#হৃদয়ের বন্ধন
পর্ব:15
#লেখিকা :Afshana Afrin
“”” সকাল সকাল এই রকম একটা খবর শুনবে ভাবতে পারেনি তোর্সা! রাতে ঠিক ছিলো আরিশ চোধুরি আর সকালে তার মৃত্যুর সংবাদ এটাকেই বলে মরন কার কখন আসে কেউ যানে না। তোর্সা অর্নব কে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে ডেকে বলল অর্নব উঠো ,,,,, অর্নব ঘুম ঘুম কন্ঠে জবাব দেই পরে প্লিজ।
তোর্সা আবার বলে অর্নব তোমার বাবার বাসাতে যেতে হবে প্লিজ অর্নব উঠো। অর্নব এইবার উঠে গম্ভীর কন্ঠে উওর দেই তুমি যানো না আমি এই বাড়ির সীমানায় যাই না। তোর্সা অর্নবের হাত ধরে বলে প্লিজ অর্নব খুব জরুরি আর হয়তো যেতেও হবে না। অর্নব তোর্সাকে প্রশ্ন করে মানে! তোর্সা অর্নবের গালে হাত রেখে বলল অর্নব প্লিজ খুব জরুরি তুমি তো যানো আমি এমনি কিছুই বলি না আজকে যেতেই হবে ,,,,আর কেন বলছি গেলেই দেখতে পাবা প্লিজ অর্নব। অর্নব মাথা নাড়িয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে তুমি রেডি হও বলেই ওয়াশ রোমে ডুকে যাই। অর্নব যেতেই তোর্সা বির বির করে বলে সরি honey সত্যি টা বলতে পারলাম না আমি যানি তুমি তোমার বাবা কে কতো ভালোবাসো এই কথাটা এখনি বলা যাবে না গিয়ে না হয় দেখবে বলেই বিছানা থেকে নেমে অরন্যর রুমে যাই……….
অরন্যর রুমে ডুকে দেখে অরন্যর ঘুমিয়ে তোর্সা অরন্যর কপালে চুমু দিয়ে বলে আজকে বাবা ও তোমাদের রেখে চলে গেল পুরোপুরি এতিম হয়ে গেলে কি করে আমি সামলাবো তোমাদের বলেই দীর্ঘ শ্বাস ছেরে অরন্যর কে আস্তে করে ডাক দেই । অরন্য চোখ খুলে উঠে তোর্সা কুলে বসে গলা জরিয়ে ধরে। তোর্সা অরন্যর মাথায় চুমু খেয়ে বলে সোনা বাচ্চা ফ্রেশ হও আমরা এক জায়গাতে যাবো। অরন্য তোর্সা কে পশ্ন করে কোথায় যাবো? তোর্সা বলল দেখতেই পাবে এখন ভাইয়ার কাছে যাও রেডি হও। অরন্য অর্নবের কাছে চলে যাই তোর্সা নীচে গিয়ে খাবার আনে এক প্লেটে করে। রুমে এসেই দেখে দুই জন রেডি। তোর্সা ওদের পাশে বসে দুইজন কে খাইয়ে দিয়ে নিজে ও খাই কারন যানে আজকে অন্ততো অর্নব কে সারা দিনে খাওয়ানো যাবে না এই খবর যানার পর। খাবার শেষ করে তোর্সা দুই জনের মুখ মুচে দিয়ে দুই জন কে নিয়ে বেরিয়ে যাই।
আরিশ চৌধুরি বাসার সামনে এসে গাড়ী থেকে নামতেই দেখতে পাই অনেক মানুষ। অর্নব একটু অভাক হয়ে তোর্সা কে জিজ্ঞাসা করে এতো লোক কেন? তোর্সা হাত ধরে বলে চলো ভিতরে গেলেই যানতে পাবে বলেই ভিতরে যাই।
