হারিয়ে যাওয়া পথ খুজে পাওয়া
part:8
লেখা –সুলতানা ইতি
মায়ের সে কি আনন্দ, অনেক দিন পর মাকে এতো খুশি হতে দেখলাম
আম্মু: কিরে শিলা এতো শুকিয়ে গেলি কেনো
শিলা: কই মা আমি তো ঠিকই আছি
আনুশা: আপু বুঝিস না,তুই যদি হাতি ও হয়ে যাস তার পরে মা বলবে না তুই এখন ও চিকন, আরেকটু মোটা হতে হবে,আনুশার কথা শুনে সবাই এক সংগে হেসে উঠলো
★
তানভীর : যাক বাবা এতো দিনে আনুশা কোথায় থাকে সেটা জানতে পারলাম
তানিম: এবার খুশি তো চল এবার বাসায় যাই
তানভীর : আর একটু থাকি না এখানে
তানিম: থেকে কি করবি,দেখ এখন সন্ধ্যা হতে চল্লো আনুশা এখন আর বের হবে না সো এখানে থেকে ও তোর কোন কাজ হবে না তার ছেয়ে ভালো বাসায় যাই
তানভীর : কি আর করা চল তা হলে, বাসার দিকে ফিরে গেলাম
#আনুশা: আপু তুই গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়,আমি খাবার দিচ্ছি,
শিলা:বাবা আনুশা তুই কবে থেকে কাজ করিস কি সুন্দর করে আমাকে ভাত বেড়ে খাওয়াচ্ছিস,আগে তো এক গ্লাস পানি ডেলে ও খাইতিস না
আনুশা: আপু আগে যেমন ছিলাম এখন ও কি তেমন থাকতে হবে, সব কিছুই পরিবর্তন শিল,আমি ও এর ব্যাতীর্কম নই
শিলা: তুই এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো আনুশা আমি তো যাস্ট এমনি বললাম
আনুশা: কথা না বাড়িয়ে খাওয়া শুরু কর,
#
তানভীর : বাসায় এসে পৌছলাম
আম্মু: কিরে কই গেলি, এতো তাড়া তাড়ি চলে আসলি,বলে তো গেলি ফিরতে রাত হবে
তানভীর : আম্মু এতো কথা বলছো কেনো আমি বাসায় আসাতে কি তোমার প্রব্লেম হইছে,তা হলে বলো আমি আবার চলে যাই
আম্মু: যাক বাবা তুই এতো রেগে যাচ্ছিস কেনো,
তানভীর : তুমি রাগ করার মতো, কথা বললে আমি রাগবো না তো হাসবো,দেখো আম্মু এখন একটু চুপ থাকো, কোন প্রশ্ন করো না
এই বলে চলে এলাম রুমে দরজা লাগিয়ে দিলাম
তানভীরের আম্মু: ছেলেটার যে কি হয়েছে আজকাল কথায় কথায় রাগ দেখায়,সারা দিন কি এতো ভাবে,জিজ্ঞাস করলে ও বলে না ওর বাবাকে ব্যাপার টা জানাতেই হবে,আজকেই ফোন করলে বলবো
*
খাওয়া শেষ করার পর আনুশা বল্লো আপু তুই একটু রেস্ট নে আমি এগুলা পরিষ্কার করে আসছি কেমন
শিলা: বোন টা কে যতো দেখছি ততই যেন অভাক হচ্ছি,এ কি সেই বোন যে কি না কাজ করতে চাইতো না হাত ময়লা হয়ে যাবে সেই ভয়ে
আনুশার আম্মু: কিরে শিলা কি ভাবছিস
শিলা: মা আনুশা?
