হঠাৎ বৃষ্টি পর্ব-১২ এবং শেষ পর্ব

0
1355

#হঠাৎ_বৃষ্টি
পর্বঃ১২
জান্নাতুল নাঈমা

দীর্ঘ রজনী। সূ্র্য অনেক আগেই ডুবে গেছে। সূর্যের জায়গায় আকাশে স্থান পেলো এক পালি চাঁদ। আজ হয়তো পূর্নিমা না কিন্ত চাঁদের আলো উপচে পড়ছে চারদিকে। আকাশে মিটিমিটি তারা। কিন্ত এই মুগ্ধকর পরিবেশেও মনের মধ্যে শান্তি পাচ্ছে না শুভ্রতা। মেঘের ওভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর একবারও শুভ্রতার সাথে দেখা হয়নি। হসপিটালেই আছে কিন্ত শুভ্রতার সামনে আসছে না। ভাইকে দিয়ে অনেকবারই ডেকে পাঠিয়েছে কিন্ত মেঘ আসে নি। শুভ্রতার নিজের প্রতি তীব্র রাগ হচ্ছে কেনো সে মেঘকে কথাগুলো বলতে গেলো। পরক্ষণেই মস্তিষ্ক জানান দিচ্ছে,,’কথাগুলো সত্য শুভ্রতা!’ মন মস্তিষ্কের লড়াইয়ে শুভ্রতা আটকে আছে। মন বলছে মেঘকে মেনে নিতে,মস্তিষ্ক বলছে তার সাথে তোমার যায় না। শুভ্রতার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে। কিন্ত কেবিনে মা,বাবা,ভাই সবাই আছে। সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুমাচ্ছে। শুভ্রতা বলেছিলো অন্য একটা থাকার রুমে যেতে। কিন্ত কেউ মেনে নেয় নি তার কথা। শুভ্রতা খুব আস্তে ধীরে বেড থেকে নামলো। আগের থেকেও ভালো হলেও শরীর বেশ দুর্বল। ধীর পায়ে সে কেবিন থেকে বেরিয়ে করিডরে পা দিলো। বাইরে এখনও কৃত্রিম অনেক আলো। হসপিটালে সব সময়ই মানুষের ভীড়। কিন্ত এর মাঝে মেঘকে কোথায় পাবে! শুভ্রতা করিডরের শেষ প্রান্তের দিকে হাটা দিলো। কিছুটা দূর যেতেই উল্টো দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানবকে দেখতে পেয়ে ঠোঁটে হাসি ফুটে। এইতো তার কাঙ্ক্ষিত মানুষটি। ধীর পায়ে সেদিকে এগিয়ে গেলো।
‘তুমি এখন বাইরে কি করছো শুভ্রতা? তোমার রুমে রেস্ট নেওয়া প্রয়োজন।’ মেঘের গম্ভীর মুখে শুভ্রতা নামটা শুনে শুভ্রতার চোখে পানি চলে এলো। সেই প্রথম দিন থেকে মেঘ শুভ্রতাকে শুভ্র বলে সম্বোধন করে। কিন্ত আজকে দু দুবার শুভ্রতা বলে ডেকেছে। যার থেকে মেঘের অভিমানের পাল্লা শুভ্রতা আন্দাজ করতে পারছে। তাও নিজেকে ধাতস্থ করে বলে,,’আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি এসেছি? অন্য কেউ তো হতে পারতো!’
মেঘ শুভ্রতার দিকে ফিরে তাকালো না। সামনের দিকে তাকিয়ে বলে,,’কারণ তোমার হাটা চল,উপস্থিতি সবটা আমার মুখস্থ!’
‘আই এম সরি মেঘ!’ শুভ্রতা বেশ কান্নামাখা কন্ঠে বলে।
‘ফর হোয়াট?’ মেঘ একই ভঙ্গিতে বলে। শুভ্রতা এবার মেঘের মুখের দিকে তাকালো। করিডরের এই পাশে আলো কম। কিন্ত তাও আবছা আলোতে মেঘের মুখে তীব্র অভিমানের রেশ ফুটে উঠেছে। শুভ্রতা মিনমিন কন্ঠে বলে,,’ওই সময়ের কথা গুলোর জন্য!’
মেঘ এবার শুভ্রতার দিকে তাকালো। মেয়েটা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘ একহাত দিয়ে শুভ্রতার মাথা উঁচু করে বলে,,’আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নিচু করবে না শুভ্রতা। আর একটা কথা কি জানো? বেরিয়ে যাওয়া তীর,আর মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়া কথা চাইলেও ফেরত নেওয়া যায় না শুভ্রতা!’
শুভ্রতা এবার কেঁদেই দিলো। মেঘ কেনো বারবার তাকে ‘শুভ্রতা’ বলে সম্বোধন করছে! শুভ্রতা এবার কাঁদতে কাঁদতে বলে,,’একটা কথা আছে জানেন তো, যদি ভালোবাসার মানুষের ভূল ক্ষমাই না করতে পারো,তবে তুমি কোনোদিন তাকে ভালোবাসো নি।’
শুভ্রতার কথায় মেঘ মুচকি হেসে বলে,,’আমি কি তোমাত উপর রাগ করেছি? যে ক্ষমা করবো?’

