হারিয়ে যাওয়া পথ খুজে পাওয়া part:8

0
5820

হারিয়ে যাওয়া পথ খুজে পাওয়া

part:8

লেখা –সুলতানা ইতি

মায়ের সে কি আনন্দ, অনেক দিন পর মাকে এতো খুশি হতে দেখলাম

আম্মু: কিরে শিলা এতো শুকিয়ে গেলি কেনো

শিলা: কই মা আমি তো ঠিকই আছি

আনুশা: আপু বুঝিস না,তুই যদি হাতি ও হয়ে যাস তার পরে মা বলবে না তুই এখন ও চিকন, আরেকটু মোটা হতে হবে,আনুশার কথা শুনে সবাই এক সংগে হেসে উঠলো

তানভীর : যাক বাবা এতো দিনে আনুশা কোথায় থাকে সেটা জানতে পারলাম
তানিম: এবার খুশি তো চল এবার বাসায় যাই

তানভীর : আর একটু থাকি না এখানে

তানিম: থেকে কি করবি,দেখ এখন সন্ধ্যা হতে চল্লো আনুশা এখন আর বের হবে না সো এখানে থেকে ও তোর কোন কাজ হবে না তার ছেয়ে ভালো বাসায় যাই

তানভীর : কি আর করা চল তা হলে, বাসার দিকে ফিরে গেলাম

#আনুশা: আপু তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি খাবার দিচ্ছি,

শিলা:বাবা আনুশা তুই কবে থেকে কাজ করিস কি সুন্দর করে আমাকে ভাত বেড়ে খাওয়াচ্ছিস,আগে তো এক গ্লাস পানি ডেলে ও খাইতিস না

আনুশা: আপু আগে যেমন ছিলাম এখন ও কি তেমন থাকতে হবে, সব কিছুই পরিবর্তন শিল,আমি ও এর ব্যাতীর্কম নই

শিলা: তুই এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো আনুশা আমি তো যাস্ট এমনি বললাম
আনুশা: কথা না বাড়িয়ে খাওয়া শুরু কর,
#
তানভীর : বাসায় এসে পৌছলাম
আম্মু: কিরে কই গেলি, এতো তাড়া তাড়ি চলে আসলি,বলে তো গেলি ফিরতে রাত হবে

তানভীর : আম্মু এতো কথা বলছো কেনো আমি বাসায় আসাতে কি তোমার প্রব্লেম হইছে,তা হলে বলো আমি আবার চলে যাই

আম্মু: যাক বাবা তুই এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো,

তানভীর : তুমি রাগ করার মতো, কথা বললে আমি রাগবো না তো হাসবো,দেখো আম্মু এখন একটু চুপ থাকো, কোন প্রশ্ন করো না
এই বলে চলে এলাম রুমে দরজা লাগিয়ে দিলাম

তানভীরের আম্মু: ছেলেটার যে কি হয়েছে আজকাল কথায় কথায় রাগ দেখায়,সারা দিন কি এতো ভাবে,জিজ্ঞাস করলে ও বলে না ওর বাবাকে ব্যাপার টা জানাতেই হবে,আজকেই ফোন করলে বলবো

*
খাওয়া শেষ করার পর আনুশা বল্লো আপু তুই একটু রেস্ট নে আমি এগুলা পরিষ্কার করে আসছি কেমন

শিলা: বোন টা কে যতো দেখছি ততই যেন অভাক হচ্ছি,এ কি সেই বোন যে কি না কাজ করতে চাইতো না হাত ময়লা হয়ে যাবে সেই ভয়ে

আনুশার আম্মু: কিরে শিলা কি ভাবছিস

শিলা: মা আনুশা?

আনুশার আম্মু: আমার মেয়েটা আর আগের মতো নেই রে শিলা,অনেক পালটে গেছে কতোটা পাল্টেছে তা কেউ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবে না, মেয়েটা আমার বিতরে বিতরে গুমরে গুমরে মরছে,আর আমি মা হয়ে তা দেখছি

শিলা: মা কেদো না তো সব ঠিক হয়ে যাবে
আনুশা: হঠ্যাৎ এসে দেখি মার চোখে পানি,একি মা তুমি কাদছো কেনো

শিলা: মা আসলে ভাবছে উনার দুই মেয়ে উনার কাছে সুমি টা আসলে ভালো হতো ( কথা গুরানোর জন্য বললাম)