অর্নব আর অরন্য কে নিয়ে তোর্সা সাদা কাপড়ে ডাকা লাশের সামনে দাড়াই। অর্নব স্বাভাবিক ভাবেই তোর্সা কে পশ্ন করে এটা কে? তোর্সা অর্নবের হাত ধরে বলল honey হাইপার হবে না ডেড আর নেই! অর্নব বলে কিইইই? মানে? তোর্সা বলে ইয়েস এই যে ডেড বলেই এক জন লোক মুখের চাদর টা সরিয়ে দেই সাথে সাথে অর্নব দুই পা পিছিয়ে যাই।
তোর্সা অর্নবের হাত ধরে বসিয়ে দেই। এর মাজে নীলিমা চৌধুরি বলল আদিখ্যতা দেখাতে এসেছো স্বামী নিয়ে? তোর্সা রেগে আঙ্গুল তুলে বলল মুখ সামলে কথা বলেন এটা অর্নবের বাবা বাড়ি আপনার অনুমতির প্রয়োজন নেই অসভ্য মহিলা। নীলিমা চৌধুরি রেগে বলে থাপ্পর মেরে গাল লাল করে ফেলবো বেয়াদব মেয়ে! তোর্সা দাঁতে দাঁত ছেপে বলে আপনি বেয়াদব বয়সে ছোট হলে থাপ্পর মেরে দাঁত ফেলে দিতাম নোংরা পতীতা…… আরেকটা কথা বললে গাঢ় ধরে বাসা থেকে বের করে দিবো মাইন্ড ইট ।
কিছু কন পর আরিশ চৌধুরি সমস্ত কাজ সম্পন্ন করে জানাযার জন্য নিয়ে যাবে যেহেতু রাতে মরেছে। অর্নব পুরোটা সময় নির্বাক কোন কথা বলেনি শুধু এক নজরে তাকিয়ে ছিলো। কাটোলার সামনে ধরে বাবার লাশ কাঁদে নেই অর্নব জানাযা শেষ করে দাফন করা হয় আরিশ চৌধুরি কে। সবার যাওয়ার কিছু কন পর অর্নব চলে যাই। অর্নব কে আসতে দেখে তোর্সা এগিয়ে যাই সে কবর স্থানের বাহিরে ছিলো। অর্নব আসতেই তোর্সা হাত ধরে বলে চলো,,,, অর্নব কোন বাক্য উচ্চারণ না করে তোর্সার হাত ধরে চলে যাই। তোর্সা অর্নব কে পাশে বসিয়ে নিজে ড্রাইভ করছে অরন্য অর্নবের কাঁধে মাথা রেখে শুয়ে আছে। তোর্সা অর্নব কে নিয়ে আসার কারন নীলিমা চৌধুরি এই মহিলাকে একদম দেখতে পারে না।
বাসাই ডুকে অর্নব সোজা নিজের রুমে চলে যাই তোর্সা আদি কে ফোন করে অরন্য কে দিয়ে দেই আজকে অর্নব কে সময় দেওয়া প্রয়োজন।
অরন্য কে নিয়ে যেতেই তোর্সা রুমে ডুকে দেখে অরন্য ব্যালকনিতে দারিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। তোর্সা পিছন থেকে পিঠে হাত রাখতেই ঘুরে অর্নব । তোর্সা অর্নবের হাত ধরে ব্যালকনির সোপাতে বসিয়ে নিজেও পাশে বসে হাত বারিয়ে দেই ,,,,,??অর্নব মনে হয় এটার অপেক্ষায় ছিলো সময় নষ্ট না করে তোর্সা কে জড়িয়ে ধরে বুকে মুখ গুঁজে দেই। তোর্সা অর্নবের মাথায় হাত বুলিয়ে বলে নিজেকে স্বাভাবিক করো অর্নব অরন্যর জন্য আর আমার জন্য আমি যানি তুমি কষ্ট পাচ্ছো যতোই রেগে থাকো না কেন ডেড কে খুব ভালোবাসবো। তোর্সার কথা শুনে অর্নবের চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকে তোর্সা এটাই চেয়েছিলো অনেক কন পর অর্নব তোর্সা কে ছেরে দেই। তোর্সা অর্নব কে নিয়ে বিছানায় শুয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেই এক সময় দুই জন ঘুমিয়ে যাই।
চলমান …………