‘তাহলে আপনি বারবার আমাকে শুভ্রতা,শুভ্রতা বলছে কেনো?’ শুভ্রতার অভিমানী কন্ঠে মেঘ হেসে বলে,,’তবে কি বলবো শুনি?’
‘শুভ্র! শুধুমাত্র শুভ্র!’ শুভ্রতার কথায় মেঘ হেসে শুভ্রতার একহাত নিজের হাতের ভাজে নিয়ে বলে,,’আচ্ছা শুধু শুভ্র!’ শুভ্রতাও কথাটা শুনে আলতো হাসে। মেঘ শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে বলে,,’কষ্ট হচ্ছে?’
শুভ্রতা মাথা নাড়িয়ে না বুঝায়। তারপর বলে,,’এতোক্ষণ কষ্ট হয়েছিলো। এখন সব কষ্ট চলে গিয়েছে!’
‘জানো শুভ্র! তোমার কথাগুলোতে আমার খুব কষ্ট লেগেছিলো। কিন্ত পরে বুঝেছিলাম যে তোমার কথা গুলো যুক্তিহীন না। আমাদের চারপাশের মানুষ,সমাজের এটাই একমাত্র সত্যি। একটা ছেলের যেমন মোটা টাকা না থাকলে কোনো মেয়ের বাবা মূল্যায়ন দেয় না,ঠিক তেমনি মেয়ের বাবার টাকা না থেকে ছেলের পরিবার মূল্যায়ন দেয় না। আমি এই সমাজ ব্যবস্থা গুলো বুঝি না শুভ্র! একটা মানুষের থেকেও কি টাকা বেশি মূল্যবান?’

মেঘের কথায় শুভ্রতা কিঞ্চিৎ হেসে বলে,,’কি বলুন তো মেঘ। বেঁচে থাকতে গেলে টাকার প্রয়োজন,আর ভালো থাকতে গেলে ভালোবাসা! শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই চিরন্তন সত্য!’
মেঘ শুভ্রতার হাতটা আরেকটু শক্ত করে বলে,,’আমার কাছে তুমি আছো,এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। তুমি সারাজীবন থাকবে তো পাশে?’
‘আমি অনন্তকালের জন্য শুধুই আপনার!’ শুভ্রতার কথায় মেঘের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে ওঠে।
___________________