আনুশা: মা তুমি কেদো না তো যখন আমার একটা চাকরি হবে তখন বড় একটা বাসা নিবো, তখন তিন মেয়ে কে এক সাথে দেখবে,

আনুশার আম্মু: সুমি কে একটু ফোন কর তো,

আনুশা: আচ্ছা করছি,এই নাও রিং হচ্ছে রিসিভ হলে কথা বলবে

শিলা: চল আনু আমরা একটু কথা বলি দুই বোনের অনেক দিন পর দেখা হলো,
আনুশা: হুম তা যা বলেছো আপু তোমাকে পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি,আর ও খুশি হতাম যদি সুমি আপু ও একসাথে থাকতো।

এই ভাবে গেলো আর ও কিছু দিন

আজ আনুশাদের রেজাল্ট বের হবে আনুশা তো সকাল থেকে টেনশন এ শেষ গতো কাল শিলা আপু ও চলে গেছে, কতো করে বললাম থেকে যেতে থাকলো না দুলা ভাইয়ের খাওয়া দাওয়ার নাকি প্রব্লেম হচ্ছে,এখন যে কি করি রেজাল্ট জানি কেমন হয় উফফ আর ভাবতে পারছি না কান্না পাচ্ছে যদি রেজাল্ট ভালো না হয় তা হলে আমি কি করবো

আনুশার আম্মু: চিন্তা করিস না মা আমি জানি তোর রেজাল্ট ভালো হবে

আনুশা: মা তুমি বলছো ভালো হবে,আল্লাহ তুমি আমার মায়ের কথা টা কবুল করো এই ভাবে হতাসার মধ্যে আনুশার সময় যাচ্ছে,
#
তানভীর :: রেজাল্ট নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই,হয় তো রেজাল্ট আসবে না,নয় তো টেনে টুনে পাশ করা রেজল্ট আসবে,আমি জানি এক্সাম ভালো হয়নি,

তানভীর এর আম্মু: তানভীর জানিস তোর বাবা কাল দেশে আসছে

তানভীর : জানতাম না তো আম্মু তা আব্বু হঠ্যাৎ করে দেশে ফিরছে কেনো
আম্মু: হঠ্যাৎ করে আসতে যাবে কেনো অনেক দিন থেকেই আসার কথা চলছে,তোকে নাকি তোর আব্বু কয়েক দিন কল দিয়েছে,তুই নাকি তোর আব্বুর কল রিসিভ করিস নি,

তানভীর : হুম আম্মু আসলে কথা বলতে ভালো লাগেনি তাই

আম্মু: তুই জানিস তোর পরিক্ষার রেজাল্ট নিয়ে তোর আব্বুর কতো সপ্ন,ওনি আজই আসতে ছেয়ে ছিলো টিকেট পায়নি তাই কাল আসছে

তানভীর : মন খারাফ হয়ে গেলো কেননা আমি আব্বুর সপ্ন পুরন করতে পারবো না,

আম্মু: ভাবিস না বাবা রেজাল্ট ভালোই হবে আল্লার রহমতে
দুপুর ২ টার দিকে রেজাল্ট বের হলো

আনুশা: মা এবার তা হলে একবার কলেজ থেকে ঘুরে আসি,এতোক্ষনে রেজাল্ট বের হয়ে গেছে মনে হয়
আনুশার আম্মু: তা হলে যা,

এইদিকে তানভীর সকাল থেকেই কলেজ এ ওয়েট করতেছে রেজাল্ট এর জন্য,(কি ভাবছেন তানভীর নিজের রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা করছে,না ও আনুশার রেজাল্ট দেখবে বলে অপেক্ষা করে বসে আছে)

তানভীর : যখন এ শুনলাম,নোটিশ বোর্ড এ রেজাল্ট শিট দিয়ে দিয়েছে তখনই ভোঁ দৌড় লাগালাম,
রেজাল্ট শিট দেখে তো আমি বলার ভাষা হারিয়ে পেলেছি,স্টাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছি

তানিম: কিরে এই ভেবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো তোর তো রেজাল্টই আসেনি

তানভীর : তানিমের কথায় আমার ঘোর কাটলো, ওওও আমার টা আসেনি তা হলে, কোন ব্যাপার না তুই আনুশার রেজাল্ট টা দেখ তো

