে দিয়ে রুমে এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে দিলো। তারপর আলোর কাছে এসে…..
|
ভোরঃঃ সরি আলো সরি… আমি ভুলে গিয়েছিলাম তুমি সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারো না। আর কখনো খাবো না সিগারেট প্রমিস।
|
আলোঃঃ সরুন আপনার মুখ দিয়ে সিগারেটের গন্ধ আসছে।
|
ভোরঃঃ ওহ সরি…
|
ভোর উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে….
|
ভোরঃঃ যাও তুমি শাওয়ার নিয়ে আসো।
|
আলোঃঃ আমি একটু একা থাকতে চাই প্লীজ।((হাত জোর করে))
|
ভোরঃঃ হুমম…..
|
ভোর উঠে বেলকনিতে চলে গেলো।
|
আলোঃঃ রিহাম তুমি কোথায়? আমি তো এই অমানুষটাকে আমার জীবনে চাইনি। আমি তো তোমাকে চেয়েছিলাম। আমি তো তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম। তুমি কোথায় রিহাম? কোথায়? কোথায়?
|
বলেই আলো আবারো ঠুকরে কেঁদে ওঠে।
|
|
|
চলবে…………