সকাল সকাল ঘুম ভাঙ্গতেই পাশে অচেনা ভদ্রমহিলা দেখে হকচকিয়ে যায় শুভ্রতা। পুরো কেবিনে চোখ বুলায়। নাহ মা-বাবা,ভাই,মেঘ কেউ নেই। সামনের মহিলার দিকে তাকালো। দেখে নার্স মনে হয়। বোরকা পরা,সাথে হিজাব। কিন্ত মুখটা এখন খোলা। খুব সুন্দর দেখতে। কিন্ত কারো সাথে চেহারার খুব মিল পাচ্ছে। ঘুম থেকে উঠার কারণে মনে হয় মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। উল্টো দিকের মহিলা শুভ্রতার দিকেই তাকিয়ে আছে। যার কারণে বেশ অস্বস্থিও হচ্ছে। শুভ্রতা কি করবে বুঝতে পারে না। অতঃপর ধীর কন্ঠে সালাম দিয়ে বলে,,’আপনি কে? আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম নাহ?’
শুভ্রতার প্রশ্নে মহিলাটা সালাম নিয়ে বলে,,’আমি মেঘের মা!’
‘মেঘের মা কথাটা যেনো বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো শুনালো শুভ্রতার কাছে। এই জন্য চেহারায় মিল খুঁজে পাচ্ছিলো। তার মানে মেঘ তার মায়ের মতো হয়েছে। কিন্ত মেঘ কাল রাতে কেনো বললো না তার মা আসবে।শুভ্রতার ভীষণ নার্ভাস লাগছে। তাও নিজেকে সামলিয়ে বলে,,’ভালো আছেন আপনি?’
‘হ্যা। তোমার শরীর কেমন?’
‘জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো।’ শুভ্রতা কথাটা বলে চুপ করে গেলো। আর কি বলবে বুঝতে পারছে না। আড়চোখে বারবার দরজার দিকে তাকাচ্ছে। মেঘের মা তা দেখে বলে,,’সবাই বাইরে আছে। আমি তোমার সাথে কিছু কথা বলতে চাই!’
মেঘের মায়ের কথায় শুভ্রতা ঘাবড়ে গেলেও উপর দিয়ে যথেষ্ট স্বাভাবিক থেকে বলে,,’জ্বি বলুন।’
‘তুমি মেঘকে ভালোবাসো?’ শুভ্রতা সহজভাবে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করলো। তাই মাথা নিচু করে বলে,,’জ্বি।’
‘আমি যদি বলি তুমি মেঘকে ছেড়ে দাও। ছেড়ে দিতে পারবে?’
মেঘের মায়ের কথায় শুভ্রতার কলিজা কেঁপে উঠলো। মেঘের মায়ের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিলো। চুপ করে রইলো। কারণ সে কিছুতেই মেঘকে ছাড়ার কথা ভাবতে পারবে না। শুভ্রতার চুপ থাকা দেখে মেঘের মা বলে,,’মেঘকে আমি দুটো অপশন দিলে ১. তোমার সাথে থাকা ২.তোমাকে ছেড়ে দিয়ে আমাদের সাথে থাকা,এই দুয়ের মধ্যে তুমি মেঘকে কোনটা নিতে বলবে?’
শুভ্রতা ফোঁস করে শ্বাস ফেললো। সে জানতো মেঘের পরিবার মানবে না তাই কাল মেঘকে কথাগুলো বলেছিলো। কিন্ত সেটা যে এতো তাড়াতাড়ি হবে বুঝতে পারে নি। শুভ্রতা এবার মেঘের মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,,’দ্বিতীয়টা। কারণ আমি চাইবো না আমার জন্য মেঘ নিজের পরিবার থেকে দূরে সরে যাক। হয়তো একসময় আমাকে ভুলে যেতে সক্ষম হবে। কিন্ত পরিবার ছাড়া বাঁচা সম্ভব হবে না।’

