#হৃদয়ের_অন্তরা❤️
#part_11
#sarika_Islam
,
,
_আচ্ছা তাহলে আমি তোমাকে কিস করেই দেখি,,,
_নাহ নাহ,,
কে শুনে কার কথা অন্তরার এত্ত বাধার পরও হৃদয় অন্তরাকে কিস করল,,অন্তরা হাত দিয়ে ঠেলাঠেলি করতে লাগল দূরে সরাতে চাইছে কিন্তু না সে ব্যার্থ,,অন্তরা এমন নড়াচড়া করছে দেখে হৃদয় তার এক হাত দিয়ে অন্তরার দুই হাত পিছে নিয়ে একসাথে ধরে আরেক হাত অন্তরার চুল ধরে রেখেছে,,অন্তরা বেচারি এখন পুরোই হৃদয়ের কাবযায়,সে আর না পেরে চুপ করে রইল,,বেশ কিছুক্ষন পর হৃদয় অন্তরাকে ছাড়লো,,দুইজনই হাপিয়ে গেল ঘন ঘন শ্বাস নিতে লাগল,,হৃদয় অন্তরার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে আর অন্তরা রাগে ফুসছে,,,হৃদয় কিছু বলবে তার আগেই অন্তরার বারান্দায় চলে গেল,,,হৃদয়ও অন্তরার পিছু পিছু গেল,,অন্তরা এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে,,হৃদয় তার পাশে আছে সেদিকেও তার এখন খেয়াল নেই,,সে অন্য যগতের চিন্তা ভাবনা করতে বেস্ত,,,হৃদয়ও কিছুক্ষন আকাশের দিকে তাকিয়ে অন্তরার হাত ধরে বলল,,
_চলো ঘুমাবো,,
অন্তরা হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিল,,তারপর হৃদয়কে বলল,,
_আমি আপনার সাথে একি বিছানায় শুবো না,,আমি বরং এখানেই ঠিক আছি আপনি যান,,
হৃদয়ের মাথায় যেন ধপ করে আগুন জলে উঠলো,,সে অন্তরার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বলল,,,
_চলতে বলেছি চলো,,তোমার এইসব বাহানা শুনতে চাইনি,,
অন্তরা হৃদয়ের রাগী ফেস দেখেও না দেখার ভান করে বলল,,
_আমি একবার বলেছি যাবো না মানি যাবো না,,(মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে)
হৃদয় এইবার যেন রাগ আরও বেড়ে গেল সে হুট করে অন্তরাকে কোলে নিয়ে নিল,,এভাবে হুট করে কোলে নেওয়ায় অন্তরা ঘাবড়ে গেল হৃদয়ের খালি শরিরের সাথে একদম লেপ্টে গেল গলা জড়িয়ে ধরল,,চোখ খিচে বন্ধ করে নিল,,হৃদয় অন্তরার দিকে তাকিয়ে হেসে দিল,,
_আমার সাথে লাগার বাহানা,,,হুমমমমম,,
অন্তরা এইবার বুঝলো সে হৃদয়ের কোলে ফটাফট গলা ছেড়ে দিল নামার জন্য হাত পা নাড়াতে লাগলো,,হৃদয় অন্তরাকে বিছানায় শুয়ে দিল,,তার পাশে নিজেও ঘুমালো,অন্তরা একদম বিছানার এক কোন ঘেষে শুয়ে আছে,,হৃদয় হুট করে অন্তরাকে টান মেরে নিজের বুকের উপর ফেলে দিল,অন্তরাকে নিজের বুকের সাথে একদম মিশিয়ে নিল,,অন্তরা হৃদয়ের বুকে ধাক্কা দিতে লাগলো,,হৃদয় অন্তরার কানের কাছে মুখ নিয়ে ঘোর লাগা কন্ঠে বলল,,
_হুশশশশশ,,একদম নরবে না নাহলে কিন্তু বাসর রাতে যা করে আজ তাই করে ফেলবো,,(বলেই কানের লতিতে শব্দ করে চুমু খেল)
