হৃদয়ের একূল ওকূল পর্ব-০১

0
912

#হৃদয়ের_একূল_ওকূল
************************
আমার দখলে যদিও বিএ পাসের একটা সার্টিফিকেট ছিল; কিন্তু ঐ সার্টিফিকেট আমার তেমন কোনও কাজে আসেনি। কয়েকটা অফিসে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম; কিন্তু কোথাওই শিকে ছেঁড়েনি। আবার কয়েকটা অফিস থেকে তো ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকই পাইনি। শেষে একটা চাকরি পেয়েছিলাম এলাকার এক ছোটো ভাইয়ের মামার দোকানে, মেলামাইন বোর্ডের সেলসম্যানের চাকরি। বেতন সাত হাজার, সাথে দুপুরের খাবার আর সন্ধ্যার নাস্তা। আমার বাসা থেকে দোকান মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটাপথের দুরত্বে। গাড়িভাড়ার কোনও ঝামেলা নেই। আমার কাছে মনে হলো, এই মুহূর্তে এটা আমার জন্য হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো একটা ঘটনা। কারণ বাসা থেকে প্রায়ই আমাকে খোঁচা দেওয়া হচ্ছিল, বসে বসে বাপের হোটেলে খাওয়ার কারণে। হোটেলটা বাপের একার হলে হয়ত এতটা খোঁচা শুনতে হতো না। সমস্যা হচ্ছে, বাপের হোটেলে, আমার বড়ো দুই ভাইও অর্থের জোগানদার। অবশ্য ভাইয়েরা আমাকে কোনোদিন কিছু বলেনি। যত কথা বলাবলি হতো, তার সবই আমার দুই ভাবী এবং মায়ের কাছ থেকেই আসতো।

ও আচ্ছা, আমার পরিবারের কথা একটু বলে নিই। আমরা তিন ভাই। বড়ো ভাই শরৎ, সরকারি চাকরি করছে। ভাবী নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে চাকরি করে। মেঝো ভাই হেমন্ত একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছে আর ভাবীর আছে বিউটি স্যালুন। তার স্যালুনটা ভালো চলে, এলাকার ভেতর বেশ রমরমা ব্যবসা জমিয়ে বসেছে। ছোটো হলাম আমি, বসন্ত। মানে আমি ছাড়া আর সবাই উপার্জন করে। একে তো পড়ালেখা শেষ করিনি, তার ওপর আরাম-আয়েশে তিনবেলা পেট পূজা চলছে, ভাবীরা এটাকে আর সহজভাবে নিতে পারছিল না। তাই তো সমনজারি হলো, এখানে থাকতে হলে, আমাকেও কিছু টাকা দিতেই হবে।

আচ্ছা আমাদের নামগুলো খুব কাব্যিক, তাই না? আমার বাবা একসময় খুব কবিতা লিখতেন। তাঁর অবস্থাটা এমন ছিল, তিনি কবিতার সঙ্গে থাকতেন, খেতেন, ঘুমাতেন। মানে যেই-সেই অবস্থা। বাবার এই কবিতা নিয়ে আদিখ্যেতা, মা একদম সহ্য করতে পারতেন না। বাবা, আমাদের কবিতা শোনাতে শুরু করলেই, মা এক ধমকে তাঁকে থামিয়ে দিতেন। বাবার কাচুমাচু মুখটা দেখে, তখন ভীষণ মায়া হতো। বাবার একটা কবিতার বইও আছে। বাবার নিজের টাকায়, বইটার তিনশো কপি ছাপানো হয়েছিল। সাতাশ কপি বিক্রি হওয়ার পর আর কোনও কপি বিকোয়নি। এরপর প্রকাশনী থেকে বইগুলো বাবাকে ধরিয়ে দেওয়া হলো। দু’শো তিয়াত্তরটি বইয়ের জন্য বাসায় একটা বেতের বুকশেলফ কেনা হলো। মা পাক্কা তিনদিন বাবাকে ইচ্ছেমতো বকাঝকা করেছিলেন। এরপর বাবার মাথা থেকে নেমে কবিতারা সব এদিক-ওদিক হারিয়ে গেল। বাবা কবিতা লেখা ছেড়ে দিলেন। বাবার সেই সময়ের মলিন চেহারা আর অসহায় আত্মসমর্পণ, আমাকে এখনও কষ্ট দেয়। যদিও আমি কখনোই কবিতা জিনিসটা পছন্দ করিনি। যাই হোক, বহুবছর ধরে বাবা, বাড়িতে আসা মেহমানদের হাতে একটা করে বইয়ের কপি ধরিয়ে দিতেন। তারপরও এখনও বুকশেলফে চল্লিশ-পঞ্চাশটার মতো কবিতার বই রয়ে গেছে।

আমি বাসায় ফিরে রাতে খেতে বসে চাকরির কথাটা বলতেই, আমার শিক্ষিত পরিবার রে রে করে উঠেছিল। বড়ো ভাই বলল, ‘তোমার জন্য এলাকায় মান-সম্মান সব খোয়াতে হবে দেখছি। এই ফ্যামিলির ছেলে হয়ে তুমি কী করে এই কাজ করতে চাও? দোকানের সেলসম্যান! এটাও একটা চাকরি হলো?’