শুভ্রতার চোখ দুটো টলমল করছে। ভীষণ কান্না পাচ্ছে। মেঘের মা একটু জোরে হাক ডেকে বলে,,’ভেতরে আসুন সবাই।’ মেঘের মায়ের কথায় শুভ্রতার মা-বাবা,ভাই,মেঘ সবাই কেবিনে আসলো। শুভ্রতা মাথা নিচু করে নিশ্বব্দে কাঁদছে। তা দেখে মেঘের মা শুভ্রতাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে,,’এই কাঁদছ কেনো?’ শুভ্রতা কিছু বলছে না। মেঘের মা এবার শুভ্রতার মুখ উঁচু করে,,’আজই তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছ না যে তুমি কেঁদে ভাসাবে। সুস্থ হয়ে উঠলে তো বিয়ে!’
বিয়ে কথাটা শুনে শুভ্রতা খানিকে অবাক হলো। মেঘ মিটিমিটি হাসছে। মেঘের মা শুভ্রতার হাত টেনে একটা বালা পড়িয়ে বলে,,’আমাদের পরিবারে তোমাকে স্বাগতম!’ তারপর শুভ্রতার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দেয়। শুভ্রতার ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠে। উপস্থিত সবার মুখে তৃপ্তির হাসি।
মেঘের মা এবার মেঘকে নিজের কাছে ডাকে। মেঘ হাসি মুখে এগিয়ে গেলে মেঘের কান টেনে বলে,,’এই বদমাশ ছেলে। এতো মিষ্টি একটা মেয়ের কথা তুই এতোদিন পেটের মধ্যে ছেপে রেখেছিস? তোর কান আমি টেনে লম্বা করে দিবো।’
মেঘ আহঃ শব্দ করে বলে,,’আহ মা লাগছে। ছাড়ো। নইলে পরে আমার বাচ্চারা আমাকে কান লম্বা বাবা বলে ডাকবে।’ মেঘের কথায় উপস্থিত সবাই হেসে উঠলো। শুভ্রতা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে।
__________________

শেষাংশঃ

‘আহ মেঘ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?’
‘আহা শুভ্র চলো না। গেলেই দেখতে পাবে।’ মেঘ শুভ্রতার দুচোখ ধরে বলে। এরপর একটু দূরে এসে চোখ ছেড়ে বলে,,’সারপ্রাইজ!’ মেঘ চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সামনে একটা সাইকেল। শুভ্রতা নাক মুখ কুঁচকে বলে,,’এই এখানে সারপ্রাইজের কি হলো? আমি কি সাইকেল চিনি না?’
শুভ্রতার কথায় মেঘ হেসে বলে,,’তাও ঠিক। চলো আজ সাইকেলে করে এক জায়গায় যাবো!’
‘কেনো বাইকের কি অকাল মৃত্যু হয়েছে? যে সাইকেলে যাবো?’
‘ও হো শুভ্র। বেশী কথা বলছো তুমি। চলো তো।’
মেঘ শুভ্রতাকে সাইকেলের কাছে নিয়ে সামনে বসিয়ে নিজে পেছন থেকে চালানো শুরু করে। শুভ্রতার খোলা চুলগুলো বারবার মেঘের চোখে মুখে লাগছে। চুল বাধাই ছিলো কিন্ত মেঘ খুলে দিয়েছে।
‘আচ্ছা শুভ্র তুমি কি মাখো? চুলে এতো সুন্দর ঘ্রাণ?’
শুভ্রতার হেসে বলে,,’পেট্রোল!’
মেঘ ফাংসুটে মুখে বলে,,’আনরোমান্টিক! এভাবে আমার ছেলে মেয়ের মুখ দেখলে হয়!’ মেঘের কথায় শুভ্রতা খিলখিলিয়ে হেসে উঠে। মেঘ মুগ্ধ চোখে সে হাসিতে তাকিয়ে রয়।

অনেকক্ষণ পর নিজেদের কাঙ্ক্ষিত জায়গায় আসে দুজনে। শুভ্রতা তাকিয়ে দেখে এটা সেই জায়গা যেখানে ওরা ফুলের গাছ লাগিয়েছিলো। এখন আরো গাছ লাগানো হয়েছে। পুরো জায়গাটা দেখতে ফুলের সমুদ্রের মতো লাগছে। শুভ্রতা পাশ ফিরে দেখে মেঘ শুভ্রতার দিকে তাকিয়ে আছে। শুভ্রতা মনোমুগ্ধকর একটা হাসি দিয়ে বলে,,’মেঘ এটা..!’ মেঘ শুভ্রতাকে থামিয়ে বলে,,’এখন কোনো কথা নয়।’ এরপর মেঘ শুভ্রতার হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যায়। ফুলের একেবারে মাঝখানে এসে দাঁড় করায় শুভ্রতাকে। এরপর মেঘ হাটু গেড়ে বসে নিজের একহাত শুভ্রতার দিকে বাড়িয়ে বলে,,
‘শুভ্র! তোমাকে কি বলে সম্বোধন করবো আমার জানা নেই। তুমি বৃষ্টিবিলাসের সময় আমার কাছে বৃষ্টিকন্যা। এলোমেলো চুলে মনোহরণী,শুভ্ররাঙা পোশাকে শুভ্রপরী,মিষ্টি হাসি দিলে সুহাসিনী। আরো কতো কি! তোমাকে দেওয়া আমার নামের কোনো শেষ নেই। তবে তুমি আমার একান্ত বৃষ্টিকন্যা। এক #হঠাৎ_বৃষ্টিতে তোমাকে আমি প্রথম খুঁজে পেয়েছি। শুভ্র! তুমি কি আমার এক দীর্ঘ উপন্যাস হবে? যার প্রতিটি শব্দ,লাইন আমি প্রতি মুহুর্তে আমি পড়বো। কিন্ত আমি শেষ পাতা পড়তে পারবো না। তুমি নামক উপন্যাস পড়তে পড়তেই আমি নিঃশেষ হয়ে যাবো। বলো হবে কি?’

শুভ্রতা একদৃষ্টিতে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে। মেঘের বলা প্রতিটা লাইনে ভালোবাসা জানান দিচ্ছে। শুভ্রতা নিজের একটা হাত মেঘের দিকে বাড়িয়ে বলে,,
‘হ্যাঁ মেঘ। আমি আপনার সেই দীর্ঘ উপন্যাস হবো। সেদিনের বৃষ্টিতে আপনি আমায় নিরাপদে আশ্রয় দিয়েছিলেন,সেদিন প্রথম আপনার প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলাম। যাওয়ার সময় ভেবেছিলাম ইস আবার যদি দেখা হতো! ভার্সিটিতে আপনাকে দেখার পর আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। আপনার সাথে আমার প্রতিটা মুহুর্ত আমি ভাগ করে নিতে চাই। আমি অনন্তকালের জন্য শুধু আপনার।’
শুভ্রতার কথায় মেঘ আময়িক হাসলো। ছোট্ট হলদে একটা ফুল দিয়ে আংটি বানিয়ে শুভ্রতার আঙ্গুলে পরিয়ে বলে,,’আমার ফুলপ্রেমি মনোহরণীর জন্য ফুলের আংটি।’ এরপর উঠে দাঁড়িয়ে পাশ থেকে একটা ব্যাগ বের করলো। এটা এতোক্ষণ শুভ্রতার চোখে পড়ে নি। ব্যাগ থেকে একটা ফুলের ক্রাউন শুভ্রতার মাথায় পড়িয়ে দিয়ে বলে,,’লুকিং বিউটিফুল মাই কুইন। ভালোবাসি শুভ্র!’
‘ভালোবাসি মেঘ!’
এভাবেই বেঁচে থাকুক মেঘ-শুভ্রতা সারাজীবন। বাকিটা আপনারা কল্পনা করে নেবেন।

__________সমাপ্ত_____________________

(ভূল-ত্রুটি ক্ষমা করবেন।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে