#হৃদয়ের_অন্তরা❤️
#part_12
#sarika_Islam
,
,
হৃদয় রায়হানকে নিয়ে সোফায় বসলো,অন্তরা আর হেনা চৌধুরি রান্না ঘরে রান্না করছে আর গল্প করছে,,,
দুপুরে,,,
সবাই একসাথে খেতে বসলো,,খাওয়ায় শেষে সবাই ডিসার্ট খেল অন্তরা রান্না করেছে আজ প্রথম রান্না,,,সবাই খেয়ে খুব প্রশংসা করলো,,হাসান চৌধুরি 5হাজার টাকা দিল,,
_নাহ বাবা আমার লাগবে না আপনি আমাকে দোয়া দিবেন তাতেই হবে,,
_আরে রাখ মা,,আমি তো সব সময়ই তোদের দোয়া দেই,,এখন তারাতারি আমাকে নাতি নাত্নির মুখ দেখা আর সহ্য হচ্ছে না,,
অন্তরা লজ্জা পেয়ে গেল,,হৃদয় তো খুশি হয়ে গেল,,এইবার হেনা চৌধুরি অন্তরাকে একটা নেকলেস পরিয়ে দিল,,
_এইটা আমাদের খান্দানি নেকলেস মা,আমার শ্বাশুরি আমাকে দিয়েছিল আজ আমি তোকে দিলাম,,সাবধানে রাখিস,
বলেই কপালে চুমু দিল,,
_তোকে খুব মানিয়েছে,
হৃদয় কিছু বলতে যাবে পাশ থেকে রায়হান বলে উঠে,,
_দেখতে হবে না ভাবিটা কার,,(বলেই একটু ভাব নিল)
সবাই হেসে দিল,,কিন্তু হৃদয়ের মটেও সহ্য হলো না,,সবাই খাবার শেষ করলো,,সোফায় বসে রায়হানের সাথে সবাই টুকটাক কথা বলছে,,অন্তরা টেবিল গুছাচ্ছে,,তার পাশে পাশে হৃদয়ও ঘুরছে,,
_কি ব্যাপার এমন আমার পিছু পিছু ঘুরছেন কেন?
_কোথায় ঘুরছি কাজে হেল্প করছি,,
_শেষ কাজ এখন জান,,
_তুমিও চলো,,
বলেই অন্তরার হাত ধরে নিল,,
_আরে হাত ধরার কি আছে,,, এখানে বাবা মা আছে কি ভাব্বে ছারেন,,
_আমার বউ আমার ইচ্ছে তোমার কি,,
বলেই নিজের মতো করে হাটা ধরলো,,সোফায় বসলো তারা,,কথায় কথায় অন্তরার মাঝে রায়হানের দিকে চোখ চলে যায়,এই ফাকে রায়হান অন্তরাকে চোখ টিপ মারে,,অন্তরা সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে নিল,,কেউ জিনিসটা লক্ষ না করলেও হৃদয় ঠিকি করেছে,,সে তো রাগে ফুসছে,,তার বউকে চোখ টিপ মারা এত্ত বড় সাহস শুধু ভাই বলে আজ পার পেল নাহলে আজ এখানেই যেন্ত পুতে ফেলতো,,হৃদয় আর সহ্য করতে না পাড়ায় অন্তরাকে নিয়ে উঠে যেতে নিলে রায়হান বাধা দেয়,,
_আরে হৃদয় কোথায় যাস?
হৃদয় পিছে ঘুরে দাতে দাত চেপে বলল,,
_ঘরে ঘুমাবো,,
_তোর ঘুম ধরেছে তুই যা ভাবিকে রেখে যা,,
_হ্যা রেখে যাই তারপর মন ভরে দেখ আমার বউকে,(মনে মনে)
_ওকে ছাড়া আমার ঘুম আসে না,,
বলেই হাটা দিতে নিলে আবারও রায়হান বলে উঠলো,,
_ভাবিকে কালো শাড়িতে কিন্তু বেশ মানিয়েছে,,(বলেই হাসি দিল)
হৃদয় পাশ ফিরে অন্তরার দিকে একবার তাকিয়ে তারাতারি সিরি বেয়ে উপরে চলে গেল,,রুমে গিয়ে জোরে দরজা লাগিলে দিল,,অন্তরা কানে হাত দিল,,
_এত্ত জোরে লাগালেন কেন?
_আমার দরজা আমার ইচ্ছা,,
অন্তরা আর কিছু বলল না,,হৃদয় সারারুম পাইচারি করছে এপাশ ওপাশ যাচ্ছে কিন্তু কোন মতেই যেন তার রাগ কমছেই না,,অন্তরা বিছানায় বসে বসে হৃদয়ের আচরন দেখছে,,আর সহ্য করতে না পেরে বলেই দিল,,
_এমন ভাবে পাইচারি করছেন কেন কোন সমস্যা?
হৃদয় পাইচারি বন্ধ করে অন্তরার দিকে তাকালো,,অন্তরাকে দেখে যেন আরও রাগ উঠে গেল,,অন্তরার গাল দুটো চেপে ধরে বলল,,,
_তোকে কে বলেছিল কালো শাড়ি পরতে?
_আপনিই তো দিয়েছেন আমি তো না করেছিলামি,,(বলতে বলতে চোখ দিয়ে পানি পরে গেল)
অন্তরার চোখের পানি দেখে হৃদয়ের যেন হুশ ফিরলো সে তারাতারি অন্তরার গাল ছেড়ে দিল,,অন্তরার পাশে বসে আস্থির হয়ে বলল,,
_সরি জান সরি,,আমি তোমাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি আমি চাইনি কিন্তু তখন মাথা অনেকটাই খারাপ ছিল সরি জান,,,
বলেই সারা মুখে পাগলের মতো চুমু দিতে লাগলো,,অন্তরা বলল,,
_কি হয়েছে আপনের হঠাৎ এমন করছেন কেন?
_ওই রায়হানের সাহস কি করে হয় তোমাকে সুন্দর বলার?আমি একমাত্র তোমাকে সুন্দর বলবো আর কেউ না,,
অন্তরা এতক্ষনে বুঝতে পারলো ডাক্তার সাহেব কেন চেতেছে,,অন্তরা আরও একটু চেতানোর জন্য মজা করে বলল,,
_তাহলে খারাপ কি বলেছে আমি সুন্দর সুন্দরী তো বলবে,,(একাটু ভাব নিয়ে)
হৃদয় এতক্ষন তাও রাগটাকে কান্ট্রলে রেখেছিল কিন্তু মনে হচ্ছে এখন আর কান্ট্রলে রাখা সম্ভব নয়,,হুট করে অন্তরার চুলের মুঠি ধরে একদম নিজের মুখের সামনে নিয়ে আসলো,,হঠাৎ এভাবে ধরা অন্তরা একদম আশা করেনি,,হৃদয়ের নিশ্বাস অন্তরার মুখের উপর পরছে অন্তরার হাত পা কাপাকাপি শুরু করে দিল,,আবার এত্তটাই জোরে ধরেছে চুল যে চুলের ব্যাথাও করছে,,হৃদয় অন্তরাকে বলল,,
_কি বললি তুই?তুই আমার আমি সুন্দর বলবো আর কেউ না বুঝেছিস কেউ না যে বলতে আসবে তাকে মেরেই ফেলবো,,তুই আমার শুধু আমার,,
অন্তরা কাপা কাপা গলায় বলল,,
_আমি তো মজা করে বলছি,,,
হৃদয় অন্তরার কাপাকাপা ঠোট দেখছে এক ধ্যানে অন্তরা কি বলছে তার দিকে খেয়াল নেই,,অন্তরা কথা বলার জন্য ঠোট নারায় তখন আরও কাপে,,হৃদয়কে যেন টানছে অন্তরার দিকে,,হৃদয় অন্তরার ঠোটের দিকে তাকিয়ে মাথাটাকে ধিরে ধিরে আরও সামনে আনতে লাগলো,,অন্তরা চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে,,এই মুহুর্তে যদি ঠেকায় তাহলে তার কপালে দুঃখ আছে সে যানে তাই সে কিচ্ছু বলছে না শুধু চোখ খিচে বন্ধ করে রেখেছে,,অন্তরার চোখ বন্ধ রাখা যেন হৃদয়কে আরও গভীর ভাবে টানছে তার দিকে,হৃদয়ও চোখ বন্ধ করে অন্তরার ঠোটে ঠোট মিলয়ে দিল,,পরম আবেশে অন্তরার ঠোট শুনে নিচ্ছে,,অন্তরা হৃদয়ের শার্ট ঘামছে ধরে রেখেছে,,হঠাৎ দরজায় কড়া নরে,,কয়েকবার ধীর সুস্থে বারি দিল,কিন্তু এখন বারির বেগ যেন বেরেই চলছে,,অন্তরা হৃদয়কে ক্রমাগত ধাক্কা দিয়েই চলছে কিন্তু এক চুল পরিমান নরাতে পারছে না,,কিচ্ছুক্ষন পর হৃদয় নিজেই অন্তরাকে ছেড়ে দিল,,অন্তরাকে ছাড়ায় অন্তরা তারাতারি উঠে দাড়ালো,,
_কতক্ষন ধরে দরজা পেটাচ্ছে আর আপনি,,
হৃদয় কিছু বলছে না শুধু অন্তরার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে,,এখন তার অনেকটাই শান্তি লাগছে,,তার রাগের মধ্যে অন্তরাকে চাই ই চাই,,অন্তরা দরজার দিকে এগুতে নিলে হৃদয় অন্তরার হাত ধরে ফেলে,, অন্তরা পিছে ফিরে তাকায়,,
_কি হলো দরজা খুলবো না?
