#পর্ব-২ ও ৩
#হেমন্ত ধারার অশ্রু
#মারুফ হাসান সজীব
আমার জা বলল একজন পরকীয়ায় লিপ্ত কারী স্বামীর সাথে সংসার করো লজ্জা করে না। আবার ওইরকম মানুষের সাথে সাথে ঘুরতে যেতে চায় শখ কত?
আমি এই কথা শুনে আমি কিছুটা ভেঙে পড়লাম।
কিন্তু পরক্ষনেই মনে হলো আমি অন্যর কথায় ভেঙে পড়বো কেন?অন্যর কথায় আমার স্বামী কে অবিশ্বাস করবো না এটা হতে পারে না। আমার ‘জা’ কথা গুলো আমার কানের কাছে এসে বলল তাই কেউ শুনতে পায়নি।
আমি রাগান্বিত কন্ঠে বললাম পাগল হয়ে গেছ নাকি। উল্টো পাল্টা কথা বলছো আমার স্বামীর নামে। আস্তে করে বললাম।
আমার শাশুড়ি আমার স্বামীকে বলল এইবার ঘুরতে আমার ছোট ছেলে নিলয় আর ওর বউ যাবে। তোরা এর পরের বার যাবি।
আমার স্বামী বলল এটা হবে না এবার আমরাই যাব পরের সপ্তাহে আমি আর ধারা।
আমার শাশুড়ি চোখ বড় করে বলল রাফি আমি একবার বলেছি না।
‘আমার স্বামী আর কিছু বলতে পারলো না’
আমার জা বর্ষা আমাকে বলল বলেছি না এইবার আমি যাব মা নিজেও অনুমতি দিয়েছে।
তাই ভাবী তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করো না।এতে কোনো লাভ হবে না তোমার। এইবার আমরা নিজেরাই যাব।
আমি কিছু বলতে যাব তখনি আমার শাশুড়ি নাদিয়া বেগম বলল আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাই হবে।
আর আজ বাড়িতে অতিথি আসবে তাই রান্না শুধু একা ধারাকে করতে হবে কারন রাফি কাল আমার কথা অমান্য করে ধারার জন্যে খাবার নিয়ে গিয়েছিল।তাই শাস্তি হিসেবে একটু তার প্রাপ্য।
-আমি খেয়াল করলাম রাফি কিছু বলতে গিয়েও বলল না।
আজ বাড়িতে বর্ষার শশুর বাড়ির মানুষ আসবে আর আমার মা আসবে এবং ছোট বোন। আমার বাবা বছর খানেক আগে মারা গেছে। আমার বিয়ে হয়েছে দুই বছর
আমি রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম।
অনেক কিছু রান্না করতে হবে।ভাত মাছ, মাংস পোলা,ডাউল আরো অনেক কিছু।
আমি আস্তে সব কিছু গোছানো শুরু করলাম। আমাদের বাড়ীতে মাঝে মাঝে এসে কাজ করে দেয় জরিনা খালা।আজ দেখলাম সে আমার সাথে কাজ করতেছে।
আমি বললাম খালা আমার শাশুড়ি কাজ করতে নিষেধ করেছে।খালা বলল তোমার শাশুড়ি নিজেই তোমার সাথে কাজ করতে সাহায্য করতে বলেছে্
আমি ব্যাপারটা বুঝলাম না। নিজেই একা কাজ করতে বলল আবার এখন আরেকজনকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি আমার কাজে মনোযোগ দিলাম।
কাজ শেষ করতে করতে ১টা বেজে গেছে। আমার মা বোন অনেক আগেই এসেছে।
কাজের জন্য তাদের কাছে যেতে পারি নাই্।
আমি কাজ সেরে গোসল করতে গেলাম কিন্তু গিয়ে দেখি বাথরুমে বর্ষা গোসল করছে। শুনেছি যে ওর ঘরে ওয়াশরুমে সমস্যা হয়েছে পানির তাই হয়তো।
আমি দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর বর্ষা বের হলো। আমি কিছু বললে এখন ঝগড়া লাগাবে তাই কিছু বললাম না।রাফিকে অনেক ক্ষন ধরে দেখছি না। রান্নার সময় আমার হাত একটু পুরে গেছে।জায়গাটা দেখলাম কালো হয়ে গেছে।
আমি তাড়াতাড়ি গোসল সেরে বের হলাম। আমি গিয়ে দেখলাম সবাই খেতে বসেছে আমার শাশুড়ি সবাইকে খেতে দিয়েছে। আমি যেতেই রাগান্বিত হয়ে কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু লোক থাকার কারণে কিছু বলেনি ।
আমাকে শুধু বলল এতোক্ষণ লাগে গোসল করতে। আমি আর কিছু বললাম না।
আমার শাশুড়ি আমার মাকে মাংস দেওয়ার সময় আমার মায়ের শাড়িতে অনেক খানি মাংস ফেলে দিল। আমি আমার শাশুড়ি কে বললাম মা এটা কি করলেন?
