#হার্টলেস🖤
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#Part_02_03
,,
,,
,,
,,
নীড়ের কথা শুনে ইতু আকাশ থেকে পড়লো,ইতুর অবাক হওয়া দেখে নীড় কোনো রিয়াকশন দেখালো না, বিছানা থেকে উঠে আলমারির কাছে, আলমারি খুলে একটা কালো শাড়ি বের করে, ইতুর কাছে এসে বলল
– এই নেয় এই শাড়ি টা পড়ে নেয়
– কি????
– কানে কম শুনিস নাকি যা তাড়াতাড়ি শাড়ি টা পড়ে আয়
– না
নীড় ভ্রু কুচকে বলল, আমি তোর মতামত চেয়েছি একবারও যা।ইতু বিরক্ত হয়ে বলল, কি শুরু করলে এমনি কত অশান্তি চারপাশে তোমাকে এখানে কেউ দেখলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে চলে যাও।নীড় একটা ব্যপক ভাব নিয়ে বলল, দেখলে দেখবে আমি আমার বউয়ের কাছে এসেছি তাতে কার কি বেশি কথা বললে এখনি নিয়ে যাব।
ইতু বুঝতে পারছে নীড়ের সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই, তাই চুপ হয়ে রইলো।নীড় হঠাৎ বলল,কিরে কি বলছি যা শাড়ি পড়ে আয় নাকি আমি পড়িয়ে দেবো।নীড়ের কথা শুনে ইতু ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল,না আমি পারব।
বলেই শাড়ি নিয়ে ওয়াসরুমে যেতে নেবে তখনি নীড় বলল, ওয়াসরুমে যেতে হবে কেন এখানেই চেঞ্জ কর।ইতু মেজাজ খারাপ করে তাকালো নীড়ের দিকে। নীড় দুষ্টু হেসে বলল,ওকে ওকে কুল যা।
ইতু মেজাজ দেখিয়ে চলে আসলো।নীড় জায়গায় বসে হুহা করে হেসে উঠলো। কিছু খন পর ইতু বেড়িয়ে আসলো, ইতুকে দেখে নীড় কিছু খন অবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে হুহা করে হেসে উঠলো। ইতু গাল ফুলিয়ে দাড়িয়ে রইলো।নীড় বলল,
– খুব তো তখন ভাব দেখিয়ে বললি তুই পারবি তাহলে এখন শাড়ি পেচিয়ে আছিস কেন.
– এত হাসার কি আছে, শাড়ি তো শাড়ি এক ভাবে হলেই হলো আমি তো বাহিরে যাচ্ছি না।তোমার শেষ দেখা এবার চলে যাও।
– আজ রাত তো এখানেই থাকব
– কি???? এই না
– তোর কথা শুনতে চেয়েছি আমি, এখন আমার কাছে আয় শাড়ি ঠিক করে দেই।
– না না লাগবে না
– বেশি কথা বলবি না আয়
নীড় ইতুকে শাড়ি পড়িয়ে দিতে লাগল,আর ইতু তো পাথরের ন্যায় হয়ে আছে। হঠাৎ হঠাৎ নীড়ের শিতল স্পর্শ ইতুকে জমিয়ে দিচ্ছে। নীড় শাড়ি পড়িয়ে ইতুকে বলল,এত কাপাকাপি করিস কেন একটু হলে তো ভূমিকম্প শুরু হয়ে যেতো,বলেই হুহা করে হেসে উঠলো।
ইতু বিরক্তি নিয়ে অন্যদিকে তাকালো।নীড় বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো তারপর হাতের ইশারায় ইতুকে ডাকলো।ইতু গাল ফুলিয়ে বিরক্তি নিয়ে গিয়ে সামনে দাড়ালো।নীড় আর কিছু না বলে ইতুর হাত ধরে টেনে নিজের বুকের উপর ফেলে জরিয়ে ধরলো। ইতু তো হা হয়ে গেলো, নিজেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলল,কি করছো ছাড়ো।
নীড় ইতুকে বিছানায় ফেলে ইতুকে বিছানার সাথে চেপে ধরলো নীড় অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে রয়েছে ইতুর দিকে, ইতু ঘাবড়িয়ে বলল,কক,কি করছো ন,নীড় ভাইয়া।নীড় বলল,চাইলে অনেক কিছু করতে পারি কিন্তু এখন কিছু করব না।ইতু হাফ ছেড়ে বাচলো।নীড় ইতুকে উঠিয়ে বসালো,তারপর জিন্সের পকেট থেকে একটা লোকেট বের করে ইতুকে পড়িয়ে দিয়ে ঘাড়ে আলতো করে একটা চুমু একে দিল। প্রথম কোনো ছেলের স্পর্শ পেয়ে ইতু পুরো জমে গেলো।
নীড় হঠাৎ ইতুর কোলে মাথা রেখে বলল,আমার চুল গুলো নেড়েচেড়ে দেয় তো ঘুমাবো।