_আমি খুলছি,,
বলেই অন্তরার ঠোটে শব্দ করে চুমু খেয়ে দরজা খুলতে গেল,,
_লুচু কোথাকার যখন তখন আমার চুমু খায় বেটা খচ্চর,,(মনে মনে)
হৃদয় দরজা খুলে দেখলো রায়হান দারিয়ে আছে,,রায়হান বলে উঠলো,,
_এত্তদিন লাগে তোর দরজা খুলতে?
_বল কি বলবি?
_চাচি তোকে ডাকছে নিচে যা,
_কেন?
_আমি কিভাবে বলবো কেন আমাকে কি বলেছে নাকি,,
হঠাৎ রায়হানের হাসি ফুটে উঠলো,,এখন হেসে হেসে কথা বলছে,,
_আরে যাহ তোকে ডাকছে তো,,
কথা বলছে হৃদয়ের সাথে কিন্তু নজর হৃদয়ের পিছে,,,হৃদয় রায়হানের হঠাৎ হাসির কারন খুজে পেল না,,যখন তার নজর অনুসরন করে নিজের পিছে তাকালো দেখলো অন্তরা দাড়িয়ে আছে,,সে এখন বুঝতে পারলো রায়হানের হঠাৎ হাসির কারন কি,,মুহুর্তেই তার মাথায় রক্ত উঠে গেল,,হাত মুঠ করে নিল,,অন্তরা হৃদয়ের কাছাকাছি এসে দাড়ালো,,
_আরে ভাবি তোমাকেই তো খুজছিলাম,,চলো গল্প করি,,
_ওর সাথে তোর কি গল্প?তুই বাবার সাথে গল্প কর,,(কড়া গলায়)
_আরেহহ চাচার সাথে কি কথা বলবো?যা বলার ভাবির সাথে বলবো ভাবি বলে কথা,,(বলেই চোখ টিপ মারলো)
হৃদয়ের এইবার মন চাইছে এক চর মারতে,,হৃদয় মারার জন্য হাত উঠাতে নিলে অন্তরা ফটাফট হৃদয় হাত ধরে ফেলে,,হৃদয়ের হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নেয়,,হঠাৎ হাত আটকে যাওয়ায় হৃদয় নিজের হাতের দিকে তাকালো,,দেখলো অন্তরা ধরে রেখেছে,,তা দেখে আর কিছু বলল না,,অন্তরা নিজে হৃদয়ের হাত ধরেছে দেখে রায়হানের খুব রাগ হলো,,সে নিজের হাত মুঠ করে নিল,,রাগ লাগছে খুব রাগ লাগছে,,তাও ঠোটে হাসির রেখে ফুটিয়ে নিচে গেল,,অন্তরা নিজের ইচ্ছেয় হাত ধরায় হৃদয় খুশি হয়ে গেল,,সে অন্তরার হাত নিয়ে একটা চুমু দিল,,অন্তরা কিছু বলল না,,কিন্তু সেইদিকে রায়হান যাওয়ার পথে পিছ ফিরে তাকিয়েছিল তারপর এইসব দেখলো,তার আরও রাগ উঠে গেল,সে নিজের রুমে গিয়ে ইচ্ছে মতো দেয়ালে ঘুষি দিতে লাগলো,,অনেক কষ্টে নিজের রাগ কান্ট্রল করল,
_I want her,,I want her just for one night,,
নিজে নিজেই বলল কথাগুলো তারপর ঠিকঠাক হয়ে নিচে নামতে লাগলো,,দেখলো নিচে হৃদয় একা বসে আছে,তার মানে অন্তরা তার রুমে,,সে নিচে না নেমে আবার উপরে চলে গেল,,হৃদয়ের রুমের দিক্ব গেল,,দেখলো দরজা ফাকা,,সে ভিতরে গিয়ে দরজাটাকে একদম চাপিয়ে দিল,,অন্তরা পিছে ফিরে জামাকাপর ভাজ করছিল তাই খেয়াল করেনি কে এসেছে,,রায়হান অন্তরার পিছ বরাবর দাড়ালো,,মাথাটাকে অন্তরার কাধ বরাবরা হাল্কা ঝুকিয়ে অন্তরার শরিরে স্মেল নিচ্ছে,,
অন্তরার পিঠে কারো গরম নিশ্বাস পরায় তারাতারি পিছে ফিরে,,পিছে ফিরে সে চমকে যায় রায়হানকে দেখে,,রায়হান চোখ বন্ধ করে ফিল নিচ্ছিল,,অন্তরা ঘুরএ জাওয়ায় রায়হান চোখ খুলে ফেলে দেখে অন্তরা তার দিকে তাকিয়ে আছে,,
_কিছু লাগবে?(অন্তরা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল)
