হ্যাকারের_লুকোচুরি
সিজন_২
পর্ব-১৫
ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকে পিকাচু, সিস্টেম ইরর দেখার মত মানসিকতা নেই রাফির, পিকাচুই এখন শেষ ভরসা।
অবশেষে পিকাচুর রেস্পন্স পাওয়া গেল।
পিকাচু – (কার্টুন ভয়েসে) Hi, I am pikachu.
রাফি – Hi, pikachu, this is Rafiul Islam Rafi. I am your creator and instructor.
পিকাচু – Accessing cyber network, recognizing Rafiul Islam Rafi, 100% match, ( স্ক্রীনে ছবি ভেসে ওঠে রাফির আর সাথে জীবন বৃত্তান্ত) Rafiqul Islam Rafi, Age 27, Cyber Crime Analysist Officer, National Security Agency. Saved as creator and instructor.
রাফি খুশিতে ফেঁটে পড়ে, পিকাচু তার সাথে সফলভাবে কমিউনিকেশন করেছে। “ইইইইয়েসসস, I’ve done it” বেশ জোরেশোরেই বলে ওঠে রাফি।
পিকাচু – (কার্টুন ভয়েসে) congratulation, Creator for your achievement.
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
রাফি অবাক হয়ে যায়, পিকাচু রাফিকে কংগ্রাচুলেশন জানালো!!!
রাফি – Pikachu? Why did you congratulate me?
পিকাচু – Your voice was louder than as usual and your heart rate is higher then as usual causing adrenaline rush because of achiving something means you are very excited and happy.
রাফি নিজেই হতবাক হয়ে যায়। পিকাচু রাফির চিন্তার বাইরে স্মার্ট।
রাফি – পিকাচু, ভাষা পরিবর্তন করো.
পিকাচু – Detecting language…… language found. Accessing Dictionary, novels, journals…….. ভাষা পরিবর্তন করা হয়েছে।
রাফি বুঝতে পারে পিকাচু তার প্রয়োজন অনুযায়ী ফাইল একসেস করে নেয়।
পিকাচু – Unauthorized access request found. Somebody is trying to access the server.
রাফির মনে পড়ে যায় মাফিয়া গার্লের কথা। গত দুইদিন ধরেই তাহলে বেচারী উঠেপড়ে লেগে আছে সার্ভারের একসেস ফিরে পাবার জন্য।
রাফি পিকাচুকে মাফিয়া গার্লের সার্ভারে রাখা নিরাপদ হবে কি না তাই ভাবতে থাকে। কিন্তু তার থেকে জরুরী পিকাচু কে কন্ট্রোল করা। পিকাচু এখনো knowledge hunt করছে, এই স্টেজ পার হতে বেশ কিছু সময় লাগবে। সারা দুনিয়া জানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কতটা ভংয়কর হয়ে যেতে পারে তাই অন্য সবকিছু ভাবার আগে রাফি পিকাচুর পার্মিশন সেটিংস চেক করতে চায়।
রাফি -পিকাচু? তোমার পার্মিশন সেটিংস দেখাও।
পিকাচু – পিকা পিকা ( বলে পার্মিশন সেটিংস পেজ দেখালো)
রাফি একবারে সব পার্মিশন ডিনায়েড করে দিলো। এতে পিকাচুর knowledge hunting বন্ধ হয়ে গেল।
রাফি মনিটর দিয়ে পিকাচুর মেমরী স্ট্যাটাস চেক করলো। মাত্র কয়েক মিনিটেই সে সার্ভার ক্যাপাসিটর ৭০% লোড করে ফেলেছে। কিন্তু এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে তো পিকাচুর জন্য বিশাল মেমরী আর নেক্সট জেনারেশন কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রয়োজন পড়বে। তাই রাফি বেসিক নলেজ ক্যাটাগরি ছাড়া অন্যান্য সব ক্যাটাগরি অনলাইন বেজড করে রাখলো এবং Need to know বেসিসে করে দিলো। এতে পিকাচু তার প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন কোথায় পাওয়া যাবে তার একটা শর্টলিষ্ট করে রাখতে লাগলো, যেন অনেকটা মুভি ডাউনলোড করে কম্পিউটারে রেখে মেমরী নষ্ট না করে ওয়েবসাইটের নাম ও মুভির লোকেশন সেভ করে রাখা যেন যখন প্রয়োজন তখনই পাওয়া যায়।