ইতুর কোনো কথা না শুনে নীড় ইতুর হাত নিয়ে নিজের চুলে রাখলো।ইতু এবারও কিছু করলো না, নীড় ভ্রু কুচকে বলল, করবি না তাহলে চল বাসর করি।ইতু চমকে উঠে তাড়াতাড়ি চুল নাড়াচাড়া করতে লাগল, নীড় বাকা হেসে চোখ বন্ধ করে ফেলল।
নীড়ের কোনো সারা শব্দ নেই, হয় তো ঘুমিয়ে গেছে। ইতুর দুচোখের পাতা কখন যে অবাধ্য হয়ে বুঁজে গেলো তা ইতু জানে না, সকালে সূর্য মামার সোনালি রোদ্দুর ইতুর চোখে পড়তেই ইতু পিটপিট করে চোখ খুললো।,একবার বন্ধ হয়ে গেলেও আবার খোলার চেষ্টা করলো,নিজেকে নীড়ের বাহুডোর পেয়ে চমকে উঠলো কিন্তু ইতুর ভালো লাগছে,কিন্তু এই ভালো লাগাকে দমিয়ে তাড়াতাড়ি উঠতে গেলেই নীড় আরো শক্ত করে ধরলো,ইতু বুঝতে পারলো নীড় জেগে আছে, ইতু রাগে কটমট করতে করতে বলল,
– কি করছো ছাড়ো
– চুপ চাপ থাক, এতো খন ঘুমিয়ে ছিলি তাই ভালো ছিলো
ইতু জোর করে উঠে বলল,তুমি কি শুরু করেছো আর কয়টা বাজে এখনো যাও নিই।নীড় বলল,হুম যাব তো। হঠাৎ দরজায় কেউ নক করলো, ইতু ঘাবড়ে বলল,হায় আল্লাহ কে এসেছে।
নীড় বলল, যা দরজা খুলে দে। ইতু বলল,আগে তুমি লুকাও।নীড় বলল,আমি কি চোর নাকি কেন লুকাবো। ইতু বিরক্ত হয়ে বলল, তোমার ভাব অন্য কোথাও দেখাও এখানে না। নীড় বিছানা থেকে উঠে হঠাৎ গিয়ে দরজা খুলে দিলো।ইতু হা হয়ে গেলো। দরজার অপাশে ইতুর ছোট ভাই তুতুল দাড়ানো।
তুতুল নীড়ের দিকে তাকিয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো,নিজের চোখের চশমা টা ঠিক করে বলল,আপু আমার চোখে হয় তো একটু বেশিই সমস্যা শুরু হয়েছে আমি তোমাকে নীড় ভাইয়া দেখছিস আচ্ছা আমার জ্যামিতি বক্সটা এই ঘরে সরো তো নিতে এসেছি।
তুতুল ভিতরে ঢুকে ইতুকে দেখে বলল,এই দেখো আপু এখন তোমাকে ঠিক দেখছি দরজার কাছে নীড় ভাইয়া মনে হয়ে ছিল।বলেই দরজার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে আবার ইতুর দিকে তাকালো। নীড় দরজার কাছ থেকে এসে টেবিলে রাখা জ্যামিতি বক্সটা তুতুলের হাতে দিয়ে বলল,এখন তুই যা।তুতুল হা হয়ে বলল,নীড় ভাইয়া তুমি।নীড় বলল,জ্বি ছোট বিদ্যাসাগর এখন যা আমাদের বিরক্ত করিস না।বলে তুতুলের হাত ধরে বাহিরে নিয়ে আবার দরজা আটকে দিল।তুতুল বোকার মতো তাকিয়ে রইলো দরজার দিকে।
ইতু নীড়কে বলল,তুমি কি করলে তুতুল যদি বলে দেয় তখন কি হবে। নীড় বলল, বললে বলবে আচ্ছা আমি গেলাম সাবধানে থাকিস আর ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিস আর এসবের চক্করে পড়াশোনা খেয়ে বসিস না তোর লাইফ আগেও যেভাবে ছিল আজও তেমন আছে আমি কখনো তোর নিজস্ব জীবনে হস্তক্ষেপ করব না, আর কখনো বলব না ভালোবাসতে আমাকে,কারণ আমি জানি তোর মনে তুই শুধু আমাকে যত্ন করে রেখেছিস, তীব্র অভিমানে তা চাপা পড়ে আছে কিন্তু আমি জানি একদিন না একদিন তুই বলবি আমাকে, আর আমি অপেক্ষা করব সেই সময়ের জন্য প্রয়োজনে সারাটা জীবন, আসি।বলেই নীড় ইতুর গাল টেনে দিয়ে চলে গেল।
চলবে……….🖤
#হার্টলেস🖤
#Writer_Laila_Aungoman_Eti
#Part_03
,,
,,
,,
,,
ইতু নীড়কে বলল,তুমি কি করলে তুতুল যদি বলে দেয় তখন কি হবে। নীড় বলল,
– বললে বলবে আচ্ছা আমি গেলাম সাবধানে থাকিস আর ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করিস আর এসবের চক্করে পড়াশোনা খেয়ে বসিস না তোর লাইফ আগেও যেভাবে ছিল আজও তেমন আছে আমি কখনো তোর নিজস্ব জীবনে হস্তক্ষেপ করব না, আর কখনো বলব না ভালোবাসতে আমাকে,কারণ আমি জানি তোর মনে তুই শুধু আমাকে যত্ন করে রেখেছিস, তীব্র অভিমানে তা চাপা পড়ে আছে কিন্তু আমি জানি একদিন না একদিন তুই বলবি আমাকে, আর আমি অপেক্ষা করব সেই সময়ের জন্য প্রয়োজনে সারাটা জীবন, আসি।বলেই নীড় ইতুর গাল টেনে দিয়ে চলে গেল।
ইতু নিশ্চুপ ভাবে তাকিয়ে আছে নীড়ের যাওয়ার দিকে। ইতিমধ্যে ইতুর চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়লো অশ্রু কণা, আমি তো চাই বলতে তবুও যে পারি না অন্য দশজন মানুষের মতো আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি না, মনে মনে গত পাঁচ বছর ধরে ভালোবেসে গেছি হয়তো তুমি বুঝতে তবুও যে অবুঝের মতো থাকতে তখন খুব কষ্ট হতো।ওই দিন যখন কাকী তোমার আর তোমার খালাতো বোনের বিয়ে কথা বলেছিল, সেই দিন মনে হয়ে ছিল আমার বুকের ভিতর ধারালো ছুরি দিয়ে কেউ আঘাত করছে,চাপা কথা কাউকে বলতে না পেরে দমবন্ধ হয়ে আসছিল।সেই দিন থেকে ঠিক করে ছিলাম আমার মনে যত অনুভূতি আছে সব মাটি চাপা দিয়ে দেবো কিন্তু পারি নিই না কাউকে বলতে পেরেছি, ভিতরে ভিতরে পুড়েছি।বাবা বিয়ের কথা যখন বলেছে তখন মুখের উপর না করতে পারি নিই, কিন্তু মনের ভিতরে তখন একটাই শব্দ বেজেছে নীড় ভাইয়াকে ভালোবাসি খুব বেশি ভালোবাসি।কিন্তু কাল ওভাবে যে আমাদের বিয়ে হবে কল্পনা ও করতে পারি নিই কিন্তু নীড় ভাইয়া আমাকে ভালোবাসে এর চেয়ে মধুর কোনো শব্দ মনে হয় আর আছে ।
__________________________________
আকাশ লালচে রঙ ধারণ করেছে, সূ্র্য ধিরে ধিরে ডুবে যাচ্ছে, আকাশে পাখিরা তাদের নীড়ে ফিরে যাচ্ছে, চারপাশে মৃদু বাতাস বইছে, ইতু নিরব ভঙ্গিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো,ফোনের স্কিনে হিনা নাম উঠে আছে, ইতু রিসিভ করে বলল,
– হ্যালো বল হিনা
– দোস্ত তোর মন মেজাজ কেমন
– এই তো এখন একটু ভালো
– তাহলে চল চা খেতে যাই ওই চাচার কাছে
– হুম ওকে কখন
– একটু পর
– এই টাইমে
– হুম আজ আমাদের বাড়ি থাকবি রাতে খুব মজা করব দুজন,বাবা মা নেই কাল আসবে একা ভয় করে আর ভালোও লাগে না।
– নারে যেতে দেবে না
– আরে আমি তোর বাড়ী যাব সবাইকে বলে নিয়ে আসবো না করবে না, আঙ্কেল আন্টি কত ভালোবাসে আমাকে তা তো তুই জানিস।
– ওকে আয় তাহলে রাখি
ইতু কথা শেষ করে পিছনে ঘুরে দেখলো তুতুল দাড়িয়ে আছে, ইতু ভ্রু কুচকে বলল,
– কিরে তুই এমন ভূতের মতো দাড়িয়ে আছিস কেন
– কার সাথে কথা বলছিলে নীড় ভাইয়ার সাথে
– চুপ কর এত বেশি বুঝিস কেন, আর তুই এখানে কি করিস তোর না সামনে পরিক্ষা এসএসসি পরিক্ষা এত সহজ না বুঝছিস।
– জানি আপু, মাএ একটা বই শেষ করে আসলাম।
– ভালো ভালো, আর শোন কাউকে বলিস নিই তো সকালের কথা
– হুম না বলি নিই, আর যদি না চাও বলি তাহলে আমাকে একটা বই কিনে দিতে হবে রাজি
– ওকে
– এই তো আমার লক্ষি আপু
– হয়েছে
– হিহিহি
______________________________
ইতু ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে হিনার দিকে, ইতু বলে উঠলো, কিরে কি শুরু করেছিস এখন রাত ১১ টার বেশি বাজে একটু পর বারোটা বাজবে তুই এখন আমাকে সাজাচ্ছিস কেন।হিনা বলল,তুই চুপ কর তো কখন থেকে প্রশ্ন করে মাথা খেয়ে ফেলছিস।ইতু বলল,তুই বলবি তো।হিনা মুচকি হেসে বলল, তোর জন্য সারপ্রাইজ আছে। ইতু বলল,কি কিসের সারপ্রাইজ?
