হ্যাকারের_লুকোচুরি সিজন_২ পর্ব-২
রাফি আর কথা বাড়ায় না। অসম্পূর্ণতা রাফিকে ঘিরেই আছে। কিন্তু কিসের এত অপূর্নতা। তোহাকে দিতে না পারা সময় নাকি মাফিয়া গার্লের করা উপকারের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করতে পারা?
তোহা – (অভিমানী কৌতুহল নিয়ে) বাবা মা কে জানিয়েছো? নিশ্চই জানাও নি!
রাফি সত্যিই ভুলে গিয়েছিলো। কিন্তু তাদের কাছ থেকেও তো অনুমতি নিতে হবে। পরিবারের উপর দিয়ে তো আর কম ধকল গেলো না।
রাফি – (বিস্মিত হয়ে) এই যা, বাবা মা কে তো আজ এমনিতেই ফোন দেয়া হয় নি। ফোন দেয়া উচিৎ, কি বলো?
তোহা – (অবাক হয়ে) অবশ্যই! তোমার এত বড় একটা খবর তাদের জানাবে না! এক্ষুনি ফোন দাও।
রাফি ভেতর থেকে ফোনটা নিয়ে আসে। মায়ের নাম্বারে ফোন দেয় রাফি। তোহা রাফির হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নেয়। ফোন কানে দিয়ে,
তোহা – (রাফির উদ্দেশ্যে) আমি বলছি তাদের, তুমি তো ভুলেই গিয়েছিলে। (ওপাসে ফোন রিসিভ হলো) হ্যালো, মা? আসসালামু আলাইকুম।
মা – ওয়ালাইকুমুস সালাম। কি খবর বৌমা, কেমন আছো?
তোহা – আলহামদুলিল্লাহ মা, আপনি কেমন আছেন? বাবা কেমন আছেন?
মা – এই আছি, আল্লাহ রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। (ঠাট্টার ছলে)তোমার শ্বশুরমশাইকে কখনো খারাপ থাকতে দেখেছো, সে সবসময় বিন্দাস থাকে। তোমাদের খবর কি?
তোহা – আলহামদুলিল্লাহ মা। মা জানো আজ কি হয়েছে? তোমার ছেলে কি করেছে?
মা – (আতংকিত) রাফি আবার কি করলো, সবকিছু ঠিকঠাক আছে তো মা! কোন সমস্যা হয় নি তো আবার!
তোহা – আরে না মা, সব ঠিক আছে। আজ তোমার ছেলের ট্রেনিং অর্ডার এসেছে, দেশের বাইরে ট্রেনিং। আর ট্রেনিং শেষে প্রমোশন হবে আর তোমার ছেলে মন খারাপ করে বসে আছে। তার নাকি সবকিছু অসম্পূর্ণ লাগছে।
মা – (কৌতুহল নিয়ে) অসম্পূর্ণ! কেন? ট্রেনিং শেষে প্রোমোশন তো খুবই ভালো খবর, আলহামদুলিল্লাহ। (হালকা আওয়াজ আসে) ওগো শুনছো, তোমার ছেলের প্রোমোশন হবে। তাড়াতাড়ি এদিকে এসো।
তোহা – (অভিযোগ) তোমার ছেলেকে একটু বোঝাও তো, সুসংবাদ কিভাবে দিতে হয় সেটাও যদি এখন শেখাতে হয়।
মা – এই নাও তোমার বাবার সাথে কথা বলো।
বলে ফোনটা রাফির বাবার হাতে তুলে দেয় রাফির মা।
বাবা – হ্যালো মা? কেমন আছিস? কি করেছে হতচ্ছাড়াটা?
তোহা – এইতো বাবা আলহামদুলিল্লাহ। একটু ভালোভাবে বকে দাও তো তোমার ছেলেকে। ট্রেনিং শেষে প্রোমোশন পাবে জেনেও তার নাকি মন খারাপ।
বাবা – কই দে ত ওই হতচ্ছাড়াটাকে? সবকিছু হাতে কলমে শেখাতে হবে।
তোহা – এই নাও।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/
বলে ফোনটা এগিয়ে দেয় রাফির দিকে। রাফি এতক্ষণ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছিলো কিভাবে তোহা তার মা বাবা এতটা আপন হয়ে গেছে। কি সাবলীলভাবে অভিযোগগুলো করে গেলো অবলীলায়। তোহা ফোনটা দিয়ে হাতে খোঁচা দেয় রাফির।
তোহা – কি হলো? নাও? বাবা কথা বলবে।
রাফি ফোনটা কানে দিতেই গম্ভীর গলা টের পায়।
বাবা – কিরে রাফি? কি হচ্ছে এসব? সুখবর কেউ মন খারাপ করে দেয়?
