#হৃদয়ে_তুমি
#লেখিকাঃতানিমা_আক্তার_মিরা
#পার্টঃ২৭
তরীর সাথে আসা মানুষটাকে দেখে সবাই চমকে উঠলো,বিশেষ করে আরুশ আর আরু।
আর্দ্র- আরে সোহাগ যে কেমন আছো
সোহাগ- ভালো তুমি
আর্দ্র– ভালো।
সোহাগ- আরুশ কেমন আছো।
আরুশ- ভালো।
সোহাগ- তরী বললো বিয়ের শপিং করতে যাচ্ছে,আমাকে বললো তাই চলে এলাম আর কি
আর্দ্র- ভালো করেছো,সবাই থাকলে আনন্দ হবে খুব।
আরুশ- ভেতরে চলো এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে।
তরী আরুশকে দেখে বুঝলো আরুশ ক্ষেপে আছে,সোহাগকে এখানে আনার জন্য। কিন্তু আমাদের আরুর মনে তো লাট্টু ঘুরছে পছন্দ এর মানুষটাকে দেখে।
তরী- সরি আরুশ আমি জানি তুমি রেগে আছো, কিন্তু আরুকে আর সোহাগকে একসাথে করার জন্য আমাকে তো এটা করতে হতোই।আমি তোমার ছিলাম তোমার আছি,কেউ আলাদা করতে পারবে না তোমার থেকে।( মনে মনে)
ওরা ভেতরে যায়,যে যার পছন্দ মতো জিনিস দেখছে।
আরু- ওই তোমরা কি কেউ বেনারসি শাড়ি কিনবে না।
আর্দ্র- কনেদের বল শাড়ি কিনতে।
অদ্রি- তোরা পছন্দ করে দিবি ওদেরকে।
আরুশ- আচ্ছা করে দেবো।
ওরা বেনারসি শাড়ি ঘাঁটতে লাগলো।
আর্দ্র- রিতা এই গোলাপি টা নাও ভালো লাগবে।
আরু- না ওটার থেকে দ্যাখ ওই কালারটা বেশি ভালো লাগছে।
আর্দ্র- না গোলাপিটা।
আরু- রিতা তুমি বলো তো কোনটা।
রিতা- ওইটা, কিন্তু গোলাপি টাও ভালো লাগছে।
তরী- এটা বিয়ের দিন ওটা বৌভাতের দিন পড়বে ব্যাস।
রিতা- হুম,তোর পছন্দ করা হলো।
তরী- দেখনা আমার পছন্দ হচ্ছে না ঠিক।
সোহাগ- ওই ব্লু কালারটা দ্যাখ।
তরী- বাহ তোর চয়েজ আছে তো, দাদা এটা সাইটে রাখুন তো।
আরুশ- না, ওই মেরুন কালারটা দ্যাখো তো।
অদ্রি- সত্যি ভালো লাগছে।
আরু- তরী কোনটা নিবি বল।
তরী- দেখছি। আর্দ্র দা তোমরা তোমাদের জিনিস গুলো ওহ কিনে নাও না তাহলে আর লেট হবে না তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।
আর্দ্র– হুম ঠিক বলেছিস,আরুশ, সোহাগ চলো।
আরুশ- হুম
ওরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী জামা কাপড় কেনাকাটা করে। তারপর জুয়েলারি কেনে কেনাকাটা শেষ করে। অনেকগুলো প্যাকেট হয়ে গেছে।রিতা আর তরীর জিনিসপত্র গুলো তরীর গাড়িতে রাখে আর বাকিদের গুলো আরুশদের গাড়িতে। ওরা সবাই মিলে চৌধুরী বাড়িতে আসে।
আরুশের মা-কেমন আছিস তরী
তরী- খুব ভালো তুমি
আরুশের মা-তোকে দেখে ভালো হয়ে গেলাম।
তরী- তাই নাকি
আরুশের মা-হুম
আর্দ্রের মা- আমাকে তো ভুলেই গেছিস।
তরী- তোমাকে আবার ভুলতে পারি।
আর্দ্রের মা- থাক বলতে হবে না।
তরী- রাগ করো কেন সুইটি( জড়িয়ে ধরে)
আর্দ্রের মা-তোর উপর রাগ করে থাকবো এমন ক্ষমতা আমার নেয়।
তরী- হুম।
আরুশের মা-সবাই হাত মুখ ধুয়ে আয়,আমি সবার পছন্দের রান্না করেছি।