আমার শাশুড়ি অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল বেড়ান আমি ইচ্ছে করে ফালায়নি। দেখুন আপনার মেয়ের আমার সাথে কিরকম ব্যবহার করছে!
আমার মা আমাকে ধমক দিয়ে বলল তুই তোর শাশুড়ি সাথে এইভাবে কথা বলিস। উনি হয়তো একটু ভুল করেছে। আমি খেয়াল করলাম আমার শাশুড়ি রহস্যময় একটা হাসি দিয়েছে।
তারমানে এই কাজ আমার শাশুড়ি নিজ ইচ্ছায় করেছে আর এখন ভালো সেজেছে। আমি মিট মিট করে বলল ঘসেটি বেগম কোথাকার।
আমার মা না খেয়েই আমার ঘরে চলে আসলো। আমি আলমারি থেকে আমার একটা শাড়ি বের করে দিলাম।আর মাকে বললাম উনি তোমার সাথে এই কাজ ইচ্ছে করে করেছে।
আমার মা বলল এগুলো কি সব কথা বলছিস। উনি শুনলে কি ভাববে? উনি ইচ্ছে করে করবে কেন?
আমি আর কিছু বললাম না। আমি শুধু বললাম আমার ভাগ্য ভালো না মা।
মা আমাকে বলল ভাগ্য হচ্ছে এমন একটা যা একেক জনের কাছে একেক রকম। যেটা যার কপালে লেখা নেই সেটার জন্য হাজার চেষ্টা করলেও কোন লাভ নেই, আবার অনেকে আছেন যারা যেটা কোনদিন কল্পনাও করেননি সেটাও পেয়ে যাচ্ছেন। তুই অপেক্ষা কর তোর কপালে একদিন সুখ আসবে।
তোদের তখন সন্তান হবে তোরা সুখে শান্তিতে থাকবি।আর জামাই বাবাজি তো খুব ভালো। হঠাৎ আমার সকালের কথা মনে পড়ে গেল। আমার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। মাকে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু বললাম না।
বিকেলের দিকে মা আমার শাশুড়ির সাথে একটু ঘুরতে বের হয়েছে পাশের বাড়িতে।
সারাদিন পর আমার কাছে রাফি এসে বলল তোমার হাতে কি হয়েছে ?
