#হৃদয়ের বন্ধ
#পর্ব:14
#লেখিকা:Afshana Afrin
“””” দেখতে দেখতে কেটে যাই আরো এক মাস। অর্নব অফিস সামলাই তোর্সা অরন্যকে সামলাই। হাসি খুশির মাজে চলছে অর্নব তোর্সার সংসার। রাত দশটায় ব্যালকনিতে দারিয়ে আকাশ দেখছে অর্নব,,,, তোর্সা পেছন থেকে অর্নব কে জরিয়ে ধরে। অর্নব তোর্সাকে সামনে এনে জড়িয়ে ধরে বলে ঘুম ভেঙ্গে গেছে? তোর্সা অর্নবের বুকে মুখ গুঁজে বলল তুমি উঠে আসছো তাই তো আমি উঠে গেছি । অর্নব এই বার তোর্সাকে বুক থেকে তুলে সামনে ঘুরিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে কাঁধে থুতনি রাখে। তোর্সা চোখ বন্ধ করে অনুভব করে অর্নব কে। হঠাৎ ফোনের শব্দে বিরক্ত হয়ে তোর্সা কে ছেরে ফোনের স্কিনে চোখ দেই দেখে আদি,,,, অর্নব একটু ভাবুক হয়ে ফোনটা রিসিভ করতে বলল sir বড়ো sir স্টোক করেছে আইসি ইউ তে আছে আপনি তাঁরা তারি আসেন বলেই ফোন কেটে দেই। আদির কথা শুনে কোন হেলদুল নেই অর্নবের। তোর্সা জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে অর্নব? অর্নব ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে আরিশ চৌধুরি স্টোক করেছে আইসি ইউ তে আছে! তোর্সা চেঁচিয়ে বলে কিইই তুমি এখন ও স্বাভাবিক কি করে? অর্নব ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলে তো কি করবো? তোর্সা অর্নব কে পশ্ন করে তুমি যাবে না? অর্নব উওর দেই না। তোর্সা এই বার অর্নবের গালে হাত রেখে বলে honey প্লিজ আমার কথা শুনো যতোই খারাপ হোক উনি বাবা হয় তোমার না গেলে খারাপ দেখায়! প্লিজ অর্নব চলো দুই জন যাই অরন্য কে নিয়ে আমার কথা রাখবে না? অর্নব তোর্সার হাতের উপর হাত রেখে বলে ওকে অরন্য কে কুলে নাও রেডি হও বলেই অর্নব রুমে যাই তোর্সা ও পেছনে যাই। তোর্সা নাইটি পাল্টে কালো সালোয়ার কামিজ পরে নেই অর্নব জিন্সের উপর কালো শার্ট অরন্য কে একটা কালো শার্ট পরিয়ে কুলে তুলে গাড়ীতে বসিয়ে দেই।
অরন্য তোর্সা কে পশ্ন করে ভাবি আম্মু আমরা কোথায় যাচ্ছি? তোর্সা বলে বাবা কে দেখতে সোনা! অরন্য চেঁচিয়ে বলে নো উনি পচা যাবোনা! তোর্সা বলে এইসব বলতে নেই বাবা উনি বাবা হয় তোমার পচা বলে না হুম। অরন্য বলে ওকে ফাইন বলবো না।
অর্নবের গাড়ী হসপিটালে চলে আসে। অর্নব গাড়ী পার্ক করে তোর্সা আর অরন্য কে নিয়ে ভিতরে ডুকে। অর্নব কে দেখে আরিশ চৌধুরি পিএ রায়হান অর্নবদের ভিতরে নিয়ে যাই । অর্নব ডুকে দেখে আরিশ চৌধুরি বি আই পি কেবিনে শুয়ে আছে। অর্নব দের দেখেই উনি উঠে বসে। অর্নব ফর্মালিটি পূরন করার জন্য বলল কেমন আছেন এখন? আরিশ চৌধুরি বলে এই তো যেমন দেখছো! আমি যানি আমি তোমাদের দুই ভাই আর