বিকালবেলা সবাই যে যার বাড়ি চলে যায়। আরু নিজের রুমে প্যাকেটগুলো দেখছে। হঠাৎ দেখতে পেলো সোহাগের পছন্দ করা সেই ব্লু কালারের শাড়িটা,সাথে একটা চিরকুট…
প্রিয় ননদিনী,ওই শাড়িটা আপনার জন্য,বিয়ের দিন পরবেন কিন্তু।
আরু বুঝতে পারলো কাজটা তরীর,তরীর এমন কাজে আরু হাসতে লাগলো।
আসতে আসতে বিয়ের ডেট এগিয়ে আসতে লাগলো,আর মাত্র চারদিন। কাল হলুদ,তারপরের দিন মেহেদী আর তারপর বিয়ে।
রিতার বিয়েটাও তরীদের বাড়ি থেকে হবে,তাই রিতা আজকে তরীর বাড়িতে চলে যাবে।
রিতা নিজের রুমে রেডি হচ্ছে যাবে বলে। আর্দ্র এসে ওর পেছনে দাঁড়ায়।রিতা আয়নাতে আর্দ্রকে খেয়াল করে বলে।
রিতা- কি হলো
আর্দ্র- একটা কথা বলবো।
রিতা- হুম
আর্দ্র- তুমি না গেলে নয় কি
রিতা- মানে
আর্দ্র- আমার ভালো লাগছে না ,আমি একা একা থাকবো কিভাবে
রিতা- কেন প্রবলেম কি
আর্দ্র- আমি তোমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারিনা।
রিতা- কয়েকদিন তো ঠিক হয়ে যাবে।
আর্দ্র- না তুমি যাবে না ব্যাস।
রিতা- আমাকে বলছো কেন,বাড়ির বড়োদের বলো আমি আমার বউ কে ছাড়া থাকতে পারবো না তাই আমার বউ যাবে না।
আর্দ্র- মজা নিচ্ছে তো।
রিতা- কোথায় মজা নিলাম।
আর্দ্র- আচ্ছা যাও আমি তোমাকে আটকাবো না আর তোমার সাথে আমার কথাও নেয়।
রিতা- ওকে বাই।
রিতা চলে যায়,আর্দ্র বসে পড়ে- ধূর ভালো লাগে না,এই আরুশটাকেও না মারতে ইচ্ছা করছে কি দরকার ছিলো আমার বিয়ের কথা বলতে।বেকার বেকার রিতাকে ছেড়ে থাকতে হবে।
কিছু ক্ষন পর,আরু আর্দ্র কে ডাকতে আসে।
আরু- ওই দাভাই তোকে মা ডাকছে
আর্দ্র-কেন
আরু- রিতাকে তরীদের বাড়ি তে দিয়ে আসার জন্য
আর্দ্র-আমি পারবো না।
আরু- এমন বললে হবে না চল চুপচাপ।
আর্দ্র-বলছি তো আমি যাবো না আরুশকে বল
আরু- দাদাভাই নেয় তো,তোকেই যেতে হবে নাহলে রিতা একা একা ট্যাক্সি করে যাবে।
আর্দ্র- একাকেই যেতে বল আমি পারবো না।
আরু রেগে চলে যায়, আর্দ্র রাগে গজগজ করতে করতে নীচে নামে,আর রিতাকে নিয়ে তরীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
রিতা- প্রথমে তো বললে আসবে না আবার হলে।
আর্দ্র কিছু বললো না, আর্দ্র কে চুপচাপ থাকতে দেখে রিতা চুপ করে যায়। আর্দ্র হঠাৎ করে গাড়ি থামিয়ে রিতা কে জড়িয়ে ধরে। আর্দ্র এর এমন হঠাৎ কান্ডে রিতা চমকে উঠে।
রিতা- কি হলো
আর্দ্র-চুপ
রিতা চুপ করে যায়,আর্দ্র রিতাকে কিছুক্ষন পর ছেড়ে দিয়ে রিতার কপালে একটা কিস করে গাড়ি চালাতে চালু করে, রিতা এতটাই শক যে আর্দ্র এর দিকে একভাবে তাকিয়ে আছে।কি হলো কিছুই মাথায় ঢুকছে না।
আর্দ্র- মুখটা বন্ধ করো ,নাহলে মাছি ঢুকে যাবে।
রিতা-কি করলে তুমি একটু আগে।
আর্দ্র- কোথায় কি করলাম।
রিতা- তুমি
আর্দ্র- হুম বলো
রিতা- ধ্যাত।
আর্দ্র- কি