বড়ো ভাবীও ভাইয়ার সঙ্গে কন্ঠ মেলাল, ‘তাই তো, তোমার কী আক্কেল-শরম বলতে কিছু নেই? তুমি একবারও আমাদের পজিশনটা চিন্তা করলে না?’

ছোটো ভাবী বলল, ‘আমার পার্লারে ভালো ভালো কাস্টমার আসা বন্ধ হয়ে যাবে। লোকজন বলবে, দোকানদারের ভাবীর পার্লার আর কতই বা ভালো হবে? বসন্ত, তুমি যে ঘরে বসে বসে খাচ্ছিলে, এটাও ভালো; কিন্তু দোকানদারি করতে গিয়ে আমাদের বিপদে ফেলে দিয়ো না।’

আমার চাকরির সঙ্গে ভাবীর কাস্টমারের কী সম্পর্ক, সেটাই আমি বুঝলাম না!

‘ছোটো ভাই বলল, ‘লেখাপড়াটা ভালোভাবে করলে, আজকে এমন ফ্যা ফ্যা করে ঘুরতে হতো না। অবশ্যই ভালো কোনো জায়গায় ঢুকে যেতে পারতে।’

আমি বাবা আর মা’র মতামতের জন্য অপেক্ষা করছি। বাবা বললেন, ‘একেবারে বোকার ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে, এই কাজে ঢুকে যাক। তারপর নাহয় ভালো কোথাও চেষ্টা করবে।’

বাবার কথা শুনে মা বললেন, ‘তোমার নিজের যেমন মানসম্মানের ভয় নেই, ছেলেকেও ঐ পথে টেনে নামাচ্ছ!’

মা’র কথা শুনে বাবা চুপ হয়ে যান। বড়ো ভাবী বলল, ‘কিন্তু চাকরিবাকরি না করে ঘরে বসে থেকে ওর কী অবস্থা হয়েছে, খেয়াল করেছ? শীতকালের হাঁসের মতো হয়ে গেছে একদম। চর্বি জমতে শুরু করেছে।’

বড়ো ভাই হালকা ধমক দিয়ে বলল, ‘তুলি, তুমি এসব কী বলো!’

‘যা বলছি, ঠিকই বলছি। তাই না আম্মা?’

আম্মা বললেন, ‘শরৎ শোন, তোর ঐ বন্ধুটা কোথায়? বিদেশে লোক পাঠায়, কী নাম যেন ছেলেটার?’

‘কামাল’ বড়ো ভাই বলল।

‘হুম, কামাল। তুই ওকে ধরে বসন্তকে বিদেশ পাঠিয়ে দে।’

বাবা বললেন, ‘বিদেশে গিয়ে কী করবে? দেশেই কোনও কাজ পাচ্ছে না, ওকে বিদেশে কে কাজ দেবে? তারচেয়ে এখানেই কিছু করার চেষ্টা করুক।’

বড়ো ভাই বলল, ‘এখানে কিছু হবে-টবে না, বাবা। আমি কামালের সঙ্গে কথা বলব৷ বসন্ত, তোর পাসপোর্ট আছে না? না থাকলেও সমস্যা নাই৷ কামাল সব করে দেবে।’

মা বললেন, ‘সেটাই ভালো হয়, কামাল ওকে বাইরে পাঠিয়ে দিক। পাসপোর্ট তো আছেই। খরচাপাতি কেমন হবে, জানিস নাকি?’

‘কামালকে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।’

বাবা বললেন, ‘বিদেশ গিয়ে যদি ঝাড়ুদার আর ক্লিনারের কাজ করতে হয়, তাহলে সেটা নিজের দেশেই করা ভালো। নিজের মানুষের সঙ্গে থাকা যাবে। একা লাগবে না। ও কী কখনও একা থেকেছে নাকি?’

