#হৃদয়ের বন্ধ
#পর্ব : 9
#লেখিকা:Afshana Afrin
“”” কনফারেন্স রুমে তিন ঘন্টা হয়ে গেছে অর্নব আসছে না তখনি অর্নবের পিএ এসে তোর্সা কে বলে মেডাম স্যারের আরো দুইটা কনফারেন্স আছে বিদেশ থেকে ক্লাইন্ট আসছে সন্ধ্যা হয়ে যাবে আপনাদের বলেছে বাসাই চলে যেতে স্যার পিক করে নিবে তোর্সাকে উদ্দেশ্যে করে বলে অর্নবের পিএ।।তোর্সা মাথা নারিয়ে অরন্য কে নিয়ে গাড়ীতে উঠে পরে। গাড়ীতে উঠে তোর্সা অর্নব কে ম্যাসেজ করে যানিয়ে দেই বাসাই চলে যাচ্ছে সাথে ড্রাইভার আছে চিন্তা না করতে। গাড়ী বাসার সামনে পৌঁছাতে তোর্সা অরন্যর কে নিয়ে ভিতরে চলে যাই। কিছু কন পর অর্নব রিপলাই করে সরি ডেয়ার ইমপোর্টেন্ড কাজ পরে গেছে সন্ধ্যায় বের হবো। তোর্সা হেসে রিপলাই দেই ডোন্ট ওয়ারি আপনি কাজ শেষ করেই আসেন।
****সন্ধ্যা সাতটায় অর্নব আসতেই তোর্সা মুচকি হেসে দরজা খুলে দেই। অর্নব তোর্সার মুখে হাসি দেখে অবাক হয়ে পশ্ন করে কি ব্যাপার মেম হঠাৎ এতো খুশি তোমাকে দেখে বউ বউ ফিলিংস আসছে অর্নবের কথা শুনে তোর্সা বলে সব সময় আজে বাজে কথা উপরে গিয়ে ফ্রেশ হবেন চলেন বলেই তোর্সা উপরে উঠে যাই অর্নব ও পিছনে যাই। তোর্সা রা রেডি হয়ে নীচে নেমে আসে। তোর্সার আর অরন্য বাহিরে গিয়ে দেখে অর্নব দাঁড়িয়ে গাড়ীর কাছে। তোর্সা কে দেখে অর্নব অবাক হয়ে চেয়ে আছে নরমাল একটা কালো রং এর থ্রিপিস পড়েছে জর্জেট উরনাটা গলায় ফেলে দেওয়া ঠুঁটে হালকা লিপস্টিক সিল্কি খুলা চুল এতে যেন তোর্সার সৌন্দর্য ওপরে পরছে। তোর্সা অর্নব কে খেয়াল করে দেখে ওর দিকে চেয়ে আছে! আরেকটু খেয়াল করে দেখে অর্নব কালো শার্ট পরছে তোর্সা বির বির করে বলে মেয়েদের দেখানোর জন্য এতো সাজ আবার তিন বোতাম খুলা।
অর্নব তোর্সা কে পশ্ন করে যাবে না? তোর্সা বলল হুম চলেন বলেই অরন্য কে নিয়ে ভিতরে ডুকে যাই আর অর্নব পাশে ড্রাইভিং সিটে বসে পরে। গাড়ী স্টার্ট দেওয়ার আগে তোর্সা বলে ওয়েট। অর্নব তোর্সার দিকে জিজ্ঞাসা দৃষ্টিতে থাকায় । তোর্সা অর্নবের একদম কাছে গিয়ে দুইটা বোতাম লাগিয়ে দিয়ে কিছুটা রেগে বলেণ লুচ্চা তো এমনি বলিনা কে বলেছে কালো পরতে আপনাকে হুম আবার তিন বোতাম খুলা মেয়ের নিজের জীম করা সুন্দর বুক দেখানোর খুব শক না? অর্নব চোখ ছোট ছোট করে বলে বিশ্বাস করো এমন কোন ইনটেন্সন নেই তুমি ছারা অন্য কাউকে পাগল করার ইচ্ছা নেই বলেই গাড়ী স্টার্ট দেই।
