# হৃদয়ের বন্ধন
#পর্ব:16
#লেখিকা:Afshana Afrin
“””” সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না নিজের মতো করে চলে যাই আর পাল্টে যাই সব কিছু। তেমনি আরিশ চৌধুরির মৃত্যুর এক মাস হতে চলছে…. সবাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। অর্নব এখন স্বাভাবিক সংসার আর নিজের বিজনেস সামলাই আর অরন্যকে প্লে তে ভর্তি করানো হয়েছে। তোর্সা সকাল সকাল রান্না করে দুই জন কে খাইয়ে অর্নবের সাথে চলে যাই অরন্যকে নিয়ে তার স্কুলে অর্নব তাঁদের নামিয়ে অফিসে চলে যাই।
এই দিকে নীলিমা চৌধুরি আরিশ চৌধুরি সব সম্পত্তি প্লাস বিজনেস নিজের নামে করে নেই। অর্নব সেটা নিয়ে মাথা ঘামায় নি নীলিমা চৌধুরি মতো নীলিমা চৌধুরি আছে। অর্নব দের মতো অর্নব রা। কারন অর্নব চাইনা কোন জামেলায় জরাতে।
“”””””আজ অরন্যর স্কুল বন্ধ তাই তোর্সা আর অরন্য ছাদের গাছে পানি দিচ্ছে অর্নব অফিসে। হঠাৎ করে তোর্সা মাথা ঘুরতে শুরু করে। তিন চার দিন ধরে এমন হচ্ছে আচমকা মাথা ঘুরে পরে যাই,,,,, তোর্সা পরার সাথে সাথে অরন্য ভাবি আম্মু বলে চিৎত্কার করে সাথে সাথে কাজের লোকরা সবাই আসে। অরন্যর ভাবি আম্মু বলে কান্না শুরু করেছে জড়িয়ে ধরে।
তোর্সা কে ধরে সার্ভেন্ট মহিলারা রুমে নিয়ে যাই আর এক জন ডক্টর কে কল করে অর্নব কে ফোন দেই। অসময়ে বাসার লেড লাইনের ফোন পেয়ে কিছুটা ভয় পেয়ে যাই অর্নব। তারা তারি করে ফোন রিসিভ করতেই অপর পাশ থেকে সার্ভেন্ট বলল sir ম্যাডাম মাথা ঘুরে ছাদে পরে গেছে। সার্ভেন্টের কথা শুনে অর্নব ফোন রেখেই তারা তারি করে বেরিয়ে যাই। অর্নব কে এই রকম পাগলের মতো ছুটতে দেখে অবাক সব লোক !তাদের বসের কি হলো? এক ঘন্টার রাস্তা অর্নব বিশ মিনিটে চলে যাই। বাসার সামনে এসেই তারা তারি করে গাড়ী থেকে নেমে লিফ্টে উঠে পরে।
বাসার ভিতর ডুকেই দৌড়ে নিজের রুমে যাই গিয়ে দেখে তোর্সা বেডে হেলান দিয়ে বসা অরন্যর জরিয়ে ধরে হেচকি তুলে কাঁদছে পাশে সার্ভেন্ট আর ডক্টর রা।
অর্নব তোর্সার কাছে গিয়ে গালে হাত রেখে উত্তেজিত হয়ে পশ্ন করে জান ঠিক আছো কি হয়েছে? তোর্সা আস্তে করে বলে ঠিক আছি চিন্তা করো না। অর্নব এইবার ডক্টর কে পশ্ন করে কি হয়েছে ডক্টর? ডক্টর হেসে বলে মিষ্টি খাওয়ান মিঃ চোধুরি! অর্নব চেঁচিয়ে বলে কিইইই আপনি পাগল নাকি আমার বউ অসুস্থ আর আপনি বলছেন মিষ্টি খাওয়াতে। ডক্টর হেসে বলে অবশ্যই খাওয়াবেন কারন আপনি বাবা হতে যাচ্ছেন। ডক্টরের কথা শুনে অর্নব অবাক কন্ঠে প্রশ্ন করে কি বললে আবার বলুন! ডক্টর বলে আপনি বাবা হবেন মিঃ চৌধুরি বলেই বেরিয়ে যাই। অরন্য উঠে সাইডে বসে অর্নব এক পাশে বসে তোর্সার হাত ধরে বলে তুমি শুনেছে জান আমি বাবা হবো আমাদের একটা ছোট বাচ্চা হবে। এরপর অরন্যর কে জরিয়ে ধরে বলে তুই চাচ্চু হবি অরন্যর আমাদের বাসাই একটা ছোট বেবি আসবে বলেই তোর্সা আর অরন্যকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দেই। তোর্সা অর্নবের পিঠে হাত বুলিয়ে বলে বোকা ছেলে এই ভাবে কাঁদতে হয় নাকি তোমার বেবি যদি শুনে বলবে বাবা বাচ্চাদের মতো কাঁদে। অর্নব চোখ মুছে বলে আর কাদবো না প্রমেস।
চলমান………