রাফি – বাবা, পেছনের ঘটনাগুলো পিছু ছাড়ছে না। এখনো ভুলতে পারছি না ওসব। সব মিলিয়ে এখনো সুখবরের আন্দাজ করে উঠতে পারছি না। একটু আপসেট এই যা।
বাবা – (শান্ত গলায়) বড় হয়ে গেছিস এখন, বেশী কিছু বলবো না। জীবনের ঝড়ঝাপ্টা থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে হয়, ঝড়ের ধ্বংসস্তুপে বসে থাকতে নেই। অতীতের শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোতে শেখ। বিয়েসাদি করেছিস এখন বৌমার সামনে নিজের নাক কাটাস না।
রাফি – মাসখানেকের ট্রেনিং। নতুন কোয়ার্টার, তোমার বৌমাকে কি করবো?
বাবা – তোর ওসব নিয়ে ভাবতে হবে না। আমাদের মেয়ে আমাদের কাছেই থাকবে। তোর যেখানে যেতে হয় তুই যা। আমরা আসছি আমাদের বৌমা কে নিতে। দে তো আমার মায়ের কাছে ফোনটা দে।
রাফি ফোনটা তোহার হাতে তুলে দিয়ে ইশারা করে যে সে ঘরে যাচ্ছে। তোহা আর বাবা আরো কিছুক্ষণ কথা বলে। রাফি ঘরে বসে মাফিয়া গার্লের কথা ভাবতে থাকে। যার এত সাহায্যে আজ তার চাকরীতেও অগ্রগতি, সেই মানুষটিকে সামান্য ধন্যবাদ জানানোর সুযোগ ও পায় নি কখনো রাফি। যত ভালই হ্যাকার হোক না কেন মাফিয়া বয়, পালিয়ে বেড়ানোর সময় প্রয়োজনীয় রিসোর্স না থাকার কারনে মাফিয়া গার্লের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিলো রাফি, এছাড়াও যে কাজ করতে এক চৌকস হ্যাকার টিমকে কয়েক সপ্তাহ লাগবে সেই কাজ মুহূর্তে করে ফেলে মাফিয়া গার্ল। সেই দূঃস্বপ্নের দিনগুলো চাইলেই ভুলতে পারবে না রাফি। মাফিয়া গার্ল যদি এত চৌকস হয় তাহলে মাফিয়া বয় হিসেবে আমার কমতি রয়ে গেছে অনেক। এখনো অনেক কিছু শেখার বাকী। ট্রেনিং টা জরুরী। পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী এন্টি সাইবার ক্রাইম ডিভিশনের আন্ডারে ট্রেনিং। সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। এসব কিছু ভাবতে ভাবতে তোহা ফিরে আসে বারান্দা থেকে। ফোনটা রাফির হাতে তুলে দিয়ে বলে,
তোহা – বাবা মা চান আমি যেন তোমার ট্রেনিং এর সময়টা তাদের সাথে থাকি। বাবা জানতে চেয়েছেন তুমি কবে যাচ্ছো। তারা তার আগে কোয়ার্টারে এসে আমাকে নিয়ে যাবেন।
রাফি – কাল অফিস থেকে ডিটেলস জেনে তাদের জানিয়ে দেবো।
তোহাকে অনেক খুশি খুশি লাগলেও চেহারার কোথায় যেন একটা মনপোড়া ছাপ দেখতে পেলো রাফি। তোহার জগৎভোলানো হাসি খুব ভালো করে চিনে গেছে রাফি তাই হয়তো ওই মনপোড়া ছাপ ধরতে অসুবিধা হয় না রাফির।
তোহা – (খুশিমনে) দাড়াও তোমার শ্বাশুড়িমা কে একটা ফোন দেই, জামাইয়ের কান্ডকারখানা তারাও একটু জানুক।
বলেই নিজের ফোন চেপে কল দিলো রাফির শ্বাশুড়িকে।
তোহা – হ্যালো, মা? …….. হ্যাঁ ভালো আছি। আজ কি হয়েছে জানো………….
পরদিন সকালে
অফিসে এসেই সোজা ডাইরেক্টর স্যারের রুমে চলে গেল রাফি,
ডাইরেক্টর – তো রাফি সাহেব? কি ডিসিশন নিলেন? ট্রেনিং এ যাবেন নাকি ঘরে বসে থাকবেন?
রাফি – একটা ইনফরমেশন জানার দরকার ছিলো স্যার। আমি কি আমার সাথে আমার স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারবো, মানে just in case.
