#পর্ব-১১
#হেমন্ত ধারার অশ্রু
#মারুফ হাসান সজীব
বর্ষা বলল আমাকে কে পাঠিয়েছে জানি না। শুধু আমার ফেসবুক একাউন্ট এ একটা ফেইক আইডি থেকে মেসেজ এ ওই ছবি গুলো দিয়েছে।
আর একটু পর একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসে।
আর সেই ফোন দেওয়া ব্যক্তি আমাকে ওই কথা গুলো
বলেছিল।আর আমার কি করার আছে?আর সেদিন
রাকিবও এসেছিল।
রাকিব এসেছিল সেটা তো শুনলাম।আর রাকিব ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করছে। ভালো মানুষকেই দায়িত্ব দিয়েছি। কিন্তু এখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রাফি কি ছাড়া পাবে?
তোমার কি মনে হয় বর্ষা রাফি কোনো অন্যায় করেছে?
আমার বিশ্বাস আছে ভাবী রাফি কোনো অন্যায় করে নি।
পেছন দাঁড়িয়ে রিজু কথা গুলো শুনছিল।তাই বলল সবকিছু বুঝলাম কিন্তু রাকিব কে?
আপনাদের পরিচিতি কেউ নাকি ?আর কিসের দায়িত্ব দিয়েছেন একটু জানতে পারি।
বর্ষা আর ধারা ভয় পেয়ে গেল উনি কখন এসেছে!
ধারা বলল আপনি আড়ি পেতে আমাদের কথা গুলো শুনছিলেন এটা কিন্তু অন্যয়।
রিজু একটু কাশি দিয়ে বলল কে বলল আড়ি পেতেছি?
আমি তো দরজায় দাড়িয়ে ছিলাম আপনারা খেয়াল না
করলে আমার এখানে কি করার আছে?
“ আর আগে এটা বলুন রাকিব কে ? ”
“ আপনাকে পরে বলব রিজু ভাই ”
“ এখন বললে সমস্যা কি? আপনার ট্রেন মিস হয়ে যাবে নাকি ”
“ রিজুর এরকম কথা শুনে বর্ষা মনে মনে রেগে ফুলে যাচ্ছে ” কিন্তু কিছু বলতে পারছে না ”
“ রিজু বলল আমি জানি আপনারা মনে মনে আমাকে নিয়ে চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছেন। কিন্তু এসব গোয়েন্দা গিরি করতে গেলে দু একটা কথা শুনতেই হয় তাই কখনো রাগ করি না।আর এখন প্রশ্নের উত্তর দিন ”
“ ধারা বলল ছি ছি আপনি কি ভাবছেন ? আমরা এইসব
ভাবতে যাব কেন? আমার স্বামী ছাড়া পাবে তো ”
“ আমার পক্ষ থেকে আমি সব চেষ্টা করব আর নির্দোষ হলে অবশ্যই ছাড়া পাবে ”
“ আমার বিশ্বাস রাফি কিছু করেনি ”
“ আত্মবিশ্বাস ভালো দোয়া করবেন যেন সত্যি হয় ”
“ রাকিব হলো বর্ষার চাচাতো ভাই। আর আমরা একটা এতিমখানায় কাজ করি। সেখানে টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করি।তাই রাকিব সেখানে বাজার করে দেয়।দেখে শুনে রাখে। কোনো অসুবিধা হলে ঠিক করে ”
“ কোন মাদ্রাসা আর কোথায় ? ”
“ সৈয়দ বাড়ি জামে মসজিদ এর কাছে এই তো দুই গ্ৰাম পরেই সেখানে।৪০ মিনিট লাগবে যেতে ”
“ আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখন আপনার স্বামীর কাছে যাব কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে ”
“ ওহ আচ্ছা ”
রিজু আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেল। বাইরে করিম চাচা তার বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। রিজুর বাইক টা হঠাৎ করে কাল নষ্ট হয়েছে তাই ঠিক করতে দিয়েছে।
করিম চাচার সাথে রিজু রওনা দিলো। রিজু ২০ মিনিট পর সেখানে পৌঁছে গেল।
ইন্সপেক্টর এর কাছে থেকে অনুমতি নিয়ে রাফির সাথে দেখা করলো।
রিজু রাফিকে কিছু প্রশ্ন করলো।
“ আপনার নাম তো রাফি তাই না ”
“ জী ”
“ আপনি খুন করেছেন ”
“ না করিনি আমি এসবের সাথে জড়িত নেই বিশ্বাস করুন ”
“ কিভাবে করব প্রমান লাগবে তো ? ”
“ হ্যা বের করুন রিজু ভাই ”
“ বাহ আপনি তো দেখছি আমার নাম জানেন ”
“ আসলে একজন বলেছিল আমার সাথে রিজু নামের একজন দেখা করতে আসবে তাই ”
“ আচ্ছা খুন কোথায় হয়েছে? ”
“ অফিসের গাড়ি পার্কিং এর জায়গায় ”
“ কেন খুন হয়েছে ? ”
“ জানি না ”
— আমার তো মনে হচ্ছে আপনিই খুন করেছেন তাই বলতে চাচ্ছেন না আর আপনার শরীরে রক্ত কিভাবে লেগেছিল? পুলিশ আপনার শরীরে শার্টে সম্পূর্ণ রক্ত মাখা অবস্থায় দেখেছে। আপনি কিছু বলছেন না কেন?