তানিম: আনুশার রেজাল্ট দেখে আমার কি হবে

তানভীর : ভ্রূ কুঁচকে তাকালাম ওর দিকে, তুই বুঝবি না সর তো প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছে যাবো এই বলে হাটা ধরলাম অফিস রুমের দিকে
তানভীর : মে আই কামিন

প্রিন্সিপাল স্যারর:ইয়েস

তানভীর : স্যারর আনুশার রেজাল্ট দেখেছেন

স্যার: হুম দেখেছি আমরা কয়েকজন স্যারর মিলে এখন আনুশা দের বাড়িতে যাবো

তানভীর : (খুশি হয়ে) ও তাই নাকি

স্যার: কিন্তু আনুশার রেজাল্ট দেখে তুমি এতো খুশি কেনো তোমার তো রেজাল্ট ই আসেনি

তানভীর : কি যে বলেন স্যার সবাইকে আর ভালো রেজাল্ট করতে পারে,এর মধ্যে ইংলিশ স্যার মানে আমাদের রবিন স্যারর আসলো,
রবিন স্যারর প্রিন্সিপাল স্যারর কে বলছে স্যার গাড়ি রেডী চলুন আনুশাদের বাড়িতে যাওয়া যাক

প্রিন্সিপাল : হুম চলুন,

প্রিন্সিপাল স্যারর কি ভেবে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন তুমি যাবে আমাদের সাথে

তানভীর : স্যারর এর কথা শুনে তো আমার খুশি তে লাফাতে ইচ্ছে করছে, হুম স্যার। যাবো

এর মধ্যে:মেহেদী স্যারর আমাদের বাংলা শিক্ষক উনি এসে প্রিন্সিপাল স্যারর কে বললেন স্যারর একটা কান্ড ঘটে গেছে

প্রিন্সিপাল : আবার কি ঘটলো

মেহেদী স্যার:জার্নালিস্টি রা কি করে যেনো খবর পেয়ে গেছে ওরা আনুশার ইন্টার্ভিউ নিতে যায়

প্রিন্সিপাল : ও তাই চলো ওদের কে নিয়ে আনুশার বাড়িতে যাবো

তানভীর : আমার তো খুশির সিমা নেই আমাকে এতো খুশি হতে দেখে
তানিম বল্লো s,s,c te তোর রেজাল্ট অনেক ভালো ছিলো তখন তো তুই এতো খুশি হসনি

তানভীর : তানিম তুই বুঝবি না প্রিয়ো মানুষটার ভালো কাজে, কতো টা আনন্দ পাওয়া যায় এটা তুই বুঝবি না

তানিম: রাগ দেখিয়ে আমার বুঝার দরকার নেই আমি গেলাম তুই তো আনুশার বাড়িতে যাবি

তানভীর : হুম যাচ্ছি কেনো তুই যাবি না

তানিম: তোর ইচ্ছে হইছে তুই যা আমাকে এর মধ্যে টানছিস কেনো

তানভীর : ওকে আমি যাচ্ছি,সবাই এক সাথে মাইক্রোবাস করেছে আনুশাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য,আমি এ তাদের সাথে উঠে বসলাম

to bee continue
[09:04, 3/15/2019] sultana eity: হারিয়ে যাওয়া পথ খুঁজে পাওয়া

writer : সুলতানা ইতি
part:9

গাড়ি চলছে নিজের গতিতে,আর তানভীর এর হার্টবিট যেনো তার থেকে দশগুন বেশি গতি নিয়ে চলছে

আনুশার আম্মু: কিরে তোর হলো, যাবি কখন

আনুশা: এই তো মা আর একটু,আসলে মা টেনশন লাগছে খুব,যদি খারাফ কিছু শুনি তা হলে আমি নিজেকে সামলাতে পারবো না মা

আনুশার আম্মু: দেখো মেয়ের কান্ড এমন অলক্ষনে কথা কেউ বলে,তুই আল্লাহর নাম করে যা তো

আনুশা: ঠিক আছে মা দোয়া করো এই বলে আনুশা বের হলো
গলির মোড়ে এসেই আনুশা থেমে গেলো ওর কলেজ এর স্যার প্রিন্সিপাল স্যার সবাই আসছে তানভীর কে দেখে তো ওর আর ও ভয় লাগতে শুরু করলো, কি জানি ছেলেটা কোন মতলবে এসেছে তা ও আবার স্যার দের নিয়ে
তানভীর : আনুশা এ ভাবে ছেয়ে আছে কেনো ও কি কিছু বুঝতে পারেনি নাকি,উফফ ইচ্ছে করছে ওকে জড়িয়ে ধরে খুশির খবর টা দিতে, কিন্তু তা সম্ভব না এখানে শিক্ষকরা আছেন উনারাই বলবে

আনুশা: কি জানি কি হয় আজ আমার সাথে তবু ও স্যারর দের কে সালাম করি আগে ( আসসালামু আলাইকুম) স্যার। আপনারা

প্রিন্সিপাল স্যার: কেনো আমাদের আশা করিসনি বুঝি,

আনুশা: ইয়ে মানে, না মানে

স্যারর:তুই এতো নার্বাস হচ্ছিস কেনো

প্রিন্সিপাল স্যার: তা আমাদের কে তোর বাসায় নিবি না

আনুশা:হ্যা স্যার আসুন,( স্যার দের কে বসতে দিবো কোথায় একটাই রুম,যেখানে থাকি ও খানেই, খাই ও,পড়ি ও ইসস কি লজ্জা)
ভাবতে ভাবতেই চলে আসলাম বাসার ভিতরে,

আনুশার আম্মু: কিরে আনু তুই না কলেজ এ গেলি ফিরে আসলি কেন

আনুশা: মা আমার কলেজ থেকে প্রিন্সিপাল স্যারর সহ আসছে

আনুশার আম্মু: কলেজ থেকে কেনো,অভাক হয়ে উনি মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন
আনুশার মায়ের কথা উত্তর না দিয়ে স্যারর দের বসতে বল্লো,আর আমতা আমতা করে বল্লো আসলে স্যার আমি আর মা থাকি তো তাই বাড়তি রুম নিই নাই,

স্যার: আনুশা কে থামিয়ে না না, মা তোর এতো ব্যাস্ত হতে হবে না আমরা কয়েকটা কথা বলেই চলে যাবো,তোর আম্মুকে ডাক

আনুশা: জি স্যারর ডাকছি( মনে মনে আল্লাহ জানে মা কে কি বলবে স্যারর, উফফ কি যে টেনশন হচ্ছে)মা তোমাকে স্যারর ডাকছেন

আনুশার আম্মু: স্যার দের সালাম দিয়ে পর্দার আড়ালে দাড়ালেন

স্যার: আসলে আমরা আপনাকে একটা কথা বলতে এসেছি

আনুশার আম্মু: জি স্যার বলুন আমার মেয়ে কি কোন ভুল করেছে

স্যারর:না না ভুল করবে কেনো বরং ও যা করেছে তার জন্য আমরা গর্ভিত,আমাদের কলেজের সবাই অহংকার করে

আনুশার আম্মু: আমাকে কি বুঝিয়ে বলবেন কি হয়েছে

স্যারর: হুম কেনো নয় আপনার মেয়ে এই কয় দিন আগে আমাদের কলেজ ভর্তি হয়েছে,আর এই কয়দিনে সে আমাদের কলেজ এর সবাইকে পিছনে পেলে কলেজ স্টপার হয়েছে ( স্যারর অনেক খুশি মনে কথা টা বললেন)

আনুশা: এতক্ষন মায়ের সাথে দাঁড়ানো ছিলো কথা টা শুনে সে ভিতরে গেলো, চোখে চল চল পানি স্যার আপনি সত্যি বলছেন তো, কেনো জানি না আমার কান কে বিশ্বাস করাতে পারছি না

প্রিন্সিপাল স্যারর:হ্যারে মা দেখ আমরা সবাই এসেছি,তোকে খুশি খবর টা দিতে
আনুশার আম্মু: খুশিতে কেদেই দিয়েছেন,আল্লাহ তারকথা শুনেছেন,এর থেকে বেশি আর কি চাই

আনুশা: স্যার আমি কি নিজের চোখে দেখতে পারি,রেজাল্ট টা,

প্রিন্সিপাল স্যারর:কেনো নয় একশোবার দেখবি, আগে দাড়া আমাদের সাথে আর ও কিছু গেস্ট এসেছে তাদের সাথে কথা বলে নে

আনুশা: অভাক হয়ে গেস্ট?