ডাইরেক্টর স্যার রাফির দিকে ঘুরে তাকালেন।
ডাইরেক্টর – আপনার কোয়ারী শুনে আমার অবাক হওয়া উচিৎ ছিলো যদি না জানতাম যে আপনি নববিবাহিত। যাইহোক, সরকারের পক্ষ থেকে আপনার জন্য আপনার ট্রেনিংদাতা সংস্থার ডর্মেটরিতে থাকার ব্যবস্থা করেছে আর আমার জানা মতে সেখানে স্ত্রীসহ থাকা যাবে না। আর যদি আপনি আপনার মত থাকতে চান তাহলে হয়তো ট্রেনিংদাতা সংস্থা আপনার ট্রেনিং বাতিল করে দিতে পারে, এই ট্রেনিং শুধুমাত্র আপনার কীবোর্ড চালানোর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নয়, বরং সবদিক দিয়ে আপনাকে চৌকস করে তুলবে। তাই আমি মনে করি এই ট্রেনিং ট্যুরে আপনার হানিমুন প্লান টা ক্যান্সেল করা উচিৎ।
রাফি ভিশন লজ্জা পেল, রাফির উদ্দেশ্য হয়তো হানিমুন ছিলো না কিন্তু তোহার চোখেমুখে থাকা মনপোড়া ছাপকে একেবারে অগ্রাহ্য করতে পারে নি রাফি। তাই হয়তো লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে ডাইরেক্টর স্যারকে প্রশ্নটা করে ফেলেছে।
রাফি – it’s okay, sir. এটা কেবলমাত্র একটি কৌতুহলবশত প্রশ্ন ছিলো। যাইহোক, আমি তৈরি। কবে যেতে হবে স্যার।
ডাইরেক্টর – I can understand your feelings Mr. Raffi. But This training is more difficult than any other. Less than 5% of outside trainee got passed from their tests. If you succeeded, they will train you as there own. Be serious about it. Start packing your bags, you’ll fly within 6 days. I’ll confirm you after I have your ticket. All the best.
রাফি – I’ll be ready by then. Thank you sir.
রাফি বের হয়ে আসে ডাইরেক্টর স্যারের রুম থেকে। নিজের ডেস্কে এসে কাজে ডুবে গেলো রাফি।
রাফি সব কাগজপত্র গোছাতে থাকে ট্রেনিং এর জন্য। অফিসের সবাই রাফির কাজ গুছিয়ে দিতে সাহায্য করতে লাগলো। কাজ গুছাতে নিজের ডেস্কে ফাইলপত্রের মাঝে উড়োচিঠি পায় রাফি, বেশ বড়সড় ধামকিওয়ালা চিঠি। চিঠিতে রাফির জীবননাশের হুমকিও দেয়া হয়েছে। রাফি প্রথমে পাত্তা দিতে চায় না কিন্তু পর পর দুই দিন রাফি একই ধামকিওয়ালা চিঠি পায়। রাফি মোটমুটি আন্দাজ করতে পারে কারা এমন কাজ করতে পারে, কারেন্সি চুরির ঘটনায় যারা জড়িত তারাই হয়তো এমন কাজ করছে। কিন্তু রাফির জানামতে দোষীদের সবাইকেই গ্রেফতার করে আইনের আয়তায় আনা হয়েছে। তাহলে কে এই কাজ করছে? মেইলবক্সের সব চিঠির সাথে এই উড়োচিঠিগুলো এসেছে তাই চাইলেও রাফি ধরতে পারে না কে বা কারা এই চিঠিগুলো পাঠাচ্ছে। রাফি ঝামেলা থেকে বাঁচতে ডাইরেক্টর স্যারের মাধ্যমে থানায় একটা জিডি করে রাখে কিন্তু কম্পিউটার কম্পোজ হওয়ার কারনে পুলিশ হাতের লেখা ম্যাচিং করার সুযোগ পায় না তবে পুলিশ থেকে এই বিষয়ে সবধরনের সহায়তা করবে বলে জানায় রাফিকে।
পরবর্তীতে রাফি আর কোন উড়োচিঠি পায় না তবে রাফি চিঠিগুলো থেকে একটা জিনিস স্পষ্ট বুঝতে পারে যে কেউ একজন হয়তো ভয়াবহ আকারে ক্ষেপে আছে রাফির উপর।
দুইদিনের মাথায় এক আধপাগলকে গ্রেফতার করে পুলিশ, পুলিশের ভাষ্যমতে কেউ একজন পাগলটাকে খাবার দেয় আর চিঠিগুলো পোষ্ট করে দিতে বলে কিন্তু মানষিক ভারসাম্যহীন একজনের কাছ থেকে হুমকিদাতা পর্যন্ত পৌছানো কিছুটা কঠিন। তবে পুলিশ টপ প্রায়রিটি দিয়ে কেসটা পর্যালোচনা করছে। খুব তাড়াতাড়ি একটা সমাধানে পৌছাতে পারবে বলে আশা পুলিশের। রাফি ডাইরেক্টর স্যারের কাছে নিজের পরিবারের সুরক্ষার জন্য অনুরোধ করে। ডাইরেক্টর স্যার ও আশ্বাস দেন যতদিন না আসল হোতাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে, প্রয়োজনে রাফি ফিরে আসার আগ পর্যন্ত রাফির পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
রাফির ফ্লাইটের ২ দিন আগে বাবা মা চলে আসে রাফির কোয়ার্টারে, রাফি চলে যাওয়ার পর তোহাকে নিজেদের কাছে নিয়ে যেতে। পরিবারের কাছে হুমকি আর প্রটেকশন জাতীয় সবকিছু চেপে গেলেও বাবাকে কিছুটা খুলে বলে রাফি। রাফি পরিবার ছেড়ে ট্রেনিং এ যেতে রাজী নয় আর।
রাফি – বাবা, এতো ঝুটঝামেলার ভেতর আমি তোমাদের রেখে কোথাও যাবো না।
বাবা – আরে বোকা ছেলে। যারা এই চিঠিগুলো পাঠিয়েছে তাদের উদ্দেশ্যই এটা যেন তুই এই ট্রেনিং এ যেতে রাজী না হোস। যারা তোর সাফল্য দেখে ঈর্ষান্বিত, তারাই তোর যাত্রা ভঙ্গের জন্য এইসব করছে।
রাফি – তারপরও বাবা আমি………..
বাবা – কোন কিন্তু নয়। আমি আমার ছেলেকে কাপুরুষ হিসেবে দেখতে চাই না। তুই যাবি আর ওইসব মানুষগুলোকে দাঁতভাংগা জবাব দিয়ে দিবি।
রাফি – কিন্তু তোমরা…
বাবা – তুই তো বললিই যে তোর অফিস থেকে প্রোটেকশনের ব্যবস্থা করবে। তাহলে আর কি? এসবের জন্য এত বড় সুযোগ হারাস না।
অনিচ্ছায় স্বত্বেওও রাফি রাজী হয় ট্রেনিং এ যেতে। তোহা শুরু থেকেইই গোজগাছ করে রাফির ব্যগপত্র। ভালো ভালো রান্নাবান্না করলো মা মিলে। রাফি মোটামুটি মানষিকভাবে তৈরী হলো এই ট্রেনিং এর জন্য।
বাবা মা তোহা সবাই মিলে রাফিকে এগিয়ে দিতে এলো এয়ারপোর্টে। তোহার চোখ ভিজে আছে কিন্তু ঠোঁটে একটা হাঁসি ঠিকই ধরে রেখেছে। রাফি ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করবে তখন তোহা তার মুখ ঘুরিয়ে নিলো। বাবা মা হাত নেড়ে বিদায় জানালেও তোহা মুখ ঘুরিয়েই রাখলো। রাফি তোহার মনের অবস্থা আন্দাজ করতে পেরে রাফির মনটা মুচড়ে ওঠে কিন্তু রাফিকে নিজের জন্য হলেও এই ট্রেনিং এ যোগদান করতে চায়।
ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করে বিমানে গিয়ে বসে রাফি। বিমানবালা সবার ফোন সুইচ অফ করতে বলে কারন কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমান টেকঅফ করবে।
রাফি তার ফোনটা বের করে দেখে আননোন সোর্স থেকে বেশ কিছু মেসেজ এসেছে, সাথে বেশ কিছু ফোন। ফোন সাইলেন্ট ছিলো বলে টের পায় নি রাফি। প্রথম মেসেজটা ওপেন করে রাফি,
“You shouldn’t get on that plane”
রাফির কপাল কুঁচকে গেলো।
কি হলো এটা! হঠাৎ মাফিয়া গার্ল ওকে এমন মেসেজ দিলো কেন?
এদিকে বিমানবালা রাফির পাশে দাড়িয়ে বার বার ফোন বন্ধ করতে অনুরোধ করছে। রাফি ভেবে পায় না এখন সে কি করবে।
বিঃদ্রঃ ইনফরমেটিক গল্পের পর্ব গুলো একটু ছোটই হয়। তারপরো মনে মনে মাইন্ড খেলে ক্ষমা করবেন। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।