রায়হান এক ধ্যনে অন্তরার দিকে তাকিয়ে আছে,,কিছু বলছে না,,অন্তরার দিকে এইভাবে তাকিয়ে থাকায় অন্তরার কেমন অসস্থি ফিল হচ্ছে,,তাই সে আবার জিজ্ঞেস করল,,,
_কিছু লাগবে?(এইবার একটু জোরে বলল)
_হুম হুম,,হৃদয়ের পারফিউমটা দাও,,,
_দাড়ান,,
বলেন ড্রেসিংটেবিলের সামনের থেকে পারফিউমটা এনে দিল,,
_এই নেন,,
রায়হান নেওয়ার ছলে অন্তরার হাত ছুয়ে পারফিউমটা নিল,অন্তরা তারাতারি হাত সরিয়ে নিল,,
_রায়হানননন,,
চিল্লান দিয়েই কেউ রায়হানের সামনে এসে সজরে থাপ্পর মারলো,,রায়হান গালে হাত দিয়ে তাকিয়ে দেখে হৃদয় রক্ত চক্ষু করে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,আর এক হাতে অন্তরাকে ধরে রেখেছে,,অন্তরাকে ছেড়ে রায়হানের দিকে তেরে গেল হৃদয়,,রায়হানের কলার চেপে বলল,,
_আমার বউকে টাচ করার অধিকার তোকে কে দিল?আমার বউকে টাচ করিস,,,
বলেই নাক বরাবর ঘুষি দিল,,আর ওয়ার্নিং দিল,,
_আর যেন আমার বউর সামনে তোকে ঘেষতে না দেখি বের হ এক্ষুনি,,,
বলেই রায়হানকে কোলার ধরে নিজের রুম থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে দিল রায়হানের মুখের উপর,,রায়হান নিজের ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দিল,,
_এর বদলা আমি নিবই,,তুই আমাকে মেরেছিস না দেখিস এর পরিনাম কি হয়,,(বলেই নাকের রক্ত মুছে ডেবিল হাসি হাসলো)
আর এইদিকে হৃদয় তো রাগে শরীর কাপছে,,তার ইচ্ছে করছে এক্ষুনি রায়হানকে মেরে ফেলতে তার অন্তরার দিকে নজর এত্ত বড় সাহস,,সে অন্তরার কাছে গিয়ে তার হাত ঘষছে,,একবার পানির নিচে দিয়ে ঘষে তো একবার নিজের হাত দয়ে,,ওই রায়হানের স্পর্শ যেন তার অন্তরার হাতে না থাকে,,অন্তরা হৃদয়কে সান্তনা দিচ্ছে তাতেও যেন কোন কাজ হচ্ছে না,,
_শান্ত হন হৃদয়,আমার হাত ছিলে যাবে তো,,
_ছিলুক তারপরও যেন ওই বদমাইশটার ছোয়া তোমার শরিরে না থাকে,,
অন্তরা বেচারা আর কি করবে তাকে কোনভবেই শান্ত করা যাচ্ছে না,,কিছু একটা ভেবে বলল,,
_আচ্ছা আমরা আজই সাজেক যাই?
এই কথা শুনে হৃদয় অন্তরার হাত ছেরে মুখের দিকে তাকালো,,হৃদয়ের মুহুর্তেই সব রাগ যিদ ফুররররর হয়ে গেল,,সে অন্তরার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলল,,
_আজিই যাবা?
_হুম,,
_আচ্ছা ঠিক আছে,,
বলেই অন্তরার কপালে ঠোট ছয়ালো,,আর ঠোটে ঠোট ছয়ালো,,তারপর দরজা খুলে বাহিরে গেলো,,
_জাক বাবা এই সাইকোটাকে কোন ভাবে শান্ত তো করতে পেরেছি,,নাহলে আজ আমার হাত যেত,,(বলেই নিজের হাত আস্তে আস্তে ঘষতে লাগলো)
হৃদয় হাসি মুখে নিচে নামলো,,রায়হান সোফায় বসা ছিল,,হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো সে হাসছে,তার এই হাসির রহস্য রায়হান কোথাও খুজে পেল না,,,
চলবে🖤
(ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন🥰)