তোমাদের মায়ের সাথে অন্যায় করেছি! যার জন্য ক্ষমা চাইলে ও হবে না এর থেকে বড়ো কিছু থাকলে পাপ মোচন হতো। যদি পারো আমাকে মাফ করে দিও….. আর অরন্যর কথা কি বলবো ওকে তুমি কতো টা ভালোবাসো যানি আমি ওর জন্য চিন্তা নেই। এই বার আরিশ চৌধুরি অরন্য কে বলে বাবার কুলে আসো না এক বার,,,, অরন্য বলে নো তুমি ভালো না আই হেট ইউ! অরন্যর কথা শুনে আরিশ চৌধুরির চোখে জল চলে আসে সে যে কতো বড়ো পাপী বুজতে পেরেছে যার জন্য ছোট বাচ্চাটা ও দেখতে পারে না। তোর্সা এই বার অরন্য কে উদ্দেশ্যে করে বলে সোনা বাচ্চা তুমি না আম্মু কে খুব ভালোবাসো আম্মু যা বলবো শুনবে? অরন্য উওর দেই ইয়েস ভাবি আম্মু বলো। তোর্সা বলে সোনা বাবার কাছে যাও,,,,, যদি তুমি না যাও আম্মু চলে যাবো। অরন্য বলে নো নো আমি যাচ্ছি তুমি যাবে না বলেই আরিশ চৌধুরি কুলে যাই…..আরিশ চৌধুরি অরন্য কে বুকে জরিয়ে ধরে বলে একবার বাবা বলতে। অরন্য কিছু না ভেবে বলে বাবা! আরিশ চৌধুরি এইবার কেঁদে দেই। অর্নব ও আড়ালে চোখেরজল মুচে নেই। অর্নব এইবার অরন্য কে নীজের কুলে তুলে বলল ভালো থাকবেন আর ভাববেন না আপনার জন্য ভালোবাসার টানে এসেছি আমি শুধু তোর্সার কথা রাখতে এসেছি আপনাকে ভালোবেসে আসিনি বলেই অরন্যর নিয়ে বাহিরে যাই। অর্নব যেতেই আরিশ চৌধুরি তোর্সার মাথায় হাত বুলিয়ে বলে মা আমি যানি আমি ক্ষমার অযোগ্য তবুও অর্নব কে বলবে মাফ করে দিতে। তোর্সা বলে চিন্তা করবেন না অঙ্কেল আমি বুজাবো অর্নব কে। আরিশ চৌধুরি চোখের জল মুচে বলে তোমাকে ধন্যবাদ মা তোমার জন্য অর্নব এসেছে তুমি ওদের আগলে রেকো। তোর্সা বলে চিন্তা করবেন না আমি আছি তো এখন আসি রাত অনেক হয়েছে অরন্য ঘুমাবে বলেই বেরিয়ে যাই।
*****বাসাই ডুকে অরন্য কে ঘুম পারিয়ে দেই তোর্সা। অর্নব ভিতরে রুমে চলে গেছে,,,,তোর্সা বুজতে ই পেরেছে অর্নব যতোই রাগ দেখাক ও কষ্ট পাচ্ছে। অরন্যকে শুয়ে দিয়ে তোর্সা ভিতরের রুমে ডুকে যাই। গিয়ে দেখে অর্নব মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। তোর্সা গিয়ে অর্নবের পাশে বসে অর্নবের মাথায় হাত রাখে অর্নব মাথা তুলে তোর্সার দিকে তাকিয়ে তোর্সা কে জড়িয়ে ধরে। তোর্সা অর্নবের মাথায় হাত রাখে,,,,,, কিছু কন পর তোর্সা বলে Honey ঘুমাবে চলো শুয়ে পরি। অর্নব মাথা নাড়িয়ে শুয়ে পরে তোর্সা অর্নবের পাশে শুয়ে পরে। অর্নব তোর্সার বুকে মুখ গুঁজে দেই তোর্সা অর্নবের চুল টেনে দেই কিছু কন পর দুই জন ঘুমিয়ে যাই……
সকাল বেলায় ফোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যাই তোর্সার। ফোনের রিসিপ করতেই অপর দিকের কথা শুনে ফোন টা পরে যাই…….
চলমান………..