আনুশার আম্মু: আমার মেয়েটা আর আগের মতো নেই রে শিলা,অনেক পালটে গেছে কতোটা পাল্টেছে তা কেউ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবে না, মেয়েটা আমার বিতরে বিতরে গুমরে গুমরে মরছে,আর আমি মা হয়ে তা দেখছি
শিলা: মা কেদো না তো সব ঠিক হয়ে যাবে
আনুশা: হঠ্যাৎ এসে দেখি মার চোখে পানি,একি মা তুমি কাদছো কেনো
শিলা: মা আসলে ভাবছে উনার দুই মেয়ে উনার কাছে সুমি টা আসলে ভালো হতো ( কথা গুরানোর জন্য বললাম)
আনুশা: মা তুমি কেদো না তো যখন আমার একটা চাকরি হবে তখন বড় একটা বাসা নিবো, তখন তিন মেয়ে কে এক সাথে দেখবে,
আনুশার আম্মু: সুমি কে একটু ফোন কর তো,
আনুশা: আচ্ছা করছি,এই নাও রিং হচ্ছে রিসিভ হলে কথা বলবে
শিলা: চল আনু আমরা একটু কথা বলি দুই বোনের অনেক দিন পর দেখা হলো,
আনুশা: হুম তা যা বলেছো আপু তোমাকে পেয়ে আমি অনেক খুশি হয়েছি,আর ও খুশি হতাম যদি সুমি আপু ও একসাথে থাকতো।
এই ভাবে গেলো আর ও কিছু দিন
আজ আনুশাদের রেজাল্ট বের হবে আনুশা তো সকাল থেকে টেনশন এ শেষ গতো কাল শিলা আপু ও চলে গেছে, কতো করে বললাম থেকে যেতে থাকলো না দুলা ভাইয়ের খাওয়া দাওয়ার নাকি প্রব্লেম হচ্ছে,এখন যে কি করি রেজাল্ট জানি কেমন হয় উফফ আর ভাবতে পারছি না কান্না পাচ্ছে যদি রেজাল্ট ভালো না হয় তা হলে আমি কি করবো
আনুশার আম্মু: চিন্তা করিস না মা আমি জানি তোর রেজাল্ট ভালো হবে
আনুশা: মা তুমি বলছো ভালো হবে,আল্লাহ তুমি আমার মায়ের কথা টা কবুল করো এই ভাবে হতাসার মধ্যে আনুশার সময় যাচ্ছে,
#
তানভীর :: রেজাল্ট নিয়ে আমার কোন চিন্তা নাই,হয় তো রেজাল্ট আসবে না,নয় তো টেনে টুনে পাশ করা রেজল্ট আসবে,আমি জানি এক্সাম ভালো হয়নি,
তানভীর এর আম্মু: তানভীর জানিস তোর বাবা কাল দেশে আসছে
তানভীর : জানতাম না তো আম্মু তা আব্বু হঠ্যাৎ করে দেশে ফিরছে কেনো
আম্মু: হঠ্যাৎ করে আসতে যাবে কেনো অনেক দিন থেকেই আসার কথা চলছে,তোকে নাকি তোর আব্বু কয়েক দিন কল দিয়েছে,তুই নাকি তোর আব্বুর কল রিসিভ করিস নি,
তানভীর : হুম আম্মু আসলে কথা বলতে ভালো লাগেনি তাই
আম্মু: তুই জানিস তোর পরিক্ষার রেজাল্ট নিয়ে তোর আব্বুর কতো সপ্ন,ওনি আজই আসতে ছেয়ে ছিলো টিকেট পায়নি তাই কাল আসছে
তানভীর : মন খারাফ হয়ে গেলো কেননা আমি আব্বুর সপ্ন পুরন করতে পারবো না,
আম্মু: ভাবিস না বাবা রেজাল্ট ভালোই হবে আল্লার রহমতে
দুপুর ২ টার দিকে রেজাল্ট বের হলো
আনুশা: মা এবার তা হলে একবার কলেজ থেকে ঘুরে আসি,এতোক্ষনে রেজাল্ট বের হয়ে গেছে মনে হয়
আনুশার আম্মু: তা হলে যা,
এইদিকে তানভীর সকাল থেকেই কলেজ এ ওয়েট করতেছে রেজাল্ট এর জন্য,(কি ভাবছেন তানভীর নিজের রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা করছে,না ও আনুশার রেজাল্ট দেখবে বলে অপেক্ষা করে বসে আছে)