রিতা- কিছু না।
আর্দ্র কিছু না বলে গাড়ি চালাতে লাগলো, কিছু ক্ষন পর আর্দ্র বললো- তোমাকে খুব মিস করবো।
রিতা কিছু বললো না ,চুপচাপ বসে থাকলো। আর্দ্র রিতাকে তরীদের বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। রিতা বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে কথা বার্তা বলে।
তরীর মা- কিরে কেমন আছিস।
রিতা- মামনি আমি ভালো আছি তুমি।
তরীর মা-ভালো আছি।
রিতা- আঙ্কেল কোথায়
তরীর মা- তোর আঙ্কেল তো কাজেই ব্যস্ত ,দুদিন পর মেয়েদের বিয়ে সে বসে থাকে বল।
রিতা- হুম।তরী কোথায়
তরীর মা-নিজের রুমে দ্যাখ,আর তোর মা কবে আসবে।
রিতা- কালকে সকালে চলে আসবে বলছে।
মা- ওহ।
রিতা তরীর রুমে গিয়ে তরীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।
তরী- কেমন আছিস।
রিতা- ভালো তুই
তরী- ভালো,কে দিয়ে গেলো
রিতা- আর্দ্র
তরী- ওহ।মনে আছে আমরা বলতাম আমরা দুজন একবাড়িতে ,একসাথে বিয়ে করবো দ্যাখ আমাদের সব ইচ্ছা পূরণ হচ্ছে।
রিতা- হুম।তোর মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।
তরী- আমি তো একপিস আছি।
রিতা- জানি আমি,দুটো থাকলে তো সবাই পাগল হয়ে যেতো।
তরী- হুম।
রাত্রিবেলা,
খাওয়া দাওয়া শেষ করে,রিতা আর তরী ঘুমাতে যায়।তরী শুয়ে পড়েছে কিন্তু রিতা উশখুশ করছে।
তরী- কি হয়েছে,বসে আছিস ঘুমাবি না।
রিতা- ভালো লাগছে না
তরী- কেন রে
রিতা কিছু বলে না চুপ করে থাকে।
তরী- বলবি তো।
রিতা- কিছু না।
তরী- ওহ।
তরী কিছু একটা ভেবে রিতাকে বললো- ওই তুই কি আর্দ্র কে মিস করছিস।
রিতা- না ওকে মিস করবো কেন।
তরী- ওহ তাও তো বটে।
রিতা- হুম।
তরী- ঘুমিয়ে পড়।
রিতা- হুম।
রিতা শুয়ে পড়ে কিন্তু ঘুমাতে পারেনা,এদিকে ওদিক করতে থাকে। হঠাৎ ওর চোখে ঘুম এসে ধরা দেয়। ঘুমের ঘোরে তলিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে রিতার ঘুম ভেঙ্গে যা দেখে তাতে ওর চোখ চরক গাছ….
#চলবে…..
#হৃদয়ে_তুমি
#লেখিকাঃতানিমা_আক্তার_মিরা
#পার্টঃ২৮
পরেরদিন সকালে রিতার ঘুম ভেঙ্গে যায়,ওহ দেখে ওকে একজন শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে। কিন্তু কে?
মুখটা একটু উঠিয়ে দেখলো আর্দ্র ওকে জড়িয়ে শুয়ে আছে। আর্দ্র কে এখানে দেখে ওহ ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো।
রিতা অবাক হয়ে বললো- তুমি( একটু জোরে)
আর্দ্র-আরে আসতে কেউ শুনতে পেয়ে যাবে।
রিতা- তুমি এখানে আসলে কিভাবে,আর তরী কোথায়।
আর্দ্র- তরী নেয়,আর আমি কাল এসেছি এখানে
রিতা- কি
আর্দ্র- হুম
রিতা- কেন এসেছো।
আর্দ্র- ঘুম আসছিলো না তাই চলে এসেছি।
রিতা- তাই বলে রাত্রিবেলা এভাবে আসবে কেউ দেখলে কি ভাববে।
আর্দ্র- কিছু ভাববে না আমি তো আমার বউ এর কাছে এসেছি।