— আমি খুন করিনি আমি যখন পার্কিং এর জায়গায় গিয়েছিলাম তখন কে যেন আমার মুখ আটকে রেখেছিল।আর তখনি আমার শরীরে রক্ত লেগেছে।আর আমাকে লোকটা মুখ ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিল আর আমি সামনে তাকাতেই দেখি নদীর লাশ।
— আপনি আপনার বাইক নিয়ে গিয়েছিলেন অফিসে।
— না নেইনি।
— তাহলে গাড়ি পার্কিং এর ওইখানে কেন গিয়েছিলেন।
রাফি দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলল আমি আমার বন্ধুর বাইক নিতে গিয়েছিলাম। একটু অফিস থেকে বাজার এ যাওয়ার জন্য। আমার ভাইয়ের বন্ধুর জন্মদিন ছিল কাল তাই ভাবলাম কিছু দেওয়া উচিত।
– তাহলে নদী সেখানে গেল কিভাবে?
– আমি জানি না। নদী অফিসে ছিল কাজে।
– আপনাকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আপনি মিথ্যা বলেছেন। চোখ মুখ এ ভয়ের ছাপ ।
আপনাদের অফিসে সি সি ক্যামেরা আছে।
– না নেই ক্যামেরা। শুধু গেইটের ওখানে আছে।
– আর আপনি সেখানেই নদীকে চড় মেরেছিলেন।
– রাফি ঘাবড়ে গিয়ে বলল মানে কি বলতে চাইছেন?
– সি সি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে আপনি নদীর সাথে ঝগড়া করেছেন আর চড় মেরেছিলেন ।
– আমি ইচ্ছে করে মারিনি।
আপনি তো নদীকে খুন করার কথা বলেছিলেন।রাফি আপনি এটা কি বলেছিলেন? আপনি সত্যি কথা বলুন।
কখনো আমার কাছে থেকে লুকাবেন না।
– আপনি এসব পাগলের মত কি কথা বলছেন? খুন করার কথা কখন বললাম আমি তো শুধু এটা বলেছিলাম যে …
– কি বলেছিলেন?আর আমি তো খুন করার কথা এমনি বলছি। আপনার থেকে কিছু কথা বের করানোর জন্য।
– আসলে নদী ছিল ধারা মানে আমার স্ত্রীর বোন।
– এতোক্ষণ বললেন না কেন?আর নদীকে কি বলেছিলেন?
– নদীকে আমি বাড়িতে আর নিতে চাইছিলাম না । কারন নদী আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।আর আমার সাথে একটা সম্পর্কে জড়াতে চেয়েছিল।আর আমি সেটা না করে দিয়েছি দেখে আমাকে বলল নদী নাকি সবাইকে বলবে আমি ওর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছি এটা সবাইকে বলে দিবে।তাই আমি ওকে..
– রিজু আগ বাড়িয়ে বলল তাই ওকে মেরে দিলেন এটাই তো….. আর হেমন্ত
________________
পর্বঃ ১১ (দ্বিতীয়াংশ)
গল্পঃ হেমন্ত ধারার অশ্রু
[১১ তম পর্ব একদম ছোট হওয়ায় দ্বিতীয়াংশ দিলাম]
‘ রিজু ভাই রাফিকে আস্তে করে বলল আপনি কি খুনের সম্পর্কে কিছু জানলে আমাকে বলেন ? ‘
কখনো কোনো কিছুর লুকানো চেষ্টা করবেন না।আর আপনি বললেন নদী ধারার বোন এটা ধারা জানে।
আর আপনি কি সব কিছু ভেবে চিন্তে বলছেন। আমি তো পুলিশের কাছে শুনলাম ওনার বাবা মা এক্সিডেন্ট এ মারা গেছে। তাহলে ধারার সাথে কি সম্পর্ক ?