এই কথা শুনার পর মুহুর্তেই অন্তরার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল,,সে চুপ করে হৃদয়ের বুকে শুয়ে আছে,,হৃদয় অন্তরা চুপ থাকা দেখে মুচকি হাসলো,,অন্তরার মাথা চুমু দিয়ে আরও একটু টাইট করে ধরে ঘুমিয়ে গেল,,,অন্তরার তো দম বন্ধ হয়ে আসছে সে নড়তেও পারছে না কিছু বলতেও পারছে না,,
_শালা বদমাইশ বেটা,,পেশায় একজন ডাক্তার কিন্তু কোন সভ্যতা নেই যখন তখন কিস করে বসে,,
মনে মনে আরও কিছু বলে সেও ঘুমিয়ে গেল,,,
কাচের জানালা ভেদ করে পর্দার ফাক দিয়ে এক টুকরো রোদ অন্তরার মুখে এসে পড়লো,,ঘুমের মাঝেই অন্তরা চোখ মুখ কুচকে এলো,,আবার হঠাৎই রোদ চলে গেল,তার মুখে আর পরল না,অন্তরা মুখ আবার স্বাভাবিক করে নিল,,আবার হঠাৎ মুখের রোদ চলে আসলো,,আবার চলে গেল,আবার আসলো,,এইবার অন্তরার খুব বিরক্ত লাগছে,,কপাল কুচকে পিটপিট করে চোখ মেলল,,চোখ মেলে দেখে হৃদয় এক চিতলে হাসি দিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে,,আর তার ডান হাত দিয়ে অন্তরাকে জড়য়ে রেখেছে বা হাত দিয়ে একবার রোদ ঢাকছে তো একবার খুলছে,,অন্তরা কপাল কুচকানো আবার স্বাভাবিক হওয়ার দৃশ্য গুলো দেখছে আর মজা নিচ্চে,,অন্তরা এইবার বুঝতে পারলো,,এইসব এতখন কে করছিল,,অন্তরা বিরক্তি নিয়ে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে উঠে বসলো,,চুলগুলো হাত খোপা করতে লাগলো ওই সময় হৃদয় বলল,,
_good morning jan
বলেই অন্তরার গালে চুমু খেল,,অন্তরা খোপা শেষ করে হৃদয়ের দিকে তাকালো,,,হৃদয় মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে,,অন্তরা কিছু না বলে নিচে নামতে নিলে হৃদয় ধরে ফেলে,,অন্তরা ঘুরে হৃদয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,,
_কি?(ভ্রু কুচকে)
_I said good morning,,
_হুম morning,
হুট করেই হৃদয় অন্তরাকে নিজের দিকে ঘুরয়ে পেট দেখতে লাগলো,,,অন্তরা অবাক হয়ে গেল,,হৃদয় অন্তরার পেটের এপাশ ওপাশ হাত বুলিয়ে দেখেতে লাগলো,,অন্তরা নিজের পেট থেকে হৃদয়ের হাত সরিয়ে বলল,,
_কি হচ্ছে কি?
_আরেহ দাড়াও না,
বলেই আবারও হাত দিল,,অন্তরা তো পুরুই রেগে গেল এইবার,,
_কি হচ্ছে এইসব হৃদয়?(বেশ রেগে)
_আরে দেখছিলাম তুমি প্রেগন্যান্ট হয়েছ নাকি,,(বলেই ভেটকি মারলো)
_ধুররর ফালতু,,
বলেই বিছানা ছেড়ে নেমে গেল,,হৃদয় হাসতে লাগলো,,অন্তরা ওয়াশ্রুমের ভিতরে ঢুকবে ওই সময় অন্তরাকে ডাক দিল হৃদয়,,
_অন্তরা,,
অন্তরা পিছে ফিরে তাকালো,,হৃদয়ের ফেস দেখে মনে হচ্ছে কিছু সিরিয়াস কথা বলবে, একদম সিরিয়াস হয়ে আছে,,তাই অন্তরা হৃদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইল,,,হৃদয় বলল,,
_আমার মর্নিং কিস কই?
_মর্নিং কিস?