রিতা কিছু বলতে যাচ্ছিল তখনি তরী আসে।
তরী- আর্দ্র দা তুমি বেড়িয়ে যাও,নাহলে কেউ দেখে ফেলবে।
আর্দ্র- তাড়িয়ে দিচ্ছিস।
তরী- হুম,কেউ দেখলে বউ পাগল ভাববে,যাও তাড়াতাড়ি বের হও।আমি ঘুমাবো।
রিতা- এখন কেন
তরী- মশার কামড়ে ঘুমাতে পারিনি।
রিতা- ওহ।
আর্দ্র চুপচাপ বসে আছে।তরী আর্দ্র এর পিঠে একটা চড় মারলো।
তরী- তুমি যাবে হ্যা কি না বলো।
আর্দ্র- ধ্যাত ভালো লাগে না ।
তরী- ভালো লাগতে হবে না যাও।
আর্দ্র- হুম
আর্দ্র তরীদের পেছনের দরজা দিয়ে,বাগান দিয়ে বাইরে চলে যায়,রিতা আর্দ্র বেড়ানোর পর তরীর কাছে এসে দেখে তরী বিছানায় শুয়ে আছে।
রিতা- ওই তরী।
তরী- আবার কি হলো ভালো লাগেনা।
রিতা- তুই ঘুমাচ্ছিস।
তরী- না তোর মতো আমি সারারাত আরাম করে ঘুমাচ্ছিলাম।
রিতা- ঘুমাস নি।
তরী- বসার ঘরে সোফায় ঘুম হয় নাকি
রিতা- তুই।
তরী- হুম ,এখন যা এখান থেকে পড়ে সব বলবো।
রিতা চলে যায়,আর তরী ঘুমাতে লাগলো।
কিছুক্ষন পর,
রিতা এসে তরীকে ঘুম থেকে ডাকচ্ছে,তরী তো রেগে বোম।
তরী- আবার কি হলো।( রেগে)
রিতা- মামনি তোকে ডাকচ্ছে,আজকে হলুদ আমাদের।
তরী- আমি কি করবো।
রিতা- আমি জানিনা,মামনি যেতে বললো তোকে।
তরী- আচ্ছা,যাচ্ছি।
তরী বিরক্ত হয়ে ফ্রেশ হয়ে নীচে যায়। ওহ আসতেই ওর মা বলে
মা- কিরে আজ যে তোর গায়ে হলুদ সেটা কি তোর মনে আছে,এভাবে পড়ে পড়ে ঘুমালে হবে।
তরী- আর ঘুম,শালা ওদের প্রেমের চক্করে আমার ঘুমটাই হয়নি,ভালো লাগে না।( বিরবির করে)
মা- কি বলছিস।
তরী- কিছু না।
মা- যা কিছু খেয়ে নিয়ে,একটু রেডি হয়ে নে সব গেস্ট আসতে চালু করবে।
তরী- ও বাড়ি থেকে লোক কখন আসবে।
মা- বিকালে আসবে।
তরী- মা তাহলে আমি এখন ঘুমাবো ডাকবে না আমাকে।
তরী ওখান থেকে গিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে।
ওদিকে…..
আর্দ্র কে বাইরে থেকে আসতে দেখে আরুশ বললো- কোথা থেকে আসছিস
আর্দ্র-এমনি ,বাইরে থেকে ঘুরে আসলাম একটু।
আরুশ- ওহ।
আর্দ্র- ডেকোরেশন কমপ্লিট।
আরুশ- হুম সবটা ঠিকঠাক হয়ে গেছে।
আরু- দাদাভাই আমরা বিকালে তরীদের বাড়ি যাবো কিন্তু।
আর্দ্র- তোরা গিয়ে কি করবি
আরু- প্লিজ
আরুশ- যেতে পারবি একটা শর্তে
আরু- কি
আরুশ- তরীর ছবি তুলে পাঠাবি।
আর্দ্র- রিতার ওহ।
আরু- আচ্ছা পাঠাবো।
আরুশ- তুই যাবি।
অদ্রি- কিসের প্ল্যান হচ্ছে।
আরু- আমি তরী দের ওখানে যাবো।
অদ্রি- আমিও যাবো।
আরুশ- আচ্ছা যা।এখন গিয়ে দ্যাখ সবকিছু ঠিক ঠিক হচ্ছে কিনা
অদ্রি- ওকে
ওরা যে যার মতো চলে যায়।
তরী বেলা ১১:৩০ করে ওহ ঘুম থেকে উঠে,ফ্রেশ হয়ে নীচে নামে।
বাড়িতে অনেকেই চলে এসেছে।রিতার মাও এসেছে।
তরী- মা খেতে দাও।
মা- এখন কিছু পাবি না আগে রান্না শেষ হোক ,তারপর পাবি।
তরী- আমার খিদে লেগেছে সকাল থেকে কিছু খাইনি।