শপিং মলের সামনে আসতেই গার্ড রা দৌড়ে এসে ভিতরে নিয়ে যাই। নিজেদের চার দিকে এতো গার্ড দেখে তোর্সার নিজেকে হিরোইন মনে হচ্ছে। অরন্যর দুই হাতের আঙ্গুল দুই জন ধরে আছে। ভিতরে ডুকতেই ম্যানেজার দৌড়ে এসে ওয়েল কাম করে। তোর্সা অর্নব কে উদ্দেশ্যে করে বলে অরন্য কে একদম হাত ধরে রাখবেন। অর্নব বলে জি মেম আপনার দেবর কে আমি রাখছি আপনি কিনেন। তোর্সা অরন্যর কে আর অর্নব কে নিয়ে ছেলেদের স্টলে যাই। অরন্য আর অর্নব এর জন্য সেইম কালার দুইটা নীল সুট একটা ছোট একটা বড়ো আর সাথে তোর্সার জন্যে মেচিং নীল শাড়ী অবশ্যই অর্নবের পছন্দে। তোর্সা অরন্যর আর অর্নব এর জন্য আরো কয়েক টা জিন্স শার্ট গেন্জী কিনে সেইম কালার আর অর্নব তোর্সার জন্যে জিন্স টপ থেকে শুরু করে থ্রিপিস অব্দি নেই। প্রাই চার ঘন্টা শপিং করে ওরা। শপিং করতে করতে রাত 11 টা বেজে যাই। অর্নব দুইজন গার্ড কে বলে ব্যাগ গুলো গাড়ীতে তুলতে। অর্নব রা বের হওয়ার সময় ম্যানেজার নীজে বাহিরে এ গিয়ে দিয়ে আসে। অর্নব তোর্সা কে বলে চলো ডিনার করে নেই। তোর্সা বলে নো অরন্য ঘুমিয়ে গেছে আপনি বরং অর্ডার করে দিন বাসাই খেয়ে নিবো এখন গেলে আমার বাচ্চাটার ঘুম নষ্ট হবে। তোর্সার কথা শুনে অর্নব মুচকি হাসে আর ভাবে সব ভাইয়ের বউ এক হয়না কিছু ভাবীরা মা ও হয়। অর্নব আর কিছু না বলে গাড়ী স্টার্ট দেই। বাসাই পৌছে অর্নব অরন্য কে নিজের কুলে তুলে উপরে উঠে যাই। রুমে নিয়ে অরন্য কে শুয়ে দেই।
অরন্য কে শুয়ে দিয়ে অর্নব পাশে বসে পরে কারন চারটা কনফারেন্স এক টানা আবার এতো কন হাঁটা। তোর্সা বিষয় টা বুজতে পেরে অর্নবের কাছে এসে হাতে টাওয়াল ধরিয়ে দিয়ে শরীরে দেওয়া শার্ট টা খুলতে থাকে। অর্নব দুষ্টমি করে বলে চিৎ জান শার্ট কেন খুলছো আমি খুব ক্লান্ত এনার্জি নেই আজকে কিছুই করতে পারবো না কালকে করবো যা চাও! অর্নবের কথার মানে বুজতে পেরে তোর্সা বলে অসভ্য লুচ্চা ঠোঁট কাটা একটা ! আমার ভুল উপকার করতে যাওয়া কিছুই আটকায় না মুখে। তোর্সার মুখের এক্সপিরিয়েন্স দেখে অর্নব হেসে ওয়াশ রুমে ডুকে যাই।
কিছু কন পর খাবার চলে আসে। অর্নব বের হতে হতে তোর্সা খাবার দুই তালে সাজিয়ে নেই। প্রতিদিনের মতো তোর্সা কে জ্বালিয়ে অর্নব খাওয়া শেষ করে। খাওয়া শেষ করে দুই জন উপরে চলে যাই।
অর্নব রুমে ডুকে কাউকে ফোন করে । অপর পাশ থেকে লোকটি বলে sir কাগজ রেডি।।অর্নব বলে গুড কাল এটা নিয়ে চলে আসবেন কেউ যেন না দেখে আমাকে এনে দিবেন। অপর পাশের লোকটি আচ্ছা বলে । অর্নব ফোন কাটে ঠুঁটে রহস্যময় হাঁসি
চলমান…….