‘ আমি একদম সত্যি বলছি ধারার বোন নদী।আর আমার কাছে সম্পূর্ণ প্রমান আছে ‘
‘ কি প্রমান আছে আপনার কাছে ? ‘
‘ আপনি আমার স্ত্রী ধারার মা এর কাছে বলতে পারেন তাদের একটা ছোট মেয়ে ছিল কিনা ‘
‘ আচ্ছা মানলাম বোন ছিল কিন্তু নদী ওদের ছেড়ে আলাদা হলো কিভাবে ? এগুলো আপনার স্ত্রী জানেন ‘
‘ আমি সমস্ত তথ্য জোগাড় করেছিলাম নদীর বর্তমান বয়স ছিল ২০। আর সেই ২০০৩ সালে যখন নদীর বাবা
মারা গিয়েছিল তখন নদী জন্ম নিয়েছিল ‘
‘ তারপর কি হয়েছিল ? ‘
‘ সেই সময় আমার শাশুড়িদের অবস্থা ছিল খুব খারাপ।
একটা সন্তান কে পালন করার মতো ক্ষমতা তখন ছিল না। সেই গ্ৰামের রহিম মোল্লা আমার শাশুড়ি কে বলেছিল নদীকে নাকি একজন লোক নিতে চায়। তাদের কোনো মেয়ে বা ছেলে ছিল না ‘
‘ তো নদীকে মেয়ে হিসেবে নিয়েছিল নাকি ‘
‘ হ্যা ভাই এটাই ‘
‘ আপনি কি করে জানলেন এইসব খবর ? আপনি কি আগে থেকেই এসব নিয়ে তদন্ত করেছিলেন ? ‘
‘ আমাকে নদীর বাবা এসব বলেছে আর নদীর বাবা ছিল আমার বাবার বন্ধু।আর আমি যেই অফিসে চাকরি করি নদীর বাবাও সেই অফিস এ চাকরি করে ‘
আপনি চাইলে আমি প্রমান দিতে পারি আমার ফোনে সমস্ত কিছু রেকর্ড আছে ‘
‘ রেকর্ড কেন করেছিলেন ? ‘
‘ আমি ভেবেছিলাম যদি কখনো এই প্রমান লাগে আর
সেইসময় নদীর বাবা মা না থাকে কোনো দূর্ঘটনা ঘটে ‘
‘ আপনি তাহলে আগে থেকেই জানতেন নদীর বাবা-মা বেচে থাকবে না ! নদীর বাবা মা হ!ত্যা হবে আগে থেকেই জানতেন ‘
‘ রাফি আমতা আমতা করে বলল আমি এমনি মনে করে রেকর্ড করেছিলাম আপনি অন্য কিছু ভাববেন না ‘
‘ আমাকে আবার ফাসিয়ে দিয়েন না ‘
‘ আপনাকে আমি কেন ফাসাতে যাব ? ‘
‘ না মানে এমনি বললাম ‘ আপনি কোনো ব্যবস্থা করুন !
‘ আচ্ছা ঠিক আছে আপনার সাথে আবার পরে কথা বলব আমি এখন আবার নদীর মায়ের কাছে যাব।তার কাছে থেকে আপনার শোনা কথা গুলো সত্যি কিনা কিছুটা যাচাই করব। আপনার মোবাইল নিয়ে যাব ‘
‘ রাফি বলল ঠিক আছে পুলিশ এর কাছে আছে! ‘
‘ থানা থেকে বলে রাফির মোবাইল নিয়ে চলে গেল। রিজুর এখন রাফিকে সন্দেহ হচ্ছে।ওর কথা অনেক কিছু বোঝা যাচ্ছে যে মিথ্যা বলছে ‘
‘ রিজু সরাসরি কোথাও দেরি না করে রাবির শশুর বাড়ি গেল কারণ সকালে একবার গিয়েছিল ‘
‘ যাওয়ার আগে রিজু ধারার মাকে ব্যপারটা বলেছিল ‘
রিজু যাওয়ার সাথে সাথে তিনি এগিয়ে আসলেন আর
রিজুকে একটা ঘরে নিয়ে গেল বসার জন্য ‘
‘ রিজু বসে ছিল ধারার মায়ের সামনে সেই সময় একটা মেয়ে এসে রিজুকে কফি দিয়ে গেল। রিজুর খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না তবুও জোর করায় খেতে হলো ‘
রিজু কফির কাপে চুমুক দিয়ে বলল যে মেয়েটা আমাকে কফি দিল সে কে ?
আর আপনার নাকি একটা মেয়ে ছিল তাকে একজনের
কাছে দওক দিয়েছিলেন। বাকিগুলো পরে বলি !
‘ মেয়েটা পাশের বাসার। আমার একটা মেয়ে ছিল যখন হয়েছিল তখন ওর বাবা মারা গিয়েছিল। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না ।তাই দিয়েছিলাম ‘
আপনি এসব কিছু কিভাবে জানলেন ।
আপনাকে কিছু কথা বলি !