কিন্তু পিকাচু একটা ওয়ার্নিং দিলো এই Need to know পলিসির জন্য, এই পলিসি গ্রহন করলে যদি কোন কারনে নেটওয়ার্ক ডাউন হয়ে যায় বা কেউ সার্ভার অফলাইন করে দেয় কিংবা যে কোন কারনে পিকাচু এবং সার্ভারের মাঝে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে পিকাচুর পক্ষে সেই নলেজ পাওয়া সম্ভব হবে না।
রাফি বিষয়টা নিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলো। মাফিয়া গার্ল যদি চায় তাহলে শুধুমাত্র এই ইন্টারনেট কানেকশন ব্লক করে দিলেই পিকাচু আর কিছুই একসেস করতে পারবে না। ভয় থেকেই যায় রাফির। এখানে পিকাচু কে রাখা যাবে না। এখানে রাখলে মাফিয়া গার্ল আটকে দিতেই পারে। কিন্তু তার আগে মাফিয়া গার্লের সাথে কথা বলা দরকার। কি চায় মাফিয়া গার্ল এটা জানার সময় হয়া গেছে। রাফি ডায়াল করে *6666# নাম্বারে। মাফিয়া গার্ল কিছুক্ষণ পর কল ব্যাক করে।
– what are you doing in my lab!!!! I can’t access anything!
রাফি – Pikachu is live. He is using your lab as his brain. I’m sorry, but you lost your lab.
– পিকাচু কম্প্লিট! ওয়াহ। কংগ্রাচুলেশনস।
রাফি অবাক হলো মাফিয়া গার্লের বিহেভিয়ার দেখে। কিছুক্ষণ আগেও নিজের ল্যাব নিয়ে রাফির সাথে খিচখিচ করতেছিলো আর এখন সে পিকাচুর কথা শুনে কংগ্রাচুলেশনস জানাচ্ছে!!!!
রাফি – (বিস্মিত হয়ে) ব্যাপারটা কেমন হলো! পিকাচুর কথা শুনে আপনার ভয়েস টোন একদমই বদলে গেলো। কি ব্যপার!
– কারন পিকাচু ই পারে একমাত্র আসন্ন বিপদের থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে।
রাফি – মানে? কি বিপদ! আর পিকাচু কে নিয়ে এতো এক্সাইটেড কেন আপনি!
– কারন পিকাচু আমাদের প্রোজেক্ট ছিলো। পিকাচু প্রোজেক্টের কারনেই আমার বন্ধুদের প্রান দিতে হয়েছে।
রাফি – মানে আপনি ওই ডেভেলপারদের একজন! তাহলে আপনিই তো পিকাচু কে কম্প্লিট করতে পারতেন। আমাকে তো প্রয়োজন ছিলো না। ওয়েট ওয়েট, আপনার কাছেও পিকাচু রয়েছে!!! যেটাকে আমরা এতদিন হাইব্রিড হাইড্রা হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম!!! Am I right!
– আমার কাছে পিকাচু নেই, পিকাচু প্রোজেক্টের আগে আমরা ৩ বন্ধু মিলে একটি প্রোজেক্ট শুরু করেছিলাম যেটা ড্রপ করা হয়েছিলো আইনি ঝামেলার কারনে কিন্তু আমার কাছে প্রোজেক্টের ব্লুপ্রিন্ট ছিলো। আমি সেই আনফিনিশড প্রোজেক্টের ফিনিশড রেজাল্ট ই ব্যবহার করছি। আমরা আরো ৩ বন্ধুকে নিয়ে মোট ৬ জন মিলে সেম প্রোজেক্ট আবার চালু করি সকল প্রকার আইনি প্রসেস মেনে। আর প্রোজেক্টের নাম দেয়া হয়েছিলো প্রোজেক্ট পিকাচু। আগের থেকে আরো ফুলপ্রুফ করে তৈরী করা শুরু করেছিলাম পিকাচুকে। তারপর পিকাচু চুরি হয় আর আর সব ডেভলপারদের মেরে ফেলে অস্ত্র ব্যবসায়ী। আর আমি আমাদের পুরাতন প্রোজেক্ট নিয়ে আত্বগোপন করি, পিকাচুকে বাঁচতে পারি নি আমি। এক কথায় বলা যায় আমি পিকাচুর যময বোনকে ব্যবহার করছি। দুটো প্রোজেক্টের বেজ একই যার কারনে পিকাচু অনলাইন হলে আমার সিস্টেম পিকাচুকে সেন্স করতে পারে।
রাফি – তারমানে আপনার হাইড্রা আর এই পিকাচু একই! তাহলে তো পিকাচুর কোন প্রয়োজনই ছিলো না। কেন পিকাচুকে কম্প্লিট করার দরকার পড়লো? আর আপনার ল্যাবে, আপনার সার্ভারেই পিকাচু অনলাইন হয়েছে অথচো আপনি টের পেলেন না কেন!