#হৃদয়ের বন্ধ
#পর্ব:10
#লেখিকা:Afshana Afrin
“”” আজকে অর্নবের জন্মদিন সেই উপলক্ষ্যে পুরো বাসা কে অর্নব নাইট ক্লাবে পরিনত করেছে। সকাল থেকে অর্নব আর তোর্সা অরন্যর জন্য ওর পছন্দের জিনিস এনে দিচ্ছে পছন্দের খাবার বানিয়ে দিচ্ছে।
সন্ধ্যা সাত টা আস্তে আস্তে লোক আসতে শুরু করেছে অর্নবের পিএ তাদের ওয়েলকাম করছে আর উপরে অর্নব রা রেডি হচ্ছে। অর্নব তোর্সার পছন্দে কিনা কালো সুট পরে অরন্য ও সেইম। দুই ভাই রেডি হয়ে এক ঘন্টা ধরে তোর্সার জন্যে অপেক্ষা করছে। অবশেষে দেড় ঘন্টা পর পাক্কা 8:30 এ বেরিয়ে আসে তোর্সা। তোর্সা কে দেখে অর্নব এর হুঁশ জ্ঞান চলে গেছে। ইন্ডিয়ান নায়িকাদের মতো হাতা কাঁটা ব্লাউজ পেছনে বড়ো গলা চিকন করে আচল দিয়ে কমরে বিছা। কানে বড়ো দুল কুলা চুল পার্টি মেকাব এক কথায় আগুন সুন্দরী এমনি তে তোর্সা সুন্দরী সাজলে কথাই নেই।
তোর্সা এতো কন ধরে অর্নবের চাউনি দেখে ভ্রু কুঁচকে বলে জীবনে মেয়ে মানুষ দেখেন নি এমন ছরিএ হীন পুরুষ দের মতো নজর দিচ্ছেন কেন? অর্নব অরন্য কে বলে সোনা বাচ্চা আদি চাচ্চু কাছে যাও নীচে ,, অরন্য দৌড়ে নীচে চলে যাই। অর্নব এবার উঠে তোর্সার কাছে গিয়ে কমরে ধরে নীজের বুকে টেনে নিয়ে আসে আর দুষ্টমি করে বলে এতো হট সুন্দরী বউ যদি চোখের সামনে এই ভাবে ঘুরে তাহলে ছরিএ হীন দের মতো নজর হওয়া কি স্বাভাবিক না? তোর্সা বলে কি? বিয়েই তো হয়নি বউ কিসের অর্নব বাবু? অর্নব রহস্যময় হাঁসি দিয়ে তোর্সা কে ছেরে দিয়ে বলে আজকেই দেখতে পাবে। তোর্সা প্রশ্ন করে কি? অর্নব উত্তর দেই সেটার জন্য না হয় অপেক্ষা করো কিছু কন। অর্নব তোর্সা কে উদ্দেশ্যে করে বলে তুমি দুই তিন দিন ধরে দেখছি আমার খুব কাছে আসছো প্রেমে পড়ে গেছো নাকি? তোর্সা অর্নবের দিকে তাকিয়ে রহস্যময় হাঁসি দেই যার মানে অর্নব বুজতে পারে নি।
আদির ফোন পেয়ে অর্নব আর তোর্সা নিছে নেমে দেখে সবাই এসে গেছে অর্নবের বাবা আর সৎ মা । অর্নব তোর্সার হাত ধরে কানে কানে বলে পার্টিতে একদম নরমাল কাপাল দের মতো থাকবে প্লিজ! তোর্সা অর্নবের বহু জরিয়ে ধরে বলে ডোন্ট ওয়ারি আমি সামলে নিবো।
অর্নবের পাশে অতি সুন্দরী একটা মেয়ে দেখে অবাক আরিশ চৌধুরি আর নীলিমা চোধুরি কোন হেল দোল নেই। অর্নব বিষয় টা লক্ষ্যে করে রহস্য ময় হাঁসি দেই। আরিশ চৌধুরির কুল থেকে অর্নব অরন্য কে নিয়ে নেই। আরিশ চৌধুরি অর্নব কে পশ্ন করে কে এই মেয়ে? অর্নব ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে উওর দেই আপনাকে বলতে বাধ্য না। পার্টিতে এসেছেন ইনজয় করোন বাবা গিরি দেখাবেন না বলেই চলে যাই।