রিতার মা- দিদি ওকে কিছু দিয়ে দাও না।
তরী- আন্টি কখন এলে।
রিতার মা- অনেকক্ষন তখন তুই ঘুমাচ্ছিলি।
তরী- ওহ,মা খেতে দাও।
তরীর মা তরীকে একটা প্লেট এনে দেয় তাতে স্যান্ডউইচ আছে।
তরী- এগুলো কি
মা- এগুলো খা, চুপচাপ রান্না হচ্ছে,রান্না শেষ হলে খাবার পাবি।
তরী- আন্টি দেখেছো কেমন অত্যাচার করছে।
রিতার মা- আ দিদি ওর সাথে এমন করছো কেন।
মা- এখন কিছু নেয়।
রিতার মা- আচ্ছা তরী মিস্টি খাবি
তরী-না কিছু খাবো না।
তরী রাগ করে চলে যায় নিজের ঘরে, কিছু ক্ষন পর ওর মা আসে ওর রুমে ,তরী উপর হয়ে শুয়ে আছে বিছানায়।
মা- ওই ওঠ
তরী- ভালো লাগছে না।
মা- ওঠ বলছি।
তরী উঠে বসে দেখে ওর মায়ছর হাতে একটা খাবারের প্লেট ভাত,ডাল,আরো অনেক কিছু।
তরীর মা তরীর সামনে বসে,একটা খাবার লোকমা তরীর মুখের সামনে তুলে ধরে,তরী খিদেতে থাকায় ভাতগুলো খেতে লাগলো।
খাওয়া শেষে,
মা- পেট ভরেছে
তরী-হুম।
বিকালবেলা…….
আরু,অদ্রি,অদ্রির বর,আর ওদের কয়েকজন কাজিন এসেছে হলুদের তত্ত নিয়ে।
তরী আর রিতাকে স্টেজে বসানো হয়, তরী আর রিতাকে হলুদ শাড়ি,লাল পাড়,লাল ব্লাউজ পড়ানো হয়েছে,গায়ে তাজা ফুলের গহনা।দুজনকে পুরো হলুদ পরি লাগছে।
আরু- তরী,রিতা তোদের তো পুরো পরি লাগছে দাঁড়া সেলফি তুলে দাদাদের দেয়।
আরু সেলফি গুলো নিয়ে আরুশ আর আর্দ্র কে পাঠিয়ে দেয়।
হলুদের অনুষ্ঠান চালু হয়, তরীর মা তরীকে আর রিতাকে হলুদ ছোঁয়ায়। ওদিকে আরুশ আর আর্দ্র এর হলুদ হয়।
রাত্রিবেলা….
আরুশ- হ্যালো
তরী- হুম বলো
আরুশ- আজকে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছিলো।
তরী- তুমি দেখলে কি ভাবে,আরু ছবি পাঠিয়েছিলো।
আরুশ- হুম।
তরী- ওহ
আরুশ- তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।
তরী- চলে এসো কাল যেমন আর্দ্র করলো।
আরুশ- মানে।
তরী- আর মানে কালকে আমি ঘুমাতে গিয়ে দেখি রিতা ঘুমাতে পারছে না,আমি আমার ঘুম যাবো বলে রেডী হচ্ছি, আর্দ্র মেসেজ করে বললো ফোন করতে
তরী- হ্যালো
আর্দ্র- ওই পেছনের দরজাটা খোল
তরী- কেন
আর্দ্র- আমি দাঁড়িয়ে আছি এখানে।
তরী- কেন
আর্দ্র- আয় বলছি।
তরী তাড়াতাড়ি করে গিয়ে দেখে আর্দ্র দাঁড়িয়ে আছে।
তরী- তুমি এখানে
আর্দ্র- ঘুম আসছিলো না তাই
তরী- পাগল হয়েছো
আর্দ্র- হুম
আর্দ্র সোজা তরীর ঘরে গিয়ে ওর বিছানায় শুয়ে পড়ে।
তরী- এখানে শুয়ে পড়লে কেন
আর্দ্র- ঘুমাবো, তুই অন্য কোথাও যা।
তরী- আমি পারবো না।
আর্দ্র- প্লিজ
তরী- ওকে।
আরুশ- তারপর
তরী- তারপর আর কি আমি বসার ঘরে সোফায় শুয়ে পড়লাম। সারারাত ঘুম হয়নি।
আরুশ- ওহ।তাহলে ঘুমাও
তরী- হুম।
তরী ফোনটা কেটে দিয়ে ,শুতেই আর্দ্র এর ফোন
তরী- হ্যালো।
আর্দ্র যা বললো তাতে তরী রেগে বোম..
#চলবে….