#স্বামীর_বিয়ে ১
#সাখেরীন
প্লাজু একটু উপরে গেছে সাদা ফর্সা পা কালো প্লাজু সাথে ফুটে আছে সে দিকে তার খেয়াল নেই ফুল কুড়াতে ব্যস্ত আর অন্যদিকে লকলক করছে চোখ – মুখ অভ্রের শরীরের
লোম দাড়িয়ে গেছে হাত পিরপির করছে আর সহ্য করতে না পেরে ছুয়ে দিলো রুহীনির বাহুডোরে রুহীনির ভয়ে সব উড়না থেকে হাত সরিয়ে নিলো আর সব ফুল গুলো পরে গেলো মাটিতে ভয় পেয়ো না চল আমার সাথে অনেকগুলো ফুল দিবো ( অভ্র রুহীনিকে বলছে আর রুহীনির বাহুডোরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে) রুহীনির বিরক্তি আর ভয়ে অভ্র ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো অভ্র হাসতে হাসতে বলো -তোমাকে দিয়ে নিজের ভিতরে ক্ষিদে না মিটিয়ে আমি এই গ্রাম থেকে যাবো না। অভ্রের কাধে কে যেনো হাত রাখলো। অভ্র পিছনে তাকিয়ে দেখলো নিহাল। নিহাল:ভালোই মজা নিতাছিলি তো শেয়ার কি পাবো নাকি একাই ভোগ করবি??অভ্র:- হুু তোরা তোদের খাদ্য খুজে নে আমি আমারটা পেয়ে গেছি নিলাহ:- ভালো কোপ ফেলেয়েছিস অভ্র:- বুঝতে হবে আমি অভ্র মাহম্মুদ নিহাল:- হ্যা এবার চল ক্যাম্পে অভ্র:- চল
রুহীনি নামটি তার বাবা রেখেছিলো আদর করে এখন সকলে রুহীনিকে রুহী বলে ডাকে রুহীর বাবা রুহীকে নিয়ে খুব চিন্তা করে করবেইনা কেনো রুহীনিযে মুখে কিছু বলতে পারেনা কিন্তু কানে শুনে এবং সব বুঝে রুহীনি ছোট একটি গ্রামে থাকে রুহীর বাবাকে অনেক ভালোবাসেন মা রুহীকে বোঝা মনে করেন গ্রামে সাধারনত ১৬-১৭ মধ্যে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় রুহী একাই ১৮ বছরের মেয়ে যার কিনা বিয়ে হয়নি কারন রুহীনি বোবা সেই জন্য রুহীনির মা রুহীনিকে বিধাতার অভিশাপস্বরুপে দেখেন নিজের গর্ভের কলঙ্ক হিসাবে রুহীনিকে দেখে রুহীনির একটা ছোট ভাই আছে রুহীনির গ্রামে কোন বোবা মেয়ে নেই তাই যত অঘটনা ঘটবে রুহীনিকে কথা শুনিয়ে যায় রুহীনি যে কথা কয় না সে যে অনুভব করে এটা কেউ মনে হয় না এইজন্য রুহীনির জন্য তার বাবা মা খুব দুশ্চিন্তা করেন। রুহীনির ছোটকাল থেকে বুঝে নিয়ে সে অভিশাপ তাই কারো সামনে আসেনা। রুহীনি তার মার সাথে কাজে হাত বাটায় নদী থেকে পানি আনে ইত্যাদি নানা কাজ করে দুপুরবেলা থেকে বিকাল পর্যন্ত নদীর পারে থাকে কারন নদীর পারে কেউ থাকে না এইটাইমে সবাই বলে দুপুরবেলা হতে রাতে সবসময় ভুত থাকে ওইখানে যে যায় তাকে ভুতে ভর করে। কিন্তু তারপর রুহীনি চুপচুপে যায় কারন প্রকৃতি তার মন বুঝে কষ্ট বুঝে। প্রকৃতি যেনো তার কথার বুঝে তার কথার উওর দেয় নদীর কলধ্বনি তার সাথে যেনো কথায় তাল মিলায়,পাখির ডাক দিয়ে সম্মিত দেয়,প্রকৃতির এই বিবিধ শব্দ এবং বিচিএ গতি রুহীনির ভাষা।
রুহীনির বড়ো বড়ো দুটি কালো চোখ এবং ঠোট ভাবের আভাসমাএ ছোট বাচ্চাদের মতে কেঁপে উঠতো।
আর অভ্র হলো বড়োলোক বাপে একমাএ ছেলে। অভ্র ইউটিউবার পরিচিত ও ফেমাস বয় জাতির ক্রাস বলে মানে সবাই তাই কোন এক শুট করতে আসছে গ্রামে তারা গ্রামবাসীরা খুব খুশি কারন তাদের গ্রামে আগে কখনো শুটিং হয়নি শুটিং আজ রাতে তাই সবাই রাতে খাবার খেয়ে ঝাকেঝাকে দেখতে যাচ্ছে কিভাবে শুটিং হয়।
অভ্র জানে না যে রুহীনি কানে শুনতে পায়। অভ্রদের শুটিং করতে ১ মাস লাগবে প্রায়। আজকে রাতের শুটিং শেষ। অভ্র খেয়েদেয়ে ক্যাম্পে শুয়ে আছে কারন এই গ্রামে কোন হোটেল নেই গ্রামের মতেবর বলেছিলো তাদের বাসায় থাকে কিন্তু অভ্র রাজি হলো না। কারন অভ্র রা গাড়ি করে মাদক জাতীয় অনেক কিছু এনেছে।
নিহাল:তো মামা কবে কোপ ফালাবি??? অভ্র:( হেসে বললো) সময় মতো ছিপ ফালাবো যাতে স্বাদ ও মিটাতে পারি আর এখানে মানে মানে করে কেটেও যেতে পারি। অভ্রদের মধ্যে এমন অনেক হলো ওইদিন।
রুহীনির আজকে একটা বিয়ের ঘর বা পাএ পক্ষ দেখতে আসছে পাশের গ্রাম থেকে এখন রুীহিনিকে তার মা নিয়ে আসছে পাএপক্ষদের সামনে দুপক্ষে অনেকক্ষন কথা হলো রুহীনি সব শুনলো। পাএপক্ষ থেকে পাএের মা বললো বাসায় গিয়ে নাকি ভেবে বলবে।পাএপক্ষ রুহীনির বাবা এগিয়ে দিতে গেলো।রুহীনির মার প্রান যেনো জুড়িয়ে গেলো পাএের মার কথা শুনে এর আগে কেউ বলেনি বাসায় গিয়ে ভেবে বলবে সবাই অপমান করে যায় আর রুহীনিকে অভিশাপ বলে এবার পাএের মার কথা শুনে রুহীনির মা খুব খুশি। পাএ ৮ ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছে। এখন অটো চলায় এতে রুহীনির মা- বাবা বিয়েতে রাজি এখন শুধু পাএ পক্ষদের হ্যা বলার।রুহীনির একটু মন খারাপ হলো এই ভেবে যে তাকে বিদায় করার জন্য কত কিনাই করছে তারা এসব ভাবতে ভাবতে রুহীনি নদীর পারে এসে বসলো আর ছোট ছোট পাথর গুলো পানিতে ফেলছে পানির কিছু অংশ রুহীনির মুখে পড়লো রুহীনি ফিকফিক করে হাসলো সে ভেবে নিলো নদীজল কিভাবে তার সাথে খেলা করছে তাই সে একের পর এক ফেলছে পানিতে এভাবে রুহীনির পুরো গা ভিজে একাকার হয়ে যায় পিঠের শরীরে কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে দূরথেকে অভ্র তা ক্যামেরা দিয়ে জুম করছে দেখে আর চোখের স্বাদ মিটাছে