_হুম কাল রাতে শর্ত হয়েছিল মনে নেই?আমার মনে আছে আসো দাও,,
অন্তরা সেখানেই দারিয়ে আছে,অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে হৃদয়ের দিকে,,
_আচ্ছা দাড়াও আমিই আসছি,,
বলেই বিছানা থেকে নামতে লাগলো,,অন্তরার এইবার যেন হুশ ফিরলো, সে এক দৌড়ে ওয়াশ্রুমের ভিতর গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল,,হৃদয় দুই এক বার দরজা ধাক্কা দিল,,
_অন্তরা এইটা কিন্তু চিটিং করছ তুমি,,ঠিক আছে সমস্যা নেই বাহিরে আসো একবারে দুইটা কিস নিবো,,,
অন্তরা কোন কথাই বলছে না,,, চুপচাপ গোসল সাড়ছে,,গোসোলের শেষে তাওয়াল দিয়ে শরির মুছলো,,জামা পরবে এখন তো জামা ই আনা হলো না,,
_উফফফফ,,ওই হৃদয়ের বাচ্চার জন্য আমার জামা আনা হলো না,,ধ্যাত ভাল্লাগেনা,
অন্তরা আস্তে আস্তে দরজা খুল্ল খুলে দেখলো হৃদয় ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুচছে,,হয়তো অন্য ওয়াশ্রুম থেকে গোসল করে এসেছে,,অন্তরা সব চিন্তা ভাবনা বাদ দিয়ে হৃদয়কে ডাক দিল,,
_হৃদয়,,,,
হৃদয় নিজের নাম শুনে পিছে ফিরে তাকালো,,দেখলো অন্তরা দরজা একটু ফাকা করে মাথা বের করে রেখেছে,,,,হৃদয় অন্তরার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,,
_কি?
_বলছিলাম কি আমার জামা না আনা হয়নি যদি আপনি একটু দিতেন?
হৃদয় কাবার্ড খুলে একটি কালো কালারের শাড়ি বের করলো,,তারপর অন্তরার দিকে বাড়িয়ে কি যেন ভেবে আবার হাত পিছিয়ে নিলো,,অন্তরা ভ্রু কুচকে তাকালো,,হৃদয় একটা ভেটকি মেরে বলল,,
_আগে একটু সুন্দর করে ডাকো তারপর দিব,,
_শুরু হলো ঢং,,(মনে মনে বলল অন্তরা)
_আরে দেন না ভিজে শরিরে দাড়িয়ে আছি ঠান্ডা লাগবে তো,,
_আমি ডাক্তার ঠান্ডা লাগলে সারিয়ে দিব আগে বলো,,
অন্তরা বাধ্য হয়ে বলল,,
_ও গো শুনছো আমার জামাটা একটু দাও তো,,
_আহা কি মধুর এক ডাক,,এখন বলো “সোনা আমার জামাটা একটি দাও তো”,,
_সোনা আমার জামাটা একটু দাও তো,,(দাতে দাত চেপে)
_নাও জান,,
বলেই জামাটা এগিয়ে দিল,,অন্তরা জামাটা হাতে পেয়ে তারাতারি করে দরজা লাগিয়ে দিল,,জামাটা খুলতে দেখে শাড়ি,,আবার দরজা খুল্ল,,
_এই আমি শাড়ি পরতে পারি না,, আমাকে কোন এক থ্রি-পিস দেন,,
_নতুন বউ আজ প্রথম দিন শাড়ি না পরলে কি হয়,,
_কিন্তু আমি যে পরতে পারি না,,
_তুমি সব পরে আসো আমি বেবস্তা করছি,,
অন্তরা শাড়ি বাদে সব পরে বের হলো,,হৃদয় তার দিকে কেমন কেমন করে তাকিয়ে আছে দেখে সে তারাতারি শাড়িটা নিজের শরির ঢেকে দিল,,
_আরে আমিই তো ঢাকার কি আছে,,,
_আপনি বেশি পেচাল না পেরে আন্টিকে ডাকুন,,