(১) আমাকে আপনি করে বলবেন না আমি অনেক ছোট।
(২) এগুলো আপনার মেয়ের জামাই বলেছে।তার কাছে প্রমাণ সহ ছিল যেই প্রমান এখন আমার কাছে।
(৩) আপনার মেয়ের জামাই মানে রাফি তাকে আমার সন্দেহ হয়েছে।তার কথা বলার ধরন ভালো না। আমার থেকে মনে হলো অনেক কিছু লুকিয়েছে।
(৪) আপনার কি মনে হয় আপনার মেয়ের জামাইকে কখনো সন্দেহ হয়েছে ?এর সাথে জড়িত থাকতে পারে।
(৫) আর নদীই হলো আপনার মেয়ে যে খুন হয়েছে।
(৬) হেমন্ত কে হয় আপনাদের যা বলবেন সত্যি বলবেন আমি খবর পেয়েছি এটার।তাই কিছু লুকাবেন না।
ধারার মা শেষ প্রশ্ন শুনে একটু হকচকিয়ে গেল। কিছু ভেবে বলা শুরু করলো।
আমার মেয়ের জামাইকে আমার কখনো সন্দেহ হয়নি।
সে মোটামুটি ভালো মানুষ। আমি তাকে ভালো মানুষ হিসেবেই চিনি।
আর নদী যে আমার মেয়ে এটা আমি জানতাম না। তোমার কাছে থেকে এইমাত্র জানলাম বাবা। আমার মেয়েটা তাহলে এভাবে খুন হয়ে গেল।এই বলেই কান্না শুরু করল।
‘ রিজুর মাথাটা হঠাৎ করে কিছুক্ষণ ধরে ব্যথা করা শুরু করলো তবুও সম্পূর্ণ ঘটনা শোনার চেষ্টা করছে ‘
আর হেমন্ত হলো আমার মেয়ে ধারার চাচাতো ভাই। তাদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কোনো খোঁজখবর নেই।
‘ রিজু আর কোনো কিছু শুনতে পারলো না। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে গেল!
‘ কেন এমন হচ্ছে ? ‘
আস্তে আস্তে রিজুর চোখ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেল।
‘ রিজু যখন চোখ খুললো নিজেকে একটা ভাঙা ঘরের ভেতর খেয়াল করলো। আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকালো সম্পূর্ণ ঘটনা কি হয়েছে কিছু বুঝতে পারলো না । উঠে দাঁড়ালো ‘
ভাঙ্গা ঘর থেকে বের হয়ে পাশে একটা টিউবওয়েল দেখতে পেল। সেখানে থেকে হাত মুখ ধুয়ে নিল।
মোবাইল দেখল পকেটে রয়েছে। মোবাইল বন্ধ হয়ে রয়েছে চালু করে দেখল মেসেজ এসেছে।
প্রথমে আগে মেসেজ গুলো চেক করলো।প্রথম মেসেজ এসেছে মায়ের নাম্বার থেকে তার।
(১)
বাবা তুই কোথায় ?ফোন বন্ধ কেন ?তোর কিছু হয়েছে নাকি !ফোন চালু করার সাথে সাথে আমাকে ফোন দিবি।
দ্বিতীয় মেসেজ এসেছে করিম চাচার থেকে ।
(২)
রিজু বাবা তুমি কোথায় ?ওসি সাহেব তোমাকে ফোন করেছে তোমাকে পাচ্ছে না কেন ?
তৃতীয় মেসেজ দেখে চমকে গেল রিজু এটা কিভাবে সম্ভব? মেসেজ ভালো করে পড়ল।
(৩)
রিজু আমি থানার ওসি। খুনি ধরা পড়েছে আসল খুনি রাফির স্ত্রী এবং তার ভাই হেমন্ত। দুজন ধরা পড়েছে।
আর দুঃখের বিষয় রাফি খুন হয়েছে।রাফিকে বের করার জন্য একজন উকিল এসেছিল এবং জামিন হয়েছিল।রাফি বের হয়েই দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কেন পালালো ? তা আমাদের অজানা।আর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখি রাফির লাশ পুরনো বাড়িটার সামনে রয়েছে আর তাদের সাথেই ছিল
হেমন্ত আর ধারা দুইভাই বোন ।আর সব প্রমাণ তাদের বিরুদ্ধে তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো।
রিজু কিছু বুঝতে পারছে না এটা কিভাবে সম্ভব?
নিজের স্ত্রী নিজের স্বামীকে খুন করবে কি কারনে ?
আর নদীকে কেন খুন করলো?
হাজার হাজার প্রশ্ন রিজুর মাথাটা একদম নষ্ট করে দিচ্ছে ?সব কিছু ধোয়াসা !
হঠাৎ রিজু ভাবলো আমি এখন কোথায় আছি ? খেয়াল করে দেখল …..
____________________
#চলবে