– অস্ত্র ব্যবসায়ী পিকাচুকে বিক্রি করার প্লান করেছিলো। পিকাচু যদি ভুল মানুষের হাতে পড়তো তাহলে এর কি পরিনতি হতে পারে তা ভেবে দেখো। আর পিকাচুকে ধরতে না পারার কারন হতে পারে প্রথমতঃ তুমি সার্ভারের এনক্রিপশন পরিবর্তন করেছো এবং দ্বিতীয়তঃ পিকাচু একটা স্মার্ট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। যদি তুমি ওকে হার্ডড্রাইভে থাকা ব্লুপ্রিন্ট অনুযায়ী তৈরী করে থাকো তাহলে পিকাচু নিজেকে লুকাতে খুবই পটু হওয়ার কথা। নিজেকে সিকিউর করে নিয়েছে হয়তো, যেমনটি আমার হাইড্রা। একটা জিনিস খেয়াল রেখো, পিকাচুকে সব ধরনের কাজের ডিসিশন দিলেও অটোনোমাস ডিসিশন নেয়ার পার্মিশন দিবে না কোনভাবেই।
রাফি – আপাতত সেই অপশন অফ করাই আছে। কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যদি নিজে নিজে ডিসিশন নিতে না পারে তাহলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কি মূল্য!!!
– পিকাচু সবকিছুই করতে পারবে শুধু নিজে থেকে ডিসিশন নিতে পারবে না। তার জন্য সুপিরিয়র সুপারভিশন লাগবে আর যদি কোন কারনে সুপিরিয়র আনএভেইলেবল থাকে তাহলে পিকাচু ডিজেবল হয়ে থাকবে। No alternative.
রাফি – সেটা আমি প্রোগ্রাম ডায়গনসিস করার সময়ই দেখতে পেয়েছি। আর সেটা পরিবর্তন করারও কোন ইচ্ছা নেই আমার।
– পিকাচুর জন্য কোন Kill code তৈরী করেছো কি! বলা তো যায় না।
রাফি – চিন্তা করবেন না। আমিই পিকাচুর কিল কোড, আমি আছি তো পিকাচু আছে আর আমি নেই তো পিকাচু ও নেই। আর হ্যাঁ, আপনি কিন্তু বলেন নি , আপনি নিজে কেন পিকাচুকে ডেভলপ করলেন না! আপনি তো ডেভলপারদেরই একজন ছিলেন। আপনার জন্য তো কাজটা আরো সহজ ছিলো। তাহলে আমাকে দিয়েই কেন!
– হ্যাঁ আমি পারতাম, কিন্তু যে কারনে পিকাচুকে দরকার ছিলো তার জন্য আমার শুধু পিকাচু নয়, একজন ভালো এবং স্কীল্ড প্রোগ্রামারের ও প্রয়োজন ছিলো, and you are perfect.
রাফি – আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কি করতে চাইছেন আপনি? আমি শুধুমাত্র আমাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চাই।
– তো কাজ শুরু করো, আর দেখো পিকাচু কতটা ইফিশিয়েন্ট। আর কেন তোমাকে আর পিকাচুকে লাগবে সেটা পরে জানাচ্ছি। এখন অটোনোমাস ডিসিশন নেয়ার পার্মিশন অফ রেখে বাদবাকী রেষ্ট্রিকশন তুলে দাও, knowledge hunting এ সময় লাগবে অনেক।
রাফি – অলরেডি আপনার সার্ভারের ৭০% ফুল হয়ে গেছে তাও কয়েক মিনিটে। আপনার সার্ভার ইনাফ না।
– খুঁজতে বলো! দেখো তো পিকাচু কি কি করতে পারে।
রাফি ফোন কেটে দেয়। মাফিয়া গার্লের কথায় কিছুটা ধোঁয়াশা ভাব থাকলেও আপাতত নিজের ব্যপারে মনযোগ দিতে চাইলো রাফি। মনিটরের দিকে তাঁকিয়ে পিকাচুর রেষ্ট্রিকশনগুলো দেখতে লাগলো। অটোনোমাস ডিসিশন ডিজেবল রেখে বাদবাকি ডিসিশন দিয়ে দেয় রাফি। পিকাচু আবারও knowledge hunting শুরু করে। কিছুক্ষণের ভেতরেই সার্ভার ফুল হয়ে যায় আর নতুন স্পেসের রিকুয়েষ্ট করতে থাকে।
রাফি – পিকাচু? নতুন স্পেস খুজে বের করো। যে কোন এক জায়গায়, ছড়ানো ছিটানো স্পেস এভয়েড করো।
পিকাচু – পিকা পিকা। Searching for available space for knowledge hunting…….
রাফি অপেক্ষায় থাকে পিকাচুর সার্চ শেষ হওয়ার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ পর,
পিকাচু – Available memory space found.
রাফি মনিটরের দিকে তাকায়। বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পায় রাফি। যার ভেতর কিছু সার্ভার আছে যেগুলোর মেমরী তার কার্যক্ষমতা থেকে কয়েকগুন বেশী আর এই অতিরিক্ত মেমরী কখনই ব্যবহার করা হয় না। এমন সব চয়েস ঘাটতে ঘাটতে রাফি একটা অপশন পেলো যা ফিজিক্যালী ইম্পসিবল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০০০০ কিলোমিটার উপরে শো করছে আর মেমরী স্পেস ও বিশাল।
রাফি – পিকাচু? Show details about the option number 32?
পিকাচু – Accessing available data, option number 32 , A tactical satellite.
রাফি – স্যাটেলাইট!
পিকাচু – Affirmative. পৃথিবীর বৃহত্তম দেশের স্যাটেলাইট এটি। একটা এক্সপেরিমেন্টাল এক্সিডেন্টে স্যাটেলাইট কন্ট্রোল ফ্যাসিলিটি ধ্বংশ হয়ে যায় আর এই স্যাটেলাইট সাধারন স্যাটেলাইটের তুলনায় অনেক উপরে থাকায় অন্য কোন স্যাটেলাইট ফ্যাসিলিটি ব্যবহার করে কমিউনিকেশন বিল্ড করা সম্ভব হয় নি।
রাফি – তাহলে তুমি কিভাবে সেই স্যাটেলাইট একসেস করবে?
পিকাচু – তা কন্ট্রোল করার মত এন্টেনা এই দেশে নেই মানে এমন নয় যে এই পৃথিবীতে নেই, তবে এমন এক দেশের কাছে এই ফ্যাসিলিটি আছে যাদের কাছে সাহায্যের জন্য কখনো এই দেশ ঝুকবে না। তাই ওই স্যাটেলাইটের মায়া একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছে সরকার।
রাফি – তুমি পারবে স্যাটেলাইটটা একসেস করতে?
পিকাচু – Affirmative. কিন্তু স্যাটেলাইটটি ১৮ ঘন্টা পর ওই এন্টেনার রেন্জে আসবে। তখন আমি স্যাটেলাইটের অর্বিটাল স্পিড এন্টেনার রেন্জের সাথে এডযাষ্ট করে দিবো যেন ২৪/৭ স্যাটেলাইটটি ওই এন্টেনা দিয়ে একসেস করা যায়।
রাফি – ১৮ ঘন্টা মানে অনেক সময়, ততক্ষণে অন্যান্য কাজ সেরে নেয়া যাক।
রাফি কীবোর্ডে হাত চালায়, পিকাচুর মাধ্যমে খুব সহজেই NSA এর সার্ভার একসেস করে ফেলে রাফি, যেন গরম ছুরি দিয়ে মাখন কেটে ফেলার মত সহজ। কিন্তু এই NSA এর ফায়ারওয়্যাল এবং সিস্টেম আপগ্রেড রাফিরই করা তারপরও পিকাচুকে এত সহজে ফায়ারওয়্যাল ফুটা করে ফেলতে দেখে কিছুটা মনক্ষুন্ন হলেও পিকাচুর ক্ষমতা রাফিকে অভিভূত করে দেয়। কারেন্সি চুরির পুরাতন ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট খুজতে লাগলো NSA সার্ভারে। পিকাচু রাফিকে সাহায্য করার জন্য,
পিকাচু – I can scan the whole system 10000 times faster than you, may I?