আমি বললাম রান্না করার সময় পুরে গেছে।রাফি ব্যাস্ত হয়ে ফাস্ট এইড বক্স এনে আমার হাত এ মলম লাগিয়ে দিল তারপর বেন্ডিস করে দিল।এতো সুন্দর করে সেবা শুধু একজন প্রকৃতই স্বামীই করতে পারে।আর আমি কিনা এই মানুষকে সন্দেহ করেছি।আজ মনে হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত সুখ আমার। কালকের বলা কথা আমাদের ভালোবাসা সত্যি অটুট থাকবে।
আমি বললাম একটু পানি খাব। কিন্তু ঘরে পানি ছিল না।তাই রাফি নিচে পানি আনতে গিয়েছে।
রাফির ফোনে কে যেন কল দিয়েছে? আমি নিয়ে দেখি নদী নামে নাম্বার সেভ করা।
আমি ভাবলাম রিসিভ করে দেখি কে? রিসিভ করার সাথে সাথে অপর প্রান্ত থেকে বলতে শুরু করল রাফি আমি আর থাকতে পারবো না। তুমি আমাকে কবে বিয়ে করবে।তা নাহলে আমি আত্মাহত্যা করবো। এটুকু বলেই ফোন কেটে দিল ।
আমার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল। আমি কি শুনলাম এসব? মোবাইল এখনো আমার কানের কাছেই রয়েছে।
আমি পেছনে কোনো কিছু ভেঙে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেলাম।
পেছনে তাকাতেই আমি ,
__________________
[কেমন হয়েছে এই পর্বটা জানিয়ে রাখবেন।আর গল্পটা আগামী পর্ব থেকে অন্যরকম হবে একটু।এইটা সম্পূর্ণ গল্প ৩০/৪০ পর্বের মতো হবে তাই আপনাদের অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে।আর আগামী পর্ব দিতে একটু দেরি হতে পারে কিন্তু সময় থাকলে আগেই পোষ্ট করব]
— মোঃ মারুফ হাসান সজীব
চলবে,
#পর্ব_৩
#হেমন্ত_ধারার_অশ্রু
আমি ফোনটা রিসিভ করলাম আর ওপর প্রান্ত থেকে সাথে সাথে বলতে শুরু করল রাফি তুমি আমাকে কবে বিয়ে করবে।আমি আর একা থাকতে পারবো না। তোমার বউকে তুমি বিভোরস দিয়ে দাও। নয়তো আমি নিজের জীবন রাখব না। আমি আত্মহত্যা করব আর তার জন্য একমাত্র তুমিই দায়ী থাকবে।তাই সময় থাকতে আমাকে তুমি বিয়ে করে নাও। এগুলো বলেই অপর প্রান্ত থেকে ফোন কেটে গেল।আর যদি বাঁচতে চাও তবে কাল বিকেলে তুমি ধারাকে নিয়ে পুরনো সেই পুকুর পাড়ে ঘুরতে আসার কথা বলবে সেখানেই ধারার শেষ সময় টুকু পার হবে এ দুনিয়ায় থেকে বিদায় নেবে।
ধারা এগুলো শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিল না। এগুলো কি করে সম্ভব? আমার স্বামী কিনা
শেষ পর্যন্ত এরকম একটা জঘন্যতম কাজ করলো। আমার এগুলো শোনার আগে মৃত্যু হওয়ার দরকার ছিল
আমি কি করে এই জীবন নিয়ে বেঁচে আছি?
আমার স্বামী যদি আমাকে ছেড়ে অন্য মেয়ের সাথে ঘর করে তাহলে সমাজের কাছে আমি কি করে মুখ দেখাবো?এটাই ছিল কি আমার প্রাপ্য?
পেছন থেকে কোনো কিছু ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পেলাম। আমি পেছনে তাকিয়ে দেখলাম বর্ষার হাত থেকে একটা কাচের গ্লাস পরে গেছে। আমি মোবাইল বিছানার উপর রেখে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে বললাম কি হয়েছে?