_আচ্ছা দাড়াও,,
বলেই দরজা খুলে মাকে ডাকলো,,
_মা অন্তরা শাড়ি পরতে পারে না তুমি একটু পরিয়ে দাও তো,,
বলেই হৃদয় নিচে চলে গেল,হেনা চৌধুরী অন্তরার দিকে এগিয়ে গেল,,হাত বাড়িয়ে শাড়িটা নিল,,অন্তরাকে শড়িটা পরাতে লাগল আর বলতে লাগল,,
_তুই জখন আমার বাসায় ছিলি আমি তখন ও এমন ভাবে তোকে শাড়ি পরিয়ে দিয়েছিলাম,,
আরও কতো কি বলতে লাগলো,,অন্তরা কিছু বলছে না চুপচাপ শুনছে,,শাড়ি পরানো শেষ হলে অন্তরাকে আয়না বরাবর দাড় করায়,,
_মাসাল্লাহ আমার মেয়েটাকে ওই দিনের থেকে বেশি আজ সুন্দর লাগছে,,সেদিন তুই লাল শাড়ি পরেছিলি,,কিন্তু কালো টা বেশ মানিয়েছে,,
অন্তরা কিছু বলল না এইবারও,,সেদিনের মতো হেনা চৌধুরি অন্তরাকে আজও নিজের হাতে সাজিয়ে দিল,,চোখে কাজল হাতে স্বনের চুরি নাকে স্বনের নাকফুল কানে ছোট ছোট টপ,,বেস এটুকুতেই অন্তরাকে বেশ সুন্দর লাগছে,,হেনা চৌধুরি অন্তরা কানের নিচে নজর লাগিয়ে দিল,,
_আমার মেয়ের যেন নজর না লাগে,,,
বলেই কপালে একটি চুমু দিয়ে চলে গেল,,অন্তরা আয়নায় নিজেকে দেখছে খুটিয়ে খুটিয়ে,,আজ তাকে সত্যি এক বিবাহিত নারী লাগছে,,আনমনেই অন্তরা হেসে দিল,,
_হায়য়য় মে মারজাবা,,(বুকে হাত দিকে)
এইটা শুনে অন্তরা পিছে ফিরে তাকালো দেখলো দরজার সাথে হেলান দিয়ে বুকে হাত দিয়ে হৃদয় দারিয়ে আছে,,হৃদয়কে দেখে অন্তরা লজ্জা পেয়ে গেল,,,
_আয়হায়,,
বলে হৃদয় অন্তরার দিকে এগিয়ে গেল,,পিছন থেকে অন্তরাকে জড়িয়ে কাধে থুতনি রেখে বলল,,
_এভাবে লজ্জা পেও না জান আমি তো হার্ট অ্যাটাক করবো,,
অন্তরা কিছু বলতে যাবে তার আগেই নিচথেকে হেনা চৌধুরির ডাক পরলো খাবারের জন্য,,
_চলো খাবে,,
বলেই অন্তরার হাত ধরে নিচে নিয়ে গেল,,দুইজন একসাথে সিড়ি দিয়ে নামছে,,হৃদয়ের বাবা মা খাবার টেবিলে বসে দুইজনকে দেখছে,,হৃদয়ের মুখে হাসি লেগে আছে অন্তরাকে ধরে নামছে,,হেনা চৌধুরি ছেলের এই খুশি মুখ দেখে তার স্বামী কে বলল,,,
_আমার হৃদয় কতো খুশি অন্তরাকে পেয়ে,,এই কয়দিন মরার মতো হয়েছিল,,আল্লাহ যেন সব সময় ওকে খুশি রাখে,,,
দুইজন খাবার টেবিলে আসলো,হৃদয় সবাইকে “গুড মর্নিং” বসে পরলো,,অন্তরা হেনা চৌধুরির পাশে গিয়ে তাকে বলল,,
_আন্টি আমাকে দিন আমি সার্ব করি আপনি বসুন,,
_এই কাকে আন্টি বলিস মা বল আমাকে তুই তো আমার মেয়েই,,
অন্তরা মুচকি হেসে বলল,,
_আচ্ছা ঠিক আছে মা তুমি বসো আমি দেই,,
_এই না হলো আমার মেয়ে,,নাহ তুই বস আমি দেই,,
হেনা চৌধুরির জুরাজুরিতে অন্তরা বসলো,,হৃদয়ের পাশে,,তারা খাবার খাচ্ছে তার বাবা বলল,,
_তো হানিমুনের জন্য কোথায় যাবা?