বড়ো ভাবী বলল, ‘আব্বা, আপনার মাথা খারাপ হয়েছে নাকি! দেশের বাইরে সব কাজ করা যায়। সুইপারগিরিও করা যায়। কে দেখতে যাচ্ছে ওসব; কিন্তু দেশে এসব করা অসম্ভব।’

বাবা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, মা তাঁকে ধমক দিয়ে বললেন, ‘এই খাওয়া শেষ করে ওঠো তো তাড়াতাড়ি। আর কারও মতামতের দরকার নেই। শরৎ, তুই কামালের সঙ্গে আজকেই কথা বল।’

আমি মাথা নীচু করে খাওয়া শেষ করলাম। মাংস ভুনাটা শেষে খাব বলে, আগে শাকসবজী দিয়ে খেয়েছি; কিন্তু ‘শীতকালের হাঁস’ উপমা পাওয়ার পরে, হাত বাড়িয়ে মাংসের বাটিটা নিতে ভীষণ লজ্জা লাগল। আমার অবাক লাগছে, বাড়ির সবাই মিলে আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করছে, অথচ আমি কী চাই, এটা কেউ একবারও জানতে চাইছে না! এদেশে চাকরি পাওয়া,কত কঠিন, এটা কী এঁরা জানেন না? শুধুমাত্র একটা চাকরি নেই বলে, আমি সবার কাছে এতটাই ফেলনা! নিজেকে এখন দরজার সামনে রাখা পাপোশটার চেয়েও মূল্যহীন মনে হচ্ছে।

টেবিল থেকে উঠে যাওয়ার সময় বললাম, ‘মা আমি বিদেশ যেতে চাই না। আমি এখানেই কিছু একটা করব।’

‘বড়ো ভাই ধমক দিয়ে বলল, ‘কিছু একটা তো কয় বছর ধরেই করে যাচ্ছ। তোমার আর এখানে কিছু করার দরকার নেই। যা করার বাইরে গিয়ে করবে।’

‘আমি বাইরে গিয়ে কোন ভালো কাজ পাব? বাইরের দেশে আমাদের সার্টিফিকেটের কোনও দাম আছে? নিজের দেশেই তো এই সার্টিফিকেট মূল্যহীন।’

বড়ো ভাবী বলল, ‘বাইরে গিয়ে বাসন মাজছ না রাস্তা ঝাড়ু দিচ্ছ, সেটা কেউ দেখতে যাচ্ছে না। আর ঐসব দেশে ঝাড়ু দিলেও লাখ টাকা পাওয়া যায়, বুঝেছ? আমার এক কাজিন, ইটালিতে রেস্টুরেন্টে ক্লিনারের কাজ করে মাসে লাখ টাকার ওপর ইনকাম করে। অথচ দেশে এসে কী ডাঁটবাটে ঘুরে বেড়ায়। দেশে যে সব বন্ধুরা আগে ওকে পাত্তা দিত না, এখন তানজিম দেশে এলে, ওরা এসে ওর আগেপিছে ঘুরঘুর করে। এই তো দুইমাস আগে এসে, দশ-বারোজন বন্ধু নিয়ে সাজেক থেকে ঘুরে এল। সব খরচ তানজিমের। তাহলে বন্ধুরা ওর আগেপিছে ঘুরবে না কেন, বলো? দুনিয়ায় সব হলো টাকার খেলা। তোমার টাকা আছে তো সম্মান আছে। তোমার টাকা নাই তো দুই পয়সাও দাম নাই।

আমি আর কোনও কথা না বলে নিজের রুমে চলে এলাম।

————————

বন্ধুদের আড্ডায় কথাটা তুলতেই শোভন বলল, ‘মানে কী? তুই বিদেশ যাবি কেন? সুমনের মামার দোকানে ঢুকে পড়। কোনও বিদেশ যাওয়া-টাওয়া নাই।’

না রে দোস্ত, সুমনের মামার দোকানে কাজ করা যাবে না।’

‘তুই না কালকেই বললি, সুমনের মামার দোকানে জয়েন করবি। এক রাতের মধ্যে কী হয়ে গেল?’

‘ওখানে চাকরি করি, এটা বাসার কেউ চায় না।’

‘কেন? একদম কিছু না করে যখন বসেছিলি, তাঁরা তো তখনও কথা শোনাচ্ছিলেন। এখন তাহলে ওনারা না বলছেন কেন?’

‘বাসায় সবাই ভালো ভালো চাকরি করছে। আমি যদি মোলামাইন বোর্ডের দোকানে কাজ করি, তাতে সবার অসম্মান হবে।’

তপু বলল, ‘আর তুই যখন বিদেশে গিয়ে জুতা পলিশ করবি, তখন কিছু হবে না? তখন কারও মানসম্মান যাবে না?’

শোভন বলল, ‘তখন মানসম্মান যাবে কেন? তখন তো কেউ দেখবে না। যতসব ভন্ডের দল। স্যরি দোস্ত, তুই কিছু মনে করিস না। এইসব ভন্ডামি দেখলে, আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়।’

তপু বলল, ‘বসন্ত তুই এক কাজ কর, তুই মামার দোকানে কাজ শুরু করে দে আর বাসায় বলে দে, তুই কোনোভাবেই বিদেশ যাবি না। তোকে কী জোর করে কেউ বিদেশ পাঠাবে নাকি?’