স্যারর:কই আপনারা এবার ভিতরে আসুন, স্যার বলার সাথে সাথে কয়েকজন লোক ভিতরে ডুকে গেলো তাদেত হাতে ক্যামেরা সহ আর ও অনেক কিছু আছে
আনুশা: এরা কারা

স্যার:আনুশা এরা জার্নালিস্ট তোর ইন্টার্ভিউ নিতে এসেছে

আনুশা: আমি তো অভাক হলাম,এতো খুশি আল্লাহ আমার কপালে লিখে রেখেছেন আনুশার ঘোর কাটলো জার্নালিস্ট দেত কথায়

জার্নালিস্ট: ম্যাম আপনার এতো টা সাকসেস এর পিছনে কারন টা জানতে পারি, যে খানে এখন কার ছেলে মেয়েরা পড়া শুনা বাদ দিয়ে খারাফ নেশায় আসক্ত হচ্ছে সেখানে আপনি সব কিছু কে এড়িয়ে চলে এতো ভালো রেজাল্ট করেছেন এর পিছনে কারন টা জানতে পারি

আনুশা: খুভ স্বাভাবিক হয়ে উত্তর দিলো

আমি আমার লাইফে অন্য। কিছুর দিকে খেয়াল করিনি,আমার লখ্য । একটাই ছিলো, লাইফে সাকসেস হওয়া,

জার্নালিস্ট: ম্যাম আপনি এখন কি করবেন বলে আশা করেন,বা আপনি আপনার লাইফে কি হতে চান, কি হওয়ার স্বপ্ন,মানে আমাদের কে যদি একটু বলতেন?

আনুশা:আমি এখন কোন কিছু নিয়ে ভাবছিনা,আর আমি কোন কিছু নিয়েই আশা রাখি না,যে আমি লাইফে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হবো এমন কোন স্বপ্ন আমার নেই,আমার স্বপ্ন আমার মাকে ভালো রাখা জীবনের শেষ অধ্যায় পর্যন্ত তার পাশে যেন আমি থাকতে পারি,

জার্নালিস্ট: তার মানে আপনি এখন পড়া লিখা বা অন্য কিছু নিয়ে ভাবছেননা?

আনুশা: আমি পড়া লিখা করবো না এই টা আপনাদের কে বলিনি,তবে কতটুকু পর্যন্ত করবো সেটা আমার ভাগ্যের উপরে নির্ভরশিল,

জার্নালিস্ট: ওকে ম্যাম আমরা, আপনার মাকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই

আনুশা আম্মু: অদের সামনে গিয়ে দাড়ালেন

জার্নালিস্ট: আপনার মেয়ের এতো ভালো একটা রেজাল্ট করেছে এই নিয়ে আপনার কোন কিছু বলার আছে

আনুশার আম্মু: আমার আর কি বলার থাকবে আমার মেয়েকে নিয়ে গর্ব করি,সে যেন তার লাইফে ভালো একটা পর্যায়ে পৌছাতে পারে আমি সেই দোয়া করি

প্রিন্সিপাল স্যার:আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে আপনারা আর অহেতুক প্রশ্ন করে উনাদের বির্বত করবেন্না,আপনারা তো আনুশার কথা শুনেছেন আর কি
জার্নালিস্ট:আসলে স্যার মেয়ের এতো বড় একটা সাফল্যে মায়ের,মনের অবস্তা টা কেমন সেটা ই জানার ছিলো

প্রিন্সিপাল স্যার: আপনারা প্রশ্ন করা বন্ধ করলে আমরা উনাদের কিছু বলার সুযোগ পেতাম
জার্নালিস্ট : ওকে স্যার তা হলে আমরা আসছি,(জার্নালিস্ট রা চলে গেলো)

প্রিন্সিপাল : আনুশা মা তোকে কিছু বলার ছিলো,একটু শুনবি

আনুশা: জি স্যার বলুন

প্রিন্সিপাল : আমরা সবাই মিলে কাল তোকে একটা সম্ভর্ধনা দেয়ার অনুষঠানের আয়োজন করেছি,আসলে আমরা বললে ভুল হবে শহরের অনেক নামি দামি মানুষেরা এখন তোর সাথে দেখা করতে চাইবে, সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবে

আনুশা: স্যারর এই সব না করলেও পারতেন,এমনিতে ও আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা আমার সাথে ছিলো বলেই আজ আমি এখানে দাড়াতে পেরেছি

to be continue

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে