#স্বামীর_বিয়ে৪
#সাখেরীন
মেয়ে রুহীনিকে এক সময় বকতো আরেক সময় তো ঠিকিই বুকে টেনে নিতো এখন কাকে নিবে রুহীনি কানে শুনতো তাই রুহীনির মা রুহীনির সাথে সব কথা শেয়ার করতো রুহীনিও হাত দিয়ে ঈশারা করে কথা বলতো এখন কার সাথে কথা বলবে এখন যে ঘরটা পুরো ফাকা ফাকা লাগছে….কারে সামনে বসে আছে অভ্র। নিহাল কার ড্রাইভ করছে। রুহীনি ঘুমিয়ে পড়েছে লং জার্নি আর রুহীনি গাড়িতে উঠার পরপরেই ঘুমে ঢুলে পরে যায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো রুহীনি এতোক্ষনে ঘুম থেকে উঠে গেছে।উঠে দেখে অভ্র আর নিহাল খাচ্ছে। রুহীনি এতে একটু খারাপ লাগলো তাকে কেউ বলেনি। নিহাল রুহীনিকে খাবার দিলো অভ্র এতে নিহালের দিকে রেগিয়ে তাকালো। নিহাল কিছু না বলে ড্রাইভের মনোযোগ হলো। অভ্র তার ফোন নিয়ে ব্যস্ত। অভ্র ডিরেক্ট নিহালের বাসায় যাবে যে পর্যন্ত শরীরে দাগ না যায় সে পর্যন্ত নিহালের বাসায় থাকবে। নিহালের ফেমিলি ইরাকের বাগদাদে থাকে। সবে মাএ ঢাকা শহরে প্রবেশ করলো। আরো প্রায় ১ ঘন্টা লাগবে। অভ্র আর নিহাল একটু টেনশনে পরে গেলো। পুলিশ অফিসার জিহাদ আর অভ্র চরম শত্রু । নাকাবন্দি এর সময় রুহীনির কথা জিজ্ঞাস করলে কি বলবে তারা। রুহীনির সব স্বপ্নের মতো লাগছে এতো গাড়ি এন্ড এতো বড় বড় দালান,আবার কত মানুষ হেটেঁ যাচ্ছে এই প্রথম রুহীনি দেখলো আবার, ভয় ও পাচ্ছে দালান গুলো যদি ওর উপরে এসে পড়ে যায় তখন কি হবে?? রুহীনি ভয়ে চোখ অফ করে ফেললো সিটের কোনায় খামছেঁ ধরলো। কার থেমে গেলো নিহালে বাসার সামনে এসে গেছে তাই। আজকে নাকাবন্দি ছিলো না তাই রুহীনিকে নিয়ে টেনশনেও কেউ পরেনি।নিহালে এসে মনু কাকে বলল রুম দেখিয়ে দিতে। মনু কাকা রুহীনির কথা জিজ্ঞাস করলনা এমন মেয়ে সপ্তাহে দু-চারটা আসেই। অভ্রকে নিহালের পাশের রুমের চাবি দিলো। আর রুহীনিকে কিচেনে সাথের রুমটা দিলো। রুহীনি ভিতরের রুমে ডুকে অবাককক…..এতো বড় রুম????? এতো সুন্দর…. আগে কখনো দেখেনি। পুরো রুম সাদা রং করা এন্ড সব আসবাবপত্র ও সাদা কালার করার বেডের চাদর ইত্যাদিও সাদা খুব সুন্দর স্বপ্নেও এসব দেখেনি। মনু কাকাও অবাক রুহীনির পোশাক দেখে। মনু মেম এটা আপনার রুম কোন কিছু লাগলে আমাকে বলবেন। রুহীনি মনু কাকার দিকে তাকিয়ে রইয়েছে। মনু কাকা: যাই গিয়ে কাজ আছে আমার। রুহীনি রুমের ভিতরে ডুকে দরজাটা অনেক কষ্টে লাগালো লক সিস্টেম তো তাই। রুহীনি তার ব্যাগটা ডয়ারের উপরে রেখেদিলো…. তারপর বেডে গিয়ে বসে উড়নার কোনা মুখে নিয়ে ভাবতে লাগলো এটাই কি অভ্রদের বাড়ি?? নাকি অন্য দুনিয়া এতো সুন্দর পৃথিবী আগে জানা ছিলোনা। অভ্রের পিঠে ছেক দিচ্ছে মনু। মনু কিছুই বুঝছে না। ভয়ে জিজ্ঞাসও করতে পারছে না। নিহাল শাওয়ার নিচে বসে ভাবছে রুহীনিকে কি করা যায়। অভ্র বলেই দিয়েছে সে কিছুই করবেনা। নিহালও তো আর বাসায় রাখতে পারেনা। রুহীনির কথা একবার যদি মিডিয়ারা জানতে পারে তাহলে বেড রেকট হয়ে যাবে তার আর অভ্রের। সবচেয়ে বড় কথা আমার গার্লফ্রেন্ড মিম সে তো গলায় দড়ি দিবে। না আজ রাতেই লাভলি ডান্স বারে দিয়ে আসবো, আর বলবো কখনই যেনো বারের চৈাখাট পার না পেরে হতে পারে হুম এটাই ঠিক হবে। নিহাল মনু কাকা বললো খাবার লাগাতে টেবিলে। মনু কাকাও আদেশ পালন করতে কাজে লেগে পড়লো। অভ্র নিহালকে বললো রুহীনির জন্য এতো কিছু তাই আজ রাত রুহীনিকে দিয়ে ইচ্ছা পূরন করবে। নিহাল বাধা দিলোনা। মনু কাকা শুনলো কিছু বললো না এসব দেখে সে অভ্যস্থ। রুহীনি আগে জায়গায় বসে আছে। সে ভেবেই পাচ্ছে এখন কি করবে?? এতো নরম বেড এন্ড পিলো শুয়ে থাকলে মনে হয় ভিতরে ডুকে পরছি। রুহীনি এসব ভাবছিলো এর মধ্য মনু কাকা এসে খাবার দিয়ে গেলো। অভ্র আর নিহালও খেয়ে নিলো। নিহাল মীমের সাথে কথা বলতে ব্যস্ত। আর অন্যদিকে অভ্র অনলাইন থেকে রুহিনীর জন্য নাইটি পারফিউম ইত্যাদি অর্ডার করলো। অভ্র এবার রুহীনির রুমে দিকে আগাতে লাগলো। নিহাল দেখলো কিন্তু কিছু বলল না অভ্রকে বললেই কি অভ্র শুনার পাএ নই। রুহীনি: আমি মেঝেতে শুয়ে ছিলাম। বেডে শুয়ে থাকলে যেনো কেমন লাগে তাই মেঝে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার চুলগুলো নাড়ছে তাড়াতারি চোখ খুললাম। চোখ খুলে দেখি ওই লোকটা ভয়ে ওই লোকটাকে ধাক্কা দিয়ে উঠে বসলাম। ( মনে মনে)….রুহীনি অভ্রকে ধাক্কা দেওয়াই , অভ্র টাল সামলাতে না পেরে পরে গেলো। অভ্র রাগে রেগিয়ে থাকে রুহীনির দিকে। রুহীনি বেচারি ভয়ে কাঁচুমাচু করছে।অভ্র রাগে উঠে রুহীনির দিকে এক পা এক পা করে আগাচ্ছে আর রুহীনি পিচ্ছিল। অভ্র শয়তানি হাসি দিলো রুহীনির এগুতে লাগলো। রুহীনি অভ্রের মতলব আন্দাজ করতে পারলো। রুহীনি ভয়ে পিছাতেই লাগলো আর অভ্র এগুতে লাগলো……
চলবে…