পার্টি শুরু হয় অর্নব আর তোর্সা অরন্যর হাত ধরে কেক এর সামনে নিয়ে যাই। যেই কেক কাটবে তখনি আদি এসে বলে sir সাংবাদিক এসেছে আপনার আর তোর্সা মেডাম এর বিষয় যানতে চাই । আদির কথা শুনে অর্নব বাঁকা হেসে নীলিমা চোধুরি দিকে তাকিয়ে বলে আসতে বলো। আদি অবাক হয়ে বলে sir সত্যি বলছেন? অর্নব বলে হুম বলো আসতে। আদি যেতেই মিডিয়ারা চলে আসে ভিতরে। এই বার সবাই একে একে প্রশ্ন করে অর্নব কে তোর্সার সাথে কি রিলেশন। এক জন রিপোর্টার বলে আপনার মতো এতো বড়ো বিজনেসম্যানের বাসাই একটা সুন্দরী যুবতী কে এই মেয়ে? কি হয় আপনার? বউ নাকি লিভিং করছেন? অর্নব ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে একটাও না। আরেক জন রিপোর্টার বলে তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই বাসাই আছে উনি নাকি আপনি ফুর্তি করেন মেয়ে নিয়ে। অর্নব রাগে হাত মুঠো করে নেই। তোর্সা হাত ধরতেই অর্নব তাকিয়ে দেখে তোর্সার চোখ চল চল করছে। নীলিমা চৌধুরি মাঝখান দিয়ে বলে কি আর হবে বুজেন না রক্ষিতা। নীলিমা চৌধুরি কথা শুনে অর্নব চেঁচিয়ে বলে ইনাফ ইজ ইনাফ সবাই আপনার মতো নষ্টা চরিএ হীনা নয় বা আপনার স্বামীর মতো ছরিএ হীন না রক্ষিতা রাখবে । আপনি যেমন আরিশ চৌধুরি রক্ষিতা তাই সবাই কে এক ভাবেন। তোর্সা আমার বিয়ে করা বউ আইনি ভাবে বিয়ে হয়েছে। এক কোটি টাকা কাবিনের বউ আমার এই যে এটা তার প্রমান বলেই একটা কাগজ খুলে দেই সবার সামনে । কাগজে সপষ্ট দুই জনের সাইন উকিলের সাইন। এবার উকিল উঠে বলে আমি রেজিস্টি করেছি উকিল এর পরে আদি আর ওর গালফেন্ড নিধি বলে আমি আর আদি হলাম বাকি দুই সাক্ষী। ওদের কথা শুনে নীলিমা মনে মনে বলে কি হলো এটা অর্নব উল্টা ছাল দিলো। অর্নব নীলিমা চৌধুরি দিখে থাকিয়ে শয়তানি হাসি দেই। রিপোর্টাররা সবাই অর্নব কে সরি বলে। অর্নব চেঁচিয়ে বলে সরি মাই ফুট আমার বিষয়ে এই রকম নিউজ করার আগে ভাবা উটিত ছিলো কার বিরুদ্ধে নামছেন। অর্নব আদি কে উদ্দেশ্যে করে বলে ওদের নামে মানহানি মামলা দাও আর এদের দশ জনের কারো যেন জব না থাকে। অর্নবের কথা শুনে সবাই পায়ে ধরে বলে স্যার মাফ করে দিন নীলিমা চৌধুরি কথাই করেছি সব উনি অনেক টাকা দিয়েছে প্লিজ কিচু করবেন না চাকরি গেলে আমরা শেষ। অর্নব ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে নীলিমা চৌধুরি দেখবে আপনাদের আমার কাছে অন্যায়ের মাফ নেই। অর্নব আদি কে বলে ভোরের আলো অফিসে ফোন করো ওই অফিসের সি ও আরমান মির্জা কে বলো অর্নব চৌধুরি যেই দশ জনের নাম দিচ্ছে সবাই কে বের করে দিন না হলে কালকে আর অফিস থাকবে না আর গার্ড দের বলো ওদের বের করে দিতে। আদি অর্নবের কথা শুনে সব টাই করে এরপর কেক কেটে পার্টি শেষ করে সবাইকে বিদায় দেই নীলিমা চৌধুরি আর আরিশ চৌধুরি কে থাকতে বলে।