বর্ষা রাগান্বিত কন্ঠে বলল কি আর হবে?আমাকেই এসব
পানি সবাইকে টেনে এনে দিতে হয়।
আমি কিছুটা আগ্রহ নিয়েই বললাম কই তুমি তো কাজ করো না।আর কেউ করতেও বলে না। তাহলে এই পানি আর পান কার জন্য নিয়ে যাচ্ছো।
বর্ষা বলল আমার মায়ের জন্য।তার নাকি আবার পান না খেলে চলে না। একদিন না খেলে মরে যাবে।
আমি বর্ষাকে বললাম তুমি তো নিশ্চয়ই প্রতিদিন নিজের রুপচর্চা করো।
বর্ষা বলল হ্যা অবশ্যই আমি দেশি বিদেশি কোম্পানির
পন্য মুখে ব্যবহার করি।কেন তোমার আবার ব্যবহার করতে ইচ্ছে করছে নাকি? আমি বললাম তাহলে তোমার মা প্রতিদিন পান খেতেই পারে স্বাভাবিক ব্যাপার যেমন তুমি প্রতিদিন রূপচর্চা করো।
বর্ষা কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে বলল ভাবী তোমাকে কোনো কারনে চিন্তিত মনে হচ্ছে! আমি বর্ষা
এমন কথায় আমার মনে পড়ে গেল সেই নদী নামের মেয়েটির কথা। আমি আর কিছু না বলে ভেতরে চলে আসলাম। এখন মনে হচ্ছে আমি মরুভূমির উওপ্ত বালির উপর দাঁড়িয়ে আছি।আর সামনেও এগোতে পারছি না। কাউকে মনের কথা গুলো বলতেও পারছি
না আবার মন থেকে কথা গুলো মুছে ফেলতেও পারছি না। আমি কোন মরন ফাদে আটকে গেলাম!
আমি খেয়াল করলাম রাফি ঘরের ভেতর এগিয়ে আসলো।রাফির হাতে আমার পছন্দের ঝালমুড়ি দেখতে পেলাম। কিন্তু রাফি এনেছে দেখে এরকম একটা বেইমান এনেছে দেখে সহ্য হলো না।
আমি রাফিকে কথা গুলো বলতে চাইলাম কিন্তু পরক্ষনেই মনে হলো রাফি যদি এসব এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমি ওকে পরে প্রমান সহকারে ধরবো।
আগেই এসব বলা ঠিক হবে না।
রাফি কাছে এসে বলল তোমার জন্য ঝাল মুড়ি আনতে গিয়েছিলাম তাই দেরি হলো।
আমি বললাম রাফি খাবো না আর কখনো এই ঝালমুড়ি নামের জিনিসটা।আর তোমার মোবাইলে একটা মেয়ে ফোন দিয়েছিল নদী নামের।
রাফি এরকম কথা শুনে উওেজিত হয়ে বলল নদী। আমি বললাম কেন কি হয়েছে?রাফি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে বলল না তেমন কিছু হয়নি।
রাফি আমাকে বলল মেয়েটা কি তোমাকে কিছু বলেছে?
আমি স্বাভাবিক কন্ঠে বললাম না তেমন কিছু বলেনি
তবে কিছু বলতে চেয়েছিল মনে হয়।
রাফি উওেজিত হয়ে বলল কেন এমন মনে হয়েছে। আমি বললাম মেয়েটা তোমাকে কিছু বলতে চেয়েছিল তবে আমার কথা শুনে কেটে দিয়েছে ।
রাফি বলল আমার ফোনটা আমাকে দাও। আমি বললাম এই নদী নামের মেয়েটি কে?
রাফি বলল কে আবার হতে যাবে? আমার ছোট বেলার বন্ধু আর ওর আজ এইখানে আসার কথা তাই আমাকে জানানোর জন্য ফোন দিয়েছে।
আমি বললাম রাফি শুধু কি বন্ধু তোমার? ষরাফি ভীত চোখ এ আমার দিকে তাকিয়ে বলল তুমি কি বলতে চাও। আমি বললাম না কিছু না।
রাফিকে বললাম জানো রাফি এক রাজা এক রানিকে খুব ভালোবাসতো তাদের সুখের সংসার ছিল কিন্তু কোনো বাচ্চা ছিল না।আর তাদের এই সুখের সংসার এর মধ্যে এক কালো ছায়া ঢুকে পড়ে।যার নেশায় পাগল হয়ে রাজা রানিকে তার জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাকে জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার সব ব্যবস্থা গ্ৰহন করেছে তবে কিন্তু,
রাফি কিছুটা আগ্রহ নিয়ে বলল তারপর কি? আমি বললাম থাক আর জানতে হবে না পরে আবার মিলে যাবে।রাফি বলল কি মিলে যাবে?
আমি রাফিকে শুনিয়ে বললাম এক অভাগা নারীর জীবন কাহিনী।তাই আর বললাম না।
রাফি মনে হয় আমার কথা কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছে তাই আর কিছু বলল না। মোবাইল নিয়ে বের হয়ে গেল।আর একটু পর মা এসে আমাকে বলল আমি এখন চলে যাব ভালোভাবে থাকিস মা।
আমি গুনগুন করে বললাম আমার আর ভালো করে থাকা এ জনমে হবে না।
মা বলল কিছু বললি ধারা তুই। আমি বললাম না মা তেমন কিছু না।মা যাওয়ার সময় আমাকে আরো কিছু উপদেশ দিয়ে গেল।রাফিকে এর মধ্যে আর কোথাও দেখলাম না ।
সন্ধ্যার পর আমি ঘরে রয়েছি আজ রান্না করতে হবে না কারণ দুপুরের অনেক খাবার রয়েছে।তাই আর রান্না করতে হবে না।রাফি বাইরে থেকে কোথায় থেকে যেন আসলো। আমি বললাম কোথায় গিয়েছিলে রাফি বলল আমার পুরনো এক বন্ধু এসেছিল তাই।
আমি বললাম জানো রাফি মানুষের যখন কোনো কিছু থাকে তখন সে তার মর্ম বোঝে না।যখন সেই জিনিসটা না থাকে তখন বোঝে।
আর ভালোবাসা হলো গাছের পাতার মতো কিছুদিন থাকলে যেমন গাছের পাতা ঝড়ে যায় তেমন কোনো ভালোবাসার মানুষ পুরনো হয়ে গেলে সেও অপর মানুষের জীবন থেকে ঝড়ে যায়।আর গাছে যেমন নতুন পাতা গজায় তেমনি তার জীবনেও নতুন কোনো ভালোবাসার মানুষের আবির্ভাব ঘটে।
রাফি বলল তুমি কি ধারা কোনো কারনে আমাকে সন্দেহ করছো?আর আজ সারাদিন শুধু আমাকে জ্ঞান দিচ্ছো।
আমি বললাম তুমি পাগল নাকি তোমাকে সন্দেহ করবো কেন? তোমাকে কখনো সন্দেহ করতে পারি আর কেনই বা তোমাকে আমি সন্দেহ করবো।
রাফি বলল না মানে এমনি বললাম তোমার কথা গুলো শুনে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আর এসব কথা বলবো না।তার পরই রাফি তার মনের কথাটা বলে ফেলল ধারা কাল আমরা ময়না বাড়ির সেই পুরনো পুকুর পাড়ে একটু ঘুরতে যাব। তুমি যাবে।
আমি বললাম তুমি যখন বলছো অবশ্যই যাব। মনে মনে বললাম তাহলে তুমি সত্যিই আমাকে তোমার জীবন থেকে সরাতে চাও।
আমার ভালোবাসার কোনো দাম নেই তোমার কাছে। বাইরের একটা মেয়ের জন্য আমাদের ভালোবাসা শেষ হয়ে যাবে। ঠিক আছে তুমি যখন চেয়েছ আমার মৃত্যু দেবে তাই আমি তোমার হাতেই মরতে চাই।
______________
[সম্মানিত পাঠক ধারার কি ঠিক হবে সেই পুকুর পাড়ে যাওয়া নিজের মৃত্যুকে ডেকে আনা। নাকি অন্য কোনো উপায়ে ধারা বেঁচে যাবে।আর এক বোন বলেছে গল্পটার নাম এমন কেন? হেমন্ত ধারার অশ্রু তাকে বলি আমি ভেবেই নাম ঠিক করছি।হ্যাপি রিডিং ]
–
চলবে,,