তানভীর : যখন এ শুনলাম,নোটিশ বোর্ড এ রেজাল্ট শিট দিয়ে দিয়েছে তখনই ভোঁ দৌড় লাগালাম,
রেজাল্ট শিট দেখে তো আমি বলার ভাষা হারিয়ে পেলেছি,স্টাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছি
তানিম: কিরে এই ভেবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো তোর তো রেজাল্টই আসেনি
তানভীর : তানিমের কথায় আমার ঘোর কাটলো, ওওও আমার টা আসেনি তা হলে, কোন ব্যাপার না তুই আনুশার রেজাল্ট টা দেখ তো
তানিম: আনুশার রেজাল্ট দেখে আমার কি হবে
তানভীর : ভ্রূ কুঁচকে তাকালাম ওর দিকে, তুই বুঝবি না সর তো প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছে যাবো এই বলে হাটা ধরলাম অফিস রুমের দিকে
তানভীর : মে আই কামিন
প্রিন্সিপাল স্যারর:ইয়েস
তানভীর : স্যারর আনুশার রেজাল্ট দেখেছেন
স্যার: হুম দেখেছি আমরা কয়েকজন স্যারর মিলে এখন আনুশা দের বাড়িতে যাবো
তানভীর : (খুশি হয়ে) ও তাই নাকি
স্যার: কিন্তু আনুশার রেজাল্ট দেখে তুমি এতো খুশি কেনো তোমার তো রেজাল্ট ই আসেনি
তানভীর : কি যে বলেন স্যার সবাইকে আর ভালো রেজাল্ট করতে পারে,এর মধ্যে ইংলিশ স্যার মানে আমাদের রবিন স্যারর আসলো,
রবিন স্যারর প্রিন্সিপাল স্যারর কে বলছে স্যার গাড়ি রেডী চলুন আনুশাদের বাড়িতে যাওয়া যাক
প্রিন্সিপাল : হুম চলুন,
প্রিন্সিপাল স্যারর কি ভেবে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন তুমি যাবে আমাদের সাথে
তানভীর : স্যারর এর কথা শুনে তো আমার খুশি তে লাফাতে ইচ্ছে করছে, হুম স্যার। যাবো
এর মধ্যে:মেহেদী স্যারর আমাদের বাংলা শিক্ষক উনি এসে প্রিন্সিপাল স্যারর কে বললেন স্যারর একটা কান্ড ঘটে গেছে
প্রিন্সিপাল : আবার কি ঘটলো
মেহেদী স্যার:জার্নালিস্টি রা কি করে যেনো খবর পেয়ে গেছে ওরা আনুশার ইন্টার্ভিউ নিতে যায়
প্রিন্সিপাল : ও তাই চলো ওদের কে নিয়ে আনুশার বাড়িতে যাবো
তানভীর : আমার তো খুশির সিমা নেই আমাকে এতো খুশি হতে দেখে
তানিম বল্লো s,s,c te তোর রেজাল্ট অনেক ভালো ছিলো তখন তো তুই এতো খুশি হসনি
তানভীর : তানিম তুই বুঝবি না প্রিয়ো মানুষটার ভালো কাজে, কতো টা আনন্দ পাওয়া যায় এটা তুই বুঝবি না
তানিম: রাগ দেখিয়ে আমার বুঝার দরকার নেই আমি গেলাম তুই তো আনুশার বাড়িতে যাবি
তানভীর : হুম যাচ্ছি কেনো তুই যাবি না
তানিম: তোর ইচ্ছে হইছে তুই যা আমাকে এর মধ্যে টানছিস কেনো
তানভীর : ওকে আমি যাচ্ছি,সবাই এক সাথে মাইক্রোবাস করেছে আনুশাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য,আমি এ তাদের সাথে উঠে বসলাম
to bee continue