#স্বামীর_বিয়ে ৫
#সাখেরীন
অভ্র রাগে উঠে রুহীনির দিকে এক পা এক পা করে আগাচ্ছে আর রুহীনি পিচ্ছিল। অভ্র শয়তানি হাসি দিলো রুহীনির এগুতে লাগলো। রুহীনি অভ্রের মতলব আন্দাজ করতে পারলো। রুহীনি ভয়ে পিছাতেই লাগলো আর অভ্র এগুতে লাগলো……রুহীনি দেয়ালের সাথে মিশে গেলো অভ্র দেয়ালে হাত দিয়ে, রুহীনির মুখের কাছে নিজের মুখ নিলো । রুহীনি ভয়ে চোখ অফ করে ফেললো। অভ্রের আর রুহীনির মাঝে শুধু সামান্য জায়গা আছে। রুহীনি ঘেমে একাকার। অভ্রের প্রতিটি নিশ্বাস রুহীনির কপালে পরছে, আর রুহীনির নিশ্বাস অভ্রের বুকে পরছে। অভ্র রুহীনির ঠোঁটের দিকে আগাতে লাগলো। নক নক….!! দরজায় বেল পরলো তাই অভ্র রাগ চেপে দরজা খুলে দেখলো মনু কাকা। অভ্র: কি চাই??? ( দাতেঁ দাত চেপে রেখে) মনু কাকা:( ভয়ে ভয়ে) স্যার আপনার পার্সলে অভ্র:( শয়তানি হাসি দিলো) ওহ মনু কাকা থেকে পার্সেল গুলো নিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম ( পিছনে ফিরে দেখি মেয়েটা আগের জায়গাই দাড়িয়ে কাপঁছে। ঠোট গুলো কমলার কোষের মতো। এমনি পাগল হয়ে যাই। না জানি নাইটি পরলে……….
অভ্র বেডে রুহীনিকে ঈশারা কাছে বললো। রুহীনি দেখলো অভ্র ঈশারা করছে কাছে যাওয়ার জন্য,কিন্তু রুহীনি অভ্রের কাছে না গিয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। অভ্র :এভাবে জোড় করে স্বাদ ভালো পাওয়া যায় না তাহলে কি করা যায়???।উম উম উমমমম হুমমম বুঝছি। ( মনে মনে কথা গুলি ভাবছিলাম)…অভ্র এবার রুহীনি সামনে গেলে। রুহীনি মাথা নিচু করে আছে। অভ্র:( অভিনয় করে ইমোশনস্ নিয়ে রুহীনিকে হাতের ঈশারাই বুঝালো) সে তার স্বামী। আর স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে এসব হয়। রুহীনি ভরসার চোখে অভ্রকে দেখো। অভ্র:রুহীনির হাত ধরলো। রুহীনি আর বাধা দিলো না।অভ্র রুহীনির কপালে চুমু দিলো। রুহীনি একটু কেঁপে উঠলো। অভ্র রুহীনিকে নাইটি দিয়ে বললো পড়ে আসতে( হাতের ঈশারায় বললো অভ্র)। রুহীনিও হাতে ঈশারা দিয়ে বললো.. এতো ছোট কাপড় বাচ্চারা পড়ে আমি পড়বো না। অভ্র:( হাতের ঈশারাই) না শহরে সবাই এমনি পরে। রুহীনি: তারপর না বলে দিলো। অভ্র: আর ফোর্স করলো না, রুহীনিকে একটানে নিজের কাছে আনলাম তারপর কপালে, ঠোটে,গালে,গলায়, আমার ঠোটের ছোয়া দিতে লাগলাম। রুহীনিও তাল মিলিয়ে দিলো রুহীনিকে কুলে করে অভ্র বেডের দিকে যেতে লাগলো। আজ আর রুহীনি বাধা দিলো রুহীনিও তো এতোদিন চাইতো তার জামাই তাকে ভালোবাসতো।আজ হয়তো রুহীনির ইচ্ছা পূরন হয়েছে, আর অভ্রের স্বাদ মিটিয়েছে । পরের দিন সকাল বেলা…..রুহীনি গ্রামে থাকে তাই তার তাড়াতারি উঠে অভ্যাস, আজও সে ঘুম থেকে ভোরের উঠেছে। রুহীনি কোন রকম উড়না টেনে ফ্রেস হতে গেলো। রুহীনি তার শরীরে অনেক দাগ দেখলো, দাগ গুলো এখন লাল হয়ে আছে । রুহীনির শরীর টাও খুব দুর্বল । কোনরকম পানি ঢেলে এসে সোফায় বসে পড়লো। রুহীনির এই চারদেয়াল ভালো লাগছে না, বার বার অভ্রের দিকে তাকাচ্ছে দেখছে অভ্র উঠেছে কিনা?? কিন্তু অভ্রকে সে পরে পরে ঘুমাতেই দেখছে। নিহাল সারারাত জেগে ছিলো মীমের সাথে ফোনে কথা বলে বলে রাত পার করে দিয়েছে ভোরের দিকে ঘুমিয়েছে। সকাল১০ টায়…অভ্র ঘুম থেকে উঠে দেখে সোফায় রুহীনি ঘুমিয়ে আছে অপূর্ব লাগছে রুহীনিকে… হলুদ শাড়ি,ভিজা চুল টপটপ করে পানি পরছে কিছু মেঝেতে আবার কিছু পানি রুহীনির হাতে,
নাকে ছোট্ট নাকফুল ফুটে আছে, ঠোটের কোনায় কামড়ের দাগে একটু ফুলে গেছে, তারপরও অপূর্ব লাগছে। রুহীনি একটু নড়েচড়ে উঠলে অভ্রের হুস হয়। অভ্র রুহীনিকে ডেকে ফ্রেস হতে চলে যায়। রুহীনি একটু হলেও লজ্জা পায়। রুহীনি: ইসস কখন যে বসে থাকতে থাকতে চোখ লেগে এসেছে মনে নেই( মনে মনে)। অভ্রের ফ্রেস হতে এক ঘন্টাখানি লাগলো। ইতিমধ্যে নিহালও উঠে গেছে সেও ফ্রেস হয়ে নিচে আসে। মনু কাকা নাস্তা টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে। অভ্র রুহীনিকে সাথে নিয়ে ব্রেকফাস্ট করলো । নিহাল কিছু বললো কালকে রাতে নিহাল ফেবুতে একটা পোস্ট দেখেছে যা তার মনকে কুড়েকুড়ে খাচ্ছে। অভ্র:কিরে তোর মুখচোখ এমন কেনো নিহাল এতো ক্ষনে ওই পোস্টের কথাই ভাবছিলো আর জুস খাচ্ছিলো অভ্রের কথায় চমকে হাতের থেকে গ্লাসটা পরে যায়। এতে সবাই নিহালকে আড়চোখে দেখে। অভ্র: আ ইউ ওকে?? নিহাল: ইয়াহ আ,ম অল রাইট । তারপর নিহাল,অভ্র, রুহীনি নাস্তা করলো। রুহীনি তার রুমে গেলো সাথে অভ্র যেতে চাইলে বাধা দেয়। নিহাল: একবার তো হয়েছে এখন নতুন কাউকে খুজেনে অভ্র: ( একটু ভেবে) মন্দ বলিস নি অভ্র আর নিহাল ক্লাব হাউস গিয়ে মদ পান করতে লাগলো এটা তাদের কমন ব্যাপার। দুপুর লান্স করে অভ্র অভ্রদের বাসায় চলে যায়। রুহীনি ( হাত দিয়ে ঈশারা করে) জিজ্ঞাস করলে বলে নিহাল রাতে অভ্রদের বাসায় নিয়ে যাবে তাকে। রুহীনি আর প্রশ্ন করার আগেই অভ্র চলে যায়। আর নিহাল চলে যায় মীমের সাথে দেখা করতে। রুহীনি একা তার রুমে বসে মা- বাবাদের কথা মনে পরে কাদঁছে হঠাৎ কেউ তার পিঠে হাত রাখে…..
চলবে…