রাফি কিছুটা ভেবে নিজের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্টের ডেট জানিয়ে sort করে দিলো পিকাচুর সার্চ ইন্জিন, তারপর পার্মিশন দেয় সার্চ করার।
৫ সেকেন্ডের ভেতর রাফিকে রিপোর্ট জানায় যে ওই টাইমের কোন পিওর ফাইল নেই কিন্তু সেম নামের একটা মডিফায়েড ফাইল রয়েছে।
রাফি পার্মিশন দিলো ফাইলটা ওপেন করার। পিকাচু ফাইলটা ক্লোন করে এনে ওপেন করলো। ক্লোন করার কারনে ওই ফাইলের অরিজিনাল রেকর্ডস এবং এডিট হিষ্ট্রিও চলে আসে।
রাফি ফাইলটা চেক করতে শুরু করে আর মোটামুটি অবাক হতে থাকে। রাফির দেয়া রিপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আর সেখানে নতুন রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, কারন রাফি যে সব ব্যাংক একাউন্টের লিষ্ট ইনভেস্টিগেশন রিপোর্টে জমা দিয়েছিলো সেগুলোর নাকি কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি! এই কেসের ইনভেস্টিগেশন পূর্ন করার জন্য যে ১০ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিলো তারা তাদের রিপোর্টে পরিস্কার উল্লেখ করে দিয়েছে যে রাফির জমা দেওয়া ইভিডেন্সের কোন ভিত্তি নেই। রাফি ভাবতে থাকে সৎ ভাবে কাজ করতে চাইলে এরা কেউই রাফিকে বাঁচতে দেবে না। রাফি নিজের অরিজিনাল রিপোর্টটি প্রধানমন্ত্রীর ইমেইলে পাঠিয়েছিলো। তাই অরিজিনাল রিপোর্ট সেখানেই পাওয়া যাবে হয়তো।
রাফি – পিকাচু, আমার মেইল আইডি সিকিউর করো। আর চেক করো যে কেউ আইডিটা সার্ভেইল্যান্সে রেখেছে কি না।
পিকাচু – পিকা পিকাআআ, securing E mail ID path, checking for surveillance tress….. Two surveillance found ……. E mail ID secure.
রাফি – সার্ভেইল্যান্স ডিটেলস শো করো,
পিকাচু – পিকা, IP registered to the NSA Director and another is unavailable.
রাফি বুঝতে পারে যে অন্যটা মাফিয়া গার্ল। রাফি ইমেইল একসেস করে। সেখানে সেন্ড আইটেম থেকে নিজের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট ডাউনলোড করে আর ইমেইল ডিজএবল করে দেয়।
রাফি – পিকাচু, এই ডাউনলোডেড ফাইলের ইনফরমেশন এনালাইসিস করো আর ব্যাংক একাউন্টগুলো থেকে টাকা কোথায় গেলো সেটা খুঁজে বের করো।
পিকাচু – it will be done. Accessing new file, acquiring information……. Bank records found…. accessing bank logs…….
রাফি দেখতে থাকলো পিকাচু একই সাথে রিলেটেড সবগুলো ব্যাংকের সার্ভার হ্যাক করে এ্যাকাউন্টের ট্রানজেকশন হিষ্ট্রি বের করছে। আরো কিছু নতুন একাউন্টের নাম পাওয়া গেল। বর্তমানে টাকাগুলো কোন ব্যাংকের এ্যাকাউন্টে গিয়ে জমা হয়ে আছে তার লিষ্ট তৈরী করলো পিকাচু।
পিকাচু – investigation report complete, calculating the amount found………..