হিনা ইতুর চুল ঠিক করে বলল,ঠিক আছে খুব ভালো দেখাচ্ছে এবার ছাদে চল।ইতু আতকে উঠে বলল, কি??????ছাদে কেন?? তাও এতো রাতে?
হিনা ইতুর হাত টেনে নিয়ে যেতে লাগল,ইতু তো বকবক করেই চলেছে, হিনা ছাদের দরজার কাছে এসে বলল,যা ভিতরে।ইতু বলল,আমি একা যাবো। হিনা বলল,আরে যা ভয়ের মতো কিছু না। ইতু তবুও যেতে চাইলো না, হিনা বাধ্য হয়ে ইতুকে জোর করে ছাদে পাঠিয়ে দিল।
ইতু ছাদে এসে চারপাশ দেখে হা হয়ে গেলো, এ কি এ কোথায় আসলাম আমি, এত যেন কল্পনার জগতের মতো সাজানো।ইতু চারপাশ দেখে ইতুর মন মুগ্ধতার স্রোতে ভেসে গেলো,হঠাৎ সামনে তাকাতেই ইতুর বুকের ভিতর ধকধকানি বেড়ে গেলো,তার নজর কাড়া হাসি নিয়ে ধির পায়ে ইতুর কাছে আসলো।ইতু অবাক হয়ে বলল,নীড় ভাইয়া।নীড় মুচকি হেসে ইতুর কোমড় টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসলো, তারপর একবার নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে বলল,হ্যাপি বার্থডে আমার পাগলী।ইতুর অজান্তেই তার ঠোটে হাসির রাজ্য দখল করে নিলো।
নীড় হঠাৎ বলল,ভালো লেগেছে। ইতু শুধু মাথা নাড়িয়ে হ্যা বোধক উওর দিল, খুশির জন্য কথাই বলতে পারছে না,নীড় মৃদু হেসে বলল, আয় কেক কাটবো তোর ফেভারিট চকলেট কেক আর স্পেশাল ব্যাপার হলো কেকটা আমি বানিয়েছি চল টেস্ট করে বলবি কেমন হয়েছে।
ইতু অবাক হয়ে বলল, তুমি বানিয়েছো।নীড় বলল,হুম চল।কেক খাওয়া শেষ করে নীড় বলল,কেমন লেগেছে।ইতু বলল,খুব ভালো হয়েছে। নীড় ইতুর দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল, Would you please dance with me? ইতু মৃদু হেসে হাত বাড়িয়ে দিল,নীড় ইতুকে নিজের কাছে নিয়ে স্লো-মোশনে ক্যাপল ড্যান্স শুরু করলো,ইতু যেন ভুলেই গেছে অতীত, ভুলে গেছে জমানো অভিমান অভিযোগ, এখন যে ইতু থমকে আছে নীড়ের মাঝে, নীড়ের মন আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে নিজের ভালোবাসার মানুষটার সাথে সময় কাটাতে পেরে, নীড় ইতুর চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গাইতে লাগলো,,
Dua bhi lage na mujhe
Dawaa bhi lage na mujhe
Jabse dil ko mere tu laga hai….
Neend raaton ki meri
Chaahat baaton ki meri
Chain ko bhi mere tune yun thaga hai……..
Jab saansein bharu main
Band aankhein karoon main
Nazar tu yaar aaya………….
Dil ko karaar aaya
Tujhpe hai pyaar aaya
Pehli pehli baar aaya
O yaara……….
Dil ko karaar aaya
Tujhpe hai pyaar aaya
Pehli pehli baar aaya
O yaara.. Aa.. Oo.. Hmm……
#চলবে…..🖤