এই কথা শুনে অন্তরা বিষম খেল,খাবার গলায় আটকে গেল,কাশি শুরু হয়ে গেল,,হৃদয় অন্তরার পিঠ হাতাতে লাগল হেনা চৌধুরি পানি দিল,,,
_কি হয়েছে তোমার?(বেস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল হৃদয়)
_আমি ঠিকাছি,,
বলেই আবার খাওয়ায় মনোযোগ দিল,,হৃদয় বলল,,
_আমি প্লান করেছি সাজেক ঘুরে আসি,,কি বলো অন্তরা?
অন্তরা হৃদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,,
_হানিমুন টানিমুনে না গেলে হয় না?(অসহায় ভাবে)
_সেকি তাকি হলো,,যা ঘুরে আয় ভালো লাগবে,,(পাশ থেকে হেনা চৌধুরি বলল)
_আচ্ছা,,(মাথা নিচু করে)
_তো কবে যাবা?
_বাবা কাল,,
_আচ্ছা আমি হোটেল বুক করে দিবনে,,
_ঠিক আছে বাবা,,
সবাই খাবার শেষ করলো,,হেনা চৌধুরি আর অন্তরা মিলে টেবিল পরিষ্কার করছে,,হৃদয় আর তার বাবা সোফায় বসে কথা বলছে,,হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠলো,অন্তরা যেতে নিলে হৃদয় বলল,,
_দাড়াও আমি দেখছি,,
বলেই দরজা খুলতে গেল,,দরজা খুলে দেখলো রায়হান(হৃদয়ের চাচাতো ভাই) দাঁড়িয়ে আছে রায়হানকে দেখে হৃদয় খুশি হয়ে গেল,,জরিয়ে ধরলো,,
_আরে কেমন আছিস তুই?কতো দিন পর দেখা,,
_হুম ভালোই আছি,লন্ডন থেকে ফিরে তো দেখাও করলি না,,
_আরে বিজি ছিলাম,,
_আচ্ছা এখন ঘরে ঢুকাবি নাকি বাহির থেকেই চলে যাবো?
_আরে আয় এত্ত দিন পর তোকে দেখছি তো এক্সসাউটেড হয়ে গিয়েছিলাম,,
দোনজন হেসে ভিতরে ঢুকলো,,রায়হান তার চাচা কে ধরলো,,
_কেমন আছিস?
_জি চাচা আলহামদুলিল্লাহ,
চাচির কাছে গিয়ে তাকে সালাম করলো,,,,হেনা চৌধুরির পাশেই অন্তরা দাঁড়িয়ে ছিল,,রায়হান অন্তরাকে দেখে বলল,,
_হৃদয় এইটা কে?
_আমার বউ তোদের ভাবি,,
বলেই অন্তরাকে এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল,,
_আরে ভাবি কেমন আছেন?(হাত বাড়িয়ে)
_জি আলহামদুলিল্লাহ,,(হাত মিলালো)
_আমিই আপনের একমাত্র দেবর আর কোন দেবর নেই কিন্তু আপনার,,ভাবি দেবরের রিস্তা তো জানেনি,,
_হুম,,
সেই কখন হাত ধরেছে অন্তরার এখন পর্যন্ত ছাড়ার নাম নেই,,অন্তরা বারে বারে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু না ছাড়ছে না,,তা দেখে হৃদয় বলল,,
_রায়হান হাত ছাড়,,
_ওহ আমি তো ভুলেই গিয়েছি,,এত্ত নরম হাত ভাবির ছাড়তেই ইচ্ছে করে না,,(বলেই সয়তানি হাসি হাসলো)
যা হৃদয়ের ভালো ঠেকলো না,,তাও হৃদয় কিছু বলল না,,,,,,,
চলবে🖤
(ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমার দৃষ্টতে দেখবেন🥰)