অর্নব নীলিমা চৌধুরি সামনে এসে বলে সো সেড স্টেপ মাদার ছেয়ে পারেন নি আমার বদনাম করতে আফসোস আপনি হয়তো ভুলে যাচ্ছেন আমি আপনার স্বামীর মতো কাঁচা খেলোয়াড় না আমি আগেই বুজতে পেরেছি এমন কিছুই হবে সেই জন্য তো আমাদের রেজিস্টি পেপার নিয়ে আসি যানতাম মুখের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। অর্নবের কথা শুনে নীলিমা চৌধুরি মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অর্নব এবা আরিশ চৌধুরি সামনে গিয়ে বলল আপনার রক্ষিতা কে বলে দিবেন আমার সাথে না লাগতে ফল ভালো হবে! এই মুহূর্তে আমার বাসা থেকে বের হয়ে যাবেন আউট। অর্নবের ধমক শুনে আরিশ চৌধুরি আর নীলিমা চোধুরি চলে যাই। যাওয়ার আগে অর্নব কে উদ্দেশ্যে করে নীলিমা চৌধুরি বলে দেখে নিবো তোমাদের বলেই হন হন করে বেরিয়ে যাই।
এতো কন তোর্সা ছিলো নীরব দর্শক। অর্নব তোর্সা দিকে তাকিয়ে বলে আমি যানি তুমি কি যানতে চাইবে সব বলবো। অর্নব তোর্সার উদ্দেশ্যে বলে এতো কিছু হলো তুমি রিয়েক্ট করলে না কেন বিয়ের কথা শুনে তো রেগে যাওয়া উচিত ছিলো। তোর্সা শান্ত দৃষ্টিতে অর্নব কে উওর দেই আমি আরো চার দিন আগেই যেনেছি বিয়ের কথা! তোর্সার কথা শুনে অর্নব চেঁচিয়ে বলল কিইইই তাহলে এতো শান্ত কি করে ছিলে? তোর্সা অর্নব কে বলে আপনার একবার ও মনে হয়নি এই তিন চার দিন ধরে আমি কেন আপনার এতো ক্লোজ হচ্ছি? অর্নব উত্তর দেই নাতো কিছুই মনে হয়নি। তোর্সা অর্নব কে আবার ও বলে আমি যানতাম আপনি আমার স্বামী আইনগত ভাবে তাই তো আমি আপনার কেয়ার করেছি,,,, যাই হোক এইবার অন্ততো আপনি বলেন তো আপনার বিষয়ে। অর্নব তোর্সাকে উদ্দেশ্যে করে বলল সব বলবো আগে বলো তুমি কি বিয়েটার জন্য রেগে আছো? তোর্সা উওর দেই না! আমি যানতাম একটা যুবক যুবতি একটা বাসাই থাকলে ঠিক এই রকম পশ্ন উঠবে,,, আর আপনি ভুল তো করেন নি আজ যদি সত্যি রেজিস্টি কাগজ না থাকতে তাহলে সবাই আমার চরিএ হীনা বলতো।
অর্নব তোর্সার হাত ধরে বলল আমি বেঁচে থাকতে অরন্যর ভাবী আম্মুর অপমান কিছুতেই হতে দিবো না। তোর্সা অর্নবের কথা শুনে উওর দেই আমি সেটা যানি আর আজকে বিশ্বাস ও হলো।
চলমান……….