পিকাচু মনিটরে একটা এ্যামাউন্ট দেখালো যেটা চুরি যাওয়া এ্যামাউন্টের কাছাকাছি।
রাফি – সব টাকা তো এখানেই আছে, তাহলে টাস্কফোর্স কি কাজ করলো!!!! পিকাচু, প্রতিটা এ্যাকাউন্ট ফ্রীজ করে দাও যেন কেউ পরবর্তী ক্লিয়ারেন্স না দেয়া পর্যন্ত টাকা তোলা বা ট্রান্সফার করতে না পারে।
পিকাচু – Freezing bank accounts…… All listed Bank accounts are freezed.
রাফি – contact all the press of my country, I will transfer this evidence to them first. Lets see what the media can do.
পিকাচু – Contacting all media……… transfering message ……………. waiting for respond …………. 75% media respond.
রাফি – Good enough. I am going to show this evidence to the whole world.
পিকাচু – preparing the evidence disclosing in 3…2….1, evidence disclosed to 75 media.
রাফি – এটাই ইনাফ না, পিকাচু, মডিফায়েড ইনভেষ্টিগেশন রিপোর্ট থেকে টাস্কফোর্স মেম্বারদের ডিটেলস নাও আর তাদের ইনভেস্টিগেশন টাইমে তাদের সাথে উল্লেখযোগ্য কি কি হয়েছিলো তা চেক করো।
পিকাচু – identifying 10 members…… acquiring personal informations………. Analyzing ……
রাফি – পিকাচু, আমার ইনভেস্টিগেশন রিপোর্টের অপরাধী এবং তাদের সহযোগীদের সাথে যোগসূত্র আছে কি না তা ও ক্রসম্যাচিং করো।
পিকাচু – analyzing new data…… cross matching……
রাফি এনালাইসিসের কাজগুলো মনিটরে দেখতে থাকে। ক্রসম্যাচিং এনালাইসিসের জন্য সব ধরনের পাবলিক এবং প্রাইভেট রেকর্ড চেক করছে পিকাচু, এই পুরা কাজ করার জন্য পিকাচুকে প্রতি সেকেন্ডে কয়েকশো সার্ভার একসেস করতে হচ্ছে যার অধিকাংশই এনক্রিপটেড এবং হ্যাক করতে বেশ বেগ পাওয়ার কথা, কিন্তু পিকাচুর কাছে কোন এনক্রিপশন ই কোন বাধা নয়। ভয়ংকর গতিতে কাজ করে চলেছে পিকাচু।
পিকাচু – Analysis complete.
রাফি মনিটরের দিকে তাঁকায় এনালাইসিস রিপোর্ট দেখার জন্য। এদের সবার ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট একরাতে পরিবর্তন করা হয়েছে। তারা তাঁদের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট ঠিকঠাকই করেছিলেন কিন্তু ফাইনাল রিপোর্ট জমা দেয়ার আগের দিন রাতে পুরো রিপোর্ট বদলে ফেলা হয়েছিলো। সবার পার্সোনাল কম্পিউটার একসেস করে ইনভেস্টিগেশন চলাকালীন ফলোআপ রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করে পিকাচু কিন্তু কি কারনে তারা তাদের ফাইনাল রিপোর্ট বদলালেন তা অজানা।
রাফি – পিকাচু, এই শেষ দিনে রিপোর্ট বদলানোর কি কারন হতে পারে!
পিকাচু সম্ভাব্য অপশনগুলো তুলে ধরে রাফির সামনে যার মধ্যে হুমকি, কিডনাপ, ঘুষ, সহ আরো বেশ কিছু অপশন রয়েছে।
রাফি পিকাচুর সাথে মিলে সম্ভাব্য অপশনগুলো ক্রসম্যাচিং করতে লাগলো।
পিকাচু একটা সাজেশন দিলো ক্রসম্যাচিং চলাকালীন অবস্থায়,
পিকাচু – কেন ওই ১০ সদস্যের কাছে সরাসরিই জিজ্ঞাসা করছি না? We should asked directly.
রাফি – Not a Bad idea. কিন্তু তারা কেন আমাকে সবকিছু ঠিকঠাক বলবে!
পিকাচু – ডিসক্লোজড ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট অলরেডি বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল টেলিকাষ্ট করছে আর বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলছে যা দেখে টাস্কফোর্সের ১০ সদস্যরা নিজেদের ভেতর কথা বলার জন্য একখানে জড়ো হয়েছে। ফোন লোকেশনে তাদের মাঝে থাকা দূরত্ব বলছে তারা এখন একটা রুমের ভেতর আছে।
রাফি – তাহলে তাদের যে কোন একজনকে কল করে তাদের সাথে কথা বলা যাক। পিকাচু, টাস্কফোর্স প্রধানের নাম্বার সিকিউর করে কানেক্ট করো।
পিকাচু – Connecting ……..
H – হ্যালো, H বলছি।
রাফি – হ্যালো H, আমি রাফি বলছি, দয়া করে ফোনটা স্পিকারে নেবেন প্লিজ? আপনাদের সবার সাথে কথা বলতে চাই।
H ফোনকে স্পিকারে নেয় আর রেকর্ডিং এর চেষ্টা করে কিন্তু পিকাচু আগে থেকেই সেই সিস্টেম অফ করে দিয়েছিলো,
রাফি – আপনাদের ইনভেস্টিগেশন রিপোর্টটি জমা দেয়ার আগের রাতে পরিবর্তন হয়ে যায়, আগামী ৪ ঘন্টার ভেতর যথাযথ কারন যদি প্রেস ব্রিফিং এ সবার সামনে উপস্থাপন করে আসল দোষীদের সামনে না আনেন তাহলে আপনাদের স্বাভাবিক জীবন অনেক বেশী অস্বাভাবিক হয়ে যাবে।
H – আমরা ঠিক রিপোর্টই জমা দিয়েছি, তোমার কি দেখে মনে হলো রিপোর্ট আগের রাতেই পরিবর্তন হয়েছে!
রাফি – কারন আপনাদের প্রত্যেকের প্রতিদিনের ফলোআপ রিপোর্ট রয়েছে আমার কাছে, সিগনেচার সহ। ফলোআপ রিপোর্টের সাথে ফাইনাল রিপোর্টের কোন মিল নেই। অনেক অস্বাভাবিক নয় কি!
H – আমাদের মেরে ফেলতো যদি আমরা পরিবর্তন না করতাম। আমাদের পরিবারের উপর হুমকি এসেছিলো।
রাফি – এখন আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন, ভুল স্বীকার করে প্রেস ব্রিফিং এ আসল রিপোর্ট উপস্থাপন করুন। ভয় পাবেন না, আমি একাউন্টগুলো ফ্রীজ করে দিয়েছি, এক টাকাও এদিক ওদিক হবে না, আপনাদের মেইলে ওই কারেন্সি এখন কোন কোন একাউন্টে আছে তার ডিটেলস দেয়া আছে।
H – যদি টাকাগুলোর হদিস পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই আমরা প্রেস ব্রিফিং ডেকে সত্য বলতে রাজি আছি।
রাফি – তাহলে মেইল চেক করুন আর প্রেস ব্রিফিং এর জন্য তৈরী হোন। ৪ ঘন্টা পর আপনাদের কনফারেন্স রুমে প্রেস ব্রিফিং।
বলে কলটা ডিসকানেক্ট করে রাফি।
রাফি – পিকাচু, সব মিডিয়াতে আবার কমিউনিকেট করে প্রেস ব্রিফিং এর কথা জানিয়ে দাও।
পিকাচু – connecting all media…….. message send.
রাফি – নিজের কাজটা করতে হবে এবার। পিকাচু, আমার বাবা মা এবং স্ত্রী কে খুঁজে বের করো?
পিকাচু – Accessing family archive and social media……. searching……
রাফি দেখলো পিকাচু ফ্যামিলি ফটো গ্যালারী আর সোস্যাল মিডিয়া থেকে ছবি সংগ্রহ করে এবং তাদের লাষ্ট known location থেকে সার্চ শুরু করে।
কিন্তু ট্রেস করতে পারে না। পিকাচু সার্চ চালাতে থাকে।
রাফি বুঝতে পারে যে মাফিয়া গার্ল কোন ট্রেস ই রাখে নি হয়তো তার বাবা মা পর্যন্ত পৌঁছানোর। কিন্তু রাফিও ছাড়ার পাত্র নয়। ফ্যামিলিকে তো খুঁজে বের করতেই হবে রাফিকে।