#স্বামীর_বিয়ে৬
#সাখেরীন
অভ্র অভ্রদের বাসায় চলে যায়। রুহীনি ( হাত দিয়ে ঈশারা করে) জিজ্ঞাস করলে বলে নিহাল রাতে অভ্রদের বাসায় নিয়ে যাবে তাকে। রুহীনি আর প্রশ্ন করার আগেই অভ্র চলে যায়। আর নিহাল চলে যায় মীমের সাথে দেখা করতে। রুহীনি একা তার রুমে বসে মা- বাবাদের কথা মনে পরে কাদঁছে হঠাৎ কেউ তার পিঠে হাত রাখে…..রুহীনি চমকে পিছনে ফিরে দেখে নিহাল। নিহাল:, হাত সরিয়ে নিলাম কাদঁছো কেনো??( ঈশারা করে) রুহীনি: মা- বাবার কথা বললো( ঈশারাই) নিহাল:ওহ!! কান্না অফ করে রেডি হও তোমাকে এখনি দিয়ে আসবো( ঈশারাই) রুহীনি: কই( ঈশারাই) নিহাল: কত ক্ষন চুপ করে রইলো তারপর বললো অভ্রদের বাসায় রুহীনি:শুনে খুশিতে রেডি হতে লাগলো। নিহাল রুহীনির রুম থেকে বেড়িয়ে দেয়ালের সাথে মিশে দাড়িয়ে ভাবতে লাগলো রুহীনিকি কানে শুনে নাকি?? অভ্রের বাসায় যাবার কথাটা তো আমি ঈশারাই বলিনি তাহলে শুনলো কিভাবে???না বিষয়টা ভাবাছে!!!রুহীনি রেডি হয়ে মনু কাকার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ির ডোর নিয়ে টানাটানি করছে, কিন্তু ডোরটা খুলছে না। এটা দেখে নিহাল বললো:ওয়েট আমি আসছি। রুহীনি একটু লজ্জা পেলো।রুহীনি:( এমাা কি লজ্জা কি লজ্জা গাড়ির দরজাটা পর্যন্ত খুলতে পারলাম না তাহলে কিভাবে স্বামীর পরিবারের কাজ করে মন যোগাবো??( মনে মনে) নিহাল:( এখনো কানে শুনলো) কি দাড়িয়ে থাকবে নাকি সিটে বসবে?? রুহীনির ভাবনায় ছেদ হলো নিহালের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক দিয়ে গাড়ির সিটে বসলো । নিহাল রুহীনির সিট বেল বেধে দিলো।এতে রুহীনি একটু কেমন কেমন লাগলো। নিহাল কার ড্রাইভ করতে লাগলো আর রুহীনি তার অভ্যাস অনুযায়ী ঘুমিয়ে পরলো। রুহীনি নিজেও যানে না কোথায় নিয়ে যাচ্ছে,কি তার ভাগ্য?? অভ্রকি তাকে বউ হিসাবে কখনো মানবে??নিহাল কি ভালো?? নিহাল কি াসত্যি অভ্রদের বাসায় নিয়ে যাচ্ছে নাকি অন্য কোথাও?? এসব সব প্রশ্নে থেকে রুহীনি বহুদূরে। রুহীনির মনে আছে অভ্রকে নিয়ে বিশ্বাস, ভরসা, স্বামীর ভালোবাসা,ছোয়া। গাড়ি চলতে লাগলো নিহালের মন মতো। রুহীনি ঘুমের দেশে ঘুরতেছে। নিহাল রুহীনির সাথে পার্কে ঘুরতেছে আর বাদাম খাচ্ছে । নিহাল রুহীনির হাত ধরলো। নিহাল মুচকি হাসিঁ দিলো সাথে রুহীনিও। রুহীনি: কি হলো নিহু (কথাটা মুখেই বললো) নিহাল রুহীনির হাত ছেড়ে দিয়ে অন্য সাইডে হাটা শুরু করলো। রুহীনি:( দৌড়ে নিহালের হাত ধরলাম) সরিিি আর নিহু বলবো না নিহাল রুহীনির থেকে হাত ছাড়িয়ে নিলো রুহীনি: নিহাল শুন ইয়ার রাগ করিস না…নিহাল:( চুপ করে রইলো) রুহীনি: প্লিজ চুপ করে থাকিস না তোকে আছেই বা কে আমার কথা বল নিহাল:( রুহীনি কান মলে একটু হাসার ট্রাই করে) এবার মাফ করলাম আর কখনো বলবি না রুহীনি: উমম হুমমম নিহাল:( কি সুন্দর মীম মীমের বর নিয়ে ঘুরছে রাগে গা কামড়াছে) রুহীনি: কিরে দেবদাস বাসায় যাবি না নিহাল:( হুস ফিরলো) হুম চল। নিহাল রুহীনিকে, রুহীনিদের বাসায় দিয়ে নিজের বাসায় গেলো।আজ চার বছর রুহীনি আর অভ্রের বিয়ে হয়েছে।অভ্র যে তার স্বাদ মিটিয়ে চলে গেছে তারপর থেকে রুহীনি সাথে দেখা করেনি। পা পর্যন্ত পরেছে তারপর অভ্র ফিরে তাকায়নি। সেই চারবছর আগে নিহাল রুহীনিকে লাভলি ডান্স বারে দিয়ে আসেনি। নিহাল রুহীনিকে নিহালের অন্য বাসায় নিয়ে যায়। তারপর……নিহাল: রুহীনি তুমি কি কানে শুনতে পাও?? রুহীনি: মাথা নাড়িয়ে হ্যা সূচক দিলো।নিহাল:আলহামদুলিল্লাহ। শুনো রুহীনি আমি যা বলবো তা সব সত্যি আমি জানি আমিও অন্যায় করছি কিন্তু তারপর ফেবুতে ওই পোস্টা দেখে আমার মন চাইলো না তোমাকে খারাপ জায়গাই দিয়ে আসি। রুহীনি:( হাত দিয়ে ঈশারা বললো) কি বলছে মাথায় ডুকছে না নিহাল:রুহীনি তোমার শরীর দিয়ে অভ্র চাহিদা মিটিয়েছে ও কখনো তোমায় বউ হিসাবে মানে না। তোমাকে খারাপ লোকেদের কাছে বেচঁে দিয়েছে। এখন আমি তোমাকে সেইখানেই নিয়ে যাচ্ছি। রুহীনি:( রাগে কষ্টে কান্না করতে লাগলো) নিহাল: রুহীনি পিল্জ কান্না করো না, তুমি কান্না করলে নিজেকে অপরাধী লাগে। রুহীনি তারপরও কান্না করছে। নিহাল: দেখো তুমি কান্না করলে কিন্তু অভ্র তোমাকে আরো খারাপ ভাববে। রুহীনি কান্না অফ করে ফুফাতে লাগলো। নিহাল: দেখো রুহীনি অভ্র একটা ইউটিউবার ও কখনো তোমাকে মেনে নিবে না তুমি কথা বলতে পারোনা, স্টাইল করে চলো না,স্টাডি এন্ড অনেক কিছুই তুমি করো না বা নেই। তুমি অভ্রকে পেতে হলে কথা বলতে হবে, স্টাইল করতে হবে,পড়াশোনা করতে হবে।তাই আমি বলি কি তোমাকে গ্রামে দিয়ে আসি তুমি চলে যাও।রুহীনি কান্না করতে লাগলো আর ভাবতে লাগলো বাবা- মাকে এই মুখ কিভাবে দেখাবো?? কল্ক তো অনেক করেছি এখন আর কল্ক করতে চাই না। আমি এখন গ্রামে গেলে হয়তো ওইদিনের মতো মারা যেতে চাইবে। ওই বাচিঁয়ে ছিলো বলে সবাই এখন কেউ বাচাঁবে না। গ্রামের সবাই একঘোরা করে দিবে। ( মনে মনে এসব ভাবছে আর কাদঁছে) নিহাল: কেদেঁ লাভ নেই চলো তোমায় গ্রামে দিয়ে আসি রুহীনি( হাতের ঈশারায়) না বললো আর বললো তাকে ওই খারাপ জায়গাই দিয়ে আসতে বাবা- মা বেচেঁতো যাবে,একঘোরা হতে তো হবে না, হই না খারাপ তাদের সুখই আমার সুখ। নিহাল:এই কথা শুনে রাগে গজগজ করতে করতে চলে গেলো বাসা থেকে। রুহীনি কান্না জুড়ে দিলো।নিহাল:কি করা যায় এই মেয়েটাকে নিয়ে?? কি মহাবিপদেই না পরলাম। কিং কিং কিং ফোন রিসিভ করলো নিহাল। অভ্র:কিরে রুহীনিকে দিয়ে আসছিস তো লাভলি ডান্স বারে?? নিহাল:( ভেবে পাচ্ছে না কি বলবে সত্যি টা বললে রক্ষে রাখবে না) অা…..নিহাল অভ্রকে বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু কে যেনো নিহালকে ধাক্কা দিলো। নিহালের হাতের থেকে ফোনটা পরে গিয়ে সুইচঅফ হয়ে গেলো। নিহাল:আ ইউ মেড?? অচেনা লোক:সরি স্যার.. এই নিন নিহাল:আর চোখে তাকিয়ে এই পোস্টার দিয়ে আমি কি করব। অচেনা লোক: স্যার নিন তো পরবেন এন্ড অন্যদের বলবেন। নিহাল একটু ভেবে নিলো পোস্টারটা অচেনা লোক :ধন্যাবাদ স্যার নিহাল:হু..( ফোন টা তুলে পকেটে রেখে দিয়ে পোস্টার টায় চোখ গেলো চোখ বড়বড় হয়ে গেলো) অন্যদিকে রুহীনি টুল বেডের ওপর রেখে ফেনে উড়না বাধঁছে…..
#চলবে…