তুহিন বলল, ‘দূর বেটা, তোকে ছাড়া আমাদের আড্ডা জমে নাকি? খবরদার আর কখনও বিদেশ যাওয়ার নাম মুখে নিবি না।’

শোভন বলল, ‘ও কী যেতে চায় নাকি? ওর নাক উঁচু ফ্যামিলি ওকে জোর করে পাঠাতে চাচ্ছে।’

তুহিন বলল, ‘বসন্ত, তোর সত্যি যাওয়ার ইচ্ছা নাই তো?’

‘না রে। আমি কেন বিদেশ যেতে চাইব? আমার সবকিছু এখানে, তোরা সবাই এখানে। আমি একা একা বিদেশ গিয়ে কী করব, বল তো?’

‘জিনিয়াও এখানে। ওর নাম তো বললি না?’

‘জিনিয়ার নাম বলার কিছু নাই। জিনিয়া তো আমাকে পছন্দ করে না। ও তো বলেই দিয়েছে।’

‘মোটেও এই কথা বলেনি। আমি তোর সঙ্গে ছিলাম। জিনিয়া বলেছে ভেবে তারপর জানাবে।’

‘ভালোবাসে কী বাসে না, এটা নিয়ে যার এত ভাবতে হয়, সে আমাকে ভালোবাসে না। ভালোবাসলে, এত ভাবাভাবি করতে হতো না।’

‘বলবে, বলবে, একটু সবুর কর, বেটা। এত টেনশন করিস না।’

‘শোন, তোরা সবাই তো কোনও না কোনও কাজে ঢুকে গেছিস। তোরা আমার অবস্থাটা বুঝবি না। বাসায় থাকতে আমার এখন রীতিমতো লজ্জা লাগে।’

তপু বলল, ‘তুই আমার বাসায় চলে আয়।’

‘এত সহজ না রে দোস্ত।’

শোভন উঠে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভেঙে বলল, ‘ঐ চল, হাবিবের হোটেলে চাপ আর লুচি খেয়ে আসি। বহুতক্ষণ যাবত প্যাচাল পড়লাম। খিদা লেগে গেছে।’

তপু বলল, ‘আমি টাকা নিয়ে আসিনি। আমি যাব না।’

শোভন বলল, ‘আমি খাওয়াব। বসন্তের বিদেশ যাওয়া ক্যান্সেল, তাই আমরা এখন সেলিব্রেট করব। চল, ওঠ তো সবাই।’

শোভনের পয়সায় খাওয়া হবে শুনে সবার মধ্যে নতুন করে জোশ চলে এল। হৈ হৈ করতে করতে সবাই হোটেলের দিকে চললাম।

শোভন আমাদের সবাইকে হাবিবের হোটেলে নিয়ে, ‘যে যা খাবি, খা’ অফার দিয়ে বসল। আর যায় কোথায়? আমরা সবাই খাবারের ওপর ঝাঁপ দিয়ে পড়লাম। জমপেশ খানাপিনা শেষ করে, আরও এক প্রস্থ আড্ডা দিয়ে যখন বাসায় ফিরলাম, তখন আমার মনটা একেবারে ফুরফুরে হয়ে আছে। তবে সেই ফুরফুরে ভাব ছুটে যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগল না। বড়ো ভাই ঘোষণা দিল, কামাল ভাইয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কামাল ভাই আগামীকাল এসে পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে যাবে। দুইমাসের মধ্যে আমি ফ্রান্সে নিশ্চিতভাবে চলে যেতে পারব। কোনও নৌকা বা ড্রামে চড়ে না, সরাসরি প্লেনে বসে ফ্রান্স পৌঁছে যাব। টাকা একটু বেশি লাগবে, তবে চাকরি কনফার্ম। আমার কাজ হবে হোটেলের ক্যাশ কাউন্টার সামলানো। মাস শেষে লাখ টাকা বেতন।

আমি কিছু বলতে যাচ্ছিলাম; কিন্তু বড়ো ভাই আমাকে কোনও সুযোগই দিল না। মা’কে বলল, আব্বা কত টাকা দিতে পারবে, সেটা যেন ওকে জানানো হয়। বাকি টাকাটা আমার দুই ভাই মিলে আপাতত জোগাড় করে দেবে। আমি ইনকাম করে ওদের টাকা শোধ করে দেবো।

আমার বুকের ভেতরটা কষ্টে ছিঁড়ে যাচ্ছে; কিন্তু আমি আমার কষ্টটা কাউকে বোঝাতে পারছি না। আমি এদের সবাইকে ছেড়ে, বন্ধুদের ছেড়ে, এই শহর ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না; কিন্তু এবার বোধহয় সত্যি সত্যি এশহর থেকে আমার ভাত উঠে গেল। এবার আর বিদেশ যাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না।……………

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে